
রাজার নৈশভোজে দালান জাহান ভাই হাতের কব্জি ডুবিয়ে ও পেট ফুঁলিয়ে যে হারে খাচ্ছিলেন তাতে জিসান ভাইজান পৃথিবীতে ফিরতে হবে মনে না করিয়ে দিলে তিনি রাজ-মেহমান খানায় ঘুমানোর সুযোগটাও নিতেন।
আমরা পৃথিবীতে ফিরতে পারায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লাম। যতক্ষন রাজার দেশে ছিলাম ততক্ষন মনে হচ্ছিল ওরা লিলিপুট আমরা ববডিগনান। এ যেন গালিভার ট্রাভেলসকেও হার মানায়। যাক সেই লোমর্ষক কাহিনী। জিশান ভাইজানের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় আমরা এ যাত্রা রক্ষা পেলাম। সাজেকের গুষ্টি কিলাই।
ইঞ্জা ভাই নাস্তার জন্য রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ীর এক হোটেলে আমাদের নিয়ে আসলেন। সবাই নাস্তার জন্য অপেক্ষা করছি। গরম গরম পরোটা,সব্জি ও ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তার পর্ব শেষ করলাম। চা পানের ফাঁকে সবাইকে বললাম আগামী ৫দিন আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে না। ছাইরাছ হেলাল ভাই কারন জানতে চাইলেন। তার সঙ্গে যোগ দিলেন তৌহিদ ও মমি ভাই। দেখা না হবার কারন ব্যাখ্যা করলাম। বললাম, পদ্মার চরে নতুন পাখি এসেছে তার ছবি তোলার জন্য রাজশাহী যাবো।
পাখির ছবি তুলতে যাবো শুনেই জিসান ভাই, ইঞ্জা ভাই, মমি ভাই, তৌহিদ,সাবিনা ইয়াসমিন, সুপায়ন বড়ুয়া, সুপর্ণা ফাল্গুনী, বন্যা ইসলাম, আরজু মুক্তা, সঞ্জয় মালাকার, প্রদীপ চক্রবর্তী, নাজমুল হুদা, শামীনুল হক হীরা, সুরাইয়া পারভীন, বন্যা লিপি (বফু), উর্বশী , সুরাইয়া নার্গিস, দালান জাহান, আলমগীর সরকার লিটন, হালিম নজরুল রেহানা বীথি, রোকসানা খন্দকার রুকু, খাদিজাতুল কুবরা, ফয়জল মহী, মাহবুবুর রহমান, ইসিয়াক, কামাল উদ্দিন,কামরুল ইসলাম,মজিবর রহমান, খুরশীদ আলম পপি, তালুকদার, রেজওয়ানা কবির, মুহাম্মদ মাসুদ, ত্রিস্তান শামসুল মাওলা হৃদয়,সাফায়েতুল ইসলাম,তোফাজ্জল হোসেন সহ সবাই এক সুরে গেয়ে উঠলো পাখি ভাই আমাদেরও সঙ্গে নিতে হবে। আমরাও যাবো। আমি সবার আগ্রহ দেখে আপ্লুত হলাম। আমার সঙ্গী হবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম।
নাস্তার টেবিলে ইঞ্জা ভাইয়ের “বিকে অটোমোবাইলসে” নুতন জবে যোগদান করায় আরজু মুক্তা আপু ট্রিট দেয়ার বায়না ধরলেন। ইঞ্জা ভাই সবাইকে বললেন, রাজশাহী ভ্র্রমনে নুতন অফিস থেকে আমাদের জন্য গাড়ির ব্যাবস্থা করবেন। আমরা বিনা খরচে রাজশাহী যাবো। সুপর্না ফাল্গুনী দিদিভাই বলে উঠলেন এর চেয়ে বড় ট্রিট আর কি হতে পারে। হালিম নজরুল ভাই বললেন, সিরাজ গঞ্জের ফুড ভিলেজে বিরতির সময় নাস্তার ব্যাবস্থা করবেন। সাবিনা আপু বললেন, ৪/৫ ফ্লাস্ক আদা দিয়ে মসলা রং চায়ের বন্দোবস্ত করবেন। তৌহিদ সকালের নাস্তার ব্যাবস্থা করবে।
বাহ..!! কি চমৎকার ভাগাভাগি। যা কিনা সোনেলা পরিবারেই সম্ভব। সকলের মনোভাবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি ঘোষনা দিলাম যে, সবার ব্যাক্তিগত ছবি তুলে ফ্রেমে বাঁধিয়ে উপহার দিবো। সঙ্গে বোনাস থাকবে সোনেলা পরিবারের গ্রুপ ছবি। সকলেই সমস্বরে বাহবা দিয়ে বললো, স্মৃতিকে বেঁধে রাখার জন্য এর চেয়ে বড় কিছু আর নেই।
রেহানা বীথি আপু ও তৌহিদ আমাদের সঙ্গে রওনা না হয়ে ইউ,এস বাংলার সকাল ১১টার বিমানে রাজশাহী চলে গেল। আমরা রাত ৯টার মধ্যে বনশ্রী হাউজিং সোসাইটির ইঞ্জা ভাইয়ের বাসায় চলে আসলাম। জিসান ভাই তার চোখের চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করায় আসতে কিছুটা দেরী হবে। ছাইরাছ হেলাল ভাইকে সেলফোনে এমনটাই জানালেন। ইঞ্জা ভাবী সবাইকে মাল্টার জুস দিয়ে আপ্যায়ন করলেন। জিসান ভাইজানের জুসটা গ্লাসে ঢাকা ছিলো। কাউকে কিছু না বলেই ফয়জল মহী ভাই সেই জুস এক চুমুকে পান করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বললো জুসটা দারুন হয়েছে।
রাত ১০টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আমরা মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করলাম
চন্দ্রা চৌরাস্তায় আসার পর মমি ভাই গান ধরলেন-
ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া
করতে হবে এবার বিয়া
সোনারই চাঁন পিতলা ঘুঘু
যাবে কোথায় পালাইয়া।
সুরাইয়া আপু বললেন,
দাদা কার লগে ফাঁসলেন?
কবে বিয়াডা করবেন?
ছবি টবি দেহান?
মমি ভাই লজ্জায় মুখটা অন্ধকারে আড়াল করলেন। আমি বললাম যহন ফাঁসাফাঁসিই হইছে তহন গানটা চালাইয়া যান। মমি ভাইয়ের মুহে কুনু রাও শব্দ নাই। সবাই মমি ভাইরে লইয়া হাসি-তামশায় ফাইট্টা পড়লো। এমন সময় মহারাজ ছাইরাছ হেলাল ভাই “কন্টক বিনা ভালোবাসা” নিজের লেখা কবিতা আবৃতি শুরু করলেন। অসাধারন কবিতা ও মধুর কন্ঠ সবাইকে অন্য জগতে নিয়ে গেল। তারপর ছড়াকার হালিম নজরুল ভাই “বানর কেন গাছে ঝুলে” ছড়া কাটলেন। রুকু আপু ও কুবরা আপু একান্ত অনুভূতিতে প্রকাশ করলেন তারা কেন সোনেলার উঠোনে আছাড় খেয়ে কোমর ভেঙ্গেছিলেন।
রাত তিনটা। হাইওয়ে ফুড ভিলেজে গরম গরম ডাইল পুরী ও সাবিনা আপুর নিজের হাতে বানানো মসলা চা পান করে রওনা হলাম। এমন সময় আদরের ছোট বোন শবনম মুস্তারী আমাকে ফোন দিয়ে বললো রাজশাহীর তালাইমারি মোড়ে প্রবেশ করে যেন তাকে কল দেই। আর সকালের নাস্তায় মিষ্টি থাকবে কিনা? প্রশ্নটা করার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ইঞ্জা ভাই, জিসান ভাই
,কামাল ভাই,সুপায়ন বড়ুয়া সহ অনেকের বহুমূত্র রোগ চরমে। আমি বললাম “রাজশাহীর মিষ্টি বাড়ির” মিষ্টি ছাড়া কি নাস্তা হয়? রস কদম ও চমচম যেন থাকে। তার মানে সকালের নাস্তা তৌহিদের শ্বশুড়ালয়ে।
আড্ডা, কবিতা পাঠ ও রাজা যে বোকা ছিল সেসব নিয়েই আমরা গল্পে মেতে ছিলাম। এমন সময় রেহানা বীথি আপু কল দিয়ে বললেন, তিনি দুপুরের খাবারের আয়োজন করবেন।
পোলাও কোরমা খাবো?
নাকি সব্জি ,ভাত ,মাছ ও মুরগীর মাংস?
সুপায়ন বড়ুয়া দাদার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম তিনি পোলাও কোরমার প্রতি আসক্ত। ইঞ্জা ভাই, মমি ভাই, সুপর্না ফাল্গুনী দিদি ও বণ্যা লিপির (বফু) লোভটাও কম না। কারন তারা সবাই খাদক। পারলে দুই হাতের কব্জি ডুবিয়ে পোলাও কোরমা খায়। আমি শুধু ব্যাতিক্রম। পাখি ছাড়া কিছুই বুঝি না। সবার কাছে জানতে চাইলাম দুপুরে কি খাবে? সবাই বললো পাখি ভাই যেটা বলবে সেটাই। আমি রেহানা আপুকে সাদা ভাত সব্জি ও মাছের কথা বললাম সঙ্গে খেজুর রসের পায়েশ।
ভোর ৬টায় আমরা সোনেলা পরিবার শবনম মুস্তারীর বাবার বাড়িতে পৌছালাম। এই বাড়ির একমাত্র জামাই তৌহিদ আমাদের অভ্যর্থনা দিয়ে অন্দরমহলে নিয়ে গেল। বিশাল রুম। চারিদিকে সোফা ও ডিভাইনে ভরা। দেয়ালে মুস্তারীর হাতের নঁকশায় কারুকার্য করা শো-পিস। সবকিছু মিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি বসার ঘর। আমরা যার যার মতন ফ্রেশ হয়ে সোফায় ও ডিভাইনে শরীরটা হেলিয়ে দিলাম। এমন সময় শবনম মুস্তারী লুচি,গাজরের হালুয়া,পরোটা,খাসির মাংস, মুরগী ভূনা,পেঁপের হালুয়া, সব্জি ভাজি, ডিম পোঁচ, নারিকেলের নাড়ু, খেজুরের গুড়ের পায়েশ সহ দশ রকমের রাজশাহীর সেরা মিষ্টি দিয়ে নাস্তার টেবিল সাঁজিয়ে আমাদের সবাইকে ডাইনিংয়ে নিয়ে গেল।
আমি লাইফস্টাইল মোডিফায়ার করায় এখানের অনেক খাবারই আমার জন্য বারন ছিল। আমি সবই দেখছি যে, কে, কিভাবে, কতটুকু পরিমান খাচ্ছেন। ছাইরাছ হেলাল ভাই ও দালান জাহান ভাইয়ের মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হলো। তাই দেখে সুরাইয়া পারভীন ও বন্যা লিপি বফুও কম না। খেতে খেতে ইঞ্জা ভাই ও আলমগীর সরকার লিটন ভাই জামার সামনে বুকের প্লেট হলুদ রঙে রাঙিয়ে ফেলেছেন। মমি ভাই, ফয়জল মহী, মাহবুবুর রহমান, ইসিয়াক, কামাল উদ্দিন,কামরুল ইসলাম,মজিবর রহমান ভাইদের গালের ভিতর কি যেন পোটলার মতন ফুঁলে আছে। এমনই ফোঁলা যে তারা কেউ মুখ থেকে কথা বের করতে পারছেন না। পরে দেখলাম বহু কষ্টে একেক জনের মুখের ভিতর গুঁজে রাখা ৫টি করে মিষ্টি গলঃধকন করে মুক্ত হলেন। এরপরও তৌহিদ সবার প্লেটে যা পারছে তুলে দিচ্ছে। রেজওয়ানা কবির ও উর্বশী আপুর মনটা খারাপ দেখলাম। বুঝতে কষ্ট হলো না যে তারা দুজনে মিষ্টি পাননি। কারন আগেই কিছু মিষ্টি কামাল ভাই ও ছাইরাছ হেলাল ভাই পলিথিনে করে পকেটে ভরে রেখেছেন। আমরা নাস্তার জন্য শবনমকে ধন্যবাদ দিয়ে তৌহিদ ও শবনমকে সঙ্গে করে পদ্মার টি-বাঁধে রওনা হলাম।
সকাল ৯টায় পদ্মার ঘাটে পৌছালাম। আগে থেকেই নৌকার মাঝি অনিক ও নুরুকে বলা ছিল। তারা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে আমাদের অপেক্ষায় ছিল। আমরা সবাই নৌকায় উঠবো এমন সময় নদীর ধারে কাঠাল গাছে দুধরাজ পাখি এসে বসলো। সবাইকে ইশারায় পাখিটিকে দেখিয়ে বললাম এটা এশিয়ান প্যারাডাইজ বা দুধরাজ পাখি। এক হাত লম্বা সাদা দুধের আলাতা রঙের লেজ দেখে সবিনা আপু,বন্যা আপু, কুবরা আপু. সুরাইয়া আপু. সুপর্না ফাল্গুনী দিদিভাই সহ সব আপুরা ক্রাশ খেল। ছাইরাছ হেলাল ভাই আমার হাত থেকে ক্যামেরা ঈগলের মতন ছোঁ মেরে নিলেন। যেই ছবি তুলতে গেলেন অমনি দুধরাজ তার এক হাত লম্বা লেজ ঘুড়ির লেজের মতন পাঁক দিয়ে উড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তৌহিদ বলে উঠলো কবিতার মহারাজ কি ছবিরও মহারাজ হতে চায়? রাজে রাজে মিল থাকলেও মহারাজকে দুধরাজ পাত্তাই দিলো না।
সবাই হা…হা….হা….. করে হেঁসে উঠলো।
আমরা নৌকায় পদ্মায় হাস্নাতের চরে যাবো। সেখানে হাঁস জাতীয় জলজ পাখির মেলা। এরই মধ্যে হরেক রকমের পাখি আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে সবাই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গেল। যে যার মতন করে পাখির ছবি তুলতে শুরু করলো। কেউ মোবাইলে কেউ পাওয়ার শট ক্যামেরায়। শুধু মাত্র ইঞ্জা ভাই মাঝে মাঝে আমার ক্যামেরায় দুই একটি ক্লিক করে জানতে চান কেমন হলো? ইঞ্জা ভাইয়ের এই কৌশলের লোভটা মজিবর ভাইও নিতে চায় বলে মনে হলো। কিন্তু সাহস করে তিনি ডি,এস,এল,আর ক্যামেরা হাতে নিলেন না।
কমন কুট, পাতি সরালী, চখাচখি, খোঁপা ডুবুরী, মৌলভী হাঁস, ডোরা-মাথা রাজহাঁস, মরিচা রঙের ভুঁতি হাঁস, পিয়াং হাঁস, কমন সেল্ডাক সহ হরেক প্রজাতি পরিযায়ী হাঁস পাখির দেখা পেলাম। ভুঁতি হাঁস পাখি এতই কাছে চলে আসলো যে, সেটা ধরার জন্য জিসান ভাই যেই হাত বাড়ালো অমনি দেহের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় নৌকা থেকে পানিতে পড়ে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তৌহিদ পানিতে ঝাঁপ দিল। এরই মধ্যে জিসান ভাইয়ের কয়েক কলস পদ্মার টলটলে পানি পান করা হয়েছে। তৌহিদ চোরা বালিতে আটকে গেল। সবাই আতংকিত হয়ে পড়লো। আমি শবনম মুস্তারীর দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেচারী পারে তো চোরা বালিতে তৌহিদের সঙ্গী হয়। দুই হাতে বুকে চাপড়াচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে আমার বাবুটারে বাঁচাও। নৌকার দুই মাঝি তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় তৌহিদকে উদ্ধার করলো। নৌকায় তৌহিদকে শুইয়ে দেয়া হলো। শবনম মুস্তারী মাথার সামনে বসে কানে কানে বললো “বাবু পদ্মার পানি খাইছো”?
আমরা হাস্নাতের চরে ছবি তুলে যখন টি-বাঁধের ঘাটে ফিরবো তখন রেহনা আপুর স্বামী আমাদের সকলের প্রিয় দুলাভাই জিসান ভাইকে কল দিয়ে বললেন তিনি ঘাটে অপেক্ষা করছেন। তাঁর বাসায় দুপুরের খাবারের জন্য আমাদের নিয়ে যাবেন। এই ফাঁকে হালিম নজরুল ভাই প্রস্তাব দিলেন গোসলটা পদ্মায় সেরে নিলে কেমন হয়? পুরুষরা সবাই রাজি হয়ে পদ্মায় ঝাঁপাঝাপি শুরু করে দিলে। টলটলে পরিস্কার ও ঠান্ডা পানির ছোঁয়ায় শরীরটা জুড়িয়ে গেল। সব আপুরা পদ্মার পানিতে হাত ও মুখ ধুঁয়ে নিলো। দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে ঘাটে ফিরলাম। দুলাভাই আমাদের জন্য কচি ডাব নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা সবাই ডাবের পানি পান করে রেহানা আপুর বাসায় রওনা হলাম।
দুপুর দুইটায় রেহানা আপু আমাদের সবাইকে খাবার টেবিলে বসালেন। আমি ও তৌহিদ আপুর বাচ্চাদের জন্য ইগ্লু আইসক্রীম বক্স, কিছু পানীয় ও শুকনো খাবার নিয়েছিলাম। সেগুলি তাদের হাতে তুলে দিলাম। বাচ্চারা খাবার পেয়ে যানপরনাই খুশী হলো। বিশাল ডাইনিং টেবিল জুড়ে খাবার আর খাবার। রেহানা আপু ৪০ রকমের খাবারের আয়োজন করেছেন। যার মধ্যে রাজশাহীর পদ্মার ইলিশ, সুন্দরী মাছ, বড় বড় চিংড়ি, নদীর পাঙ্গাস, বেলে মাছ, আইড় মাছ, নদীর শিং মাছ ও রুই মাছ উল্লেখযোগ্য। সঙ্গ আছে সব্জি,মুগ ডাল দিয়ে মুড়িঘন্ট,বেগুন ভর্তা, সরিসা ইলিশ,গরুর ভুনা,খাসীর রেজালা, মোরগের রোষ্ট, কলাইয়ের রুটি, শুটকি ভর্তা, মাসকলাইয়ের ডাল, বিন্নি চালের ভাত,সাদা পোলাও, আপুর হাতের সেরা গরুর দুধের ক্ষীর,মিষ্টি ও টক দই সহ আরো নানান আইটেম।
ইঞ্জা ভাই, ছাইরাছ হেলাল ভাই, হালিম নজরুল ভাই, মমি ভাই, তৌহিদ, মজিবর ভাই, সুপায়ন বড়ুয়া দাদা সহ সবাই যে যার মতন নিচ্ছে আর কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে। কথা বলার ফুসরৎ নেই। কেউ কথা বলতে চাচ্ছে না। কারন খাবার যদি কম খেতে হয়। দালান জাহান ভাই ও ইঞ্জা ভাইয়ের সাদা ফুল শার্টের হাতল বাসন্তী রঙে রঙিয়ে গেছে।। তা দেখে যে কেউ বুঝবে তরকারীর ঝোল কি ভাবে গড়িয়ে পড়েছে। হা হা হা….!!
আপুরাও কম না। তারাও যেন কোমরে শাড়ি বেঁধে নেমে পড়লো। বন্যা লিপি(বফু),আরজু মুক্তা,সাবিনা ইয়াসমিন,উর্বশী, কুবরা, শবনম হাতের ঝোল চাঁটছে আর মুরগীর রান টেনে টেনে শেষ করছে। মাঝে মাঝে টক দই দিয়ে খাসির রেজালা সাবাড় করছে। আহারে দেখে মনে হলো কতদিন আপুরা এমন মজাদার খাবার খায় না। শবনম মুস্তারী ফাঁকে ফাঁকে তৌহিদের প্লেটে মাছ মাংস দিয়ে আসছে। তাই দেখে সবাই বলে উঠলো বাবু খাও…!!
আমরা সবাই ক্লান্ত ছিলাম। তাই দুপুরের খাবার শেষে যে যার মতন বিশ্রাম নিলাম। আমি একটা ডিভাইনে শরীর ঢেলে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বলতে পারবো না।
হঠাৎ বাসার পাশের মসজিদ থেকে মুয়াজ্জ্বিনের কন্ঠে “আসসালাতু খায়রুম মিনান্নাউম” ধ্বনি কানে ভেসে আসলো। চোখ খুলে দেখতে পেলাম আমার শোবার ঘরটি তখনও জোনাকীর আলোয়ে আলোকিত। বাঁ দিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখি সহধর্মিনী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। নিজের হাতে নিজেই চিমটি কাঁটলাম।
অতঃপর নিজেকে সামলে নিয়ে ফজরের নামাজের প্রস্তুতি নিলাম।
৬৮টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
খাইয়েদাইয়ে এক্কেবারে অস্থির অবস্থা বানিয়ে ছেড়েছেন শামীম ভাই। অবশ্য ঠিকই বলেছেন, আপনার স্বপ্নে যতবার খেতে বসেছি তিনদিনের খাবার এক স্বপ্নেই খেয়ে ফেলেছি 🙂
বাবু পদ্মার পানি খাইছো!
হাহাহা, তৌহিদ ভাইয়ের কানেকানে বলা শবনমের কথাটা আপনিও শুনেছেন! অথচ আমি তখন এইসব না দেখার ভান করে জিসান সাহেবের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সব সময় পদ্মায় পাড়ি দেয়া লোকটা পানিতে পড়ামাত্র এত কলস পানি কিভাবে খেলো এটা একটা রহস্য! “বাবু তুমি পেট ভরে পানি খাইছো ” এটা কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলো না, বেচারি।
চা বানিয়ে খেয়ে আসি। বাকিটা পড়ে বলবো।
নাজমুল হুদা
আগে একটু হেসে নেই। এখন বলি – বিশাল ভ্রমণে এতো খাওয়া দাওয়ায় আমি নাজেহাল। পলিথিন যেসব ভাইয়েরা মিষ্টি লুকিয়ে ছিলেন। তারা কী সেই মিষ্টি বাড়িতে এনে বলবেন, বাবু খাইবা? সেই দৃশ্য আমার ভাবতায় অবাক লাগে। মানুষ ক্যামনে পারে। বুঝছি তৌহিদ ভাইয়াকে সবার হিংসে হয়, এজন্যই মিষ্টি লুকানো হয়েছে। যাক আমার কিন্তু আবার মিষ্টি লুকানো আর বাবু-টাবু বলার অভ্যাস নাই।
সবার সাথে এতো গুণী মানুষের সাথে একসাথে বসে খেতে পারছি এতেই আলহামদুলিল্লাহ।
শামীম চৌধুরী
নাজমুল ভাই
মনে হয় বাড়িতে নিয়ে বলেছে বাবু খাইবা। তোমার জন্য পলিথিনে ভরে লুকিয়ে এনেছি। উরেএএএএ বাবুর জন্য ভালুবাসা।
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…!! আপু আমি নিজের লেখা নিজেই পড়ে শুধু হেসেছি। শবনম যখন কানে কানে তৌহিদকে বলে বাবু পানি খাইছো তখনতো আমি তৌহিদের কাছে বসে বাতাস করছিলাম। আর সবাই আমাদের স্বপ্নে শুধু বেড়ানোতে দাবড়িয়েছে। কেউ খেতে দেইনি। তাই এবার সবাইকে পেট পুরে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ালাম। জিসান ভাইজানরে আমি কইছিলাম ****** খাইছেন?
তৌহিদ
ভাইয়ে আম্রে বাতাস কত্তেছিলেন!! অথচ একচোখ খুলে দেখি সাবিনা আপার লগে মিটিমিটি হাসছিলেন ☺
শামীম চৌধুরী
কথা সত্যই বলেছো। সবিনা আপুর দিকে হাসির কারন ছিল শবনমের সেই বাবু পানি খাইছো ডায়লগ শুনে। হাহাহা..!!😂
তৌহিদ
বাবু খাইসো!! শরম পাইছি 😜
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…!! তবে হলতে শবনম শরম পায়নি। বরঞ্চ তোমাকে যে ভালোবাসে জীবনের চেয়ে বেশী সেটাই প্রকাশ পেয়েছে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সবটাতেই দেখছি আপুরাই বেশি খায়॥ এত্তো এত্তো খাবার দাবার বাপরে বাপ মাথা ঘুরছে।
পাখি ভাইয়ের পাখি ক্রাশটা দারন ছিল। এই পাখিটা উড়লে আসলেই এমন অবস্থা হয়।
আর ‘বাবু খাইছো‘ খালি তৌহিদ ভাই কেন? আপনারা তো সবাই খাইলেন।
ফাইনালি অনেকদিন রাজশাহী যাওয়া হয়না গেলাম। কারও কারও শশুর বাড়িতে খেয়েদেয়ে মজা পেলাম।হাসলাম
অনেক। সাবিনা আপুর লাল চা খেয়ে যাই আমিও গিয়ে নামাজ পড়ি।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
শামীম চৌধুরী
রুখসানা আপু
শুধু তৌহিদকেই শবনম বলেছে বাবু খাইছো।
যাক আপনাকে রাজশাহী ঘুরিয়ে আনতে পেরেছি এটাও বা কম কিসের। শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
ঠিক শুধু আমি কেন! যারা খাইছে তারা সবাই বাবু। আপু আসেন ভাইবোনে হাত মিলাই। আম্রে শরম দিতে দিতে এরা শেষ করলো!!
শামীম চৌধুরী
বাস্তবতা কি লজ্জ্বা আদরের ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পোট্রেট করেন এই প্রথম জানলাম, নাসির আল মামুন আমার প্রিয়। তাঁর সব বই পড়েছি, এবং অনলাইনে
তাঁর সম্পর্কে এমন কোন লেখা-সাক্ষাৎকার নেই যা পড়িনি।
আহারে লেজই পেলাম পাখি আর পেলাম না।
বাবু তো দেখছি শুধু পানি-না, অনেক কিছু খাচ্ছে, অবশ্য আমরা তার শ্বশুর-বাড়ি খাচ্ছি। হাউ মাউ খাউ, আরও মিষ্টি খাউ!!
যাক অবশেষে আপনার গল্প পড়তে পেরে সত্যি আনন্দিত, ধন্যবাদ দিচ্ছি।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান,
পক্ষীর ছবি যখন তুলি তখন তারে তো প্রোর্ট্রেট বানিয়েই তুলি। আপনাদের না হয় পক্ষী বানিয়ে প্রোর্ট্রেট তুললাম। সব সেটিংসতো একই।
তবে পলিথিন ভরে যে মিষ্টি আনলেন সেটা কোন বাবুকে খাওয়ালেন?
ভাল থাকবেন ভাইজান।
তৌহিদ
বাবুর বাসায় খেয়ে পেট ভরেছে মহারাজ!! খাবার কিন্তু অনেক আছে ☺
শামীম চৌধুরী
আবার পলিথিনে ভরে চুপিসারে মিষ্টিও নিয়েএসেছেন। বাসায় ভাবীকে দিয়ে হলেন, বাবু আমি খাইছি। তোমার জন্যও আনছি। 😂
আলমগীর সরকার লিটন
প্রিয় শামীম দা অসাধারণ লেখেছেন লাল স্যালুট জানাই——————
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ রইলাম ভাইজান।
স্যালুট আপনাকেও।
রেহানা বীথি
“বাবু, পদ্মার পানি খাইছো…?”
আমি তো হাসতে হাসতে শেষ। খাদ্যসমৃদ্ধ স্বপ্ন-গল্পে খাদক পার্টির খাওয়ার দৃশ্যগুলো কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি। আর আমার বাড়িতে দুপুরের ভোজ, আহা, যদি সুযোগ পেতাম সবাইকে খাওয়ানোর!
ভীষণ ভীষণ সুন্দর লিখলেন শামীম ভাই।
শামীম চৌধুরী
হো আপু, বাবু পদ্মার পানি খাইছে। আর এত এত আইটেমের খাবার দিয়ে দুপুরের আহার করালেন তা কি ব্লগার ভাই বোনেরা কোনদিন চিন্তা করতে পেরেছে। এবার বুঝুন। আমার সঙ্গে সফর মানে হাতের কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। যাক আপনি ইউএস বাংলা উড়োজাহাজে চলে আসাতে এত খাবার দিয়ে দুপুরের খাবার খেতে পারলো সবাই। আমি কিন্তু আপু খাইনি। খাবারটা পাওনা রইলো।
আমি লেখা শেষ করে যখন রিভিশন দেই তখন নিজেই হাসতে হাসতে খুন হয়ে গেছি।
শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
আপনার ভাইরে শরম দিলো আর আপনার হাসি পাচ্ছে!! এ কেমন বোন!! 😃😃
শামীম চৌধুরী
রেহানা আপুর হাসি ঐ যে…”বাবু পদ্মার পানি খাইছো?
আরজু মুক্তা
নাহ্! এখানে বাবু! হা হা।
খাওয়া দাওয়া বেশি হইছে, এট্টু ঘুম যাই।
এমন গল্প আজীবন মনে থাকবে। পাখি, ভ্রমণ, সবকিছুই ভালো লাগলো।
ভাই ধন্যবাদ আপনাকে, একটি প্রাণবন্ত গল্প উপহার দেয়ার জন্য।
শামীম চৌধুরী
মুক্তা আপু
সবাই শুধু ভ্রমন করে পরিশান্ত করিয়ে ছাড়ে। আর যাও বা খাওয়ায় তা খাসির নলি। আবার খাওয়ার পর লিলিপুট রাজার দেশে আটক। তাই ভাবলাম যখন পৃথিবীতে পৌছেই গেছি সবাইকে এবার পেট পুরে খাওয়াই।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দেবার জন্য।
মনির হোসেন মমি
ভাইজান গল্প লেখায় ১০০% মার্কস দিলাম।বহু দিন পর হাসলাম। এ গল্প আপনার ভাবীকে পড়ানো যাবে না তাহলে নির্ঘাত বিরহে পড়ে যাব।ভুরি ভোজের যে বিরতীহীন দৃশ্য দেখলাম তাতে আগামী একবছর না খেলেও চলবে।সুন্দর উপস্থাপনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমিও তাই বলি মমি ভাই, এ লেখা পড়লে ভাবী আপনার তেরটা বাজিয়ে ছাড়বে! 😋😋 সাবধান ভাই
মনির হোসেন মমি
এইতো বোন বুঝল ভাইয়ের ব্যাথা।
শামীম চৌধুরী
কোন মার্কসই কাটেন নি? তবে তো পরীক্ষায় প্রথম স্থান পাইছি। নাহ ভাবীকে পড়াইয়েন। উনি বুঝুক আপনিও গান জানেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতার্থ।
মনির হোসেন মমি
হ্ শেষ বয়সে হমু বিশ্বখ্যাত কণ্ঠশিল্পী!!! আচ্ছা ভাইয়ের অনুরোধ বলে কথা না রেখে পারি!
উর্বশী
শামীম ভাইয়া দারুন স্বপ্নের গল্প লিখেছেন মা শা আল্লাহ।
যদি ছানার সন্দেশ হয় তাহলে ভাগে মিষ্টি না পাওয়ার জন্য মন খারাপ হতেও পারে।তবে আমি আইস্ক্রিম খুঁজে অএলাম না। পড়ছি আর হেসেই যাচ্ছি।সাথে সাথে একিটি ভাবনা এলো আমার ছেলেকে ও হবু বঊকে নিয়ে গেলে বিয়ে দিয়ে দিতাম। তার কারণ এত খাওয়া দাওয়ার আয়োজন বিয়েকেও হার মানিয়েছে। নতুন ধারা চালু হত। বেশ ভাল লেগেছে।এই গল্প মনে রাখার মত।সব দিকেই পরিপূর্ণ তা পেয়েছে।ভাল থাকবেন পাখি ভাই অফুরান শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
অনেক অনেক আপ্লুত হলাম আপনার মন্তব্যে। ছানার সন্দেহই ছিল। কি ভাবে পাবেন। সবই তো ছাইরাছ হেলাল ভাই পলিথিন ভরে নিয়ে এসেছেন। এখান বাড়িতে এসে বলছেন বাবু খাইবা?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মমি ভাইয়ের অবস্থা শোচনীয় করে দিলেন ভাইয়া , এই গান টা শুনলে এমনিতেই মন আকুমবাকুম করে। শবনব ভাবীর , ‘ বাবু পদ্মার পানি খাইছো?’ হাসতে হাসতে শেষ। এতো এতো খানাপিনার লোভ কেমনে সামাল দিবো? তবে পাখির ছবি তুলতে দিলে আমার আর কিছু ই লাগবে না। একদিনে এতো মজার খাবার শেষ করা যায় না আবার তৃপ্তি ও হয় না। বীথি আপুর বাসা, তৌহিদ ভাইয়ের শ্বশুরের বাসায় ঘুরতে পেরে দারুণ লাগলো। কেউ পলিথিনে ভরে আর কেউ পায়না এটা চরম বাস্তবতা। দালান ভাই আর ইঞ্জা ভাই খাওয়ার চোটে জামার হাতার রঙ পাল্টে দিলেন। কিয়েক্টা অবস্থা!! খুব খুব মজা পাইছি, খাওয়া গুলো একদম পারফেক্ট ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
শামীম চৌধুরী
দিদিভাই
কতবার বললাম ক্যামেরাটা নিয়ে ভুঁতি হাঁসের ছবিটা তুলেন। লজ্জায় ক্যামেরা ধরলেন না। আপনি ভুঁতি হাঁসের ছবি তুললে জিসান ভাই পানিতে পড়ে যেতেন না। আর তৌহিদও চোরা বালুতে আটকাতো না। শবনমও বলতো না বাবু পদ্মার পানি খাইছো? হা হা হা
সব দোষ আপনার দিদিভাই।
সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
আমি শরমে শেষ!! মুখ লুকাইছি 😜
শামীম চৌধুরী
😂😂😂😂😂
মোঃ মজিবর রহমান
আমার পাতলা পায়খানা হচ্ছে কয়দিন ধইরা ঔষধ পাঠান।
আমার এখানে ওর স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছেনা।
আমি ও তৌহিদ আপুর বাচ্চাদের জন্য ইগ্লু আইসক্রীম বক্স, কিছু পানীয় ও শুকনো খাবার নিয়েছিলাম — কি হইল আপু কাইটা ভাই লিখুন।
বাবুটা এখন কোথায় শামীম ভাই। ভাল থাকুক।
সুন্দর লিখেছেন।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান
সেটা তো বীথি আপুর বাচ্চাদের জন্য। আপনি তৌহিদ আপু পড়ে ফেলেছেন? এবার সেরেছে। কই যে আমাকে নিয়ে যাবে আদরের ভাইটি আমার আল্লাহ ভালই জানেন।
সেটা বুঝতে হবে রেহানা আপুর বাচ্চাদের
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
বাবুটা এখন যে কোথায় পরের স্বপ্নে বুঝা যাবে। তবে মুশতারী না থাকলে বাবুটার খবর ছিলো। আর আমরা সবাই হাজতে যেতাম।
মোঃ মজিবর রহমান
ঐ জন্যই পাশাপাশি থাকা লাগে ভাইসাব। হা হা হা
শামীম চৌধুরী
জ্বী ভাইজান, পাশেইতো ছিলাম। নইলে বাবুটা গেছিলো।
তৌহিদ
আমার বাচ্চা! যাক স্বপ্নে মজিবার ভাই বাচ্চাও দেইখ্যা ফালাইলো!!
মোঃ মজিবর রহমান
দুপুর দুইটায় রেহানা আপু আমাদের সবাইকে খাবার টেবিলে বসালেন। আমি ও তৌহিদ আপুর বাচ্চাদের জন্য ইগ্লু আইসক্রীম বক্স, কিছু পানীয় ও শুকনো খাবার নিয়েছিলাম। সেগুলি তাদের হাতে তুলে দিলাম। বাচ্চারা খাবার পেয়ে যানপরনাই খুশী হলো। বিশাল ডাইনিং টেবিল জুড়ে খাবার আর
এখানে শামীম ভাই, লিখেছে আমি ও তৌহিদ ভাই না হয়ে তৌহিদ আপু লিইক্ষা ফেলাইছে।
যা আল্লাহ আপনাদের সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা দিক। আমিন।
শামীম চৌধুরী
হা হা হা….!! এখন জন্মদিন করে আমাদের খানা দাও।
সুপায়ন বড়ুয়া
শামীম ভাইজানের আয়োজনে
পাখি দেখার মিলন মেলায়
রাত জাগা ভ্রমনে
সবার অংশগ্রহনে সাথে যদি থাকে
ফাও গাড়ি , মসল্লা চা।
সকালের নাস্তা। শশুর বাড়ীর আপ্যায়ন
পোলাও খোরমা তো আছেই।
সব শেষে পাখির দেখার মজা পদ্মার চরে।
সর্বোপরি সুন্দর একটা স্বরনীয় মিলন মেলা হয়ে গেল।
সেজন্য সবাই ধন্যবাদ প্রাপ্য। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ছড়াকারে মন্তব্যোর জন্য ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি!! 😃
শামীম চৌধুরী
নিত্য গেলে ঝাড়ুর বাড়ি। 😂
রেজওয়ানা কবির
সারদিন আপনার স্বপ্ন পড়ব পড়ব করে আর পড়া হয়নি ব্যস্ততার কারনে। অনেক খানাপিনা করলাম,এতটাই খাইছিলাম যে আমার বাবু সোনার জন্যও সেখান থেকে খাবার নিয়ে আসছিলাম।রাজশাহী আমার নানিরবাড়ি কিন্তু সেই ঐতিহাসিক পাখিতো দেখি নি।এবার গেলে দেখব।জিসান ভাই কে পানিতেই ফেলে দিলেন?বেচারা জিসান ভাই কে সবার গল্পেই কত কি বানালাম😋মমি ভাই ভালোই গানটা গাচ্ছিল।সবমিলিয়ে আজ অনেকদিন পর হাসলাম সবচেয়ে বেশি হেসেছি,বাবু সোনার উক্তিটিতে।ভালো লেগেছে ভাইয়া আপনার সপ্ন। ভালো থাকবেন।
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…!! সেরা ডায়লগ: বাবু পানি খাইছো?
ইঞ্জা
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেলো ভাই, এক সময় কবজি ডুবিয়ে খেতাম যা প্রায় আট দশ বছর আগে তা ত্যাগ দিয়েছি।
বাবু পদ্মার পানি খায়ছো, এপিক এক শব্দ দিলেন ভাই। 🤣😂
অনেকদিন পর ভালো এক লেখা পেলাম ভাই। 😊
শামীম চৌধুরী
যাক আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমার পরিশ্রমের সফলতা পেলাম। ভালো থাকবেন ভাইজান।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাই
তৌহিদ
আমি শরমে এদ্দিন মন্তব্যে আসিনাই দাদা। লুকায় আছিলাম। বাবু খাইসো!!
ইঞ্জা
কিসের শরম, সব বাবুই কি পদ্মার পানি খায়তে পারে? 😆
শামীম চৌধুরী
হা হালহা…!! বাবু কি কয়?
তৌহিদ
😜😜😜 কি শুরু কইচ্ছেন এগ্লা!!
তৌহিদ
আমিতো হাসতে হাসতে শেষ। অনেকদিন এরকম হাসিনি ভাইজান!
এত এত জম্পেশ খানাপিনা আর সোনেলার সবাই ভাগাভাগি করে খাওয়া এর চেয়ে সুখকর আর কিছু হতে পারেনা।
মমিভাইয়ের গানের গলা সেইরাম একেবারে। দুধরাজ পাখি দেখলাম, বড়ই আনন্দিত হলাম সত্যি।
শবনমের বাসার ডেকোরেশন এক্কেবারে মিলে গেছে। ক্যামনে কি! এ যেনো স্বপ্ন নয় সত্যি দেখছি।
আপনার গল্প লেখার হাত অসাধারণ। ১০০ তে ১১০ দিলাম।
মুগ্ধ হলাম ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
শামীম চৌধুরী
বাবু পানি খাইছো?
হা হা হা..!!
গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
বাবু খাইসো জায়গাটি আমি ইচ্ছে করেই এভোয়েড করেছি। শরম লাগে 😜
তৌহিদ
বাবু পদ্মার পানি খাইছো”? আল্লাহরে! এই লোক আম্রে খোকা বানায় দিসে। আমার বউয়ে আমাকে কত্ত ভালোবাসে দেখলেন! আর আমি না ঝাঁপালে জিসান ভাইজানের কি হতো!!
যাক সবার প্রচেষ্টায় তবু রক্ষা।
শবনম মোস্তারী
হাসতে হাসতে আমি শেষ ভাইয়া 😀😀
অনেক হাসলাম।
এই ন্বপ্ন আজীবন মনে রাখার মতো একটি স্বপ্ন।💚
স্বপ্নে হলেও, পুরো সোনেলা পরিবার আমার বাসায় এসেছে এবং নাস্তা করছে, সত্যিই আমি আনন্দিত।
এই স্বপ্ন সত্যি হোক।
এশিয়ান প্যারাডাইস এর রুপে আমিও ক্রাশ খেয়েছি।🙂
ভাইয়া, এবার রাজশাহী আসলে অবশ্যই এই ছোট বোনের বাসায় আসবেন।
।
“বাবু পদ্মার পানি ভালোই খেয়েছে”..😀😀
খেয়ে একটু ওজনও বেড়ে গিয়েছে। 😀😀
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…।। আর কইও না বোন। বাবুটাকে যে চোরাবালি থেকে টেনে তুলতে পেরেছে সেটাই ভাগ্য। নইলে তোমার দুি চোখের পানিতে আরেকটা পদ্মার জন্ম হতো। 😂
শামীম চৌধুরী
ব্লগারদের সম্মিলিত স্বপ্ন গল্পটি পড়ে সুনিদর সুন্দর ও উৎসাহ মূলক মন্তব্য দেবার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পরে হয়তো অন্য কোন গল্পে আবার আমরা সম্মিলিত হবো। সবাই ভালো থাকুন।
শবনম মোস্তারী
অবশ্যই ভাইয়া।
শুভকামনা রইল।
জিসান শা ইকরাম
এত চমৎকার, জমজমাট ভাবে উপস্থাপিত গল্প শিঘ্র আর পড়িনি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমান আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়লাম।
সোনেলা পরিবারের আন্তরিকতাকে গল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে সঠিক ভাবে রুপকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
চল্লিশ আইটেমের খাবার! এত পেটুক সোনেলার ব্লগাররা সব সাবার করে দিলো! খাদক হিসেবে সোনেলার ব্লগারদের নাম ইতিহাসে স্থান পাবে নিশ্চিত।
খাওয়া দাওয়ার সমস্ত পর্ব এমনকি পদ্মার পানি খাওয়াকেও অত্যন্ত হাস্যরসাত্মক ভাবে গল্পে এনেছেন।
সাথে সাথে আপনি যে পাখি বিশেষজ্ঞ এবং ফটোগ্রাফার তাও লেখার মাঝে আনতে ভুলেন নি।
আপনার লেখা স্বপ্ন পর্বটি একটু বেশিই ভাল হয়েছে।
শুভ কামনা,
শুভ ব্লগিং।
* মাঝে মাঝে গল্প লেখার অনুরোধ রইল। গল্প অনেক ভাল হয় আপনার।
সুরাইয়া পারভীন
আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ভাইয়া। একেক জন পাঁচটি করে মিষ্টি মুখে পুরে রেখেছেন এটা ভাবতেই মনে হচ্ছে সোনেলার ব্লগাররা এক একটা আস্ত রাক্ষস 😁😁
সুরাইয়া পারভীন
ইশ্ এতো চমৎকার একটি পোস্ট পড়তে কী না এতো দেরী করে ফেললাম। আহা! সুরাইয়া আপু লাগবা আর প্রতিযোগিতা? তোমারে যারপরনাই খাদক বানিয়েই ছেড়েছেন তোমার প্রিয় পাখি দাদাভাই।
দুর্দান্ত লিখেছেন দাদাভাই। জাস্ট অসাম।
শামীম চৌধুরী
অনেক কৃতজ্ঞ ও ভালোবাসা রইলো আলিফ।