হৈতি’তলার পাহাড়ি পথ বেয়ে ফিরছি, হুট করে একটা বৃষ্টির ফোঁটা দেহের এমন এক জায়গায় ছুয়ে গ্যালো, চমকে উঠে অদ্ভুত এক শিহরনে ডুবে গেলুম, তারপর ঝম ঝম বৃষ্টি আমায় পুরো ভিজিয়ে গ্যালেও সেই অনুভূতি আর নিভলো না।
প্রতিটা মানুষের আদরের নিয়ম আলাদা আলাদা, যারা বাজার থেকে রঙিন মোটা কাগজে ছাপা বাধাই কামাসুত্র কিনে এনে মানচিত্র ধরে ধরে সাগর সঙ্গমে যান, তাদের ‘আ’ এ আমটি আমি খাবো পেড়ে টাইপ আম জুটলেও, ঐ আম পাড়াটিও কত্ত সুন্দর রঙিন হতে পারে তা হয়তো জানেন না।
ঢং না করেই বলা যায় যায়,
প্রতি মানুষের মন-দেহে প্রবেশের পথ আলাদা আলাদা।
ওটা যারা খুঁজে তারাই পায় অমৃতের পুরো টুকু…
অপু! তুমি কলকাতায় কী করছো এখন ?
ইসস, থাকলে এক সাথে ভিজতুম আজ।
অপু! তুমি না’কি আমায় পুরোটা চেনো? সত্যি আজকের আগে সেটাই মানতুম না, কিন্তু বিদঘুটে অন্ধকারেই কি করে আমার দেহের সেই জায়গা খুঁজে পেলে, যেখানে ঠোঁট রাখলে আমি সব থেকে বেশি আলোকিত হই ?
সব থেকে ?
উহু।
আজ বিকালের পর থেকে তুমি হেরে গ্যাছো।
হৈতি’তলা থেকে আজ ভোরে কলকাতায় পা রাখতেই ঝম ঝম বৃষ্টি।
অপু’র হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে, ছাতা এগিয়ে বললো !
“তুই ফিরলি, আর কলকাতায় বৃষ্টি এলো”
“জানো অপু! একটা অদ্ভুত আবিষ্কার করেছি”
“কী?”
“না থাক”
আপাতত আমাদের জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাট আসছে,
আসতে দিয়েছি আমরা।
ঘরের আলো নিভিয়ে অপু হেসে বললো,
“সুপর্ণা’দি, একটু অন্য ভাবে কলকাতায় যে আজ বৃষ্টি এলো…”
বলেই ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম ওর শরীরে।
কিছু বোঝার আগেই সেতারের সব ক’টা তার যেন এক সাথে বেজে উঠলো সুপর্ণা’দির শরীরে, ঠিক বিকেলের সেই শিহরণ!!
আবেশে ডুবে যাবার ঠিক আগের মুহূর্তে বললো,
অপু! তুমি কী আমার মন পড়তে পারো ?
আমি না বল্লেও তুমি কি করে জেনে গ্যালে আমার নতুন আবিষ্কার করা ‘পথ’?
১৫টি মন্তব্য
সামশুল মাওলা হৃদয়
অসাধারণ
অপু রায়হান
ধন্যবাদ দাদা ❤
ফয়জুল মহী
অত্যন্ত চমৎকার লেখনী । মনোমুগ্ধকর প্রকাশ , মুগ্ধ হলাম ।খুব সুন্দর লিখেছেন । জুতসই অন্ত্যমিলগুলো ।
অপু রায়হান
প্রেমের বৃষ্টিতে একটু ভিজলে এমন হয় দাদা 😑
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নায়িকার নাম তো আমার নামে ! এজন্য অনেক খানি ভালো লাগা😍😍। ভালো লিখেছেন । আপনার আগের গল্পেও এই নামটা পেয়েছি উনি কি আপনার বিশেষ কেউ? যদি সমস্যা না হয় বলতে পারেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
অপু রায়হান
সুপর্ণা’দি,
আমাকে করেছে সুখী, তাকে না পেলে বুকে জন্মাতো না কার্তিকের মেঘমালা।
তাকে আমি ভালোবাসি, তাকে ছাড়া অসম্ভব আমার জীবন যাপন!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ দারুন। তার কথা শুনে তো তাকে দেখার খুব ইচ্ছা করছে। আপনাদের ভালোবাসা বেঁচে থাকুক। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
অপু রায়হান
জ্বী ভাই প্লীজ রিকুয়েষ্ট দেন
Apu Rihan Badsha
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার লেখা, মুগ্ধ হলাম।
অপু রায়হান
ধন্যবাদ দি’ভাই ❤
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
খুব চমৎকার । ধন্যবাদ ।
অপু রায়হান
জ্বী দাদা ধন্যবাদ ❤
আরজু মুক্তা
নাহ্। এই ছেলেকে নিয়ে পারা গেলো না।
রোমান্টিকতার বাড়বাড়ি।
অপু রায়হান
আপনাকে উৎসর্গঃ করলাম 😑
হালিম নজরুল
রোমান্টিক গল্প। ভালবাসা রইল।