চির-হরিৎ-বনের মায়া পেছনে ফেলে
তিনি আবার খেলতে যাবেন
সবুজ মাঠের খেলুড়ে হবেন;
যাবে কী যাবে না, খেলবে কী খেলবে না
সে এক প্রশ্নবিদ্ধ প্রশ্ন-চিহ্ন,
যদিও খেলা-ইচ্ছে প্রগাঢ়;
উফ সেই সব খেলা-দিন,
দিনে-দিনে-রাত অব্দি
নিস্তার পায়নি! নিস্তার নেয়নি;
ডাকছে আবার খেলা-সাথি/সাথিরা,
ভয় হয়, দু’যুগের বিরতিতে
হুট করে মাঠে নেমে টেঁসে যাব না-কী!!
ছিঁড়ে-ফিড়ে চিরে-চ্যাপ্টা হয়ে যাব না-তো!
উফ কত দিন খেলা-খেলি না, খেলা দেখি-না!!
নাহ সে আর খেলবে না,
সে অবশ্যই খেলবে।
অভুক্ত-হৃদয়ে খেলতে মন্দ লাগে-নি,
শুধু পা-টা একটু মসকে গেছে;
আর যাচ্ছিনে, ঐ ওর/ওদের ডাকে,
ঐ মাঠে, কিন্তু যেতে যে খু-উ-ব ইচ্ছে করে।
সেই যে কুয়াশাময় দীঘি-বালিকা
আমায় ডাকে, ক্রীড়াকতরতার দিকে বারে, বারে!!
১৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা এতো বয়স নিয়ে ভাবনা কেন? খেলাধুলা কি করেন না? আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা,
বুড়া অই নাই!!
তয় ইট্টু মনে মনে ডর খাই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বুড়া হন নাই তাইতেই ইট্টু ডর খান? হায়রে কপাল, কই যামু! আমি এখনও সতেরো থাইকা ইট্টুও বড় হইলাম না। কবে যে পঞ্চাশে যামু, কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
সতের!! বলে কী!!
আমিতো ভাবি বাও কই তেও!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস বাও তেও তে থাকলে খালি পড়ালেখা করতে হয়, তাও জোরে জোরে শব্দ করে। সতেরোতে বইয়ের ভিতর গল্পের বই রাখা যায়। \|/
ছাইরাছ হেলাল
শুধু বই!! আরও কত কী পড়া যায়, করা ও যায়।
মাহমুদ আল মেহেদী
চির সবুজ । সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
যে অবশ্যই খেলতে চায়,,
মঁচকে যাওয়া পায়ের কি ক্ষমতা তারে আটকায় !!খেলুক সে আবার,
অভুক্ত হৃদয় যদি জুঁড়ে যায়
দীঘি-বালিকার ডাকে সাড়া দিবে বারবার।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কথা ফেলতে পারার সাধ্য নেই;
‘লেখদের কথা ফেলতে নেই’ এই সূত্র মতে;
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখক !!🔫🔫🔫
ছাইরাছ হেলাল
ভয় দেখিয়ে কি অন্তস্থিত অন্তস্তল-সমগ্রতা-রোধ করা যাবে!!
প্রকরণ সে যা-ই হোক না কেন!!
তৌহিদ ইসলাম
ধুর ভয় পাবেন না, আপনি অনেক তরুন মনে প্রানে। এভাবেই থাকুন। অনেক মুগ্ধতা ভাই। লেখা ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে রইল;
জিসান শা ইকরাম
পা মসকে গেলে যাক, খেলার আনন্দ কি পায়ে থাকে?
ওটা থাকে তো মস্তিস্কে 😀
খেলা হোক মনের আনন্দে
চলুক, চলবে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, পা মসকানোতে কিচ্ছু আসে যায় না,
ছিঁড়ে-ফিড়ে গেলে আনন্দ আর আনন্দের জায়গায় থাকবে না।
তবে খেলা চালু থাকুক, তা চাই।