
কোনো একদিন হঠাৎ মাথায় এলো, আমি আমার জন্মমাস আর জন্মদিনের তারিখটা জানিনা। বিয়ের দু’বছর আগের কথা এটা। বাবার মুড বুঝে তাঁর কাছে জানতে চাইলাম। আম্মাও ছিলেন সেখানে। দুজনেই গণণায় বসে গেলেন। ছক কাটা হিসেব কেটে ছিঁড়ে বের করে ফেললেন, তারিখ এবং জন্ম মাস। হিসেব তো একদম পাক্কা সোজা/ সহজ! কোন মাসে বা কোন তারিখে আমি এই সোনেলার ভূমিতে নিজের ভার্চুয়ালি অস্তিত্ব নিয়ে গেড়েছি নিজের শেকড়! হিসেব কষতে ইচ্ছে হলো না আজ আর।
জিসান শা ইকরামের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম তাদের গ্রুপে সোনেলা) লেখা দেবো কিনা? তার উত্তরে তিনি যা বলেছিলেন, আমি যে কিছু আদতে বুঝিনি! তাও বুঝিয়ে বলার সময় সুযোগ পাইনি: আমি লিখবো আপনার গ্রুপে? জিসান ইকরাম-ঃ অবশ্যই লিখবে! তোমরা আমার পরিবারের লোক যদি না লেখো তো সোনেলা ব্লগে কারা লিখবে?
আমি বললাম গ্রুপের কথা; সে বলে ব্লগের কথা! ব্লগ? সেটা আবার কি? ওখানে লিখবোই বা কি? ব্লগ -ব্লগার নিয়ে কি সব শুনি চারিদিকে! ব্লগে কি আমি যেসব লিখি তা লেখা সম্ভব? ৭-৫-১৩-১৪। কতকিছু ভাবি একা একা! দু চারদিন বাদে আমার পথচলা’য় মন্তব্য জিশান শা ইকরামের সোনেলা ফেসবুক গ্রুপে- তুমি যে এত…… লেখো, আমার তো জানাই ছিলোনা! এরপর থেকে মূল ব্লগে লেখা দেবে। একটা আইডি করতে হবে। আইডি করার অপারগতা পোষ্ট কমেন্টেই জানিয়ে দিয়ে বললাম : ” ও আপনাকেই করে দিতে হবে। আমি বোধহয় পারবো না। ” মনে কিন্তু তখন অন্য কথা চলে! আবার আইডি কিসের? ধারনায় যখন নেই ব্লগ কি? আইডির ধারনা আসবে কি করে? কতগুলো দিন তারপরও কেটে গেছে? আমি গ্রুপেই টুকটাক লেখা দিচ্ছি। সাবিনা ম্যাডামও তাড়া দিচ্ছেন মূল সাইটে লিখতে। আমি উপযুক্ত মন্তব্যের জবাবও দিতে পারছি না। কয়েকদিন পরে জিসান ইকরাম জানালেন-ঃ কাল তুমি আইডি করবে। পরেরদিন তার সহযোগিতায় আইডি করলাম। তিনি স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়েও দিলেন লগিন করবো কিভাবে? ইনবক্সের বোঝানো কাজে দিচ্ছে না তেমন করে। বুঝলাম হয়ত মোবাইলের অক্ষমতার কারনে অনেককিছুই করতে পারছি না। নিজের মতো চেষ্টায় হাল ছাড়িনি। একবার না পারিলে দেখো শতবার* ফর্মুলা মেনে চলছি নিরলস ভাবে। সাবিনা ম্যাডামও এরপর একদিন সময় নিয়ে, ধৈর্যের সাথে যেভাবে বোঝালেন, নিজের কাছেই জিদ চেপে বসলো। বারংবার চেষ্টায় সফল হলাম।
যে সময়টাতে প্রবেশ করলাম সোনেলা ভূমিতে! দোর্দণ্ড প্রতাপী ব্লগাররা বিচরন করছেন তখন ব্লগে। ইচ্ছে না থাকলেও, অকৃতজ্ঞতার পরিচয় সোনেলার নেই বলেই মনে করি বিধায় নামগুলো নিচ্ছি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে। মন্তব্য দিয়েই ব্লগে আমার প্রবেশ। পরবর্তিতে “কথকতা:::: ” নিয়ে হাজির হলাম ব্লগার হিসেবে। লেখা দিয়ে চলে গেছি। কয়েকদিনে আর আসিনি ব্লগে। জানতামই না তখন তেমন করে কিছুই! কয়েকদিন বাদে এসে দেখি মন্তব্য পড়েছে বেশ কয়েকটা। আর সে মন্তব্যের ভাষায় আমি অভিভূত। নীলাঞ্জনা নীলা, মায়াবতী, শুন্য শুন্যালয়, রিতু জাহান, প্রহেলিকা, মেহেদি, এরকম আরো নামক্ষ্যাত বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে ব্লগারের উচ্চমাত্রার মন্তব্যে আমার মতো নগন্য লিখিয়ের চক্ষু ছানাবড়া। ফেসবুক আর ব্লগ এর তফাৎটা বোঝার মতো ভাবনার খোরাক পেয়ে গেলাম। লোভাতুর হয়ে উঠছি দিন দিন লিখতে। এ যেন নিজেকেই নিজের চ্যালেঞ্জ দেয়া, আমি লিখব। কি পরিমান দুঃসাহসিক মনোভাব অথবা বলব নির্বুদ্ধিতার পরিচয়! অনেক পরে বুঝে গেছি। আমি বিভাগ নির্বাচনে ভুল করে যাচ্ছি। সেও সেই সাবিনা ম্যাডামের অ-কবিতা আর ছাইরাছ হেলাল মহারাজের লেখা একান্ত অনুভূতির সামিয়ানার নিচে তাঁদের লেখা দেখে দেখে। বুঝে গেছি এ্যাব্বর তাব্বর লেখকরাই যখন পারছেন না সাহস জোটাতে কবিতা লিখতে! আমি বন্যা লিপি কোন ক্ষেতেওর মূলা?
পাল্টে নিলাম আমিও বিভাগ। আসলেই তো! কবিতা লেখা কি এতই সহজ? যা লিখি তাতো অবশ্যই একান্ত অনুভূতির প্রকাশ! …… আমি উৎসাহ পাচ্ছি এই ঢের! উৎসাহে বাঁদর বনে যাবার দুঃসাহস দেখানো শুদ্ধ বাংলায় যাকে বলে অর্বাচীনতার পরিচায়ক। এতটাও নই! শান্ত থির জলের মাঝেও ঢেউ ওঠে অজুহাত পেলে। হলোও তাই। সোনেলার নিকোনো উঠোনে কালবৈশাখী ঝড় উঠলো আচমকা বেহুদা অজুহাতে। মন ভেঙে যায় যায় অবস্থা। কিছু যৌক্তিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। কাউকে পাওয়া গেলো না উত্তর পাবার মতো। খুব সহজ কিছু ধারাপাত জানি। কঠিনগুলো নাহয় ছেড়েই দিলাম অপ্রয়োজনীয় ভেবে। যত যাই বলি, আমার অবস্থান অন্য সবার থেকে আলাদা। এই একটা প্রয়োজনীয় উক্তি মাথায় রাখাই যথেষ্ঠ আমার নিজের জন্য। কিছু সিদ্ধান্ত সময়ের প্রয়োজনে নিজেরও নিতে হয়। লেখা নিয়ে হাজির কয়েকদিনের থমকে থাকা সোনেলার বুকে। ভীষণ বৈরী আবহাওয়ায় শক্ত হাতে হাল ধরা কয়েকজন দক্ষ নাবিকের ভূমিকায় সবচে বেশি দক্ষতা নিয়ে আপ্রান জুঝে গেছেন তৌহিদ ইসলাম, এম ইঞ্জা, মনির হোসেন মমি, সাবিনা ইয়াসমিন এবং আরো কয়েকজন। থেমে যাওয়া ঝড়ের পরে নতুন উদ্যোমে চলতে শুরু করলো আবারো সোনেলার বৈতরণী। ঝাঁকে ঝাঁকে নক্ষত্র ছুটে আসছে ব্লগে। বাংলা সাহিত্য নিয়ে এক উজ্বল নাম হয়ে প্রতিষ্ঠিত এই সোনেলা ক্ষুধা মিটিয়ে চলেছে ঝাঁকে ঝাঁকে আসা নতুন নতুন লেখকদের। নিত্য নতুন লেখক আসছেন, দেখছেন, জয় করছেন সোনেলার উর্বর ভূমি। একেকজন লেখকের পোষ্ট মন্তব্যে মন্তব্যে হয়ে উঠছি একে অপরের পরমাত্মা। কেউ কাউকে চিনিনা, জানিনা। চিনি, জানি শব্দ এবং ভাষার পেছনে যে মন মনন ধারন করেন! সেই লেখক সত্বাকে। মানুষ না দেখেও মানুষ বোঝা সম্ভব তাঁর কলম থেকে বেরোনো শব্দ গাঁথুনির মধ্য দিয়ে। অন্তত আমি কিছুটা বিশ্বাস করি এ বিষয়টা। যেমন, আমার কোনো এক পোষ্ট মন্তব্যে সুরাইয়া পারভীন মন্তব্য করেছিলেন,” আপু আমি যেন আপনারই ছায়া” অর্থাৎ তিনি আমাকে আমার লেখার ভাষায় আমাতে খুঁজে পেলেন তাঁর নিজের ছায়া। অন্য কোনো এক পোষ্টে মন্তব্য করলেন, রোকসানা রুকু, ” কেন যে আগে আসিনি এখানে? তাহলে আরো আগেই এই আপুর লেখা পড়ার সুযোগ পেতাম। নিজস্ব বোধের উন্নতি ঘটাতে হলে এই আপুর লেখা পড়া উচিত”। এতবড় কম্প্লিমেন্টের যোগ্য নই আমি। মন্তব্যের মাঝেই তিনি ভালবেসে ফেললেন আমার মতো নগন্যকে। খটমট বিষয় পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষানবিশ সুপর্ণা ফাল্গুণী ছোটদি। তিনি তাঁর মন্তব্যে লেখার পোষ্টমর্টেম করে ছাড়েন। অনুপ্রেরনার আরেক নামের অধিকারি তিনি। খুব ছোট্ট করে একেবারে মূল সারমর্মটা লিখে দিয়ে মন্তব্য খতম করে দিয়ে চলে যান কড়া মাস্টারনী আরজু মুক্তা ফু’ম্মা আমার। অল্প খোঁচায় পেট কেটে নাড়ি ভূঁড়ি বের করে দিতে পারলে, এক হাত লম্বা পেট কেটে সিজার করে বাচ্চা ডেলিভারির কি দরকার? আরজু মুক্তার ভাবটাও তেমন।শবনম মোস্তারি(আমার পৌষী ভাবি) অদেখা, অচেনা এই আমাকে জায়গা দিয়েছেন নিজের পছন্দের তালিকায়।এ আমার পরম প্রাপ্তি। সোনেলায় এসে আমার প্রাপ্য প্রাপ্তিতে আমি দিনে দিনে ঋদ্ধ হয়েছি/ হচ্ছি। বলার অপেক্ষা রাখেনা, ভালবাসায় কেবল ভালবাসাই দেয়া যায়, ভালবাসা ফেরতযোগ্য নয়। ভালবাসা খণ্ডন করা যায়না। ককন সাবিনা ম্যাডাম, যিনি কোনো মন্তব্যই করেন না, লেখা না বুঝে। প্রতিটি মন্তব্যে তাঁর শাব্দিক প্রকাশ বুঝিয়ে দেয়ে, তিনি কতটা পড়ুয়া প্রেমিক। কবে কোন সম্বোধনিক সম্বোধনে আমরা হয়ে উঠেছি একে অন্যের ময়না। ভালবাসা এমনই তো নাকি?
ঊর্বশী, তিনি খুব কম আসেন যদিও ব্লগে। কম পড়েন, মন্তব্য যখনই করেন, তিনি তাঁর করা মন্তব্যে বুঝিয়ে দেন তাঁর ভেতরের আলোকিত বোধের আলো। ব্লগে নতুন এসেই দীর্ঘাকারে লিখে শেষ করে ফেলেছেন পর্বতকন্যের ইতিকথা। প্রদীপ চক্রবর্তী। তাঁকে ছুঁয়ে যায় কোনো কোনো লেখা, কিন্তু মন্তব্যের ভাষা তাঁর বেশ খর্ব। লেখনী তাঁর দুর্দান্ত। নাজমুল হুদা ছোট ভাই। কনিষ্ঠ ব্লগার হলে কি হবে। তাঁর লেখা অতি উচ্চমাত্রার। একদিন তিনি পৌঁছে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনটাই আশা, শুভ কামনা রইলো। লিটন সরকার, অনন্য অর্ণব, এস জেড বাবু, রেজোয়ানা কবির, জেসমিন যূঁথি, মুক্তা মৃণালিনী, মনি কাশফিতা, নতুন পুরাতন সব মিলিয়ে এ উঠোন এক ভালবাসার উঠোন।
ভাগ্যিস ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম বলে আজ আমার মতো বন্যা লিপির পরিচয় ব্লগার বন্যা লিপি। সোনেলার সোনালি সৈনিক। সবশেষে বলতে চাই, আমার মনের ক্ষুধা, তৃষ্ণা, এবং মগজ যতদিন সচল থাকবে! সোনেলা ছেড়ে যাবার জায়গা নেই কোথাও আমার।
সোনেলার আমি সোনেলায় আমি//
সোনেলার সমস্ত ব্লগারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালবাসা, শুভ কামনা।
নোটঃ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারিনি বলে আন্তরিক দুঃখিত।শেষ পর্ব #
৩৮টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
আপুর শেষ পর্বে এসে জানলাম
অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে তিনি আজ এডমিন
হাত পাকা করেছিল লিখে প্রতিদিন।
অনেকের নাম নিতে করেনি তিনি ভুল
যাদের কে হয়নি চেনা হয়ত মনের ভুল।
তবুই জানাই শুভেচ্ছা সাথে গোলাপ ফুল।
শুভ কামনা আপু।
বন্যা লিপি
এখন বলি দাদা, এ লেখা আমি পূর্বে লিখে সংশোধন করে পেষ্ট করে এখানে আনিনি। এখানেই গটগট করে লিখে প্রকাশ করেছি। না কোনো ডায়রীতেও লিখেছি। লিখতে লিখতে যে বিরক্ত হয়ে গেছি। ধৈর্যে কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। তদুপরি বাসা ভর্তি গেস্ট, বড় ছেলেটা অসুস্থ্য, কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমাও অতিক্রম হয়ে গেছে। আমার লেখার অংশ শেষ হয়নি…… আজই লিখে ছাড়তে হবে। এরকম দায়বদ্ধতা থেকেই তড়িঘড়ি করে লিখে ছেড়ে দিয়েছি। অতি উঁচু মানের লেখক হলে হয়ত আপনার আক্ষেপটুকু থাকতো না দাদা। ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। ঞ
শামীম চৌধুরী
বফু,
শেষ পর্বটায় চমৎকার লেখনীতে সবাইকে স্মরন করার যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তা পড়ে খুব ভাল লাগলো।
সত্যিইতো তাই। আমি সোনেলায় না আসলে ব্লগার বফু কে পেতামই না।
শুভ কামনা রইলো বফু।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ শাচ্চু, জন্মমাসের সোনালী শুভেচ্ছা।
আরজু মুক্তা
না, একটা রোবট কিনবো! এরপর ওকে বলবো গদ্যের মতো মন্তব্য লেখো। কি প্যাড চেপে চেপে অতো বড় লিখলে হাত ব্যথা করে।
আমি মাস্টার্স এ পড়ার সময়, সাহান ইন্টার ন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়ামে জবে ছিলাম। তো ওখান কার প্রিন্সিপাল কোন সমস্যা সেটা টিচার বা গার্ডিয়ান যেই হোক। আমার কাছে পাঠিয়ে দিতো। কারণ শর্টকাট এবং সুন্দর করে নাকি আমি বুঝায় দিতে পারি। ঐ অভ্যেসটা যায়নি।
কি করা!!!
শুভকামনা। আপনার লেখায় উর্বর হোক সোনেলা।
আমরাও পড়ে ধন্য হই।
বন্যা লিপি
গদ্যের মত না হোক, মূলোৎপাটনে দু’চারলাইন বাড়ানো যেতেই পারে। আর, তাছাড়া এত বিশদের দরকারও পড়েনা সবসময়। অল্পবাক্যে সারমর্ম বুঝে ২/৩ বাক্যেই যদি বুঝিয়ে দেয়া যায়, তাহলে আর বাক্য অপচয়ের দরকার কি? তবে ভাবারও বিষয়; সবাই কি আর সব ভাষা বোঝে?
মনির হোসেন মমি
সোনেলার আকাশে সকল আধাঁর কেটে গিয়ে-উদিত নিত্য নতুন অভিজ্ঞ ব্লগারে মুখরিত তার মশৃণ নীলাকাশ প্রাঙ্গণ।আর ভয় নেই এবার কেবল সামনে এগিয়ে চলা।
বেকায়দায় থাকায় আপনার সবগুলো পোষ্ট পড়তে পারিনি বলে দুঃখিত।সময় করে পড়ে নেব।এ পর্বে জানা হল আপনার ফেবুকার হতে ব্লগার হবার মুল ঘটনা।অকৃজ্ঞদের নামগুলো দেখে ঘৃণা এলো মনে।নাম লিখেও লেখাটি লিখতে পারতেন।পবিত্র শুভ্র সোনেলার পাতায় ওদের নামগুলো বড় বেমানান।
সাথেই থাকুন।জয়তু সোনেলা।
বন্যা লিপি
সোনেলার সোনালী শুভেচ্ছা আপনাকেও।সোনেলা তো অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেবেনা! ঘৃণা আছে থাকবে অকৃতজ্ঞতার দৃষ্টান্ত হয়ে। আপনার সার্বিক বেকায়দা সময় কেটে যাক। শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
আপনার লেখার কারনেই সবাই এই অদেখা, অচেনা মানুষের প্রেমে পরে যায়।এটাই আপনার লেখার চরম স্বার্থকথা।এগিয়ে যাবেন ইনশাআল্লা, শুভকামনা আপু।
বন্যা লিপি
আপনার জন্যেও শুভ কামনা রেজোয়ানা আপু।ভালো থাকবেন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি ভুল কিছু কিন্তু বলিনি। অসাধারণ ভাষাশৈলী যা আমি স্বপ্নেও ভাবিনা।কেমন করে আসে আপনার!
কাল অনেকবার খুঁজছিলাম আপনার শেষ পর্ব।আজ পড়ে ধন্য হলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বয়সের লেখাগুলো কি অসাধারণ। তাই আপনিও কলম থামাবেন না।তুষের আগুন জ্বালবেই!
শুভ কামনা আপু। ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
আপনার ভালোলাগাটুকু আমার প্রাপ্তিযোগ। বেশকিছুদিন বেশ ব্যস্ততায় কাটছে বলে নির্ধারিত সময়ে লেখা নিয়ে আসতে দেরি হলো। এবং মন্তব্যের জবাব দিতেও দেরি হলো বলে দুঃখিত।শুভ কামনা জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
একজন ফেসবুকার কিভাবে ব্লগার হয়ে যায়, এই লেখাটিতে তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
তোমারও অদম্য ইচ্ছে ছিলো সোনেলায় লেখার, তাই এটি সম্ভব হয়েছে।
হাল ছেড়ে দিয়ে হতাশ হয়ে চলে গেলে আর সম্ভব হতো না সোনেলার উঠোনের বিচরন করা।
লেখা এবং মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে তুমি একটি আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছ,
যে স্থানে খুব বেশী জন নেই।
ফেসবুক আর ব্লগ এর পার্থক্য অনেক। এই লেখাটিই ফেসবুকে মন্তব্য দিতাম- ভালো হয়েছে বা নাইস, এমন একটি বা দুটো শব্দ দিয়ে। ব্লগে এমন মন্তব্যের সুযোগ নেই। ব্লগের প্রতিটি পোস্ট রোজ কিছু পাঠক পড়েন গুগল সার্চ থেকে এসে। যা পুরাতন পোস্ট দেখলেই বুঝতে পারবে। ফেসবুকের পুরাতন পোস্ট হাজার হাজার পোস্টের মধ্যে খুঁজে পাওয়া কঠিন খুব, ব্লগের সমস্ত লেখা তোমার প্রফাইলেই পাওয়া যায়, পড়া যায়।
নিয়মিত লিখতে থাকো, যেতে হবে বহু দূর…
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
বন্যা লিপি
জানছি/শিখছি…..শেষ নেই জানা/ শেখার।সকলের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরনায় আমার পথচলা। কৃতজ্ঞতা সহ শ্রদ্ধা।
ছাইরাছ হেলাল
এত্তগুলা গুছিয়ে কেমনে লেখে তাই ভেবে ভেবে সারা !!
কদমে কদম ফেলে কেমনে কেমনে আসা তা জানলাম।
চলুক লেখালিখি, অবিরাম অবিমিশ্র।
বন্যা লিপি
লিখতে শুরু করলে গটগট করে লিখে যাই। ভাবাবভাবি কম করেন মহারাজ! প্রেরনা আর উৎসাহ যেন কম না হয়,ওইটা ভাবনায় রাখলেই আমার জন্য চলবে।
সুরাইয়া পারভীন
সেদিন আপনার লেখা পড়ে আমার যা মনে হয়েছিল সেটাই বলেছিলাম। আমি তো আপনার ছায়া হয়েই গেছি এখন শুধু আপনার মতো তুখোড় লেখনী ক্ষমতা আয়ত্ত করতে পারলেই যথার্থ যোগ্য ছায়া হয়ে উঠতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমি চেষ্টা চালিয়েই যাবো আপনার যোগ্য যথার্থ ছায়া হয়ে উঠার।
দোয়া করবেন আপু।
সবগুলো পর্ব চমৎকার লিখেছেন। লাভ ইউ ❤️❤️❤️
বন্যা লিপি
আপনি আমার চেয়ে তুখোড় লেখক।আপনার স্বভাবে, অভ্যাসে আমরা অনুজ-অগ্রজ হতেই পারি। আপনি অনেকদূর পৌঁছে যাবেন একদিন ইনশাল্লাহ্।শুভ কামনার সাথে ভালবাসা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আমি স্তম্ভিত এতো সুন্দর করে মনের ভাব লিখেছেন। কেমন করে জানি আপনার লেখা পড়ে আপনাকে দেখতে পেয়েছি। ভালোবাসার সোনেলায় না এলে আপনার গুণীজনকে আপু ডাকতে পারতাম না।
ইনশাআল্লাহ আপনাদের কাছে শিখবো এবং লিখবো।
ভালো থাকুন প্রিয় আপু
বন্যা লিপি
ওইযে আমি বললাম! লেখার মধ্যেই একজন লেখকের ছায়া থেকেই যায় কিছুটা হলেও। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বড় বড় সব লেখকদের ভাষাশৈলীর মাধ্যমেও তাঁদের স্বরুপটা আঁচ করা যায়। একজন লেখক নিজের মননের ছাপ রেখে চলেন তার লেখায়। যাকে বলে স্বকিয়তা। সবারই নিজস্ব কিছু স্বকিয়তা থাকেই।
আপনার শুভ কামনায়…
মোঃ মজিবর রহমান
আপুরে সবাই ব্লগার জয় করে, আমি পাঠক কি করলাম।
আপনাদের লিখা পড়লাম। সোনেলা লেখক গড়ার কারিগর। যারা মগজ নিয়ে আসে তারা মগজ ধোলাই খেয়ে ফসল ফলায়।
সুন্দির লিখেছেন আপু।
বন্যা লিপি
আপনার মত পাঠক আছেন বলেই আমার মত চুনোপুঁটি লেখক আজো লেখার সাহস জুটিয়ে যাচ্ছে মজিবরদা! ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা জানবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনারা সুন্দর লেখা কেমন করে যে লেখেন মগজে ঠুকেনা আপু।
ভাল থাকুন।
তৌহিদ
আপনার গুছানো লেখা পড়ে ভালোলাগলো আপু। ফেসবুক এবং ব্লগের পার্থক্য সুন্দরভাবে লেখায় ফুটে উঠেছে। এটি অনেকের জন্যই শিক্ষণীয়।
ধারাবাহিক লেখায় প্রতিটি পর্বে আপনাকে নতুন করে চিনেছি। সহব্লগার হিসেবে আপনি অনন্য। এভাবেই পাশে থাকুন সবসময়।
শুভকামনা রইলো।
বন্যা লিপি
আপনাদের সহযোগিতা অনুপ্রেরনা, উৎসাহ না পেলে আমারও আপনাদের মত গুণী ব্লগারদের সাথে থাকতে পারতাম না ভাই। সেক্ষত্রে একজন নবীন লেখককে কি করে উৎসাহ আর প্রেরনায় আরো এগিয়ে নেয়া যায় তার দৃষ্টান্ত আপনাদের মত গুণী লেখকদের। শুভ কামনা কৃতজ্ঞতা জানবেন।
তৌহিদ
আমি গুনী!! একটু বেশীই হলো আপু। ☺
বন্যা লিপি
বেশি হয়ে গেলো? তাইলে যেটুক বেশি হইছে, ওইটুক অগ্রীম রাইখা দেন। যথাসময়ে উপভোগ করবেন😊😊😊
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু আমিও প্রথমে গুরুত্ব দেইনি কিন্তু দাদা ভাই যেভাবে আমাকে গাইড করেছে, লেখা দেবার জন্য বারবার নক করেছে তারপর আর থেমে থাকতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে সবার মন্তব্যে এতোটাই মুগ্ধ হয়ে ছিলাম আর ভালো লেগে গেল যে নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। নিজেকে নতুন করে সাজানোর অনুপ্রেরণা পেলাম সোনেলার ব্লগারদের কাছে। ফেসবুক তো শুধুই লাইকের ছড়াছড়ি মানুষের মৃত্যু তেও লাইক দেয় যেটা খুবই বিরক্তিকর। আগে বুঝলে আরো আগেই ব্লগার হতাম। মন্তব্য ও যে এতো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা এখানে এসেই বুঝলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে। আপনি ও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অফুরন্ত।
বন্যা লিপি
ব্লগে লেখা মানেই হচ্ছে, লেখা বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচলচনা। যেমনটা সাধারনত একটা সময়ে হতো আমার সংঘঠনে। সরাসরি। একেকজনার লেখার পাঠ সমালোচনা। ওই আলোচনা থেকে লেখক নিজেকে শুধরে নেবার সুযোগ পেতেন,বা লেখার বিন্যাস বুঝিয়ে বলার সুযোগও পাওয়া যেত। সেই সুযোগটা এখনও কোনোনা কোনো ভাবে বজায় থাকছে ব্লগে।এটাকে যথাযথভাবে বুঝে আমরা প্রচেষ্টা জারি রাখতেই পারি একে অন্যের লেখার মন্তব্যে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এটাই মনে করি। আর সেটা হলে দেখবেন ধাপে ধাপে লেখারও মানন্নোয়ন ঘটবে যে কারো। যদি প্রকৃত লিখিয়ের পাঠ সমালোচনা গ্রহন করার আত্মিক সহনশীলতা বজায় থাকে।
শুভ কামনা। ভালো থাকবেন সর্বতা।
Jasim uddin
ভাগ্যিস ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম বলে আজ আমার মতো বন্যা লিপির পরিচয় ব্লগার বন্যা লিপি। সোনেলার সোনালি সৈনিক। সবশেষে বলতে চাই, আমার মনের ক্ষুধা, তৃষ্ণা, এবং মগজ যতদিন সচল থাকবে! সোনেলা ছেড়ে যাবার জায়গা নেই কোথাও আমার।
বন্যা লিপি
তারপর? এতো আমার লেখা দিয়েই কপি পেষ্ট করলেন। মন্তব্য এমন হওয়া কি উচিত?
সাবিনা ইয়াসমিন
বিধাতা সবার গন্তব্য আগেই ঠিক করে রাখেন। শুধু সময়ের রকমফেরে যার যার গন্তব্যে একদিন সবাই পৌঁছে যায়। তুমি আমিও ব্যতিক্রম নই। আমরা একে অপরের বন্ধু হবো এটা পূর্ব নির্ধারিত ছিলো। এখন ভাবি, ফেসবুকের একাউন্ট, ব্লগে নিবন্ধন না হলে আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব কিভাবে হতো? কেমন করে পরিচিত হতাম দুজন দুজনের সাথে!
সোনেলা ব্লগকে ধন্যবাদ আমাদের জন্য এমন একটি আঙ্গিনা তৈরি করে দিয়েছেন। এখানে লিখতে পড়তে পারছি/পেরেছি। সাথে পেয়েছি বন্ধুত্বের আদলে এমন কিছু মানুষ, যাদের সাথে জুড়ে গেছে আত্মার বন্ধন।
ভালো থেকো বন্যা। তোমার সার্বিক সাফল্য কামনা করি। ❤❤
বন্যা লিপি
সোনেলা ব্লগকে ধন্যবাদ। শুকরিয়া জানাই ভবিতব্য লেখক বিধাতার। ভালো থেকো খুব। ভালবাসা রইলো নিরন্তর শুভ কামনায়।
সুরাইয়া পারভীন
@সাবিনা আপু
হ্যাঁ গো আপু উপর মহলের নির্দেশ অমান্য করার শাস্তি যেনো কী?
কামাল উদ্দিন
জানলাম আপনার ফেজবুকার থেকে ব্লগার হওয়ার গল্প, এমনিভাবে সকলের ভালোবাসায় সোনেলা এগিয়ে যাবে যুগ যুগ ধরে সেটাই কাম্য……….শুভ সকাল।
বন্যা লিপি
সোনেলা এগিয়ে যাবে সোনেলার সোনালী দীপ্ত আভায়। ধন্যবাদ রইলো।
কামাল উদ্দিন
শুভ কামনা জানবেন আপু, সব সময়।
বন্যা লিপি
ভালো থাকবেন কামাল ভাই।