২বছর আগের কথা কার্নিভাল নামে কুষ্টিয়াতে একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোঃ যাত্রা শুরু করে,একদল তরুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে। বি করিম (ফটোগ্রাফার) এবং তার স্ত্রী লিমা কবির হলো কর্ণধার। ছেলেমেয়েদের কেউই বেতনভুক্ত ছিল না, সেচ্ছায় এরা শ্রম দিতো। আস্তে আস্তে সময় গড়ালো… বি করিম বরাবরই খুবই ভাবের পাবলিক, কথাবার্তায় রুক্ষতা সেটা বরাবরই। কিন্তু ঘটনা সেটা নয়। বিষয়টা ভন্ডামির… Carnival এর ব্যানারে এরা নানা সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা শুরু করে। যেটা ছিল তাদের একধরনের মার্কেটিং পলিসি. … তাও না হয় বাদ দিলাম। কিন্তু ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে… ইমোশনাল কথা বলে ঘায়েল করে আপনার পকেট খসিয়ে নিতে এরা সিদ্ধহস্ত। আমিও একসময় এদের সাথেই ছিলাম, তবে সেখাবে খুব বেশি সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না। তবে ধোকাটা যখন দেশের সাথে, দেশের মানুষের সাথে… তখন আসলে চুপ করে থাকা যায় না।
প্রতিবাদ করতেই হয় কাউকে না কাউকে। ইতিপূর্বে বহুবার ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তোলে অনেকেই। একটা মানুষের বিরুদ্ধে ২/৪ দিন পর পরই সমালোচনার ঝড় যখন উঠে।তখন বিষয়টি তলিয়ে দেখাটা জরুরী হয়ে পড়ে। আর এভাবেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসে। লিমা কবির এবং বি করিম ফেসবুকে হয়ত বিশাল সেলিব্রেটি হবার বাসনা নিয়ে লম্বা লম্বা যুক্তি নিয়ে লেখালেখি করে। কথাবার্তায় রুক্ষতা, নিজেদের চেহারা গোপন রাখে তারা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বি করিমের ছবি তো আছে ফেসবুকে, কিন্তু কখনো কেউ তার মুখ দেখেনি। কেন এই রহস্যময়তা? কিসের ভয়??
আসলে ভন্ডরা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে, অথবা নিজেদের চারিদিকে রহস্য সৃষ্টি করে ফেসবুকে সবাইকে আকর্ষিত করতে চায় এবং তারা এই ব্যাপারে সফলই বলা চলে। মানুষের এই আস্থাকেই পুঁজি করে ধীরে ধীরে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে থাকে, শীতবস্ত্র বিতরন , সাভার ট্রাজেডি, ঈদে পথ শিশুদের নতুন কাপড়, গরীব রোগীদের সাহায্য, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য রক্ত বিভিন্ন কাজ চলতে থাকে। যেখানে কার্নিভালের ছেলেমেয়েদের ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বলুন তো শুনতে কেমন লাগবে? যখন তাদের বিশ্বাস করে আপনি মহৎ উদ্দেশ্যে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দান করবেন, আর তারা সেগুলোর সিংহভাগ হজম করে ফেলবে?? আজ পর্যন্ত এসব অর্থের কোন পরিষ্কার হিসাব তারা দিতে পারে নি। তবে হ্যা তাদের কাছে সব সময় কিছু গুঁজামিলি হিসাব কিন্তু রেডিই থাকে। আপনাকে ওই দেখা যায় তালগাছ বলে বুঝিয়ে দেবে। কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইনবক্সে উত্তর দেবে ট্যাঁও, ম্যাও… কিছু বুঝলেন??
উনারা হলেন সেলিব্রেটি… সেই রকম পার্সোনালিটি। আমি ভাই সাধারন একজন মানুষ, যে কিনা তার বিবেকের কাছে দায়ী হয়ে আজ ব্লগে লিখছি। যাতে আপনার আমার মতো আর কোন সাধারন মানুষ এই ভন্ডদের খপ্পরে না পড়ে। এই সব গুটিকয় মানুষের জন্যই আমাদের সমাজটা খোকলা হয়ে যাচ্ছে ভেতর থেকে। এদের রুখে দেয়ার এখনই সময়… আওয়াজ তুলুম, এদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে প্রমান করুন ফেসবুক কোন ব্যাবসার জায়গা নয়, ভন্ডামির আখড়া নয়। আমরা এখনো ভালো মানুষদের সাথে আছি, পাশে আছি এবং থাকবো।
তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তারা তখন সবাইকে শত্রু বলে চালিয়ে দেয়। বাবা রে এমন কি হয়ে গেছো যে তোমার ঘাটে, পথে, বাগানে, রাস্তায় এত শত্রু??? কেন করবে মানুষ শত্রুতা? এখানে তো আর কারোর ভাগবাটওয়ারার কিছু ছিলোনা, যে জনে জনে সবাই টাকা না পেয়ে শত্রু হয়ে যাচ্ছে!!! বি করিম ছাড়া কুষ্টিয়াতে আর কোন ফটোগ্রাফার কি নেই , সবাই কি তাদের ব্যবসায় সচ্ছল না ? সবাই কি বি করিমের জন্য রোজগারের অভাবে না খেয়ে মরছে, যে শত্রুতা করতে আসবে তার সাথে ? বি করিম কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম বলুক , প্রমান দেখাক। কিছু হলেই শত্রু বলে চালিয়ে দিয়ে নিজের অপকর্মগুলো তার আড়ালে চাপা দিয়ে দেয়া… এ আর কতদিন চলবে ?
নীচে একটি লিংক দিলাম এটাও পড়ে দেখার অনুরোধ থাকলো। এখানে তাদের কথাই আছে… যারা একসময় কার্নিভালের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং যখন দেখেছে এদের সব ধরনের সামাজিক কার্যকালাপের পেছনে আছে ব্যাবসার প্রচার… টাকার ঘাপলা। তখন এরা সরে এসেছে… হ্যাঁ তাদের মধ্যে আমিও একজন।
এখানে ক্লিক করে জানুন এদের প্রতারনা সম্পর্কে
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তাদের প্রতারণা জেনে প্রতিবাদ করছেন ,এমনটি ই হওয়া উচিৎ।
এতে করে সহজ মানুষেরা প্রতারকের হাত থেকে বাঁচবে।
এতশত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মনে রাখছেন দেখে ভালো লাগল অনেক।
লম্বা হাত-পা নিয়ে আমাদের আরও সাবধানী হতেই হয়।
লীলাবতী
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে নেটে প্রতারণার বিশাল জাল বোনে অনেকেই।বিভিন্ন ইভেন্ট,উপলক্ষে মানুষ কিছু সাহায্য সহযোগিতা করেই।আর এরা সে সব অর্থ হাতিয়ে নেয়।উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে এদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনয়ন করা যায়। সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ।আপনাকে প্রতিবাদ করতে দেখে ভালো লাগলো।
sayeed
সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
কার্নিভাল এবং বি করিমকে ভালো জানতাম আমি।
এরা এত বড় প্রতারক?
লিংকে গিয়ে আরো অবাক হলাম।
সাবধান করার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
ভয় হয়, এদের মতো কুলাঙ্গারদের জন্য সবাই বিশ্বাস থেকেই দূরে চলে যায় কিনা।
ফেসবুকের ছবিতে যে এক্স-রে সিস্টেম নেই আপু। কিভাবে চিনবে মানুষ? আবেগী কথাবার্তা শেখাটা এদের মতো মানুষের জন্য জরুরী। সাবধান করে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
মানুষের বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করায় এদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
নওশিন মিশু
বাহ্, Fairy Land-এর ঝামেলাটা সোনেলাতেও ….!!!!!
পুরো ব্যাপারটাই খুব দারুন …..
স্বপ্ন নীলা
আপু ! শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ— এদের নিকট হতে সাবধানে থাকতে হবে
খেয়ালী মেয়ে
খুব ভালো জিনিস শেয়ার করেছেন–এফবিতে তথাকথিত বেশ কিছু সেলিব্রটিরা কয়েকদিন পরপরই সাহায্য চেয়ে ইভেন্ট খুলে বসে—আর অনেকে সরল বিশ্বাসে সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু এই টাকা কোথায় যাচ্ছে এটা অনেকে জানেও না…..সর্তক করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হিলিয়াম এইচ ই
কোনদিন প্রতারিত হই নাই। এখন থেকে আরোও সাবধান। আপনি জেনে সবাইকে সাবধান করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় প্রকাশিত পোষ্ট সমুহের মধ্যে এই পোষ্টই সর্বাধিক এখন পর্যন্ত ৭১১ টি ফেইসবুক লাইক প্রাপ্ত পোষ্ট।
ব্লগার সজীব
অন লাইনে প্রতারণার অনেক ঘটনা জানা আছে,আরো একটি ঘটনা প্রকাশিত।আপনাকে ধন্যবাদ এদের সম্পর্কে সাবধান করে দেয়ার জন্য।যারা এই লেখা পড়বেন,তারা এদের মাধ্যমে সাহায্য করার পর্বে ভেবে দেখবেন এখন।
ব্লগ সঞ্চালক
নীতিমালা বিরোধী মন্তব্য হওয়ায় এই পোষ্ট থেকে কয়েকটি মন্তব্য মুছে দেয়া হলো।
আদিব আদ্নান
সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেখে ভালো লাগল। অবশ্য এমন প্রতারণা এই প্রথম বা শেষ বার
নয়।
খসড়া
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
কতভাবে যে মানুষ প্রতারিত হয়
স্বপ্ন
এমন প্রতারণা অবিশ্বাস্য।শতর্ক থাকবো।
শিশির কনা
কার্নিভাল এর নাম শুনেছি আমিও।আমার যতটা মনে পরে,কার্নিভালের প্রশংসা করে আপনি একটি পোষ্টও দিয়েছিলেন সোনেলায়।প্রতারনা হয়ে থাকলে তা মেনে নেয়া যায় না।
মেহেরী তাজ
কতভাবেই যে মানুষকে প্রতারিত করা যায়!অনলাইনে আর সাহায্য করতে ভাবতে হবে।