সোনাচোখ বন-বিড়ালের গাছ

ছাইরাছ হেলাল ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ০৮:২৯:২২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৭৯ মন্তব্য

ভাবছি উঠোনবাগানে বন-বিড়ালের চাষ করবো, সচ্চরিত্র গাছেদের সারিতে।
দু’বেলা জল দেব, নিয়ম করে ভিড় রোদ্দুর এড়িয়ে, আগাছা পরিষ্কার রেখে জৈব সার দেব, মাটি কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে রাখব, পাতায় ঔষধ মেশানো পানি ছুড়বো অব্যর্থ নিশানায় মাকড় এড়াতে। গুনগুনিয়ে গান শোনাব রাত-বিরাতে, জ্যোৎস্না ও বাদ যাবে না। আমোদিত উথাল প্রতিবেশী বর্ষায় গাড় ভারী পলিথিনের পর্দা টাঙাব, উদোম রোদ বাঁচাব ঘামে ভেজা জামা খুলে।

না না, ধাড়ী ইঁদুরের পিছু নিয়ে থাবা বসানো চলবে না, চলবে না আধমরা তেলাপোকা নিয়ে খেলা খেলা ছল করা, গাছের মগ ডালে চড়ার নিষেধ দিলাম। কাঠ-বিড়াল বা হুতুম-পেঁচা নকশা আঁকা মিউ মিউ মিনি বিড়াল নয়।

নখ লুকিয়ে অসম্পূর্ণ অনস্থির নপুংসকের হৃদহীন বুকে থাবা বসান যাবে। শুধু মচমচে ভাঁজা মাছ নয়, সদ্য ধরে আনা কাঁচা মাছ ও খাওয়া যাবে যখন তখন অবিশ্রান্ত ভাবে।
গাছ-বিড়াল এবার বড় হও বলছি, চোখে পাকা মরিচ ঘষে দেব সুখের এই অভিসারে, সীমা থেকে অসীমে,

সোনা-চোখা কালো বন্য বন-বিড়ালের গাছ এবার লাগাবোই।

৪৮৯জন ৪৮৯জন
0 Shares

৭৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ