
সময়ের কথা!
মাত্র দু’দিনের বৃষ্টিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ছাড়া বাকি সব ঘর ভেঙে পড়ল। ভাগ্যিস এখনো বসবাস শুরুই হয়নি, হলে হতাহতের ঘটনাও ঘটতো। প্রতিটা ঘরেই কেউ না কেউ মারা পড়তো বা আহত হতো। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে।
বলি, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরগুলো কি প্রধানমন্ত্রী নিজে গিয়ে বানিয়ে দেয়া দরকার ছিল? যদি বলেন হ্যাঁ, তবে বলবো তোরা সকলে চোর হলে সাধু পাবি কই? আর যদি বলেন, না তা কেন? তবে বলবো তবে এর সাথে জড়িত প্রতিটি দুপেয়ে প্রাণীর কঠিন বিচারের আওয়াজ তুলুন নতুবা ধরে ধরে এইগুলারে রাস্তাঘাটে পাড়িয়ে পাড়িয়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করুন।
এবার শুনুন আরেকটি বাস্তব ঘটনা। সবাই ডলার বা পাউন্ড কামাইয়ের নেশাতেই বা উন্নত জীবনের হাতছানিতে দেশ ছাড়ে না। কেউ কেউ শুয়োর পালের মাঝে পড়ে নিজেকে মানুষরূপে খুঁজে পায়না বলেও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
চলুন পড়ে জানি কেন কেউ কেউ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
আমার ভাইটা দেশটাকে বড় বেশি ভালোবাসতো। শুধুমাত্র চুরির পয়সায় জীবন চালাতে চায়না বলেই সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঠিকাদারি ব্যাবসায় সে না চাইলেও সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদার কারণে তার চুরি করার বাধ্যবাধকতা ছিল। নতুবা ব্যাবসা পাওয়া বা টিকিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না। আবার ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে এসব শর্ত মেনে কাজ করতে গিয়ে পরিস্থিতি এমন হতো যে, একপাশের কাজ করে করে অন্যপাশে আসতে আসতেই বিপরীত পাশের করা কাজ নষ্ট হতে শুরু করে।
ভাইটা আমার প্রতিবার পুত্রের মুখে খাবার তুলে দিতে গিয়ে তার মনে হতো কার না কার মুখের গ্রাস জানি কেড়ে নিয়ে সন্তানের মুখে সে তুলে দিচ্ছে। একমাত্র এবং একমাত্র এই মানসিক যন্ত্রণা থেকেই সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সমস্ত যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও শুধুমাত্র চুরিবিদ্যা রপ্ত করতে পারেনি বলে তাকে অন্যদেশে কামলা কেটে জীবীকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
এদেশে সৎ মানুষের ভাত নেই। চোর-বাটপারই এখানে লাট সাব।
মাফ করুন, লিখতে না চাইলেও একেকটা ঘটনা দেখলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনা।
৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
লেখার শিরোনামই বলে দ্যায় লেখার ভেতরে কী কী জমা আছে।এবং সেই সাথে ফিচার ছবি প্রকাশ করলো বাকী অর্ধাংশ। পোষ্টের শিরোনাম এবং ফিচার ফটো লেখার অনেকখানি ভাবার্থ ধারন করে।
মূল বিষয়ে যদি আলোকপাত করি, তাহলে বলতে হয়….. আমি/আপনি যাব কই/ যাবেন কই?
ব্লাক বেঙ্গলের স্বনির্ভর দেশ।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব খুব লজ্জাজনক।
জিসান শা ইকরাম
প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সমস্ত মানবিক প্রকল্পগুলোই এই সমস্ত চোরদের কারনে সমালোচিত হচ্ছে।
এর প্রতিকার হবে না।
আরজু মুক্তা
চোরের কারণেই ভালো মানুষ গুলো ভালো কাজও করতে পারে না।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই চোরদের ধরে ধরে পেটানো দরকার এটা ঠিকই বলেছেন। সব ব্যাটারাই বাটপার!
শুভকামনা সমসাময়িক লেখার দন্য
মনির হোসেন মমি
সব সালা চোর চোরের গুষ্ঠি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এইসব বাটপার গুলোই সরকারের সমস্ত প্রকল্প, সুনাম নষ্ট করে দেয় । কবে যে এসব চোরেরা শাস্তি পাবে!! ধন্যবাদ বিষয়টি ব্লগে প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
হালিমা আক্তার
চোর বাটপার এর মাঝে ভালো মানুষ টিকতে পারে না।আমার ছাত্রীর বাবা ইঞ্জিনিয়ার এবং সরকারি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ছিলেন। শুধু ঘুষ খাবেন না বলে তার অধিনস্ত কর্মচারীদের দারা কয়েকবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ভালো মানুষ যাবে কোথায়।