
এই-যে এই বিনিদ্রের অটল ভূবনে,
প্রতিনিয়ত সঙ্গ দেয়
লিখিত-অলিখিত লেখাগুলো,
স্বপ্নাচল ছুঁয়ে ছুঁয়ে;
সুঘ্রাণ স্যানিটাইজারের শীতলতা দিয়ে
হাত ধুইয়ে দেয়;
রোদ-বৃষ্টির আবাহন নিয়ে গুঞ্জনের সুর তোলে
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে, বা নাক ডাকা ঘুম ঘুম প্রহরে;
বন্যা উপদ্রুতার স্রোত ছাড়াই
দ্বিধাহীন ভাবনা-ভেলায় বয়ে নিয়ে যায়;
নিষিদ্ধ আড্ডা ভুলিয়ে স্বর্গোদ্যানে
নিরাল নিরিবিলিতে হাঁটতে দেয়;
হস্তিনাপুরের চাবিটি কিছুতেই
হাতছাড়া করতে চায় না।
ছবি, নেট থেকে।
২২টি মন্তব্য
তৌহিদ
স্যানিটাইজার বিশেষকরে এলকোহলের গন্ধযুক্ত যেটি সেটা আমার মোটেও পছন্দ নয়। তবে কবিতার মত কেউ হাতে ধরে ধুয়ে দিলে মন্দ নয়। হস্তিনাপুর কি মহাভারত থেকে থেকে নিয়েছেন ভাইজান?
শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক রকম স্যানিটাইজার আছে, সুঘ্রাণ একটি আমাদের বেছে নিতেই হবে, এ সময়ে।
হস্তিনাপুর একটি ই, সেটি অবশ্যই মহাভারতের।
ভাল থাকবেন, আপনি।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ! মহারাজ, আপনার কপালে দেখি লেখার চাঁদ উঠেছে। লেখারা স্বেচ্ছায় আপনার হাতে বন্দী হতে চাচ্ছে! তাহলে আর প্রতিদিন একটা একটা কেন! একজোড়া করেই দিন, মনের সুখে পড়তে থাকি 😇
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, আপনি স্বজন বলেই সে কপাল-চাঁদটি দেখতে পেলেন, সবাই পায় না।
আপনাদের দুয়ায় কিছুটা স্বেচ্ছা বন্দিত্ব ওরা(লেখারা) পছন্দ করে নিয়েছে। অবশ্যই আপনি মনের সুখ নিয়ে প্রতিদিন না
কিছুকিছু দিন আপনি পড়েন। কৃতজ্ঞ তা অঢেল।
তবে রোজ দু’টি লেখা লেখার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি না। যদি দশটি লেখার কথা বলতেন প্রতিদিন, তাহলে দেখাতাম পরীক্ষা করে নিজেকে
উৎরে যেতে পারি কী না!
বর্হির বাটিতে দু-এক গন্ডা লেখা কিউ লাগিয়ে হুটোপুটি খেয়ে প্রবেশাধিকার চায়, ভেতর বাটির কথা বলতে চাই না, দেখাতেও না।
নিরাপদে থেকে সামান্য উঁকিঝুঁকি চালু রাখবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
খোঁচা ভালোই দিতে পারেন, ব্যাপার না।
হোক তলোয়ার বা কলম, খোঁচাখুঁচি মহারাজদের কাজকারবারের মধ্যেই পড়ে..
মাত্র দশের চ্যালেঞ্জ!
উহু, টার্গেট দিলাম পঁচিশ,
আসন্ন ইফতারের মধ্যে করে দেখান… সময় বর্ধিত করা যাবে না, ঈদ দোরগোড়ায় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আরে না! কে আর কাকে খোঁচায়!
তা পঁচিশ( আউল-ফাউল) লিখতে ইফতার পর্যন্ত যেতে হয় না কী!
লিখলে কি হবে তা কিন্তু জাতি জানতে চাইতেই পারে।
মাহবুবুল আলম
“সুঘ্রাণ স্যানিটাইজারের শীতলতা দিয়ে
হাত ধুইয়ে দেয়;” দারুণ হয়েছে।
শুভেচ্ছা জানবে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নিয়মিত সময় দিচ্ছেন।
সাবধানে থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিনিদ্রের অটল ভুবনে লিখিত অলিখিত লেখাগুলো সঙ্গ দিলে তো আমাদের জন্য সুসংবাদ। এভাবেই প্রতিদিন লেখা পাবো । আপনার তো পোয়াবারো অবস্থা। সুগন্ধি স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে লিখতে থাকুন বিশুদ্ধ লেখা যাতে করোনা ছড়াতে পারবেনা। আপাতত নিষিদ্ধ আড্ডা বাদ দিয়ে স্বর্গোদ্যানে হাঁটতে পারলে আর কি লাগে!
ছাইরাছ হেলাল
যা হচ্ছে সবই আপনাদের অশেষ আনুকল্যে,
কবে যে বিরক্ত হয়ে ‘ক্ষ্যামা দিন’ বলে ফেলবেন সে ভাবনাও উঁকি দেয় বৈকি।
জানি বলবেন না, তবুও এমুন অত্যাচার কাহাতক সহ্য করা যায়!!
লিখতে আমি পছন্দ করি এটি কিন্তু সত্য!
ভাল থাকবেন আপনি।
ফয়জুল মহী
বর্তমান জীবন চলার কথা
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এখনকার কথা বলার চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্বপ্নাচলের কবিতারা দিন দিন হানা দেয়
মহারাজের অন্তরে।
আমরাও মজা পাই বন্ধু তোমার অগোচরে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের আশকারা পেয়েই তো এমন ফালাফালি।
ভাল থাকবেন ভাই।
কামাল উদ্দিন
হস্তিনাপুরের চাবিটা আমার চাই বড় ভাই। কারণ ওখানে যাওয়ার ইচ্ছেটা ভেতরে এখনো সুপ্ত রয়েছে আমার।
ছাইরাছ হেলাল
সে চাবি অনেকেই চায়, পায় না। দিতে চায় না। খুব নাকি কঠিন সেটি পাওয়া।
আপনি চেষ্টা নিতে থাকেন, মন দিয়ে।
ভাল থাকুন।
হালিম নজরুল
আসলেই বিনিদ্রের অটল ভূবনে প্রতিনিয়ত সঙ্গ দেয়
লিখিত-অলিখিত লেখাগুলো। বেঁচে থাকুক ওরা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ওরা বেঁচে থেকে আমাকেও বাঁচিয়ে রাখবে।
ভাল থাকুন।
শামীম চৌধুরী
হস্তিনাপুরের চাবিটি কিছুতেই
হাতছাড়া করতে চায় না।
একটু বিশদ ভাবে বুজিয়ে দিলে আমার জন্য ভাল হতো।
সুন্দর লিখেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
মাফ চাই, মহাভারত বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখি না,
যদিও সামান্য সামান্য পড়ার সুযোগ পেয়েছি।
নিরাপদে থাকুন, সবাইকে নিয়ে।
সুরাইয়া পারভীন
অলিখিত লেখাগুলোও যেনো
দর দর করে লিখিত হয়ে যাচ্ছে
সুঘ্রাণ স্যানিটাইজারের ঘ্রাণে
উন্মত্ত মাতাল শব্দরা উপচে পড়ছে
সোনেলার উঠোনে জুড়ে
ছাইরাছ হেলাল
এমন সুন্দর মন্তব্য পড়লে শব্দেরা একটু আনচান হতেই পারে। হয় ও।
চোখ যত্নে রাখবেন, নিরাপদে থাকবেন।