কেশবপুর থানার মোড়ে একদল হনুমান খেলা করছিল। পাশের এক দোকানী একটি হনুমানের লেজ কেটে দেয়। হনুমানরা দল বেঁধে কাটা লেজটি নিয়ে চলে যায় থানার ভেতর। থানার ডিউটি অফিসারের সামনে গিয়ে হনুমান গুলো চিৎকার শুরু করে দেয়। থানার ডিউটি অফিসারের দিকে হাতজোড় করে নিবেদন করে-এর বিচার চাই। অভিযোগ তাদের এক সতীর্থের লেজ কেটে দিয়েছে মানুষরূপী এক দানব। পুলিশ এসে ওই দোকানীকে ধরার চেস্টা করে। পালিয়ে যায় সেই দোকানী। কিন্তু হনুমান আর থানা থেকে বের হয় না। পরে ওসি এসে হনুমানদের খাবার দেয়। এরপর হনুমান গুলো থানা থেকে চলে যায়। কয়েক বছর আগে সত্যি সত্যি এমন ঘটনা ঘটে কেশবপুরে
………এরূপ ঘটনা শুনে কেশবপুরে যাত্রা, বাকীটা কেবলই ছবি।
(২/৩) কেশবপুরে গিয়ে হনুমানদের খুঁজছিলাম, লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে করতে হনুমানের একটি দলকে পেয়ে গেলাম বন বিভাগের কার্যালয়ের আশেপাশে বিভিন্ন গাছের মগডালে।
(৪) কেউবা উঁকিঝুকি মারছিল মানুষের বাড়িঘরে।
(৫) কেওবা নিজের বাচ্চাকে নিয়ে অলস দুপুর পার করছিল।
(৬/৭) সাথে করে নিয়ে যাওয়া বিস্কুট ছুড়ে মারতেই নানা যায়গা থেকে ওরা ছুটে আসতে লাগল।
(৮/৯) প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও পরবর্তিতে দেখলাম ওরা আমাদের হাত থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছে অনায়াসেই।
(১০/১১) এক সময় ওরা আমাদের কাছে একেবারেই সহজ হয়ে গেল।
(১২) ওদের দেখে এখন আর মোটেও আমাদের কাছে দুর্ধর্ষ প্রাণী মনে হলো না।
(১৩) আমরা থাকতে থাকতেই চলে এল প্রতিদিন হনুমানদের খাবার সরবরাহকারি আতিয়ার রহমান। সরকারি বরাদ্দের কলা রুটি আর কাঁচা বাদাম ওদেরকে খেতে দিলেন তিনি।
(১৪/১৫) কলা রুটি মনে হলো ওদের খুবই প্রিয় খাবার।
(১৬/১৭) একবারে অনেক কলা পেয়ে ওরা ছলাকলা করছে।
(১৮) কাঁচা বাদামের কদরটা ওদের কাছে বেশ ভালো, তাই আতিয়ারের বাদাম দিয়ে আমরাও কিছুটা আপ্যায়ন করলাম ওদের।
(১৯) ওদের সাথে কিছুক্ষণ কাটানোর পর দেখলাম ছোট ছানাটাও আর আমাদের ভয় না পেয়ে হাত থেকে খাবার নিচ্ছে, অথচ প্রথম দিকে সে ভয়ে সিটকে থাকতো।
(২০) নিজ হাতে হনুমানদের খাবার খাওয়ানোর একটা প্রমান তো থাকা চাই B-)
২০টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
ওরা নিজেরাই পারতো দোকানিকে শায়েস্তা করতে । কিন্তু এটা না করে থানায় গেলো বিচার চাইতে।
দারুণ
কামাল উদ্দিন
হয়তো পারতো, কিন্তু সেক্ষেত্রে পপরস্পর শত্রুতা বেড়ে যেতো। কথা যে সত্য নিতাই দাদার লিংকে গেলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।
সঞ্জয় কুমার
ছবিগুলো সুন্দর লাগছে৷
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকুন সব সময়।
নিতাই বাবু
আসলেও সত্য ঘটনা! লিংক দিলাম!
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, আপনার লিঙ্কটা পেয়ে এবার কথাগুলোর সত্যতা পাওয়া গেল।
নিতাই বাবু
প্রত্যুত্তরের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
এদের নিয়ে অনেক সত্য ঘটনা শুনি।
কিন্তু আমি এদের ভয় পাই যে!
কামাল উদ্দিন
ওরা প্রকৃত পক্ষে ভয়ঙ্কর কোন প্রাণী নয়, নিজেদের নিরাপদ রাখতে কিছুটা ভয় তো দেখাতেই পারে।
মনির হোসেন মমি
ওরা দেখতে অনেকটা আমাগো জাত ভাই। ওদের আচরণও অনেকটা আমাদের মত তবে ওরা কঠিন ঐক্য বুঝে যা আমরা বুঝি না। খুব ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
হুমম, জাত ভাইগুলো আজ বিপদে আছে, আমরা গাছপালা কেটে সাফ করে ওদের থাকার জায়গা আর খাবারের ব্যবস্থা সবই ধ্বংস করছি।
জিসান শা ইকরাম
এতো পুরাই হনুমানের রাজ্য,
যশোরে এটি আছে জানতামই না।
ছবি ব্লগ ভালো লেগেছে।
কামাল উদ্দিন
এবার তো জানতে পেরেছেন ইকরাম ভাই 😀
জিসান শা ইকরাম
হ্যা পেরেছি।
ছবি ব্লগের সাথে স্থান আর যাওয়ার পথ লিখে দিলে ভালো হয়। যাদের ইচ্ছে হবে তারা যেতে পারবেন।
কামাল উদ্দিন
প্রথমত লেখার কলেরব বৃদ্ধি করতে চাই না বলে, তাছাড়া বাংলাদেশের যো কোন অঞ্চলে যাওয়ার রুট অন লাইনে সার্চ দিলে অতি সহজেই পাওয়া যায় বলে এসব আর দিতে চাইনা ইকরাম ভাই।
তৌহিদ
যশোরের হনুমান রাজ্যের কথা শুনেছিলাম আজ ছবিতে দেখে মনে শান্তি এলো।
চমৎকার সব ছবি ভাই।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।
আরজু মুক্তা
একবার প্রথম আলোতে পড়েছিলাম
কামাল উদ্দিন
আমিও কোথাও পড়েছিলাম, তারপরই তো ছুট লাগাইলাম, শুভেচ্ছা জানবেন আপু।