আমরা এমন ই একটা আবেগ প্রবন জাতি আর আপনি সেই জাতির একজন নেতা! আপনি আজ শুয়ে আছেন অথচ আমরা নির্লিপ্ত।
আমি আপনার মাগফেরাত কামনা করি, মন থেকে করি দল থেকে না মানুষ হিসাবে করি।
যেখানে কারো মুখে মৃত্যুর কথা শুনলে আমরা মুখ চেপে ধরি, অভিমানে জড়িয়ে ধরে বলি আর কখনো যেন এমন কথা না শুনি, যেখানে বিদায় নিতে আমরা ‘যাই’ বলতে দেইনা বলি ‘আসি’ সেখানে আপনি একজন নেতা হয়ে মৃত্যুর কফিনে শুয়ে আছেন আর মানুষ আপনার মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করছে!
এদেশের নেতাদের জনপ্রিয়তা তাদের কূলখানি আর রাজপথে। যদি হাত তুলে দোয়া করার মত কেউ না থাকে আমি ঘৃনা করি এমন রাজনীতি!!
১৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
জন্ম মৃত্যু বিয়ে এই তিনটি বিষয় সন্মূর্ণ স্রষ্টার হাতে।আর মৃত্যুতো মানব জীবনে চরম সত্য অধ্যায়।মৃত্যুকে নিয়ে কারো উপহাস করা ঠিক নয় আবার কেউ ইচ্ছাকৃত উপহাস করতেও চায় না।তবে উপহাস করাও আমরা দেখতে পাই।কোথায় আছে ঠিক জানি না তবে এই টুকুই জানি মানুষ তার কৃতকর্মের মুল্যায়ণের কিছুটা দুনিয়াতেই পেয়ে যায়।এরশাদের বেলায় হয়তো তেমনি হয়েছে ।তবুও আমি একজন মুসলমান মানুষ হিসাবে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
অপু রায়হান
মৃত্যু মুছে দেয় সব গ্লানি!
মনির হোসেন মমি
হুম।আমীন।
শিরিন হক
একজন মানুষ সমালোচনার বাহিরে নন আর তো একজোন রাজনীতিবিদ। ভালো মন্দের সংমিশ্রণে ই একজন রাজনীতিবিদ থাকবেন সাভাবিক। মৃত্যুর পর সবাই সকল কিছুর ঊর্ধে চলে যান। তাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা একদমই ঠিক নয়।
দেশ একজন নেতাকে হরিয়েছেন এজন্য আমরা শোকাহত। তার আত্মাদর মাগফেরত কামনা করছি।
অপু রায়হান
কিন্তু বাঙালি এটা বুঝে না
মাছুম হাবিবী
আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। আল্লাহ্ যেন উনাকে জান্নাত নসিব করেন আমীন।
অপু রায়হান
ছুম্মা আমিন
শাহরিন
রাজনীতি বুঝিনা তবে সকালে সংবাদ দেখে খারাপ লেগেছে। মৃত্যু জীবনের মতোই সত্য। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুক।
অপু রায়হান
আমি উনার মাগফেরাত কামনা করি, মন থেকে করি দল থেকে না মানুষ হিসাবে করি।
জিসান শা ইকরাম
মানুষের কর্ম দিয়ে তাকে বিচার করা হয়, ইতিহাস নির্ধারন করবে তাঁর অবস্থানকে।
আল্লাহ তাঁকে মাফ করুক। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বাঁচ – বাঁচবে হবে,
অপু রায়হান
মৃত্যু মুছে দেয় সব গ্লানি
মরণে মিশে যায় সব অভিযোগ!
তৌহিদ
দোষ গুন মিলিয়েই মানুষ। যখন কেউ না ফেরার দেশে চলে যায় তখন আর তাকে নিয়ে সমালোচনা করে কি লাভ?
তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ তার হেফাজত করবেন, আমিন।
মোঃ মজিবর রহমান
সব মানুষের মাঝেই খারাপ, মন্দ ও সততা, নিতি জোড়িত থাকে। তাই এরশাদ সাহেবেরও অনেক উন্নতি ও প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ মানুষের ভাল দিক ছিল আবার তাঁর শাসন প্রনালী অন্যায়ের মাঝেই ছিল কিন্তু এখন কি সেই কুশাসন কুরাজনিতি থেকে জনতা মুক্তি পেয়েছে , পাইনি।
আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন আমিন।
মোঃ মজিবর রহমান
এরশাদ সাহেব একজন দেশপ্রেমিক অ দেশের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট করেছেন যা পরবর্তী কোন সরকার এওখপন করতে পারেনি।
রাজনীতিবিদদের চোখে তিনি সৌরাচার কিন্তু দেশের জন্য দেশ প্রেমিকি ছিলেন।
হালিম নজরুল
******এরশাদ,ট্রল এবং কিছু কথা*****
————————————————–
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল আমার।৯০’র গণ অভ্যুত্থানের অগ্নিমিছিলে আমিও ছিলাম জনস্রোতের এক ক্ষুদ্র অংশীদার।কিন্তু তার পতনের পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হিসাব মেলাতে গিয়ে থমকে দাঁড়াই।মাঝে মাঝে বড় ভুল মনে হয় অনেককিছুই।যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি দীর্ঘকাল,সেই আঘাতই সইতে হয়েছে যুগের পর যুগ।”গণতন্ত্র মুক্তি পাক” বলে নিপাত চেয়েছি স্বৈরতন্ত্র।কিন্তু মুক্তি মেলেনি।জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে আমাদের উপর।গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য বহু রক্ত দিতে হয়েছে দিনের পর দিন।এরশাদ পতনের মাত্র কয়েক বছরের মাথায়ই গনতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রাণ দিতে হয়েছে অনেককে।কি জাতীয়তাবাদী শক্তি,কি আওয়ামী শক্তি,যেই সরকার ক্ষমতায় এসেছে,তার বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হয়েছে আমাদেরকে।জীবন হারাতে হয়েছে অনেককেই।এরশাদ আমলের মতই যেমন আমরা সয়েছি অগণতান্ত্রিক আচরণ, তেমনি ভোগ করেছি প্রভূত উন্নয়ন।তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হতে পারে এরশাদ ও অন্যান্যদের রাজনৈতিক চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?মৃত্যুর পরও একজন মানুষকে নিয়ে কেন এত ট্রল,কেন এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য!অনেকের সাথে মতপার্থক্য থাকলেও, আমার কাছে এটি বেমানান,অশোভনীয়।
থিওরিটিক্যালী বলতে গেলে এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার সবচেয়ে বড় অংশীদারের নাম এরশাদ।সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আগত এই নেতা ক্ষমতা হারানোর পরেও অংশীদার হিসাবে ক্ষমতায় ছিলেন সুদীর্ঘকাল।কখনো জাতীয়তাবাদী শক্তি,কখনো বা আওয়ামী শক্তি ক্ষমতার সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করবার জন্য তাকে ক্ষমতার অংশীদার করেছে, জোট-ভোট করেছে।তার সাথে পিরিতে মশগুল হতে সমাজতান্ত্রিক শক্তি জাসদও কার্পণ্য করেনি।লোভে হোক,রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে হোক বা স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে হোক,দাবার ঘুটি বানিয়ে তাকেই সব থেকে বেশী সন্মান দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে।প্রত্যক্ষ ক্ষমতা বা অংশীদার হিসাবে থাকার কারনে,তার এই দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশের উন্নয়ন ও সফলতায় তার ব্যাপক ভূমিকা অনস্বীকার্য।আবার দীর্ঘ অপকর্মের দায়ও তার।সুতরাং ঘৃণা যদি করতেই হয়,তবে তাদেরকেই আগে করা উচিৎ,যারা তাকে এই দীর্ঘকালের ক্ষমতায় এনেছেন,লালন করেছেন এবং করছেন।শুধু শুধু একজন মৃত মানুষকে বিষোদগার করে কি লাভ!তার আগে এইসব আমাদের আত্মসংস্কার জরুরী বলেই মনে করি।