জনা ষোলকের দলটি নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য,আমি ও আমার ছোটভাই+বন্ধু , বারো ঘণ্টার জার্নি শেষে। ভাল কথা, আমার এই ছোট ভাইয়ের সূত্রেই ওদের সাথে পরিচয়,তা ধরুন প্রায় দু’কুড়ি মাস হল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সম্পর্কের এখন গলাগলি অবস্থা।বেশ লম্বা সময় ধরে কোলাকুলি চালু থাকল। এক কোর্স,দু’কোর্স এবং আর একজনের সাথে তিন কোর্সের কোলকোল। (সব সময় কোলাকুলি একটু কেমন যেন ,তাই সামান্য পাল্টে কোলকোল। দেখবেন সবাই যেন অন্য কিছু মনে লিবেন না ) যেহেতু আমিও নাইকন।
আগে থেকে ফিট করে রাখা ইঞ্জিন বোটে রওয়ানা,গন্তব্য দু’ঘণ্টা দূরের একটি গ্রাম্য হাট। বিকেলে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত যেখান হবে ফটোগ্রাফির মূল পর্ব। অন্য পর্বগুলো চালু থাকবে সারাক্ষণ হুল্লোড় আর গপ্পের পাশাপাশি।
আসল কথা না বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না ঠিক না।এই দলে এই অধ্ম ই একমাত্র বুড়ো ভাম যে কিনা খুব সহজেই শিং ভেঙ্গে ফেলতে পেরেছে। মুখটিপে হাসবেন ! তা সহ্য করা থেকে স্বীকার করে নেয়াই ভাল।
সেশন——— বিদায়।
আকাশের ভারী মেঘ পোয়াতি বৃষ্টি নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ঘন বিষণ্ণতায় কোলাকুলি পর্ব শেষ হয়েছে নামকাওয়াস্তে। জানতে চাইলাম — এই যে এলেন বারো ঘণ্টার পথ বেয়ে আবার ফিরে যেতেও লাগবে সেই বারো ঘণ্টাই। সাথে প্রায় দশ ঘণ্টার কষ্ট –আনন্দের বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি, পেলেন কাঙ্ক্ষিত ছবি ? প্রফেশনাল জায়গা থেকে যে যার মত বললেন, তবে এক জন বললেন “ দেখুন ভাই ফটোগ্রাফি এমন নয় যে এলাম দেখলাম,ফটো তুললাম আর পকেটে রত্ন পুড়ে চলে গেলাম।একটা দু’টো ছবি পেলেই খুশি,না পেলেও মন বা মুখ কালো হবে না। সবার সাথে কাটানো এই আনন্দ মুহূর্ত গুলোর দাম কী করে নির্ধারণ করব ?” তবুও জানতে চাইলাম। পেলেন কোন ছবি ? উত্তরে দেখলাম একান-ওকান ছোঁয়া বিস্তৃত হাসির ছটা।
ইঞ্জিন বোট চলতে শুরু করল প্রায় কান ঝালা পালা শব্দ নিয়ে।অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় একটু দুলছিল। সামান্য ভয় কেটে গেল ছোট্ট খালে প্রবেশ করায়। নীল আকাশে পেঁজা পেঁজা মেঘেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ঘন সবুজের মাঝ দিয়ে বোট এগিয়ে চলছে।
একে একে খুলে জেতে লাগল বিচিত্র ও অদ্ভুত দর্শন প্যান্ডোরার বাক্স। বিচিত্র সব যুদ্ধ সরঞ্জাম ও বেশভূষা। সামুরাই বেশ ও তরবারি নিয়ে যুদ্ধ সাজ।
কারো আবার কাপালিক বেশ হাতে খড়গ । এই অবস্থায় বোটের সামনে পেছনে ছাদে যে যার সুবিধা জনক স্থানে পজিশন নিয়ে শুরু হল কুপা-কুপি ফটোগ্রাফি। আমিও শরিক হলাম নখ কাটার ছুরি নিয়ে। এই কুপা-কুপি যুদ্ধের মহড়া মাত্র। এমন হুল্লোড় করতে করতে গ্রাম্য বাজারটিতে পৌঁছে গেলাম। জানা গেল মাহেন্দ্রক্ষণের কিছু বাকী এখনও।
ছবি তোলা শুরু হয়ে গেল , চলছে চলছে। হঠাৎ করে আকাশ ভেঙ্গে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি বীর বেশে পালিয়ে একটি বিশাল মন্দির চত্ত্বরে আশ্রয় নিলাম। মন খারাপ করে।এদিকে তাকিয়ে দেখি তাদের অতিকায় তোলক যন্ত্র এই বৃষ্টিতেও সমান গতিশীল।
এবারে জল খাবারের বিরতি , বৃষ্টিও ধরে এসেছে। মন্দির চত্ত্বরে বিছানো হোগলায় সবাই বসে গেল বিশ্রাম পর্বে,কেউ শুয়ে,কেউ আধ শোয়া হয়ে গুলে গপ্পে-ওয়ালা সাজল।
এবারে আমাকে পাঠ দানের পালা।আমার বুড়ো মাথায় কিছুই ঢুকল না,ছিটকে এদিকে দিকে চলে গেল। শুধু একটি পাঠ কোন রকম ধরে ঝুলে পড়েছি। আমি বুঝিনি কিছুই,তবে আপনাদের বলে রাখছি। ক্রিটিকাল এ্যাপারচারের বাইরেও গিয়েও আপনি আপনার সাধ্যানুযায়ী ছবি তুলতে পারেন।
হাল্কা রোদ,আবার নেমে গেল ওরা। এবার সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কেউ কেউ ছোট্ট নৌকা ভাড়া করে আশেপাশে চলে গেল।আমি আশেপাশে চিমটি কাটতে শুরু করলাম আমার বন্ধুকে নিয়ে। এক ফাঁকে
টং দোকানে বাজার পাঠানোর ব্যবস্থা হল। চিংড়ি ও ইলিশ মাছ। খুব ঝাল রান্নার হুকুম দেয়া হল।
আমি কিছু মন্দির গ্রাফি চালালাম।এরপর মন্দির চত্ত্বরে হোগলার দখলস্বত্ব নিয়ে মটকা মেরে পড়ে রইলাম। ফাঁকে ফাঁকে এখানকার মানুষদের জীবন-যাত্রা,শিক্ষা,চাষবাস,আয়-ব্যয়,খাদ্যাভাস ইত্যাকার সব খোঁজ-খবরের আগ্রহ স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপ করে মেটালাম।
এখানকার মানুষরা খুব ভাল।
পিল পিল করে এদিক-সেদিক থেকে সবাই ফিরে আসতে শুরু করল,ক্ষুধার্ত,অবসন্ন সবাই। কেউ কেউ কাদায় লুতুপুতু। খালের পানিতে গোসলের প্রস্তুতি। কেউ কেউ সাতার জানেনা এই ভেবে নানা ধুনফুন বুঝিয়ে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হলাম।
পলিথিনের চাল মাথার উপরে এবং পাটাতনের নীচে পানি , টং দোকানে সবাই মহানন্দে ভরপেটে ভাত খেয়ে আবার ইঞ্জিন বোটে উঠে পড়া।
এই পোষ্টের ফটো ঝালকাঠি জেলার বিখ্যাত ভিমরুলী বাজার এবং তার কাছাকাছি এলাকার , দেশের সব থেকে বেশি পেয়ারা এখানে বিক্রি হয় ।
——————————————————————-
ছবিগুলো সম্পূর্ণরূপে কাঁটাছেড়া ও চুনকাম মুক্ত ।
৭০টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
বর্ননায় অভিনবত্বে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমন ভাবে গল্পের ছলে বললেন যে আপনার সাথে নৌকায় চড়েই দেখলাম সব । এত পেয়াড়া এখানে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
না অভিনবত্বের কিছু নেই । যা দেখেছি তা বলার চেষ্টা করলাম নিজের মত করে ।
দেশের সব থেকে বড় বাগান ও বেচাকেনার বাজার এটি ।
ধন্যবাদ ।
আজিম
লিখতে যাচ্ছিলাম “ঝালকাঠি কী!” তখনই দেখি আপনারই লিখা ঝালকাঠি। ২/৩ বার আমার যাওয়া হয়েছিল ওখানে। তার মধ্যে একবার ভরা বর্ষায় এবং ট্রলারে সদর উপজেলার এইসমস্ত এলাকায় চলতে হয়েছিল কাজের কারনে।
লিখার একটা বিশেষত্ব আছে আপনার। ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আবার আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি শুধু বর্ষা নয় ,যে কোন ঋতুতে যে কোন সময় ।
অবশ্যই বিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ব্লগার সজীব
জানা ছিলো না আসলে। নৌকায় পেয়ারা এনে সরাসরি জাহাজ এবং বক্স করা হয়। যেতে হবে একবার।
ছাইরাছ হেলাল
এখান থেকে সরাসরি ঢাকায় পাঠান হয় পেয়ারা ।
এলেই দেখতে পাবেন ।
আসুন সময় করে ।
মিসু
একটি শখ ছিলো পেয়ারা বাগান দেখতে যাবো। কিন্তু তা মনে হয় আর পুরন হবেনা। পেয়ারার হাট দেখলাম। পেয়ারা বাগানের ছবি দেখতে চাই। পোষ্টিং ঝালকাঠী হলে তিনবেলা পেয়ারা খেতাম ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার শখ অবশ্যই আপনি পুরন করতে পারেন , শুধু দেখা নয় বাগানে গেলে বাগানের
নিয়মানুযায়ী আপনি যত খুশি পেয়ারা বিনামূল্যে খেতেও পারবেন । পোষ্টিং নিয়ে না আসতে পারলেও
বেড়ানোর দাওয়াত দিয়ে রাখছি ।
পেটপুড়ে পেয়ারা খেতে চলে আসুন ।
মিসু
কত শখ পুড়ে মোম হয়ে গলে যায় ।
ছাইরাছ হেলাল
পোড়া মোম থেকে আবার বাতি জ্বালাবো ।
আগুন রঙের শিমুল
ওয়াও :c :c :c
একদম জীবন্ত বর্ণনা …… একদমে শেষ করলাম, যেমন লেখা তেমন দুর্দান্ত সব ক্লিকজ 🙂
বাংলাদেশের গ্রাম গুলো সব একই রকম হয় , অদ্ভুত মায়াবী। সাঁকোর ছবিটা দেখে চমকে গেছিলাম একদম আমার গ্রামের মতো 🙂 নিলাম ঐটা
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিতান্তই নবিশ মাত্র । আমার প্রচন্ড পছন্দের বিষয় ।
আমাদের পুরোটাই একটি মায়াবী দেশ । একটি কেন আপনার পছন্দ হলে আরও নিন ।
অবশ্যই ধন্যবাদ সুন্দর করে বলার জন্য ।
খসড়া
চমৎকার ছবি বর্ননা। অনেক ধন্যবান। একেবারেই অন্য রকম পোস্ট। আপনি
ছাইরাছ হেলাল
কথাটি শেষ করুণ ।
প্রশংসা শুনতে ভালো লাগছে । আপনাকেও ধন্যবাদ ।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর হেলাল ভাইয়া। ছবিগুলো মন ভুলান।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ধন্যবাদ ,ছবি দেখার জন্য ।
মরুভূমির জলদস্যু
বস এই যায়গায় যাওয়ার বিষয়টা, মানে কি করে যেতে হয় সেই বিষয়টা পরিষ্কার করে লিখলে ভলো হয়। আপনার ছবির সাথে যদিও একবার বেড়ান হয়ে গেছে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
বস নয় । আসলে এটি কোন টুরিস্ট স্পট নয় । মৌসুমী বাজার । পেয়ারার সিজনে । ঝালকাঠি জেলা
থেকে যে কোন জান বাহনে সহজেই যাওয়া যায় । আমরা ইচ্ছে করে বোটে গিয়েছি । তাছাড়া ওরা অনেক
ভারী ব্যাগ নিয়ে এসেছিল । যা আনা-নেয়া করা কঠিন ছিল । অবশ্য আমরা অনেক কিছু কেনাকাটাও করেছি ।
যেমন গাছ পাঁকা তাল ,দু’ বস্তা পেয়ারা , পাঁকা কলা ,কাঁকরোল ,পাঁকা গাব , মিষ্টি কুমড়া ……সব কিছুই স্থানীয়
ভাবে উৎপাদিত ।
ধন্যবাদ ।
শুন্য শুন্যালয়
আগে আমাকে বলে দিন, কোনটা করবো? দেখবো, পড়বো নাকি হাসবো?
ছাইরাছ হেলাল
এতো দেখছি অনেক কাজ আপনার । আপনি যে কোন একটি শুরু করে দিতে পারেন।
তবে কোনটি থেকে শুরু করলেন সেটি বলে দিলে ভাল হবে ।
শুন্য শুন্যালয়
প্রথমে মন ভরে ছবি দেখেছি। তারপর পড়েছি, হেসেছি, ছবি দেখেছি, সবই মন ভরে। বলেছি এক মন্তব্যে অপেক্ষার ফল আসলেই মিঠা হয়।
ছাইরাছ হেলাল
সবই ঈশ্বরের কৃপা ।
শুন্য শুন্যালয়
নখ কাঁটার ছুড়ি নিয়ে দেখি তুলকালাম যুদ্ধ বাঁধায় ফেলেছেন। এমন লোভাতুর সব ছবি বন্দী করে রাখবার দায়ে শাস্তি দেয়ার কথা, কিন্তু মোটামুটি সুদে আসলে পোষায় দিয়েছেন্, তাই শাস্তি মুলতবি রইলো।
যেমন ছবি, তেমন বর্ণনা… কি আর বলবো ভাই? অসাধারন, অসাধারন। এই ভিমরুলি বাজার যেতেই হবে আমাকে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কুটি কুটি ছবি এখানে দিয়ে আপনাদের বিরক্ত করা কি ঠিক হবে ? মুলতুবি করেছেন তাতেই
আনন্দ ।
এ বাজার আপনার অপেক্ষায় এখন থেকে ।
অসাধারন !!!!!!!!! এখনই !!!!!!! । আমার প্যান্ডোরার বাক্স না থাকলেও নাপতে বাক্স কিন্তু আছে ।
ওদের যা সব যন্ত্রপাতি সেই তুলনায় নখ কাটার ছুড়ি বললেও বেশি বলা হয়ে যায় ।
শুন্য শুন্যালয়
এতো বাক্স প্যাটরা বুঝিনা, চোখ কিভাবে পাল্টাবো?
ছাইরাছ হেলাল
কেন চোখের আবার কী করেছেন ?
শুন্য শুন্যালয়
বলেছিলেন না ক্যামেরার আগে কোন কিছুর ছবি আগে চোখ ক্যাপচার করে নেয়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সময় পেলে ঐ লিংকে দিয়ে ওদের ছবি গুলো মন দিয়ে দেখবেন বারে বারে ।
আমি কিন্তু অনেক দেখি ওদের ছবি ।
শুন্য শুন্যালয়
কিছু ছবি দেখেছি, ভালো লেগেছে বেশ। water mark একটু ঝামেলা করছিলো। মাঝে মাঝেই দেখবো।
ছাইরাছ হেলাল
ওই মার্ক থাকবেই । চুরি রোধের জন্য দিয়ে রাখে ।
প্রফেশনাল কাজ ওদের । দেখলেও আনন্দের ।বিখ্যাত বড় মাপার ফটোগ্রাফার ওরা ।
শুন্য শুন্যালয়
ক্রিটিক্যাল এপারচার এর বাইরে গিয়ে ছবি তুলতে পারবো? কিভাবে? একটু আধটু বলুন, ছিটকে যাবেনা এই গ্যারান্টি অবশ্য আমিও দিতে পারবো না।
ছাইরাছ হেলাল
ক্রিটিক্যাল এপারচার মেনেই ছবি তুলে হয় । বাইরের বিষয়টি সাধারণের জন্য নয় ।
আপনি অবশ্যই ছবি তূলতে পারবেন । একটু ইউ টিউব দেখুন ।
আপনাদের কেমন চলছে ওদিকে , ভোর ,সাঁজ তারা কেমন আছে ?
শুন্য শুন্যালয়
রাতের নতুন আলোয় ভোর , সাঁজ একটু জড়সড় অবস্থায় আছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
‘রাতের নতুন আলোয় ভোর’ সে তো দেখতেই পাচ্ছি ,নূতন সংযোজন ।
চালু থাকুক ।
নুসরাত মৌরিন
হাহাহা। ভীষন মজা লাগলো পড়তে… আপনার কোল কোল …নখ কাটার ছুরি দিয়ে কুপাকুপির বর্ননায় হেসে কুল পাচ্ছি না…। 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
হাসুন সমস্যা নেই । গুছিয়ে এর থেকে ভাল লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না । কী আর করা !
আপনারা অনেক ভালো লেখেন তা কিন্তু জানি । চেষ্টা চালিয়ে যাব ।
আমিও এমন লেখা এই প্রথম লিখলাম ।
ধন্যবাদ ।
নুসরাত মৌরিন
লেখাটা কে খারাপ কোথায় বললাম?আরে এমন করে মজা করে লিখতে কিন্তু আমি পারি না।পাঠককে আনন্দ দেয়া কিন্তু যেন তেন কাজ না…।সব লেখক তা পারেন না।আপনি সেই কাজটা খুব দারুন ভাবে করেছেন হেলাল ভাই।
একটা সহজ সাধারন ভ্রমন কে এমন মজা আর আনন্দের ছড়াছড়ি দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন… দাঁত বের করে প্রান খুলে তাই হেসেছি…খারাপ কিন্তু মোটেও বলিনি।বরং এমন পোস্ট আরো বেশি বেশি দাবী করছি আপনার কাছ থেকে…।
আমার ছাইপাশ কেন যে বলেন ভাল লিখি!!বরং আমি ভাবছি চেষ্টা করবো আপনার মত ভাল লিখতে…।
🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার সাথে মজা করেই এ সব বলি ।
তবে আপনি কিন্তু ভালো লেখেন ।
আপনি দেখেছেন একজন মজা করে বলছে এ ছবি নাকি আমার তোলাই না ।
আমরা এসব বলি । আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ।
অবশ্য সবার সাথে নয় ।
নুসরাত মৌরিন
😀
পুষ্পবতী
চমত্কার ভ্রমন কাহিনী।ভালো লাগলো সাথে ছবি গুলো ও খুব সুন্দর। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ ছবি দেখা ও লেখা পড়ার জন্য অবশ্যই ।
জিসান শা ইকরাম
ম্যালা অভিযোগ ।
আমাকে একটু দাওয়াত দিলে কি এমন হতো ?
আমি না হয় ফটো তোলা বুঝিনা,
ফটো তোলা দেখতে তো পারতাম ।
আসতেছি আরো অভিযোগ নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
সমস্যা নেই ,ওরা এদিকে আবার আসবে ।
কুয়াকাটায় যাওয়ার প্রোগ্রাম আছে । তখন যেতে পারব সবাই ।
জিসান শা ইকরাম
কুয়াকাটা একসাথে যাওয়া চাই ।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ একসাথে, কাওকে বাদ রাখা চলবেনা।
বনলতা সেন
আমার বিশ্বাস হয় না এ ছবি আপনার তোলা । ছবি-ছুবি বুঝি না তবে মন দিয়ে দেখলে ঘোর লাগে ।
নেটে দেখছি ভালই ছবি পাওয়া যায় । ভাল খুব ভাল । বেছে বেছে মাঝা মাঝে দিয়ে দেবেন ।
আমরা হা করে দেখতে থাকব ।
বর্ণনার কথা কিছু এখনই কিছু বলছি না । তবে ছবিতে চুনকাম করা ! কোথা থেকে এ সব পান ? জানিনা ।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার সাথে একমত , এগুলো কিছুতেই আমা তোলা হতে পারে না ।
হাঁটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন? একটু ভাব নিতেও দিলেন না !
ছবি দেখে ঘোর আমার ও লাগে , কী করে যে এ সব ছবি তোলে কে জানে ।
ঠিক আছে নেটে খুঁজে আরও ছবি এনে এখানে দেব অবশ্যই । আপনার ঘোর লাগা নিয়ে যখন কথা ।
কী করব বলুন , যা মনে আসে তাই লিখে দেই । ‘চুনকাম’ শব্দটি আমার মন্দ লাগে না ।
ধন্যবাদ । ও হ্যা , রাতের পায়ে শিকল দিয়েছেন তো ?
বনলতা সেন
আমাদের উম্মি পেয়ে হাতী-ঘোড়া দেখানো হচ্ছে ।
শুন্য শুন্যালয়
অ্যাঁ সত্যি নাকি? হি হি। তাইতো বলি এত্তো সুন্দর ছবি ছাইরাছ ভাইয়া তুলতেই পারেনা। :Tounge-Out:
ছাইরাছ হেলাল
দেখলেন কেমন ধরা পড়ে গেলাম ।
ভাব নেয়ার ও কোন উপায় রাখে না এরা ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ই উম্মি !
শুন্য শুন্যালয়
উম্মি কি?
ছাইরাছ হেলাল
নিরক্ষর বা অজ্ঞ ।
শুন্য শুন্যালয়
বনলতা দি কে উম্মি বলা হচ্ছে, একদম মানবো না। সে কই হারিয়েছে?
বনলতা সেন
আছি কিন্তু ।
লীলাবতী
ভাইয়া খুব অন্যায় কিন্তু। আমাদের এমন ছবি দেখা হতে বঞ্চিত করছেন। মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ চাই। পেয়ারার বাজার দেখে তো অবাক। দূর দুরান্ত থেকে এমন করে পেয়ারা আসে ছোট ছোট নৌকায় করে ? চমৎকার বর্ননায় ছবি গুলো অন্য রকম লাগলো।
ভিমরুলী নাম আবার কেমন নাম। ভীমরুল এ কামড় দিয়েছিলো নাকি কাউকে ? :p
ছাইরাছ হেলাল
নামটি কেন ভিমরুলী হল জানি না , জানার চেষ্টা করব ।
এ বাজার দেখে অবাক হওয়ার ই কথা । বিদেশিরা এ বাজার দেখতে আসে ।
মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ দেয়ার চেষ্টা নেব।
ধন্যবাদ ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভিন্ন এক সমস্যায় মন্তব্যে দেরী হয়ে গেল তবে ছবি গুলো এবং বর্ননায় যেন বাস্তব আমি সাথে আপনার
ছাইরাছ হেলাল
দেরি কোন ব্যাপার না । পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
ছবি ব্লগে এমন বর্ননা পোষ্ট কে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লগে যত ছবি ব্লগ দেখেছি, এটি তার থেকে আলাদা।
অবশ্যই সুন্দর এবং উপভোগ্য বর্ননা।
আর ছবির কথা কি বলবো –
আপনি বরাবরই ছবি ভালো তোলেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল বা মন্দ তা ভেবে লিখি না। আমার মতি লিখি ।
ছবি তোলা শিখছি মাত্র ।
ধন্যবাদ ।
লীলাবতী
ছাতক এ দেখেছি বালূ পাথর নিয়ে এমন ছোট ছোট নৌকা আসতেই থাকে। এখানে দেখলাম পেয়ারা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের না জানিয়ে ছাতক দেলেন কখন ?
হ্যাঁ , এখানে ছোট্ট ছোট্ট নৌকাই এক মাত্র বাহন ।
বক্সের আপডেট দিয়েন ।
অপরাজিতা সারাহ
‘ভূত থেকে ভূতে’ খবর পেয়ে বেড়াতে এলাম।অসাধারন কিছু ছবি আর লেখা!এতদিন থাইল্যান্ডের ছবিগুলোতেই শুধু দেখতাম এমন,চিকন চিকন ডিঙ্গিতে করে ফুল আর ফল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।মুগ্ধ হতাম।কিন্তু সেই যে বলে না,দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া…নিজের দেশেই এমন ছবি আছে আজ প্রথম জানলাম।ধন্যবাদ আপনাকে,এত সুন্দর কিছু দৃশ্য আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতে ইচ্ছে করছে । এই অধম ভুতেদের নজরে আছে এই ভেবে ।
এখানে সত্যি সত্যি দেখার অনেক কিছু আছে ,যদি আপনি দেখতে চান ।
শিক্ষানবিশ মাত্র । অনেক ধন্যবাদ মনে রাখার জন্য ।
স্বপ্ন নীলা
ছবি দেখবো না পড়বো !! পড়ছি আর ছবি দেখছি — ছবি দেখছি আর পড়ছি !! বর্ণনা আর ছবি সব মিলিয়ে অসাধারণ — যেন সব কিছু চোখের সামনে ভেসে উঠছে —
ছাইরাছ হেলাল
পড়ুন দেখুন প্রশংসা করুণ বেশি করে । আপনাকে আমন্ত্রণ এই বাজারে ।
তবে আমরাও পড়তে চাই ই ।
মিথুন
এই বাজারের কথা আজ প্রথম শুনলাম। পেয়ারা বোঝাই এত ছোট ছোট নৌকো, ক্যানেল, প্রাণচাঞ্চল্য সব কিছু দেখে আমারই যেতে ইচ্ছে করছে। আপনার বর্ননা অসাধারন হয়েছে। কাটাছেড়া, চুনকাম মুক্ত মানে কি এডিট করা হয়নি ?
ছাইরাছ হেলাল
এসে পড়ুন যে কোন সময় । আপনি কিন্তু এ নৌকায় চড়তে পারবেন না । ডুবিয়ে দিবেন কিন্তু ওরা
ঠিক চালিয়ে নিয়ে এসেছে পেয়ারা ভর্তি করে ।
হ্যা , কোন এডিট করিনি ।যা তুলেছি তাই দিয়েছি ।
ধন্যবাদ ।
লেখা কই?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই প্রথম আপনার ফটোগ্রাফি দেখার সৌভাগ্য হলো। আর বর্ণনার কথা কি বলবো? না শেখালেন লেখা, না ছবি তোলা!
আপনাকে গুরু হিসেবে চাই। সোজা কথায় আমি কি আপনার শিষ্য হবার যোগ্য?
নানার মুখে এই পেয়ারা হাটের গল্প শুনেছি। কখনো যাওয়া হবেনা, সে জানি। তবে আপনার ক্যামেরার আলোয় সেও দেখা হয়ে গেলো। ধন্যবাদ নয় অশেষ কৃতজ্ঞতা কবি ভাই। -{@