হোটেলে এসে দুপুরের খাবার খেতে না খেতেই দেখি ৪টা বেজে গেছে। রেস্ট না নিয়ে লবিতে এসে বসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলে এলো। এখন যাবো একটি স্পটে যার টিকিট আগেই কেটেছিলাম। গাড়িতে উঠার পর ড্রাইভার বললো সেখানে যাবার আগে সে আমাদের চকলেট কিংডমে নিয়ে যাবে। সেখানে নাকি ভালো চকলেট বিক্রি হয়। তো আমরা বললাম, ঠিক আছে। কিছুক্ষণ পর পৌছে গেলাম সেখানে। একতলা বিল্ডিং। আশে পাশে অনেক গাড়ি পার্ক করে রাখা। গাড়ি থেকে নেমেই দেখি সেই দোকানের সামনের একটি গাছের নিচে জটলা। লোকজন হা করে গাছের উপর কি যেনো দেখছে। আমরাও হা করা গ্রুপে যোগ দিলাম। একজন
সেই গাছ দেখিয়ে তাদের ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে যা বুঝলাম তা হলো, এটা কোকো গাছে। এবং গাছে দুটো কোকো ফল ঝুলছে যা থেকে চকলেট বানানো হয়। একটা ছবি তুলে নিয়ে ভেতরের দিকে পা বাড়ালাম। একতলা ফ্ল্যাটবাড়ির মত দোকানটা। সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। দেখি দেয়ালে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন ধরনের চকলেটের প্যাকেট/বক্স। রূমের এক কোণে ভীড় দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখি লোকজন হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে আর এক মেয়ে টুকরো করা চকলেট সবার হাতে হাতে দিচ্ছে। সবাই সেই চকলেট মুখে দিয়ে দেয়ালে সাজানো চকলেটের প্যাকেট পছন্দ করছে।
আমি আর হাত পেতে চকলেট নিলাম না। পাশের রূমে গিয়ে দেখি একই অবস্থা। এখানেও সবাইকে চকলেট দেয়া হচ্ছে। তখন বুঝলাম এগুলো ক্রেতাদের স্যাম্পল টেস্ট করবার জন্য দেয়া হচ্ছে যেন তারা স্বাদ বুঝে পছন্দমত চকলেট কিনতে পারে। এবার আমিও হাত পাতলাম। ২/৩ টুকরো চকলেট পেয়েই মুখে চালান করে দিলাম। উম্মম্মম….কি মজা!!!! ইশ এখন আফসোস হতে লাগলো কেন আগের রুমে ভাব দেখিয়ে চকলেট খেলাম না। একবার ভাবলাম আবার গিয়ে খেয়ে আসি। পরে কর্তার রক্তচক্ষুর কথা ভেবে আর যাইনি। পরে সবগুলো রূমে ঢুকে ঢুকে সবার সাথে চকলেট খাওয়া আর চকলেট বাছাই করতে লাগলাম। শেষের রূমে পেলাম কফি। বিভিন্ন ফ্লেভারের। কর্তা সেখান থেকে কফি নিলো। আমরা চকলেট, কফি নিয়ে বিল চুকিয়ে বেরিয়ে এলাম। গাড়িতে উঠে আমরা রওনা হলাম নতুন স্পটের উদ্দেশ্যে।
“Upside Down House”. নাম শুনে ভাবলাম এ আর তেমন কি? কোথাও ছবি দেখেছিলাম উলটো বাড়ি। দেখা যাক কি আছে সেখানে। গাড়ি এসে থামলো KL Tower এর কাছেই এক গেটের সামনে। নেমে দেখি এক আজব জিনিস, বাড়ি তো উল্টানোই আবার গেটে রাখা গাড়িও মাথার উপর। টিয়া রঙের আস্ত এক কার। আমিতো হাসতে হাসতে মরি। যাহোক, গেট পেরিয়ে ঢুকতেই ছোট্ট ঘাসে ঢাকা উঠোনমত জায়গা।
পাশে আবা জাপানিজ কায়দায় বসার ব্যবস্থা। এটাই রিসেপশন। এখানে টিকিটে দেখে আমাদের একটা লোহার সিড়ি দেখানো হলো যাবার জন্য। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দরজা দিয়ে ঢুকলাম। তখন কিন্ত ব্যাপারটা ধরতে পারিনি যে কেন সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে। পরে বুঝেছি যে, যেহেতু বাড়িটা উলটানো তাই নীচে চাল থাকায় ১ তলার দরজা দোতলা সমান উঁচুতে চলে গেছে।
ভেতরে ঢুকে দেখি হালকা ছায়ামত ভেতরটা। একদল ছেলেমেয়ে ছবি তুলছে, দেখছে আর হেসে পড়াগড়ি খাচ্ছে। কেউ আবার শুয়ে, বসে, কাত, চিৎ বিভিন্ন ভঙ্গীমায় ছবি তুলছে আর কি যে হাসছে। আমি চারদিক তাকিয়ে হাসির কোনো কারণ বুঝতে পারলাম না। ওরা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাচ্ছে। তো আমরা খালি হওয়া ঘরে গিয়ে দেখতে লাগলাম ঘরটা। দেয়ালে কিছু জিনিসপত্র লাগানো কিন্ত কেমন উলটো। আচ্ছা ঠিক আছে। এমন সময় ওই স্পটের এক মেয়ে এসে আমাকে বললেন, তুমি এই দেয়ালে দাড়াও, তারপর হাত মাথার উপরে বা পাশে নিয়ে এভাবে প্রতি রূমে ছবি তুলবে, তারপর ছবিটা উলটে দেবে। এতে মনে হবে তুমি ছাদ থেকে ঝুলছো। বুঝলাম না প্রথমে ঘটনা কি। ছবি তুলে দেখি বাসার সব ফার্নিচার তো ছাদে আর দেয়ালে। নিচে থেকে দেয়ালের জিনিসগুলো উলটো দেখাচ্ছে তাই বুঝিনি।
দাঁড়িয়ে ছিলাম বেডরুমে। তখন উপরে তাকিয়ে দেখি মাথার উপর আস্ত এক খাট ঝুলছে। কি সর্বনাশ!!! বের হয়ে আগের জায়গায় গিয়ে দেখি সেটা ড্রয়িং রুম।
সোফা, টিভি, এসি, সেন্টার টেবিল, টেবিলের উপর আবার চায়ের কাপ, ফুলদানি সব আমার মাথার উপর ছাদে আর দেয়ালে। টিভি দেখে ভাবলাম, এ কি সত্যিকারের টিভি? কাছে গিয়ে দেখি সত্যি সত্যি টিভি দেয়ালে উল্টো করে লাগানো। চলে এলাম পাশের রুমে।
দেখি আস্ত এক ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, এমনকি টেবিলে কাঁচের বাটি-প্লেট সব মাথার উপর উলটো হয়ে ঝুলছে। কিছুটা ভয় হলো যদি ভেঙে পড়ে? তাড়াতাড়ি সরে এলাম সেখান থেকে। গেলাম পাশের রুমে।
এটা রান্নাঘর। দেয়াল কেবিনেট সহ সিংক, চুলা, চিমনি, তাকের উপর মগ, গ্লাস সবই দেয়ালে উপর থেকে ঝুলছে।পাশের রুমে ঢুকতেই দেখি, দেয়ালে উলটো করে তোয়ালে, সাবান, শ্যাম্পু রাখা।
চোখ ফেরালাম ছাদের দিকে একি! এতো বাথরুম! আর আমি দাঁড়িয়ে আছি এক্কেবারে কমোডের নিচে।
কমোডের পাশে আবার পলিথিন দেয়া ময়লার ঝুড়ি আর আরেক পাশে বিশাল এক বাথটাব। আমিতো হাসতে হাসতে শেষ। এরা কিনা বাথরুমও এমন বানালো? তাড়াতাড়ি কমোডের নিচ থেকে সরে এলাম। বলা যায় না, যদি হুট করে মাথায় কিছু এসে পড়ে?
বাথরুম থেকে বের হয়ে পাশে দেখি একটি সিঁড়ি নিচতলায় চলে গেছে। সেখান থেকে হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বুঝলাম আমাদের আগের গ্রুপের ওরাই এখন নিচতলায় আছে। নিচে নেমে দেখি এটা আরেকটা রুম। চিলড্রেন্স রুম। পড়ার টেবিল, খেলনা, সব ছাদে।
এসব দেখেও বেশ হাসি পেলো। কিছু ছবি তুলে আবার উপরে চলে এলাম। বুঝলাম উল্টো বাড়ি দেখার পর্ব শেষ হলো। সেখান থেকে বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা। আজকের মত আর ঘুরাঘুরি নয় ভেবে রওনা হলাম হোটেলের দিকে। কাল সকালে রেস্ট নেবো। বিকেলে যাবো অন্য কোনো নতুন স্পটে।
চলবে…..
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৬/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৬
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৫/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৫
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৪/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৪
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ৩/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ৩
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ২/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ২
মালয়েশিয়া ভ্রমণ কাহিনী ১/ মালয়েশিয়াতে কয়েকদিন ১
২৪টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
চকলেটের বাড়ির ঢুকলে আমি তো খালি ফ্রি চকলেট খেতাম। কেনা কেনি চুলোয় যাক 😀
উল্টা বাড়িরর গল্প শুনে বেশ মজা পেলাম। বিশেষ করে বাথরুমের । হা হা হা .. কমোড ও উল্টো ভাগ্যিস কমোডে জিনিষ পত্র ছিল না। :D) ভ্রমনের সাবলীল বর্ননা ভাল লেগেছে।
নীহারিকা
সিস্টেমটা আসলেই অনেক মজার। আপনি চকলেটের স্যাম্পল খেয়ে বের হয়ে আসলেও কেউ কিছু বলবে না। আর মাথার উপর কমোড দেখে ভয় না পেয়ে উপায় আছে?
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপা।
ইঞ্জা
ও দাদী, আপনি তো দেখছি টিকটিকির মতো লটকে গেছেন, কমোডের জিনিসপত্র মনে হয় দাদা সরিয়ে নিয়েছে :p
উফফ কি যে ভুল করলেন, চকলেট তো পেট ভরে খাবেন, তা দাদার কফি খেতে কখন দাওয়াত দিচ্ছেন বলুন 😀
নীহারিকা
কমোড দেখে ভয়ই পেয়েছিলাম। আর ফ্রীতে তো এত চকলেট দেয় না যে পেট ভরবে। তবে কয়েক রুম মিলে পরিমান ভালোই। দাদার কফি খেতে দাদার সাথে যোগাযোগ করুন, আমি কিছু জানি না 🙂
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
বাম্বুওয়ালা কফি তো বাম্বুতে লাগিয়ে খায়, দেবে বলে মনে হয় না। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহা উল্টো বাড়ী! :D) :D) বিশেষ করে উল্টো কমোড :D) :D)
ভাবছি আমি ওয়াকার নিয়ে ওই বাড়ীতে ঢুকলে ছবিটা কেমন আসবে!
তাহলে তো বহু চকোলেট খেয়েছেন? আসলে স্যাম্পলেই পেট ভরে যায়। আমি অবশ্য কোনো চকোলেটই খাইনা।
খুব চমৎকার হচ্ছে ভ্রমণের বর্ণনা। 🙂
নীহারিকা
ওয়াকারওয়ালা ছবি একটা সেট করে দেখেন অবস্থা কি দাঁড়ায় দিদি। চকলেটের স্যাম্পল ভালোই। এবং সবচেয়ে মজা লেগেছে বেশিরভাগ ক্রেতাই ছিলেন বয়স্ক। সবাই চকলেট খাচ্ছেন। আবার খেতে ইচ্ছে করলে আবার গিয়ে হাত পাতলেই মেয়েরা হাসিমুখে চকলেট দিয়ে দিচ্ছে। আমিও ঠিক চকলেট লাভার না তবুও কিনেছি।
দিদি ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি দেশে গেলেই চকোলেট নিয়ে যাই।
নীহারিকা
এরপর কিন্ত আমার জন্য আইন্নেন। 😉
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা পড়ে আফসোস হচ্ছে, চকলেট কিংডমের কথা জানা ছিল না,
খেতাম ও খাওয়াতাম!
এবারে কিন্তু আপনার ছবিগুন ফাইন হইছে,
কেন যে আরও বেশি করে লেখেন না কে জানে!!
নীহারিকা
মালয়েশিয়া যাবার আগে আমার সাথে পরামর্শ করে না গেলে এমনই হয়। কতবার গিয়েও এইটা বাদ, ওইটা বাদ। ছবিগুলা ফাইন হইলো ক্যাম্নে? কয়টা লম্বা ছবি দেখি রিসাইজ করার পর চ্যাপ্টা হয়ে গেলো।
বেশি বেশি ক্যাম্নে ল্যাহে? আমি ল্যাক্তারিনা। ল্যাহা আসে না। 🙁
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
উল্টো বাড়ী দারুণ অভিজ্ঞতা।আশ্চর্যের বিষয় হলো আপনি যে সুন্দর করে বর্ননা দিচ্ছেন তাতে অনেকের মালে দেখার সাধ মিটে যাচ্ছে।
নীহারিকা
সাধ মিটলে চলবে না। সরাসরি নিজের চোখে দেখার অনুভূতিই অন্যরকম।
ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
কত মজার ও জানার দেশ মালয়। পড়ছি না দেখছি ভাবছি। ভাল লাগা রইল।
নীহারিকা
মজাই বটে। সবথেকে ভালো লেগেছে যে একটি দেশ কত দ্রুত এতটা উন্নতি করে ফেলেছে যারা কিনা কিছুবছর আগেও আমাদের থেকে অনুন্নত ছিলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের রাজনিতি সব খেয়ে ফেলেছে ভাই।
জিসান শা ইকরাম
এই পর্বে যে কয়টি স্থানের কথা লিখলেন তার একটিও আমার দেখা হয়নি,
আমার মালয়েশিয়া ভ্রমন তো দেখছি পুরোটাই বৃথা,
আপনি একবার গিয়ে কতকিছু দেখে আসলেন, আর আমি অনেকবার গিয়েও আপনার দেখার ২৫% ও দেখলাম না,
আবার গেলে অবশ্যই আপনার দেখা স্থান গুলো দেখব।
সুন্দর বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম।
নীহারিকা
আপনার ভ্রমণ বৃথা হতে যাবে কেনো? হয়তো পছন্দের ধরণ অন্যরকম বলে আপনি অন্যদিকে মনযোগ দিয়েছেন যেসব হয়তো আমি দেখিনি। এটা কোনো ব্যাপার না।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মৌনতা রিতু
বেশ ভালোই তো অভিজ্ঞতা হইলো। আমি কোকো গাছ দেখে প্রথমে ভেবেছি পেয়ারা গাছের ছবি।
চকলেট খেয়েই আসতেন আবার গিয়ে। আমার উনি যদি বাইরে রাগ দেখায়, মনে মনে বলি, ব্যাটা তুই বাসায় চল, তোর খাবারে আজ লবন ঝাল দুইটাই বেশি দিব :p
আমি তো হেতিরে কোথাও নেই না। আসলে হেতিই মোরে নেয় না ;( ভাবছি, ভাইগ্গা যামু গা নাতি পুতির লগে।
উল্টা বাড়ির ছবি দেখে মোবাইল ফোনটারে উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখলাম। তারপর বুঝতে পারলাম।
কমোডে কিছু ছিলনি? সত্যি কইরা কন :p
নীহারিকা
আমিও কোকো গাছ দেখে বুঝতে পারিনি সব হা করে কি দেখছে। পরে বুঝেছি। আর একা গেলে ঠিকই চকলেট আবার খেয়ে আসতাম। উনি আমারে নিতে চায় নাকি? পাসপোর্ট, কাগজপত্র সব হাতে দিয়া আসছি তাই মনে হয় মানা করতে পারে নাই 🙂 উল্টা বাড়িটা খুবই মজার। প্রথম এমন দেখেছি বলে হয়তো বেশি মজা লেগেছে। আমিতো মাথার উপরে কমোড দেখেই সরে এসেছি। সত্য কইতাছি ভিতরে কিছু ছিলো না। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
দারুন মজার আপনার সব অভিজ্ঞতা আপু। চকলেট শপে গেলে তো সারাদিন ঘুরে ঘুরে খেতাম। 🙂
এখানে আমি দেখেছি মধুর শপ। প্রত্যেক স্যাম্পলের পাশে আইস্ক্রিম কাঠি রাখা। সবাই টেস্ট করছে। এতো ধরনের যে মধু আছে সেইই প্রথম দেখলাম, আর দেখলাম কি সুন্দর করে মধু কালেক্ট করছে।
উলটা বাড়ি দেখে তো অবাক হয়েছে। মালয়েশিয়া গেলে এই দুইটা জিনিস সবার আগে দেখুম। 🙂
আপনি নেক্সট বার গেলে কর্তারে অবশ্যই লগে নেবেন না, বেরসিক মানুষজন। সাথে আইলে ঘুমের ঔষধ দিয়ে হোটেলে ঘুম পাড়ায় রাখবেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য কিন্তু আমি দায়ী না মোটেই। 😀
আপনার ভ্রমণকাহিনী সবাইকে লিখতে অনুপ্রেরণা দেবে, যা সুন্দর করে লিখছেন।
নীহারিকা
চকলেট চেখে দেখার এমন সিস্টেম আমাদের দেশে থাকলে কি ভালো হতো বলো! আর কর্তার কথা কি কইতাম! পরেরবার গেলে সাথে ঘুমের ঔষধ নিয়ে যাবো নিশ্চিত। ভ্রমণ কাহিনী কি এইডারেই কয়? অনেকে তো কত দেশে যায়, দেশ বিদেশে থাকে কেউ আম্রারে সেইসব দেশের কাহিনী শুনাইলো না। আফসোস! (প্রথম কেমন আছে এখন? শুনেছিলাম অসুস্থ।)
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো সেভাবে তেমন কিছু দেখিনি আপু এখানে। দেখলে লিখব নিশ্চয়ই। হ্যাঁ প্রথম ভালো আছে আপু। ভালো থাকবেন।
নীহারিকা
সময় পেলে তুমিও লিখো।