আজ ২১ তারিখ, রাহাত সাহেবের সাথে মিরপুর স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাবার কথা জাফর সাহেবের। তাঁর বাসা থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত মাত্র ১০-১৫ মিনিটের পথ । একটা ফোন কল আসলো জাফর সাহেবের। রাহাত সাহেবের ফোন, নিচে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। খুব উত্তেজনা আর উদ্দীপনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি, একটা রিক্সাও ঠিক করে রেখেছেন। যতো দ্রুত সম্ভব স্টেডিয়ামে যাওয়া চাই। কারন আজ যে তাঁর প্রাণপ্রিয় টাইগারদের খেলা। হাতে একটা বাংলাদেশের পতাকা। জাফর সাহেব নিচে নেমে আসতেই রাহাত সাহেব বলল-
” উঠে পরুন…”
” হেঁটে গেলেই পারতাম। কাছেই তো… ”
রাহাত সাহেব একটু উত্তেজিত হয়েই বলল-
” নাহ্, রিক্সা করেই গেলেই ভালো হবে। যতো তাড়াতাড়ি যাবো, ততোই শান্তি…”
জাফর সাহেব আর কথা না বাড়িয়ে রিক্সায় উঠে বসলো। বেশ সুন্দর একটা আবহাওয়া। স্টেডিয়ামের সামনে নামা মাত্রই অদ্ভুত এক উদ্দীপনা কাজ করছে রাহাত সাহেবের ভেতর। কিন্তু জাফর সাহেব একেবারেই নির্লিপ্ত ! জাফর সাহেবের এরকম নির্লিপ্ততা দেখে কিছুটা অবাক হলেন তিনি। যাহোক, স্টেডিয়ামে ঢুকে মাঝের দিকের দুইটা সিটে বসলেন তাঁরা। তাঁদের এক পাশের সিটগুলোতে এখনো কেউ বসেনি। আরেকপাশে অনেকগুলো অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়ে। তাঁদের গালে বাংলাদেশের পতাকা আঁকা। হাতে বাংলাদেশের অনেক বড় একটা পতাকা। খেলা শুরু হয়ে গেছে… প্রথমে বাংলাদেশের ব্যাটিং। কিছুক্ষণ পর রাহাত সাহেব লক্ষ্য করলেন যে তাঁদের পাশে যে সিটগুলো ফাঁকা ছিল তাতে বেশ কয়েকটা ছেলে এসে বসেছে। তাঁরা চোখে মুখে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা, হাতেও একটা বেশ বড় আকারের পতাকা। খুবই রাগ হতে লাগলো তাঁর। কিন্তু খেলা দেখার নেশায় সে কিছু বলতে পারছিল নাহ্। কিন্তু জাফর সাহেব একবারও মাঠ ছাড়া অন্য কোন দিকে তাকান নি। কারন এতো লোকের ভিড় তাঁর ভালো লাগে নাহ্। তাই মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকাই ভালো। পারজগুলা পাকিস্তানের পতাকা উড়াচ্ছে। রাহাত সাহেবের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে; ইচ্ছে হচ্ছে সবগুলাকে ধরে থাপড়াতে। কিন্তু তিনি তাঁর রাগটা নিয়ন্ত্রণ করে রাখছে বহু কষ্টে। ১১ অভারে হঠাৎ একজন টাইগার আউট হল ! আরে সাথে সাথে পারজগুলা পাকিস্তানের পতাকা উড়াতে উড়াতে ” পাকিস্তান জিন্দাবাদ ” বলে চিৎকার করে উঠলো। সেই চিৎকারের ধ্বনি কানে যাওয়া মাত্রই পুরো মাথাটা উলট-পালট হয়ে গেলো জাফর সাহেবের। বুকের ভেতরটা হাহাকার করতে লাগলো তাঁর। অস্থিরতায় নিমজ্জিত হয়ে গেলো তাঁর পুরোটা দেহ ! হ্যাঁ খুব পুরনো, খুব পুরনো ভয়ংকর সেই স্মৃতিটা তাঁর চোখের সামনে ভাসছে… অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে তাঁর। ঘাড় থেকে মাথার পেছনে আবারও সেই তীব্র জ্বালা…!
পাশ ফিরে আর কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সেই পারজগুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তিনি। হ্যাঁচকা টানে পাকি পতাকা বহনকারী ছেলেটাকে দাড় করে ফেলল। একটানে ছিঁড়ে ফেলল তাঁর পরিহিত পাকি জার্সিটা। প্রচণ্ড জোরে একটা চড় বসিয়ে দিল পারজটার গালে, সেই সাথে তার মুখে ছিটিয়ে দিলো একদলা থুথু ! আশেপাশের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে জাফর সাহেবের দিকে। সবাই নির্বাক; নিরাপত্তা কর্মীরাও তাকিয়ে আছে অদ্ভুত ভঙ্গিমায়। জাফর সাহেব পারজটার হাত থেকে পাকি পতাকাটা নিয়ে পায়ের নিচে পিষতে লাগলো। আর চিৎকার করে পারজটাকে বলতে লাগলেন-
” হারামির বাচ্চা ! তুই মানুষের জন্ম নাহ !
তুই আমার দেশে, আমার মায়ের বুকের উপর দাঁড়িয়ে ” পাকিস্তান জিন্দাবাদ ” বলে চিৎকার করিস !আমার মায়ের বুকে থাকার কোন অধিকার তোর নাই; তোর বাঁচার কোন অধিকার নাই।
তুই মর, তুই মর…! ”
এই বলে পারজটার গলা চেপে ধরলেন জাফর সাহেব। রাহাত সাহেব হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছেন তাঁর দিকে। এই জাফর সাহেব কে তিনি চেনেন নাহ্। তিনি তো জানতেন খুবই শান্ত-গম্ভীর স্বভাবের লোক তিনি। কিন্তু আজ হঠাৎ… দুজন পুলিশ এসে শান্ত করলেন জাফর সাহেব কে। কিন্তু কিছুতেই শান্ত হলেন নাহ্ তিনি। স্টেডিয়াম থেকে ছুটে বাড়ির পথে চলে গেলেন তিনি; পাগলের মতো ছুটছেন তিনি। বাড়ি ফিরে খুব জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলেন। জয়া দরজা খুলে দিলো। ঘাবড়ে গেলো বাবার এ অবস্থা দেখে। দরজা খোলা মাত্রই নিজের ঘরের দিকে ছুটে গেলেন তিনি। নিজের আলমারিটা খুলে সেটার ড্রয়ারে পাগলের মতো কি যেন একটা খুজতে লাগলেন। জয়া তাঁর পেছন আসলো। কিন্তু সে কিছুই বুঝতে পারছে নাহ্।
কিছুক্ষণ খোঁজার পর খুব খুবই পুরনো একটা চাবি নিয়ে আবারও ছুটলেন তাঁর সেই উত্তরের ঘরটার দিকে। আজ ৪৪ বছর যাবত বন্ধ এই ঘরটি। দরজাটা খোলার পর সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে নাহ্। জয়া একটা মোমবাতি নিয়ে আসলো। মোমবাতিটা নিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলেন জাফর সাহেব। মোমবাতির আলোয় মেঝেতে কালচে কালচে দাগ দেখলেন তিনি… এগুলো তাঁর বাবার রক্তের দাগ! ৪৩ বছর আগে ঠিক এইখানটাতে বসে জবাই করে মেরেছিল তাঁর বাবাকে ঐ পাকি শুয়রেরা। তীব্র যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মারা যায় তাঁর বাবা। আর ঐ শূয়রেরা বিকট শব্দে হেঁসে উঠেছিলো। বাবাকে মেরে ফেলার পর চিৎকার করে পাশ থেকে ” পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলে স্লোগান দিয়েছিলো একটা শুয়োর।
একটু সামনে আগাতেই সে খুঁজে পেলো একটা ছেঁড়া রক্ত মাখা শাড়ি। হ্যাঁ, এটা তাঁর মায়ের শাড়ি। শাড়িটার সাথে সাথে ঐ পাকি শুয়রেরা ছিন্ন-ভিন্ন করে করে দিয়েছিলো তাঁর মায়ের পবিত্র দেহটাকে। তাঁর মায়ের পেট থেকে বুট দিয়ে পিষে বের করে ফেলেছিল তাঁর অনাগত ৭ মাসের ভাইটিকে। সেই ছোট দেহটাকে বুটের তলায় নিয়ে পিষেছিল ওরা।
হ্যাঁ, এটা সেই রক্ত মাখা জামাটা। যেই জামাটা পরনে ছিল তাঁর বড় বোন। তাঁর থেকে মাত্র ২ বছরের বড় ছিল সে। রাক্ষসের মতো করে তাঁর পুরো দেহটিকে ভোগ করেছিল সেই নর পিশাচের দলেরা। এইতো সেই আলমারি, যার ভেতরে সে লুকিয়ে ছিল। লুকিয়ে লুকিয়ে সেদিন নিজের চোখে দেখেছিল সেই শুয়োরগুলোর তাণ্ডব। কিন্তু মৃত্যুর ভয়ে কিচ্ছু বলেনি সে আর একটা ১১ বছরের বালকের সেদিন কি-ই বা করার ছিল শুধু দেখা ছাড়া !! তারপরও সেই না পারার যন্ত্রণাটা আজো কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তাঁকে।
পুরনো সেই দুর্বিষহ, ভয়ংকর স্মৃতিগুলো মনে করতে করতে হঠাৎ নিচ থেকে তাঁর কানে ” জয় বাংলা ” স্লোগানটা ভেসে আসলো। সমস্ত যন্ত্রণাগুলো একপাশে রেখে দরজা ঘুলে নিচে তাকাতেই দেখল যে- সেখানে বসে থাকা ছেলেগুলো লাফাচ্ছে আর স্লোগান দিচ্ছে… দূর স্টেডিয়াম থেকেও ভেসে আসছে ” জয় বাংলা ” স্লোগান। কিছু বুঝে উঠার আগেই জয়া দৌড়ে এসে তাঁকে বলল-
” বাবা, আমরা পেরেছি। হ্যাঁ আমরা পেরেছি।
টাইগাররা জিতে গেছে বাবা। বাংলাদেশ জিতে গেছে… ”
জাফর সাহেব কিছু না বলে দ্রুত ঘরটিতে ঢুকে পরল। তাঁর মায়ের সেই রক্তমাখা শাড়িটি বুকে জড়িয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো-
” মা আমরা পেরেছি, সত্যি আমরা পেরেছি… ”
চোখ থেকে অঝোরে পানি পরছে তাঁর। ৪৪ বছরের জমানো এই চোখের পানি… তারপরেও শুঁকনো ঠোঁট দুটিতে একটা হালকা তৃপ্তির হাঁসি। হঠাৎ তাঁর কানে একটা চিনচিনে কণ্ঠস্বর ভেসে আসলো। আরে এটা তো তাঁর বাবার কণ্ঠ ! হ্যাঁ, সেই কণ্ঠ এটা…
এটা তো তাঁর বাবার কণ্ঠের সেই ” জয় বাংলা ” ..
১ম পর্ব : ৪৪ বছরের বকেয়া যন্ত্রণা কিংবা জন্ম পরিচয়হীন কিছু অমানুষের গল্প…(১ম পর্ব)
৩০টি মন্তব্য
স্বপ্ন
আপু চোখে পানি চলে আসলো। জয় বাংলা।
ফাতেমা জোহরা
জয় বাংলা (y)
শুন্য শুন্যালয়
কেঁদে ফেলেছি গল্পটা পড়ে। এই তীব্র যন্ত্রনা যারা হারিয়েছে, যারা চোখের সামনে দেখেছে তারা ছাড়া আর কে বুঝবে? ৪৪ বছরের বকেয়া যন্ত্রণা যারা বুকে নিয়ে আছে তারাই জানে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কেন তারা চায়।
ফাতেমা জোহরা
ঠিক তাই!! একাত্তরের যন্ত্রণাটা লিখে,বলে কোনোদিনই প্রকাশ করা যাবে না…
ছাইরাছ হেলাল
ভুলে যাওয়া ভুলে থাকা,এ আমাদের এক অসম্ভব নৈমিত্তিকতা।
ফাতেমা জোহরা
হতে পারে, কিন্তু এরপরেও কেন যেন ভুলে থাকা যায় না। আমি পারিনা…
নওশিন মিশু
বার বার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে….
ফাতেমা জোহরা
বড় কষ্ট হয়, সত্যিই বড় কষ্ট হয় লিখতে আপু…
স্বপ্ন নীলা
দারুনভাবে লেখাটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন — অসাধারণ
ফাতেমা জোহরা
ধন্যবাদ আপু 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
লেখাটা ভাল্লাগছে। ধন্যবাদ।
ফাতেমা জোহরা
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব দিক দিয়েই ভালো তবে পাকি সাপোর্টাদের ধোলাইটা আরো চমক। -{@
ফাতেমা জোহরা
কিন্তু এরপরেও যেন মনের আশ মিটেনাই ভাই 😀
খেয়ালী মেয়ে
কি লিখবো বুঝতে পারছি না–লেখা পড়ে একবুক যন্ত্রনা অনুভব করছি…
ফাতেমা জোহরা
আসলেই আপু অসম্ভব যন্ত্রণায় জ্বলে পুড়ে যাই একাত্তরের ইতিহাসগুলো মনে হলে…
নুসরাত মৌরিন
আপু এমন করে কি করে লেখেন?
দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো…। 🙁
ফাতেমা জোহরা
আমি কিছুই লিখি না আপু 🙁 পাকিদের নৃশংসতার কথা মনে পরলে লেখা এমনিতেই চলে আসে :@
জিসান শা ইকরাম
লেখাটি পড়তে পড়তে কখন জাফর সাহেব হয়ে গিয়েছি বুঝতে পারিনি
পারজগুলোর প্রতি ক্রোধ আমার বরাবরই ছিলো
শেষ টুকু পড়ে গায়ের রক্ত টগবগ করে উঠলো।
এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফাতেমা জোহরা
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়বার জন্য -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অসম্ভব সুন্দর করে লিখেন আপনি, মনকে নাড়া দেয়।
লিখুন,সবার কলম দিয়ে এমন লিখা আসে না।
আপনার লেখনী থেকে মানুষ নাড়া খাক, জেগে উঠুক পূর্বপুরুষদের ঋন শোধে।
জাগরনী লেখার জন্য স্যালুট।
ফাতেমা জোহরা
আপনাদের প্রেরণাই তো আমায় উৎসাহ জাগায় লিখতে। ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইলো -{@
লীলাবতী
আপু এমন প্রেরনা মুলক লেখা আরো চাই।
ফাতেমা জোহরা
হ্যাঁ আপু, আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ -{@
ব্লগার সজীব
এমন প্রতিবাদ প্রয়োজন আপু।তাহলেই পারজগুলো এত বার বাড়তে পারতো না।আপনি অনেক ভালো লেখেন।
ফাতেমা জোহরা
সেটাই… অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
একজন আইজুদ্দিন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এখনও সুদূর পরাহত।
কোন একক দলের স্বদিচ্ছার কারনে এটা বাস্তবায়ন হবে এটা ভাবাটা অন্যায়। এটি বাস্তবায়নে একটি সুদরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এদেশের মানুষগুলোর মাঝে বিশেষ করে যারা পঁচিশ উত্তীর্ণ তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প (আসলে সেটা ইতিহাস) তুলে ধরা না হলে এরা মুক্তিযুদ্ধের মুল সংগ্রামের কাহিনী জানতেই পারবে না। এ কারনে বেশি বেশি মুক্তিযুদ্ধের গল্প লিখতে হবে, গল্পের ছলে এদেরকে ইতিহাস শিক্ষা দিতে হবে। একটি বিশেষ সম্প্রদায় এই শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের টার্গেট করে বিকৃত ইতিহাস গেলানোর চেষ্টা করছে, এটা রুখে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধটাকে একটি মুসলিম বিরোধী চক্রান্ত বলে এর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে যুদ্ধাপরাধী জামাত চক্র, এদের চক্রান্ত’ও রুখতে হবে।
আপনার গল্পে মুক্তিযুদ্ধ উঠে আসে সুচারুভাবে, এটা নতুন করে বলবার নয়। কিন্তু যুদ্ধ যে এখনও শেষ হয়নি বরং সেদিনের হায়েনারা এখনও কোন না কোন ভাবে পাকিস্তানের তাঁবেদারি করতে এ দেশের কোমলমোতি সন্তানদের যে উৎসাহিত করছে সেটা স্পষ্ট’ই বোঝা যায়। তাই জাফর সাহেবের চড়টাকে স্যালুট না করে কে থাকতে পারে!
আমার পক্ষ থেকে বাংলার সকল জাফর সাহেব’দেরকে একটা স্বস্রদ্ধ সালাম জানাবেন।
ফাতেমা জোহরা
সহমত আইজুদ্দিন ভাই (y) অসংখ্য ধন্যবাদ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দুটো পর্বই পড়লাম।এমন লেখার জন্য আপনাকে শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আরো লিখুন আপু।
ফাতেমা জোহরা
কৃতজ্ঞতা রইলো আপু 🙂 আপনাদের অনুপ্রেরণাতেই তো লিখার সাহস পাই… -{@