কতদিন পরে দেখা বলতে পার?
কত মাস, বছর, কত যুগ?
কিচ্ছু বলবে না!
তবে, এসেছো কেন এখানে?
আমাকেই বা ডাকলে কেন?
আমার মানিয়ে নেয়া তাল মেলানো জীবনে
আমি তো ভালই ছিলাম।
সবার পূর্ণতা নিয়ে
পৃথিবী কখনও চলেনি – চলেনা।
আমিও এই পৃথিবীরই একজন
অপূর্ণতা আমার থাকতেই পারে।
আচ্ছা, আমিই বা এসেছি কেন!
হ্যাঁ, পারিনি – তাই এসেছি।
তুমি কিছু বলছো না কেন?
একি! তুমি কাঁদছো!
তবে কি সেদিনে
সুখীর ভান করে ছিলে মাত্র?
নিজেরটা নিজের বুঝে নেয়া
সে স্বার্থপরতা নয়
সে তো তোমারই দায়িত্ব ছিল।
মহৎ হতে চেয়েছিলে সেদিন
বাহ্! হয়েছো কি আদৌ?
হত্যা করেও মহৎ হওয়া যায়
আত্মহত্যা করে নয়।
আমি এখন কাঙালপনা শিখেছি
আমি এখন বলতে পারি
আমি কতটা কাঙাল তোমার জন্যে।
লজ্জার মাথা খেয়ে আমি এখন
যে কাউকে বলতে শিখেছি
তুমি আমার। তুমি কেবল আমারই ছিলে।
এখনও তুমি নুপুর পায়ে? বেশ!
আমি এসেছি ফিরব না বলে।
যদি তাই’ চাও
খুলে ফেল তোমার সভ্যতার শিকল
সকল আভরণ – আবরণ।
আমরাই না হয় জন্ম দেই আজ
নতুন সভ্যতার।
৩৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুব সুন্দর আবেগী গীতি কবিতা।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খেয়ালী মেয়ে
দারুন বলেছেন (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার চিঠিটা (খেয়ালী মেয়ের চিঠি-৪) কিন্তু আমার কাছে বেশ লেগেছে।
মেহেরী তাজ
এতো কবিতা নয়, এ যেনো এক জীবনের ইতিহাস। ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
অরণ্য
মন্দ বলেননি। ইতিহাসই বটে।
জিসান শা ইকরাম
বেশ ভালো লিখেছেন অরণ্য।
সমাপ্তিটা আশা ব্যঞ্জক, এমনই হওয়া উচিৎ
হতাশায় নিমজ্জিত না হোক কবি হৃদয়।
দুই লাইনের মাঝে ডাবল স্পেস কি ইচ্ছে করে দিয়েছেন?
যদি না দেন, তবে কোন কিছু কপি করে এখানে পেষ্ট করার পুর্বে এইচটিএমএল এ ক্লিক করে পেষ্ট করুন।
তাহলে আর ডাবল স্পেস থাকবেনা।
আর এখানে যদি সরাসরি লিখে থাকেন, তবে লাইনের সমাপ্তিতে Shift চেপে এন্টার দিলেই এমন ডাবল স্পেস হবেনা।
ইচ্ছে করে ডাবল স্পেস দিলে পরামর্শ গ্রহন করতে হবেনা।
শুভ কামনা।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এবং টিপসের জন্য। না ভাইয়া ইচ্ছে করে আমি ডাবল স্পেস দেইনি, এ আমার জ্ঞানহীনতা। সরাসরি লিখে ছেড়ে দিয়েছি। shift এর ব্যবহার আগে জানা থাকলে ভাল হতো।
জিসান শা ইকরাম
ইচ্ছে করলে এডিটে গিয়ে এখনো স্পেস ঠিক করা যায়।
আমারো এমন হয়েছিলো প্রথম প্রথম
একজনের পরামর্শে শিখে গিয়েছি 🙂
অরণ্য
ফের ধন্যবাদ আপনাকে – অনেক ধন্যবাদ। এবার নিজেকে একটু স্মার্ট মনে হচ্ছে। 🙂
বন্য
হুম সুন্দর! ভাঙ্গুক এবং ভাঙ্গার গর্ভেই হোক নূতনের প্রসব। সহজ সাবলীল উপস্থাপনা ভালো লেগেছে।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ লজ্জার মাথা খেয়ে আমি এখন
যে কাউকে বলতে শিখেছি
তুমি আমার। তুমি কেবল আমারই ছিলে। -{@
সব সময় এখনো বলতে পারি না।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আমাকে বোধহয় সময়ই তা শিখিয়ে নিয়েছে একটু একটু করে।
শুন্য শুন্যালয়
এমন কবিতায় মন্তব্য করাটা কঠিন। হত্যা, আত্মহত্যার আড়ালে মুচকি হাসে সুখ। কে কিভাবে পায় কে জানে? আদৌ পায় কিনা কে জানে? মানিয়ে চলতে পারাও কঠিন কাজ।
আপনার নির্লজ্জতা আপনার ই আবেগের প্রকাশ। কাউকে চাইলেই পাওয়া যায় এটা আমার বিশ্বাস। সুন্দর একটা পুতুল পছন্দ করেছিলাম দোকানে, কিনতে পারিনি ফিরে এসেছি। তবু সেই পুতুলটা আমারই রয়েছে।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যে মন্তব্য করতেও আমার একটু কঠিন লাগছে। আপনাকে কি জিজ্ঞেস করা যায়, আপনার অতি পছন্দের না কিনে ফিরে আসা পুতুলটি কিভাবে রয়েছে আপনারই?
শুন্য শুন্যালয়
অনেক খেলনা কিনেছি, বাড়ি এনেছি খেলেছি আপন মনে, ভেঙ্গেছি, ছুড়ে ফেলেছি। আর মনেও করিনি।
যা কিনতে পারিনি তার জন্য আমাদের আক্ষেপ সারাজীবনের। মাঝে মাঝেই না কিনতে পারা সেই খেলনার কথা মনে পরে। এভাবে তাকে মনেই বা বয়ে বেড়াবে কে? খেলনা একটা উদাহরন দিলাম, প্রিয় কিছু বোঝাতে।
অরণ্য
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ব্যাখ্যার জন্য।
মামুন
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভসকাল কবি! -{@
অরণ্য
ধন্যবাদ ও শুভ সকাল! আপনার কবি সম্বোধন দেখে একটা ঘটনা মনে পড়ল। পড়ি তখন ক্লাস টেনে। ক্লাস ইলেভে্নের এক বড় ভাই ছিল, নাম ফয়যুল্লাহ। কলেজ পড়ুয়া কবি হিসাবে বেশ সুখ্যাতি তার। বাংলা দেয়াল পত্রিকায় তার কবিতা থাকেই। বাংলা পরীক্ষায় তার নম্বর বরাবরই খুব ভাল। তাকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম “ভাই বলেন তো সিক্রেট টা কি?” উনি বেশ হাসলেন তারপর বললেন “ধেৎ মিয়া! এটা কোন ব্যাপার নাকি! চান্স পেলেই লেখার মধ্যে দুই চার টা কবিতার লাইন ঢুকায় দিবা”। আমি বললাম “ভাই এত কবিতার লাইনতো মনে থাকে না!”। এইবার উনার আবার হাসি – আরে মিয়া এত তো আমিও পারিনা। নিজেই লিখবা আর সামনে বসায় দিবা “কবির ভাষায়-“। এইবার আমাকে আর পায় কে! পরের পরীক্ষায় রীতিমত তার প্রয়োগ করলাম। নম্বরও মন্দ পাইনি। শুধু খাতার একজায়গায় আমার নিজের লেখা চারটি লাইনে গফুর স্যার লাল কালি দিয়ে গোল করে মন্তব্য লিখেছেন “কোথাকার কবি হে?”
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর কবিতা
ভালো লাগা রইল।
অরণ্য
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
ব্লগার সজীব
আপনি বেশ ভালো লিখেন। বিষন্নতা ঝেরে ফেলুন। সাহসী হোন।
” খুলে ফেল তোমার সভ্যতার শিকল
সকল আভরণ – আবরণ।
আমরাই না হয় জন্ম দেই আজ
নতুন সভ্যতার। ” (y) (y) দৃঢ় থাকুন এই উচ্চারনে।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। (y) (y) আছি। চিন্তা কইরেন না।
ব্লগার সজীব
🙂
নুসরাত মৌরিন
এত সহজ করে জীবনের কত গভীর কথা বললেন-ভাল লাগলো খুব।
অরণ্য
শব্দের ভাণ্ড কম থাকলে সহজ করেই লেখার প্রয়াসই ভাল। আমিও তাই করে চলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
কাঙালপনা খুব কাজের।অব্যর্থ অনেক সময়।চলুক।
অরণ্য
যাক বুঝলাম খারাপ কিছু করছি না তাহলে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
স্বপ্ন নীলা
কবিতার ভেতর দিয়ে আশার আলো দেখতে পেলাম — দারুন লিখেছেন
অরণ্য
বেশ বললেন তো। আপনি দেখতে পেয়েছেন – তার মানে আলো সেখানে আছেই। আমিও দেখেছি, আমি তাই আঁকার চেষ্টা করেছি। আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
লীলাবতী
ভালোবাসার কথা বলা কাংগালপনা নয় কোন মতেই।কখনোই আশা হত হওয়া চলবেনা।হৃদয়ে ভাংচুর চালাতে হবে সারাক্ষন। ভাইয়া ভালো লিখেছেন।
অরণ্য
ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, সাহসী উচ্চারণে নিজের কথা বলতে পারাটাই অনেক পাওয়া।
আপনার লেখা পছন্দ হয়েছে আমার। বেশ বেশ।
কাঙালপনা করুণ সমস্যা নেই কিন্তু ছিঁচকাঁদুনে হলে কিন্তু চলবে না আগেই বলে রাখছি।
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আপনার কথা আমি নিলাম। আপনাকে একটা থাম্বস্ আপ।
শিশির কনা
মনের আবেগ প্রকাশে দক্ষ আপনি। সবুরে মেওয়া ফলে, লেগে থাকলে উদ্দেশ্য পুর্ন হবেই ভাইয়া। ভালো লেগেছে আপনার একান্ত অনুভুতি।
অরণ্য
আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ যেন একটা সার্টিফিকেশন অফ এ স্কিল। বেশ লাগলো তো। থ্যাঙ্কস্।
সায়ন্তনু
কাঙ্গাল হলে ভবে কেউ জিগায় না…………………কী যেন একটি গান আছে না।
অরণ্য
… মালিক রাব্বানা। ধন্যবাদ আপনাকে।