এটি কোন ওয়েস্টার্ন মুভির স্থির চিত্র নয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসী। সর্বস্তরের জনগনের সামনে এই অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। নারী বলে সামান্য সহানুভূতি এদের প্রতি দেখানো হয়নি। খুবই সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে বিশেষ আদালত এদের শাস্তি প্রদান করেন। এরপর ফাঁসীতে ঝুলিয়ে দেয়া। এই নারীরা একটি কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পের গার্ড ছিল।
বিশেষ আদালতে যুদ্ধাপরাধী নারীদের বিচার হচ্ছে।
আজ যারা মানবতা দেখাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে চিৎকার করছে, তারা নিজেদের উপর অপরাধের সময়ে মানবাধিকার দেখেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী মানুষ হত্যা করেছে বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এভাবে করা হয়েছে। আর আমাদের দেশে ১৯৭১ সনে পাকিস্থানী সৈন্য এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর,আলসামস রা কি কুকুর মেরেছিলো যে তাদের বিচারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধী বিচারে যে বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিলো, সেই আদালতের আইন সংগ্রহ করে, তার আলোকে আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হোক।
সুত্রঃ
১। The Backstories of the Female SS Camp Guards
৩। Stutthof concentration camp
৪। Biskupia Gorka executions – 14 – Barkmann, Paradies, Becker, Klaff, Steinhoff (left to right)
৩৬টি মন্তব্য
প্রজন্ম ৭১
সহমত আপনার সাথে।রাজাকারদের প্রতি আমরা খুব সহনশীল আচরন করছি।
ব্লগার সজীব
সংক্ষিপ্ত আদালত করে বিচার সমাপ্ত করে দন্ড কার্যকর করা উচিৎ ছিলো।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
অথচ ইউরোপিয়ান মানবতাবাদীরা আমাদের দেশের বিচারে হস্তক্ষেপ করে।
ব্লগার সজীব
সেটাই, মনে হয় যুদ্ধে ওদের মানুষ মরেছে, আর আমাদের দেশে মানুষ না।
ছাইরাছ হেলাল
মানব হলেই মানবাধিকার পাওয়া উচিৎ। অন্যথায় নয়।
যথা চিৎকার-চেচামেচি ছিল আছে থাকবেও।
ব্লগার সজীব
এসব চিৎকার উপেক্ষা করাই উচিৎ।
রিমি রুম্মান
সেইসব অপরাধীদের ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই…
ব্লগার সজীব
এই ঘৃনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
কৃষ্ণমানব
দেশ নাকি অনেক এগিয়ে গেছে !
অথচ চোখের সামনে দিয়ে চলাফেরা করে রাজকাররা !
কেউ বা উচ্চ পর্যায়ে কাজ করছে ।
আমরা অনেকেই তাদের চিনছি ।
অথচ কিছুই করতে
পারছি না ।
আমরা অসহায় !
ব্লগার সজীব
এতগুলো বছর।শিকর ভালোভাবেই গ্রথিত এদের।
আবির
একমত, রাজাকারদেরকে এমনি করেই ঝুলাইয়া রাখা উচিত, জেলে ঢুকাইয়া জামাই আদর করা না।
ব্লগার সজীব
একমত আপনার সাথে।
জিসান শা ইকরাম
শেখা হাসিনা বেশি স্বচ্ছতা দেখাতে গিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত আদালত, রায়, দন্ড কার্যকর- এভাবেই করা দরকার ছিলো।
সমস্ত রাজাকারদের ফাসি চাই।
ব্লগার সজীব
একমত আপনার সাথে। (y)
কৃন্তনিকা
রাজাকাররা মানুষের সাথে যা করেছে, তাদের সাথেও সেরকম করা উচিত। এক কাতারে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার ও গনকবরে স্থান দিতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু মানবতার খাতিরে সেটা যেহেতু সম্ভব না, এভাবে ফাসিতে ঝোলাতে পারলেও হত…
ব্লগার সজীব
কবে যে দ্বিতীয় একজন যুদ্ধাপরাধী ফাঁসিতে ঝুলবে?
মেহেরী তাজ
কেন যে এভাবে ফাঁসী দেয়া গেলো না? মারজানা আপুর পোষ্ট পড়ে যা জানলাম, তাতে ফাঁসী দেয়াটাও কম শাস্তি মনে হয়।
ব্লগার সজীব
আশায় আশায় দিন গুনছি আপু।
খেয়ালী মেয়ে
আপনার সাথে একমত–
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ পরী আপু।
নুসরাত মৌরিন
নরপশুদের বিচার এমন প্রকাশ্যেই হওয়া উচিত।
জানিনা কেন এদেশে সেইসব শকুনদের বিচারে এত এত ধারা উপধারা মানবতা এসে পড়ে।
১৯৭১ এ অশীতিপর বৃদ্ধ, নবজাতক শিশু,তরুনী,বৃদ্ধা,নারী,পুরুষ কেউ কি বেঁচেছিল ওদের হাত থেকে?কোন শিশুর কান্না থামাতে পারেনি তার বাবার দিকে তাক করা বুলেট।কোন আহাজারি পারেনি থামাতে মৃত্যুর বিভীষিকা…তাহলে এখন কেন ওদের বিচারে এত এত মানবতার প্রশ্ন চলে আসে!!
উত্তর গুলো কখনোই আমার মাথায় ঢোকে না।
ব্লগার সজীব
আপনার মন্তব্যটি পোষ্টে দিতে ইচ্ছে করছে আপু। এমন চিন্তার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
বরং উল্টোই ঘটছে, এদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলেই ঝুলে পরতে হচ্ছে। আশ্চর্য দেশ আমার। কেনো এভাবে সেদিন তাদের ঝুলিয়ে দেয়া হলোনা সে আফসোস আসলেই হচ্ছে। এ ধরনের পোস্ট আমাদের দেশের মাথা মুন্ডুওয়ালাদের দেখানো উচিত।
ব্লগার সজীব
৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত রাষ্টিয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিকড় অনেক গভীরে চলে গিয়েছে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাদের দেশের হত্যার বিচারে মানবতা থাকেনা, থাকে আমাদের দেশের বেলায়।
ব্লগার সজীব
মানবতা সব আমাদের দেশের বেলায়।
সঞ্জয় কুমার
দানবের জন্য মানবতার বানী । । ওদিকে ধর্ষিতা মা বোনেরা লজ্জা ঢাকার কাপড় পায় না । রাজাকারের মুক্তির জন্য রাস্তায় মিছিল মিটিং সমাবেশ হয় । মুক্তিযোদ্ধারা অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মরে । ।
অদ্ভুত দেশ । তারচেয়েও অদ্ভুত দেশের মানুষ ।
ব্লগার সজীব
এটি আমাদের লজ্জা সঞ্জয় ভাই।
অরণ্য জুয়েল
ভাই আমি আপনার সাথে একমত।
তবে আমরা বিচারে সচ্ছতা দেখিয়ে খুব খারাপ কাজ করছি না। যেহেতু সময় গড়িয়ে গেছে তাই আমাদেরকে একটি সচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার করতে হচ্ছে। একারনে আমাদের ট্রাইব্যুনাল বিশ্বের মডেল ট্রাইব্যুনালে পরিতন হয়েছে। এখন আমাদের দাবি তুলতে হবে দ্রুত রায় কার্যকর করার। আসুন দ্রত রায় কার্যকর করার জন্য দাবি তুলি।
ব্লগার সজীব
বাস্তবতা বুঝি বলেই ‘ করতে হবে ‘ লিখিনি। অতীত কাল লিখেছি,উচিৎ ছিলো। আপনাকে নতুন দেখলাম মনে হচ্ছে। ভালো লাগছে আপনাকে এই পোষ্টে মন্তব্য করতে দেখে।
স্বপ্ন
এমন ঘটনা জানতাম না।ধন্যবাদ আপনাকে।সহমত।
ব্লগার সজীব
জেনেছেন যখন,সবাইকে বলুন।লিংকে বিস্তারিত আছে। অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে।
মিথুন
সপ্তাহের শীর্ষ পোস্ট এমনই হওয়া উচিত। দারুণ তথ্যটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আফসোস কাজে লাগাতে পারিনি আমরা।
ব্লগার সজীব
ঠিক বলেছেন,আফসোস কাজে লাগাতে পারিনি আমরা।ধন্যবাদ আপনাকে।
শিশির কনা
সজীব ভাইয়া,এদের নির্মুল না করলে দেশে শান্তি আসবেনা,দায়মুক্ত হবেনা দেশ।
ব্লগার সজীব
অনেক বিলম্ব হয়ে গিয়েছে……… আর সম্ভব কিনা জানিনা।