উৎসর্গ: প্রহেলিকাকে , যার সাথে খুবই ক্ষণস্থায়ী অন্তর্জালিয় অথচ আবেগময় হার্দ্রিক উষ্ণতার অনুভবে প্রাণবন্ত ও অজানা গভীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ।
আপনাদের একটি গল্পের গল্প বলি অকপট কপটতায় , শোনা গল্প । যার কাছে শুনেছি সে আবার বেশ কাছাকাছি গল্পের ঘটনাটির । আমি অবশ্য হেসে ফেলেছি যতটা না প্রকাশ্যে মনে মনে তার থেকে অনেক গুন বেশি । স্রেফ পচা গপ্পো , অবশ্য মুখ ফসকে বলেও ফেলেছি নরম-সরম করে । পোড়া মুখের দুর্নাম ঘোচানোর চেষ্টা নেইনি। তাছাড়া আপনারাও আমার সাথে একমত হবেন দ্বিধাহীন ভাবেই এটি আগেই ভেবে রেখেছি । যদিও গল্পের গপ্পোটি অসৃষ্টিশীল প্রতিভার নিভু নিভু স্ফুরণের প্রতীক হিসাবে অনন্য ।
হালকা থেকে ভারী তাগাদা নিয়ত ‘ সেই কুতুকুতু গল্পের কী অবস্থা ?’ আমি বলি । প্রথমে বলতে চায় না , না বলে কী আর জো আছে ,গন্ধ যখন বিলিয়েছ রূপ মাধুরী মিশিয়ে তখন মনে ছিল না ? অবশ্য পড়ে সে ও বলেছিল গল্পটি গপ্পো গপ্পো তার কাছেও মনে হয়েছে কিন্তু এমন করে বলেছিল যে এটি ভৌতিক আধিভৌতিক মনে হচ্ছিল , তাই হাসিটি টেনেটুনে আটকে রেখে ইনিয়ে বিনিয়ে সে যে ভাবে শুনেছে তাই ই বলল ।
‘পর পর কয়েকদিন প্রায় একই ঘটনা , গভীর রাতে মিহি স্বরে কে জেন ডাকে , ঘুম থেকে উঠতে বলে । অমূল্য সাধের ঘুম বললেই তো আর উঠা যায় না , উঠা হয় না । কী আর করা ঘুম তো ভেঙ্গে যায় , আধো ঘুমের ভাব ধরে মটকা মেরে পড়ে থেকে বাকী রাতটুকু কাবার করা । যতই লড়কে লেঙ্গে হই না কেন ভয় তো থাকেই , লাইট জ্বালিয়ে মিটমিটে চোখে আবার কখনও চোখ রগড়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে কূলকিনারা করার চেষ্টা মশ্ক করি । বিধি বাম কিছুতেই কিছু হয় না , শেষে আদি অকৃত্রিম মিহি সুরে সুরে-বেসুরে কন্না জড়িত কণ্ঠে বক্তব্য পেশ ।’
এ পর্যন্ত শুনে বিরক্তি চরমে , শুধু উদগীরণের অপেক্ষা মাত্র । সে ও বুঝে ফেলেছে , আমাকে বলল – হির হির করে কুলা কানটি তারও টেনে দিতে ইচ্ছে করছিল , তবুও শোনা চালিয়ে যাবার ইচ্ছেটাই জয়যুক্ত হয়েছে ।
‘বক্তব্য হল এই সাধের ঘুম থেকে উঠে (যদিও কাল ঘুম না) একটি বই পড়তে হবে , বইটির নাম ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস ‘ লেখক – আব্দুল্লাহ ফারুক , প্রকাশ কাল ১৯৮৩ ।’
আপনারা সদয় হয়ে অমূল্য সময় অপচয়ের দায় মাথায় নেয়া থেকে বিরত থাকতে এখনই চোখ-কান বন্ধ ( পড়তে আজকাল কান ও লাগে দেখছি ) করে অন্য লেখায় সুইচ করতেই পারেন , আর সেটাই প্রাণময় নিষ্ঠাবান ব্যাপক হৃদয়ের বুদ্ধিমান পাঠকের বুদ্ধিদীপ্ত কাজ । আমি কিন্তু আপনাদের পক্ষেই থাকছি ।
কিন্তু যে লোকটি তার শোনা গল্প যার কাছ থেকে শুনেছে বা শুনবে বলে কথা দিয়েছে সে তো আর তা না শুনে পারবেনা , আর সে যদি তা শোনে আমাকেও তা না শুনিয়ে ছাড়বে কেন ? কাজেই মনোযোগের ভুয়োমি করে হালকা পোক্রা দাঁত কেলিয়ে শুনতে থাকি , দেখিনা কী হয় ভাব নিয়ে ।
‘ঠিক আছে , ভয়ে ভয়ে বইটি নিলাম নির্ঘুম যন্ত্রণার অস্থির টানাপোড়ন নিয়ে (ঘাড় মটকে যায় কিনা সে ভাবনায় গায়ে শির-শিরে ভাব লুকিয়ে), পুরাই অর্থনীতি , আরে বাওয়া আমি এর কী জানি ! আমি আবার অর্থনীতিবিদ হলাম কখন ? আগের জন্মের খবর এখনও পাইনি তবে পরের জন্মে অর্থনীতিবিদ হওয়ার রাজকপালের চিহ্ন এখনও ফুটে ওঠেনি । বিরাট হা করা মাছিহীন মুখ নিয়ে পট পট ভট ভট গট গট করে পড়তে শুরু করলাম ।’
আমি শেষ-মেশ বলেই ফেললাম ‘ ভাইও , ও ভাই , আমার ঘুম পাচ্ছে , আর যে পারছি না ‘, মুখ কালো করে জানাল এই তো শেষ তিষ্ঠ ক্ষণকাল । আপনার কেউ যে এই গল্প না শুনে বা একটুকুও উঁকিঝুঁকি না দিয়ে কী ভালোটাই না করেছেন , তাই দেখে আমারই হিংসে অঙ্গ যায় জ্বলিয়া গান করতে বা গাইতে ইচ্ছে করছে ।
‘কট কট করে পড়া চলছে চলছে , হঠাৎ পোশাকআশাক ঝেড়ে ফেলে দিয়ে জন্মদিনের পোশাকে চিৎকার , ‘পাইছি পাইছি’ ।’ কি পাইছে কেন পাইছে কতগুলা পাইছে তাহা কিছুই কয় না , দেখায়ও না , শুধু বলে ‘পাইছি পাইছি , আমি উহারে পাইছি’ ।
আমি মানস চোখে এ দুই হনুমানশাখামৃগদ্বয়ের (হনুমান ও শাখামৃগের মিশ্রণে তৈরি সংকর প্রজাতি) মধ্যে চলতে থাকা মাইরের হাই ডেফিনিশন চলমান চিত্র দেখতে পাচ্ছি ।হা হা গপ্পের কী ছিরি ।
অবশেষে উহারা পাইয়াছে এবং কী তাহারা পাইয়াছে তাহা জানিতে পারিয়া আপনাদেরও জানাইতেছি ব্যাঘ্র চিত্তের
কোমল পরশে ।
”ঘুমেরা ঘুমিয়েছে সেই-ই কখন , একটুও এপাশ ওপাশ না করে , দীর্ঘ ক্লান্তির ছায়া মেখে ;
অন্ধকারের তাঁবু ফেলে গাঢ় ঘন রাত্রিতে,গভীর ঘুমের স্মৃতি মন্থনে বা ঘুমের গভীর স্মৃতি ছুঁয়ে ।
রাত্রিরা চলছে বুনে যন্ত্রণার মিহি মায়াজাল মৃদঙ্গ বাজিয়ে ,পাশে থেকে ঘুম হয়েই জেগে আছি ,
জেগে থাকি অনন্ত কাল ,চোখের ছায়ায় চোখের তারায় নীল জ্যোৎস্নায় ;
আলতো করে সকালের এক মুঠো পাটভাঙা সোনা রোদ ওঠেনা হেসে ফিক করে ,
দেয় না আদর কোলে তুলে ;সে-সে অনেক কাল ।”
শেষে:
মর্মান্তিক লাল চক্ষু আবেদন…… অনিচ্ছার ইচ্ছেয় হলেও চুপিসারে নিঃস্বর স্তব্ধতার দেয়াল ঘেঁষে
উৎফুল্ল হৃদয়ে নিদারুণ ভাবে উজ্জীবিত হয়ে বানিয়ে-ছানিয়ে পেল্লাই একটি স্বপ্নস্বপ্ন স্বপ্ন দেখেই ফেলুন না আমদের জন্য
হলেও ,অবাস্তব বাস্তব অস্বস্তিময় তুড়িয় নিরুত্তেজ নিদ্রতা নিয়ে।অদ্ভুত বিমূর্ত অপচয়ের এই ক্ষণে দূরবর্তী বৃহত্তর পরদেশী শুভেচ্ছা সব্বাইকে ; বিড়ম্বনার বিশাল বিষণ্ণের শেষ প্রহরে ।
শেষের পরিশেষে:
পথের শেষ দেখব বলে পথে নামিনি ,ভালোবাসি হাঁটতে,
পথই আমার শেষ ঠিকানা ।
৫৮টি মন্তব্য
ব্লগার রাজু
(y) -{@ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ।
লীলাবতী
কি পড়লাম, কি বুঝলাম, তাই বুঝলামনা। আপনার লেখা আপনাকেই বুঝিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়তে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বুঝিয়ে দেব , তবে যাকে লিখেছি দেখি সে কী বলে ।
আমিতো রইলামই ।
পরে এসে পড়তে হবে কিন্তু ।
প্রহেলিকা
সালাম জানবেন শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাইয়া। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার উপহারটির জন্য। এই মাত্র পিসি অন করেই একবার পড়ে নিলাম। মনে হয়েছে আপনার কথা মতই আরও পড়তে হবে। তাই লিখা সম্পর্কে এখন কিছু বলা এই অধমের পক্ষে সম্ভব না তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনি যখন সোনেলায় আসবেন তখন আপনার জন্য মন্তব্য তৈরী থাকবে। একবার চোখ বুলিয়েই বুঝে গিয়েছি যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে আমাকে বুঝতে হলে লিখাটির মর্ম তাই আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছি দরকার হলে শতবার পড়ে নিব এর পর না পারলেও সমস্যা নেই মাথার উপর ছাতা হয়েতো আছেনি আপনি। আবার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আমার কোন সমস্যা নেই , দেখি কতটা নিতে পারেন ।
এই লেখাটি লেখার সময় আমার জীবনের হয়ত শ্রেষ্ঠতম উপলব্ধির মধ্য দিয়ে অতিক্রম
করেছি । যেটা বলা হবে না সরাসরি । তবে শেয়ার করব আমার মত করেই । একটু হিন্টস ।
প্রথমত উপস্থাপন দ্বিতীয় প্রাপ্তি তৃতীয় উপলব্ধি ।
জানিনা বেশি কঠিন করে ফেললাম কী না ।
ইচ্ছে করে যে কিছুই করতে পারি না ।
হয়ে যায় সব ,নিজের নিজের নিয়মে ।
প্রায় প্রতিটি শব্দকে গ্রহণ করে পড়তে হবে । আপনি পারবেন এ আশা রাখি ।
প্রহেলিকা
ইতিমধ্যে ৪ বার পড়েছে বেশ সময় নিয়ে আরও পড়তে হবে তাছাড়া এটুকু বুঝতে পেরেছি খুব পুরো লিখাটি আসলেই অনেক কঠিন হয়েছে আপনার অজান্তেই। তবে যতই কঠিন হোক তারপরও লিখাটির মাঝে অবগহনের এক তুমুল বাসনা রয়েছে। অনেকটা অনুগল্পের মত আসলে ভাইয়া। হিন্টস রয়েছে সেটা উপলব্ধি করেছি। তারপরও নিজে থেকে যদি লিখাটির কিছুটা মর্ম বুঝতে পারি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব। চেষ্টা তো করবোই আপ্রাণ। আমিও আশাবাদী ভাইয়া দেখা যাক অধিক রঙের মিশ্রণে পরিনতি কি হয়।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন , আমার কাছে কঠিন বা সোজা বলে কিছু নেই , যেহেতু আমি জানি আমি
কী লিখছি কেন লিখছি । তাছাড়া আমার পাঠ্যাভ্যাস ও হয়ত দায়ী , অপেক্ষাকৃত
জটিল ও কঠিন বিষয় পড়তে অভ্যস্ত ।
কষ্ট করে পড়ার জন্য এখনই ধন্যবাদ দিচ্ছি না , তবে দিতে চাই ।
প্রহেলিকা
ঠিকই বলেছেন আপনি। লেখক যখন কিছু লিখতে বসেন তখন তার আপন মনের ভাবনাটিকে মাঝে মাঝে অপার্থিব জিনিস দ্বারাও কিন্তু আচ্ছাদিত করে ফেলেন। এটাই নিয়ম আসলে আমার তাই মনে হয়। তবে অসম্ভব নয় লিখাটি যখন্ন সৃষ্টি হয়েছে তখন এটার মর্ম বুঝার বাকি থাকবেনা আশা করা যায় ভাইয়া ।
খসড়া
পড়লাম। আবার ও পড়লাম। এবার অর্থনীতি র মত রস কস হীন কঠিন বই এর মত মনে হচ্ছে বলে আদামাদা পড়লাম।
তবে ভাই আপনি খুব কঠিন লিখে প্রমান করলেন আপনার শব্দ ভান্ডার পূর্ন, বাক্যের বাঁধুনি ভাল। প্যেচিয়ে লিখলেও খেই হারাননি।
কষ্ট হলেও পড়ার যে আনন্দ তা পাওয়া গেছে। লেখাটি মোটেও হালকা নয়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিকই বলেছেন , সবাই কিন্তু সুন্দর করে সব কিছু উপস্থাপন করতে পারেন না ।
যেমন আমি পারি না । না না আমি কিছু প্রমাণের জন্য লিখিনা ।প্রচলিত বা অপ্রচলিত শব্দদের প্রতি
বুঝে বা না বুঝে তা ব্যবহার করার প্রবণতা আমার আছে , আর তা শব্দদের প্রতি ভালোবাসা থেকে হয় ।
মাত্র একটি ভালোলাগা শব্দ ব্যবহারের জন্য আমি কখনও কখন একটি ছোট্ট এপিসোড ও তৈরি করেছি
এমন লেখাও এখানে অনেক অনেক আছে ।
কষ্ট করে পড়েছেন প্রায় না পড়ার মত একটি লেখা তাও আবার অলেখকের যা আপনি সব সময়ই পড়েন তাতে
অবশ্যই কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা প্রচুর ।
দেখুন আবারও প্রায় ঢেঁকির মত কাজ হয়ত করেই ফেললাম ।
দেখবেন রেগে যাবেন না যেন এই অধ্মের প্রতি ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রহেলিকা
আমরা অবশ্যই বোঝার চেষ্টা করব । বুঝবো কি বুঝবো না সে হিসাব এখনই নয় ।
আর হ্যাঁ , লেখক সব সময় অপার্থিবতা দিয়ে আচ্ছাদন না করে অপার্থিব উপলব্ধি থেকে অপার্থিবতা
উপাস্থাপন ও করার চেষ্টা করতে পারেন নিজের মত করে ।
ছাইরাছ হেলাল
চোখ মুদে দেখার অপেক্ষায় কী এক অসাধারন সোনালি সকাল ।
শুন্য শুন্যালয়
অসৃস্টিশীল প্রতিভা ব্যঙ্গমা পছন্দ হইছে 🙂
বিরাট হা করা মাছিহীন মুখ, হা হা হা ভাইয়া আপনার শব্দচয়নের ভঙ্গিমা দারুণ 🙂
স্বিকার করেই নিচ্ছি কি হলো শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি..সে কি স্বপ্ন দেখে জেগে উঠতো? পোশাক আশাক ছাড়লো কেনো? ;? ঘুমের মধ্যে কেউ ডাকতো ^:^ আম্মম্মম্মম্মম্মাআআআআ আমারে বাঁচাও..
পাশে থেকে ঘুম হয়েই জেগে আছি ..দারুণ লাইন -{@
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন যেন এক্ষুনি যেন বলে ফেলবেন না –‘ আ আ আ আ আ আ আ আ ম্মু ম্মু ম্মু ম্মু ম্মু ম্মু ম্মু ম্মু এত্ত সোজা , আগে বলেননি কেন ? বলে দিলেই হত’ ।
সত্যিই কি আগে ভাগে বলা যায় সব কিছু , নাকি বলা ঠিক আপনি ই বলুন ?
”ঘুমেরা ঘুমিয়েছে সেই-ই কখন , একটুও এপাশ ওপাশ না করে , দীর্ঘ ক্লান্তির ছায়া মেখে ;
অন্ধকারের তাঁবু ফেলে গাঢ় ঘন রাত্রিতে,গভীর ঘুমের স্মৃতি মন্থনে বা ঘুমের গভীর স্মৃতি ছুঁয়ে ।
রাত্রিরা চলছে বুনে যন্ত্রণার মিহি মায়াজাল মৃদঙ্গ বাজিয়ে ,পাশে থেকে ঘুম হয়েই জেগে আছি ,
জেগে থাকি অনন্ত কাল ,চোখের ছায়ায় চোখের তারায় নীল জ্যোৎস্নায় ;
আলতো করে সকালের এক মুঠো পাটভাঙা সোনা রোদ ওঠেনা হেসে ফিক করে ,
দেয় না আদর কোলে তুলে ;সে-সে অনেক কাল ।”
বইগুলোর সাথে পাঠকের পাঠকসত্ত্বা মিশে গেছে । বইয়েরা জীবন্ত হয়ে তার একান্ত আপন পাঠককে ডাকছে তা পড়ার জন্য । এবং পড়তে পড়তে হঠাৎ পাঠক স্রষ্টাকে অনুভব করে স্রষ্টার সানিধ্যের আকুতি জানাচ্ছে ।
“পথের শেষ দেখব বলে পথে নামিনি ,ভালোবাসি হাঁটতে,
পথই আমার শেষ ঠিকানা ।”
আর লেখক কোন রকম প্রাপ্তির আশা ছাড়াই ঈশ্বরের আরাধনা করছে নিজের অসীম সীমাবদ্ধতা নিয়েই ।
মূলত এখানে এই দু’টি বিষয়ই প্রধান । আর এমন একটি আপাত জটিল উপস্থাপনের ইচ্ছে ছিল বহু দিনের ,
একটু অসফল প্রচেষ্টা নিলাম ।
দুঃখিত , আমি শুধুই গঞ্জনা দিচ্ছি বলে । সুন্দর করে যে লিখতে পারি না যে ।
শুন্য শুন্যালয়
গঞ্জনা বলছেন কেনো? একফোঁটা বাড়িয়ে বলবোনা, কারো লেখা এতোবার করে কিন্তু আগে পড়িনি, বুঝতে চাইবার আকর্ষণ এর আগেও বোধ করি এতোবার অনুভব করিনি… আপনি ব্যাখ্যা দেবার পর সত্যিই অনেক সহজ হয়ে যায়, তবু আশা করবো একদিন না একদিন ঠিকই আপনার ব্যাখ্যা ছাড়াই বুঝতে পারবো… শেষের লাইনকটা অসাধারন… খুব শীঘ্রই লিখুন আবার… ভালো থাকুন -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন ।
আমি হয়ত আরো বলার চেষ্টা করব , অনুগ্রহ করে সব মন্তব্য গুলো যদি লক্ষ্য
করেন তাহলে আরও সহজ হয়ে যাবে । আপনি যে সত্যি সত্যি পড়েন আগ্রহ নিয়ে
তা কিন্তু বেশ ভাল করেই বুঝতে পারি ।
এমন লেখা আমি হয়ত শীঘ্র লিখতে পারব না ।
রোজ রোজ এমন লেখা আমার সাধ্যের অনেক বাইরে ।
ধন্যবাদ বলতে চাই , কিন্তু শব্দটি এখন খুবই ছোট মনে হচ্ছে ।
প্রহেলিকা
শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাইয়া। সালাম জানবেন প্রথমেই।
এই নক্তচারীর গুবড়ে পোকা ধরা মস্তিষ্ক নিয়ে সন্তরণ করেছিলাম আপনার অমূল্য লিখাটি থেকে সৃষ্ট পাথরের সমুদ্রে। অবশেষে ভোরের আলোতে গল্পের গপ্পোটিই শুধু বুঝেছি এবং স্বীকার করে নিচ্ছি আমার কাছে গপ্পোটির আড়ালে লুকায়িত গল্পের মূলভাবনা সম্পূর্ণই অজানায় রয়ে গেছে।
এখানে লিখক একজনের কাছে গল্প শুনছে যে কিনা শুনেছে অন্য আরেকজনের কাছ থেকে। লেখক গল্পটি শুনতে গিয়ে একটু ক্ষিপ্ত হয়ে যায় যখন ওপর ব্যাক্তিটি প্রথমে বলতে চায় নি। ** গন্ধ যখন বিলিয়েছ রূপ মাধুরী মিশিয়ে তখন মনে ছিল না ?**
না না না ভাইয়া সম্ভব না আমার মাথা ঘুরাচ্ছে আসলে পারব না।
**পর পর কয়েকদিন প্রায় একই ঘটনা , গভীর রাতে মিহি স্বরে কে জেন ডাকে , ঘুম থেকে উঠতে বলে **
কে ডাকে ?? কোনো পুরনো স্মৃতি অথবা কোনো আগাম ভবিষৎ ??
**শেষে আদি অকৃত্রিম মিহি সুরে সুরে-বেসুরে কন্না জড়িত কণ্ঠে বক্তব্য পেশ ।**
আমার মনে হয়ে এই লাইনটিতে কিছু একটা লুকিয়ে রয়েছে যা আমার দ্বারা অধমের বোধগম্য হচ্ছে না।
**‘বক্তব্য হল এই সাধের ঘুম থেকে উঠে (যদিও কাল ঘুম না) একটি বই পড়তে হবে , বইটির নাম ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস ‘ লেখক – আব্দুল্লাহ ফারুক , প্রকাশ কাল ১৯৮৩ ।**
আমি বুঝতে পারছিনা “সাধের ঘুম” দিয়ে আপনি কি বুঝতে চাচ্ছেন।
**কট কট করে পড়া চলছে চলছে , হঠাৎ পোশাকআশাক ঝেড়ে ফেলে দিয়ে জন্মদিনের পোশাকে চিৎকার , ‘পাইছি পাইছি’ ।’ কি পাইছে কেন পাইছে কতগুলা পাইছে তাহা কিছুই কয় না , দেখায়ও না , শুধু বলে ‘পাইছি পাইছি , আমি উহারে পাইছি’ ।**
হঠাৎ সে পোশাক খুলে জন্মদিনের পোশাক (উলঙ্গ) পড়ল কেন?? এটাকি কিছু পাওয়ার উত্তেজনায় নাকি পোশাক খোলার পিছনেও রয়েছে কোনো কারণ ??
**আমি মানস চোখে এ দুই হনুমানশাখামৃগদ্বয়ের (হনুমান ও শাখামৃগের মিশ্রণে তৈরি সংকর প্রজাতি) মধ্যে চলতে থাকা মাইরের হাই ডেফিনিশন চলমান চিত্র দেখতে পাচ্ছি ।**
ভাইয়া ওদেরকে হনুমানশাখামৃগ বলে আখ্যায়িত করার কারণটা কি ??
”ঘুমেরা ঘুমিয়েছে সেই-ই কখন , একটুও এপাশ ওপাশ না করে , দীর্ঘ ক্লান্তির ছায়া মেখে ;
অন্ধকারের তাঁবু ফেলে গাঢ় ঘন রাত্রিতে,গভীর ঘুমের স্মৃতি মন্থনে বা ঘুমের গভীর স্মৃতি ছুঁয়ে ।
রাত্রিরা চলছে বুনে যন্ত্রণার মিহি মায়াজাল মৃদঙ্গ বাজিয়ে ,পাশে থেকে ঘুম হয়েই জেগে আছি ,
জেগে থাকি অনন্ত কাল ,চোখের ছায়ায় চোখের তারায় নীল জ্যোৎস্নায় ;
আলতো করে সকালের এক মুঠো পাটভাঙা সোনা রোদ ওঠেনা হেসে ফিক করে ,
দেয় না আদর কোলে তুলে ;সে-সে অনেক কাল ।”**
এবার আসলাম আসল জায়গায় । লেখক এখানে খুব সহজ ভাবেই উপস্থাপন করে গেছেন তবে উপরের বাক্যগুলোর মাঝে লুকিয়ে রয়েছে পুরো গল্পটি মূলভাব/রহস্য। উপরের বাক্যগুলো এসেছিল একটি অর্থনীতি বই থেকে যদিও অর্থ সম্বলিত কোনো বাক্য এখানে উল্লেখ নাই। এটা লেখকই ভাল বলতে পারবেন এই বাক্যগুলোর সম্পর্কে। এই বাক্যগুলো খুজেতেই সাধের ঘুম বাদ দেওয়া হয় এবং যা পাওয়ার পর সে উলঙ্গ হয়ে যায়। রহস্যের মাঝেই রয়ে গেলাম।
**মর্মান্তিক লাল চক্ষু আবেদন…… অনিচ্ছার ইচ্ছেয় হলেও চুপিসারে নিঃস্বর স্তব্ধতার দেয়াল ঘেঁষে
উৎফুল্ল হৃদয়ে নিদারুণ ভাবে উজ্জীবিত হয়ে বানিয়ে-ছানিয়ে পেল্লাই একটি স্বপ্নস্বপ্ন স্বপ্ন দেখেই ফেলুন না আমদের জন্য
হলেও ,অবাস্তব বাস্তব অস্বস্তিময় তুড়িয় নিরুত্তেজ নিদ্রতা নিয়ে।অদ্ভুত বিমূর্ত অপচয়ের এই ক্ষণে দূরবর্তী বৃহত্তর পরদেশী শুভেচ্ছা সব্বাইকে ; বিড়ম্বনার বিশাল বিষণ্ণের শেষ প্রহরে ।**
লেখক শেষে এসে সবার জন্য একটি উদ্দেশ্যমূলুক নির্দেশনা রেখে গেছেন। দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন এখানে সম্পূর্ণ গল্পটি থেকে। লেখক আগেই বলে গেছেন গপ্পোটি অসৃষ্টিশীল প্রতিভার নিভু নিভু স্ফুরণের প্রতীক হিসাবে অনন্য যা তিনি শেষে এসে রেখে গেছেন।
শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাই বুঝতেই পারছেন আমার অবস্থা এখন মাথায় কিছুই ঢুকেনি তারপরও থাক, এখনি জানতে চাচ্ছি না, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোচনার মাঝে যদি উঠে আসে সম্পূর্ণ গল্পটির ভাবার্থ তাহলে মন্দ কি ?আরও কিছু পাঠক রয়েছে দেখি সবার মন্তব্য গুলোকে রিভিউ করে কিছু বেরিয়ে আসে কিনা তবে ভাইয়া এই গল্পটি চলে যাবে অনেকদিন থেকে অনেকদিন ওটুকুই আমি জানি আপাতত।
ফি আমানিল্লাহ !!! দেখা যাক ভাইয়া কি হয়, কি উঠে আসে। ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যিই আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি ।
উপরের মন্তব্যের উত্তরটি দেখুন , এরপর আবার বলুন ।
বলার জন্য আমিতো আছিই , যতটুকু বলা সম্ভব প্রকাশ্যে তার থেকে বেশিই বলব আপনাকে ।
ছাইরাছ হেলাল
উপস্থাপনটি ফোর স্টেপে করা ।
লেখক একজনের কাছ থেকে শুনছেন , সে শুনেছে আর একজনের কাছে ।
এখানে আবার জটিল করা হয়েছে – স্বপ্নটি কে দেখেছে সেটি নিয়ে , হয়ত শেষ জন দেখেছে সেটি
বোঝা যায় যখন দু’জন মারামারি করছে । আবার লেখক পাঠকদের কাছে বলতে যেয়ে পাঠকদেরও
লেখার মধ্যে নিয়ে এসেছেন ।
‘ঘুমের’ ওখানে লেখক নিজেই নিজেকে ধারন করছেন ।
আর ‘পথে’ লেখক নিজেকে স্রষ্টার কাছে সমর্পণ করেছেন ।
এ দু’টি পর্বে লেখক একটিও কঠিন শব্দ ব্যবহার করেন নি ।
হ্যাঁ , উলঙ্গ হল — তখন আসলে সে স্বাভাবিক বোধের উর্ধ্বে তাই পোষাক আছে কী নেই তা তার
কাছে বিচার্য বিষয় নয় ।
এবারে আর এক বার ঝট করে পড়ে ফেলুন ।
প্রহেলিকা
ভাইয়া আপনার লিখনীতে দক্ষ বললে ভুল হবে দক্ষ শব্দটির উপরে কি আছে আমার তা জানা নেই। বইগুলোর সাথে পাঠকের পাঠকসত্ত্বা মিশে গেছে । বইয়েরা জীবন্ত হয়ে তার একান্ত আপন পাঠককে ডাকছে তা পড়ার জন্য এই লাইনটা দিয়ে তো শুধু মিহি সুরে কাকে ডাকে সেই রহস্য উদঘাটিত হলো এমন অনেক লাইন এখনো লিখার ভিতরে রয়ে গেছে। না ভাইয়া আমি চাই না এত তাড়াতাড়ি এটার জট খুলে যাক। আগেইতো বলেছি চলবে এটা অনেকদিন আসলে চলতে বাধ্য। আসলেই এমন দুই একটা লিখা পেলে আর জট যদি খুলে দেওয়া না হয় তাহলে জীবন পার করে দেওয়া যাবে আমি তা বিশাস করি ভাই।
**আর এমন একটি আপাত জটিল উপস্থাপনের ইচ্ছে ছিল বহু দিনের ,
একটু অসফল প্রচেষ্টা নিলাম ।**
সার্থক হয়েছেন আপনি ভাইয়া, লিখাটি যথার্থই হয়েছে। আপনি লেখক না পাঠক হিসেবে দেখুন আপনি নিজেই বলবেন যে না সার্থক হয়েছি।
প্রহেলিকা
দাড়ান দাড়ান ভাই আর একবার পড়ে আসি.
প্রহেলিকা
না ভাইয়া হবে না। বুঝতে পারলাম এখন সহজ ব্যপারও মাথায় ঢুকছেনা মাথায় ট্রাফিক জ্যাম লেগে গেছে। আগে মাথা থেকে ট্রাফিক জ্যামটা খুলে যাক তারপর আবার পড়তে হবে। ^:^ ^:^ ^:^
ছাইরাছ হেলাল
সব একবার বোঝার চেষ্টা না করে দু’টি বিষয় ভাবুন ,
উপরের মন্তব্য লক্ষ্য করুণ ।
সমস্যা নেই , সময় নিন ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রহেলিকা ,
আমিও চাই যদি আপনার সময় থাকে অনেক কথা বলতে ।
এখানে অনেক অনেক বিষয় আছে , যা নিয়ে আমাকে কথা বলতে দিলে দিন-মান শেষ হয়ে যাবে
কথা বলা শেষ হবে না । যা বলা হবে না তা ছাড়াও বলার অনেক অনেক আছে । যা ভালো লাগতে পারে ।
এ লেখাটিকে অতিক্রম করে যেতে পারব কীনা আমি জানিনা । আবারও বলি আগে যা বলেছি ,
লেখক কিন্তু তার অনুভবের মধ্যে থেকেই লেখেন ।
প্রহেলিকা
আমি লিখাটি পড়েছি এবং সেটা অনুধাবন করতে পেরেছি। আপনার কথাটিও সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত যে লেখক তার অনুভুতি থেকেই লিখেন। আর আপনিও খুব ভালো করেই জানেন একজন পাঠক কিন্তু লেখকের নিজস্ব অনুভুতির বদলে আপন অনুভুতিতে সাজিয়ে নেয়। ঠিক আমিও আমার অনুভুতিতে কিছুটা সাজিয়ে নিয়েছি আর এটুকুতেই শেষ হয়ে যায়নি ভাইয়া। আপনার কথাটা সম্পূর্ণ সত্যি যে এখানে অনেক কিছুই রয়েছে যা বলতে গেলে আপনার দিনমান কেটে যাবে। তবে হা ভাইয়া আমি আপনার অনুভুতির দ্বার গোড়ায় পৌছাতে না পারলেও লিখাটিকে কিভাবে সাজিয়েছি সেটা আমি অবশ্যই সময় করে বলবো। তবে ভাইয়া আমি বলার আগে আপনি আবার পুরো লিখাটি বিশ্লেষণ করে দিবেন না যেন তাহলে আমার সাজানো অনুভূতিটি তাহলে আর রইবে না সেটা সম্পূর্ণ আপনার অনুভুতিতে চলে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নূতন কিছুই এখন বলছি না ,
আপনার বিশ্লেষণের আগে ।
রিমি রুম্মান
আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো লেখাটি পড়তে গিয়ে…
চোখে আঁধার দেখছি, যা ঘন থেকে ঘনতর হচ্ছে…
ব্ল্যাক কফি পান করার পরও চারপাশের পৃথিবী চক্রাকারে ঘুরছে তো ঘুরছেই :T
ছাইরাছ হেলাল
হায় হায় কয় কী ? খাইছে আমারে ।
একটু কষ্ট হলেও মন্তব্য পড়ে দেখুন প্লিজ ।
খুব অসহায় আমি , ভাল করে লিখতে পারি না ।
ঈশ্বরে কাছে আমার জন্য হাল্কা আবেদনের আবেদন রাখছি আপনার হয়ে ।
অবশ্যই ধন্যবাদ দেব আপনাকে ।
স্বপ্ন নীলা
পথের শেষ দেখব বলে পথে নামিনি ,ভালোবাসি হাঁটতে,
পথই আমার শেষ ঠিকানা ।”————– এক কথায় অসাধারণ
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
এই অংশটুকু আমার আরাধনা স্রষ্টার কাছে।
প্রহেলিকা
ami obosshoi montobbo korbo tobe shompurno amar moto kore ami kivabe amar onuvutite likhatike sajiyechi.tarpor apni apnar bishleshon korben jeta amader dhuasha kete jabe.dhonnobad vaiya.
ছাইরাছ হেলাল
সমস্যা নেই,অপেক্ষা করব ।
জিসান শা ইকরাম
ভাবনায় কত কিছু খেলা করে।
ভাবনার জমিতে চাষাবাদ চলুক এমনি আরো ।
ছাইরাছ হেলাল
কৃষকের কাজই চাষাবাদ , ফলের মালিক আল্লাহ্ ।
কেউ কী আছেন , আমার জন্য তেঁনার কাছে হাল্কা একটু রিকমেন্ডেশন পাঠাবেন ?
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
পরে এসে আবার আলোচনা পড়তে হবে ।
হতভাগ্য কবি
লেখাটি সবার আগে আমি পড়েছি, মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখাই নি, আমার সল্প মেধায় (র্যাম এ) এই লেখা প্রসেস করতে পারছিলাম না, তাই র্যাম (আপনার ও অন্যদের মন্তব্য) বাড়ার অপেক্ষায় ছিলাম।
প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ সহজ না, সেই ভালোবাসার বর্ণনা সব সময় অপ্রতুল, যেমন সীমাবদ্ধতার গন্ডির দেখা পেতে হাজার হাজার ক্রোশ হাটতে হয়, ভালবাসাও তেমনি,
আপনার খানিক ঘুমের মাঝে দেখা স্বপ্নের মুগ্ধতা, নিজ চোখে দেখা জ্যোৎস্নার মায়াময়তা, আপনার প্রান খুলে হাসার পেছনের গল্প , প্রিয় মানুষের জন্য আকুলতা এই অনুভূতিগুলো ভালোলাগা আর ভালবাসার শব্দে যত স্পষ্ট করেই বলেন না কেন সত্যিকার অর্থে অনুভব করতে পারবেন শুধু আপনি আর সেই মানুষটি।
ইশ যদি আপনার মত লিখতে পারতাম, ছুঁতে পারতাম , আর হ্যাঁ, প্রিয় ব্লগার প্রহেলিকা আপনাকে হিংসা করি। অনেক করি। শুভকামনা আপনাদের দুইজনের জন্যই। 🙂 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আপনার র্যামের বহরের খবর আমারও একটু জানা আছে ।
মনে থাকে যেন র্যাম এখন বহুগুণে বেড়ে গেছে , তাই প্রসব চাচ্ছি সুপ্রচুর ।
আপনাকেও হিংসে করে এমন সুন্দর করে মন্তব্য করতে চাই ।
স্রষ্টার কাছে আমার অনুভূতিগুলো পৌছানোর আকুতি ভিন্ন আর কিছুই নেই এ লেখায় ।
আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম ।
হতভাগ্য কবি
দোয়া করবেন, র্যাম যতই বাড়ুক ৫ম জেনারেশনের র্যামের কাছে ১ম জেনারেশানের র্যাম কিছুই না। স্রষ্টার কাছে পৌছে যাক সুপ্রিয় অনুভূতিগুলো।
আপনার লিখা বেশ কয়েকবার পড়ে কিছু বলতে হয়, অদ্ভুত বিষয় এক একবার এক এক অর্থ খুঁজে পাই, আপনি অদ্ভুত লেখক, চরম লেখক। একটু র্যাম শেয়ার করেন না আমার সাথে, কি হবে?? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
স্লট তো খালি রাখেননি , কান্নাকাটি দিয়ে ভরে রেখেছেন ।
র্যাম বাড়ানোর স্কোপ কই ?
ভালোলাগলে আবার ও পড়ুন ।
লেখা ছাড়ুন একখানা চটজলদি ।
একটু পড়ি ।
হতভাগ্য কবি
কৈ না , আমি তো কাঁদি না ;( ;( ;(
বনলতা সেন
”ঘুমেরা ঘুমিয়েছে সেই-ই কখন , একটুও এপাশ ওপাশ না করে , দীর্ঘ ক্লান্তির ছায়া মেখে ;
অন্ধকারের তাঁবু ফেলে গাঢ় ঘন রাত্রিতে,গভীর ঘুমের স্মৃতি মন্থনে বা ঘুমের গভীর স্মৃতি ছুঁয়ে ।
রাত্রিরা চলছে বুনে যন্ত্রণার মিহি মায়াজাল মৃদঙ্গ বাজিয়ে ,পাশে থেকে ঘুম হয়েই জেগে আছি ,
জেগে থাকি অনন্ত কাল ,চোখের ছায়ায় চোখের তারায় নীল জ্যোৎস্নায় ;
আলতো করে সকালের এক মুঠো পাটভাঙা সোনা রোদ ওঠেনা হেসে ফিক করে ,
দেয় না আদর কোলে তুলে ;সে-সে অনেক কাল ।”
“পথের শেষ দেখব বলে পথে নামিনি ,ভালোবাসি হাঁটতে,
পথই আমার শেষ ঠিকানা ।”
আমি এ লেখাটি পড়ে কী বুঝতে পেরেছি সেটি কথা নয় , একটি ও ইলিক-বিলিক শব্দ না লিখে আপনি কী করে লিখলেন আমি সেটি ভেবে পাচ্ছি না । দেখি বিজ্ঞেরা কী বলেন ,আমিও একটু অপেক্ষা করতে চাই ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার পাখীচোখ এড়ানো কঠিন মনে হচ্ছে ।
দুর্বোধ্যতার দুর্নাম ঘোচানো সহজ নয় জানি । কত সহজে অলেখকের ভগি-চগি ধরে ফেলে
কুপোকাত করে দিচ্ছেন ।
হে ঈশ্বর আপনি কোথায় জানতে ইচ্ছে করে ।
পড়ছেন দেখে আনন্দিত হচ্ছি ।
প্রহেলিকা
সালাম জানবেন ভাইয়া সাথে সন্ধ্যা। পড়ে আসলাম অ-লিখার ছিন্নাংশ -১ এবং ৮, পৃথিবীতে যেকনো কিছুই লাভ করতে হলে সাধনার প্রয়োজন সেটা আজ মেনে নিলাম, মেনে নিতে বাধ্য হলাম। আপনার কথা মতই বিরাট মাছিহীন মুখ হা করে পট পট ভট ভট করে পড়ে গেলেই আসলে পাঠক হওয়া যায়না। সত্যি বলতে আমি নিজে আগে ভাবতাম পাঠক হওয়া আর তেমন কি এমন বড় ব্যাপার চাইলেই তো হওয়া যায় তবে এখন এটুকু বুঝতে পারলাম যে পাঠক সত্তা অন্তরে বহন করতে হলেও সাধনার প্রয়োজন রয়েছে সাথে আরো রয়েছে সৃষ্টিকর্তার কাছে আরাধনার ব্যাপার। আপনি পাঠক আর তাই হয়তো আপনার ঐ দুটি লিখা পরে শুধু একটি পথক সত্তাকেই খুঁজে পেয়েছি পেয়েছি পাঠকের মনের অভিব্যক্তি, আকুলতা।
অ লিখার ছিন্নাংশ-৮ এর প্রথম লাইনটি
(**হয়নি দেখা বা কথা – কত অগণন অবিরাম উৎকণ্ঠিত স্মরণীয় সাড়াহীন বসন্ত কাল**) পরে তাই বুঝলাম যে একটি পাঠকের আজও অনেক বই পড়ার তীব্র আকাংখা ধারণ করে রয়েছে মনের ভিতর আমার কাছে তাই মনে হল ভাইয়া।
আসলে “অর্জন” শব্দটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে সাধনা। সাধনা শব্দটি ছাড়া মনে হয় অর্জন পরিপূর্ণ নয়। আমি নির্দ্বিধায় বলতে চাই যে ভাইয়া আমি আগে হয়তো একটু ভাবতাম যে না আমিও হয়ত পড়তে জানি কিছুটা হলেও তবে আজ বলছি আমি পাঠক লেখক-এর বৈশিষ্ট এক কড়ি ও এখনো অর্জন করতে পারিনি। :D)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি হয়ত একটু বেশিই বলে ফেলছেন ভালোবেসে আমার ছাতামাতা লেখাকে । আর এ লেখা নিয়ে বেশি ভাবার
কিছু নেই । যদি সময় পান ‘অ-লিখার ছিন্নাংশের’ অন্য লেখা কটি পড়ে ফেলবেন , কিছু সুন্দর কিন্তু কঠিন অনুভুতির
কথা লেখা আছে । আর হ্যাঁ , ওখানে বেশ প্রেম নিয়ে লেখা আছে । তা কিন্তু কোন রক্ত মাংসের মানবীর জন্য নয় ।
লেখক নিজের নারী সত্তার কাছে ভালোবাসার আকুতি জানাচ্ছে বা নিজেকে নিজে ভালোবাসার চেষ্টা করছে ।
আপনাকে শুধু নিজের লেখা পড়াচ্ছি , একটু কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ।
প্রহেলিকা
যদি লিখার ইচ্ছে থাকে তাকে অবশ্যই পড়তে হয় আর আপনি হয়তো খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে আমার একটি পড়ার আগ্রহ থাকে। তবে আসলে ভাইয়া কঠিন লিখার মাঝে যখন কিছু লুকিয়ে থাকে তখন সেটা পড়তে আমার ভালো লাগে কিন্তু আজকাল মানসিক কিছু যন্ত্রণার কারণে আসলে তা হয়ে উঠছেনা। ঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারছি না। আপনার কিছু লিখা আমি পরেছি যেগুলোর মাঝে খুব অসাধারণ কিছু লুকিয়ে আছে। আর হ্যাঁ আমি মোটেও বেশি বলছিনা না ভাইয়া আমি কিন্তু ঠিক কথাই এবং আমার মনে কথাই বলছি।
ছাইরাছ হেলাল
কায় মন বাক্যে আপনার আশু যন্ত্রণা মুক্তির দাবী জানাচ্ছি ।
যন্ত্রণা ও কিন্তু প্রয়োজনীয় চরম তিক্ত হলেও ।
আগুন ছাড়া কিন্তু ভাত রান্না হয় না আবার আগুন আমাদের পুড়িয়েও দিতে পারে ।
প্রহেলিকা
সব যন্ত্রণার মাঝে থেকেই আসলে কিছুটা বেরিয়ে এসে এখানে চলে আসি কিছুক্ষণ ডুবে থাকি আপনাদের মাঝে। আপনার লিখাগুলো সময় নিয়েই পড়তে হবে কারণ একটি লাইন থেকে অনেক শাখা বেরিয়ে যায় আপনার লিখতে। তারপরও পরে নিবো তবে এটা কিন্তু ঠিক শব্দের অফুরন্ত খনি কিন্তু আপনার কাছে রয়েছে। আর পথিক লিখাটির সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ কখন দিবেন ভাইয়া ?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সব কথা বলা যাবে না , আর কী করে যে বোধগম্য ভাষায় বলব তাও বুঝছি না ।
আবার ভয় হচ্ছে ,আমি যা বলতে চাই আপনার কাছে তা অন্য কোন অর্থে বয়ে আনছে কিনা ।
আমার লেখা নিয়ে খুব লিমিটেড লোকদের মাঝে কথা বলতে হয় । সেখানে আমার লেখা বা ভাবনা সম্পর্কে
তারা জানে । তাই নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারি । আবার আমি রেফারেন্স দিলে তারা তা বুঝতে পারে ।
আচ্ছা মনে করুণ এখানে যা লিখেছি তার অনেক কিছু প্রায় সত্যি যদি হয় তা কী বিশ্বাস যোগ্য ?
ওসব থাক , আপনি ছোট ছোট পার্ট করে জানতে চান , তাহলে বলতে সুবিধে হবে । বলার চেষ্টা করব প্রাণপণে !
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখাটিকে আমি ভয় পাই, ভালোবেসে। কাছে রাখতে/আসতে পারি না। কী করে লিখছি জানি না, জানি না।
কোন লেখকের এমন আত্মঘাতি লেখা লেখা উচিৎ না।
লেখক তো মরে যাবে এই উজার করা ভালোবাসায়।
প্রহেলিকা
আহা এতো প্রেম লেখকের, এতো আবেগ!
বেলা আসলে কম হলো না। অর্ধযুগ ছুই ছুই অবস্থা। সে আগে থেকেইতো কঠিনের তকমা নিয়েই আছেন আপনি, থাকবেনও।
এই লেখা নিয়ে ধানাইপানাই আর কম হলো না সেসব দিনে। থাকে কিছু কিছু লেখা। লেখা অনেক সময়ই লেখকের উর্ধ্বে গিয়ে থাকে, এটিও এমনি এক লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ধরেছেন, কিছু লেখা সময়ের বাইরেই থেকে যায়।
আবার লিখতে ইচ্ছে করে অনেক ভাঁজের লেখা।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার ছাতামাথা লেখাটা পড়লাম আরো বার দুএক। কিঞ্চিত উন্নতি করেছি পাঠক হিসাবে এটুকু বলতে পারি, কারন মন্তব্য না পড়েই লেখাটি বুঝতে পেরেছি।
তিন স্টেপ, চার স্টেপ কি কি যেন বলছিলেন, আমিতো ওসব বুঝিনা, তবে লেখার স্টাইলটা একদমই অন্যরকম। অইযে গল্প বলতে বলতে যারা এ লেখা না পড়েই বিদায় নিয়েছে তাদের সৌভাগ্যে হিংসিত হচ্ছিলেন, বা এই গপ্পো থেকে সটকে পড়ার উপদেশ দিচ্ছিলেন এগুলো বেশ মজার জোড়া লাগিয়েছে।
পথের ব্যাপারে কী বলি আর! যার নিজেরই কোন শেষ ঠিকানা নেই, সেখানে শেষ খোঁজাও ঠিক না।
লেখাটির প্রতি আপনার তীব্র ভালোবাসার যথেষ্ট কারন আছে বৈকি। আপনিই লিখেছিলেন কিনা কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
অন্য কথা বাদ, এবার বলুন তো এখানে মন্তব্যকারী শুন্য শুন্যালয় পাঁচ বছরে মন্তব্য কী পার্থক্য নিয়ে এসেছেন এখানে এই লেখায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
পথিকের ভালোবাসা পথে, পথের শুরু থাকে সমাপ্তি নেই।
ছাইরাছ হেলাল
তা তো বুঝলাম,
সব পড়েছেন!!