কালের বিবর্তনে সময়ের কারুকার্যটুকুও ব্যবচ্ছেদিত হয় নানা বর্ণে, নানান মতে। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতাকে আজ কেউ বলে সমকামী কবিতা তো কেউ প্রশ্ন তুলে আদতে তিনি নিজেই কি বনলতা? কবি সুকান্তকে কেউ বলেন বিপ্লবী তো কেউ আখ্যা দেন বামপন্থী, কবি রবিঠাকুরকে কেউ বলেন প্রেমের কবি তো কেউ বলেন ভন্ডামি, বিদ্রোহী কবিকে কেউ বলেন সময়ের সাথে পালটে যাওয়া প্রতিভা তো কেউ বলেন প্রেমের পূজারী।
“চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়”-কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র এই একটি লাইন যেন প্রকারন্তরে এই কালের বিবর্তনকেই উপস্থাপিত করে!
একদা তাহারা ছিলেন, চলিয়া গিয়াছেন। তদাপি বর্তমানে ফিরিয়াছেন নানান রূপে, নানান মতে।
সৃষ্টির শুরু হতে ধর্মের উৎপত্তি। কবে সে শুরু তা সময় নিজেই ধরা দিবে। তবে ধর্মযাজকেরা বলেন সৃষ্টিই হয়েছে ধর্মের জন্য, প্রকারন্তরে সৃষ্টিকর্তার মহিমার জন্য। ধর্ম নাম নিয়েছে কালে কালে নানান মতে। সব ধর্মই মানব ধর্ম শুধু যাজক ও নাম আলাদা বা পরিচিতি আলাদা। সব ধর্মেই আছে প্রাণের সর্বোচ্চ সুফলের কথা ও কুফলের বর্ণনা। আছে আকাশ তথা ভবিষ্যৎ, পাতাল তথা অতীত আর বর্তমান তথা মাটির কথা। যাই আছে তার সবটুকুতেই আছে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত অস্তিত্বের কথা।
আর বিজ্ঞান? সে আছে শুরুর খোঁজে অতীতে আর ছুটেছে ভবিষ্যতের পানে। অনুমিত সত্য হতে শুন্য হতে শুরুর পর তারা ছুটছে বিবিধ বর্তমানের অস্তিত্ব প্রকাশে। এই সেই বিজ্ঞান যা অতীতে নির্যাতিত হয়েছিল পরিবর্তিত ধর্মযাজক বা গোঁড়াদের নিয়মে আবার এই সেই বিজ্ঞান যা শুরুই হয়েছে ধর্মের হাত ধরে। সৌর হতে ব্রহ্মান্ডে, ব্রহ্মান্ড হতে বিবিধ ব্রষ্মান্ডে। সূর্য হতে নক্ষত্ররাজিতে, কোয়ান্টাম হতে স্ট্রিং থিয়োরিতে, পৃথিবী হতে কেপলার বি৫৪২তে।
বিজ্ঞান ছুটে চলেছে সেই আদি রহস্যের ভূত ও ভবিষ্যতের পানে, তবে বর্তমানকে চালাবে কে? অতীতকে অস্বীকার করে নাকি শুধু মাত্র অতীত হতে মানব প্রচলিত অনুশাষনের ধর্মকে অস্বীকার করে? সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকারে না অস্বীকারে? নাকি শুধু মাত্র ডারউইন প্রণীত বিবর্তনবাদ অথবা সেই আদি কোষ ‘এমিবা’র মত করে! কিসে রাখবে বিশ্বাস বর্তমান?
মানব ধর্ম সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। বিজ্ঞান?
বিজ্ঞান-
মাক্স প্লান্টঃ কোয়ান্টাম থিয়োরী
আলবার্ট আইনস্টাইনঃ থিয়োরী অফ রিলেটিভিটি
স্টিফেন হকিংঃ দ্য বিগ ব্যেং থিয়োরী
এই সব থিয়োরীর মাঝে আছে আদি তথা সৃষ্টির শুরুর খোঁজ যা বিজ্ঞান নিজেই করেছে অনুমিত। আর এই অনুমিত সত্যের খোঁজে বিজ্ঞান নিজেই এখন চলছে সব থিয়োরীকে এক সূতোয় নিয়ে ‘স্ট্রিং থিয়োরী’ তথা বিবিধ বর্তমান বা এক ও একাধিক ব্রহ্মান্ডের অস্তিত্বের প্রমাণে। এই হচ্ছে অতীত হতে ভবিষ্যতের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা।
যারা সেই সৃষ্টিকর্তার ধর্মে বিশ্বাসী নয় তারা বিশ্বাসী বিজ্ঞান ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু বিজ্ঞান নিজেই তো সৃষ্টির শুরুর খোঁজে! কিভাবে হলো সেই সৃষ্টি? কিভাবে এই ব্রহ্মান্ড অবস্থান করছে? শুন্য হতে একাধিক তথ্যে এখন বিজ্ঞান। কি করে হলো এই সৃষ্টি?
“Science without religion is lame, religion without science is blind.”
― Albert Einstein
ধর্ম বলে ঈশ্বর করেছেন এই সৃষ্টি। বিজ্ঞান বলে শুন্য হতে এই সৃষ্টি। ধর্ম বলে ঈশ্বর নিরাকার, তাঁর অস্তিত্ব সবখানেই কিন্তু ধরাছোঁইয়ার বাইরে, ঈশ্বর বর্তমান শুধু অনভূতিতে। বিজ্ঞান বলে শুন্যের কোন অস্তিত্ব নেই নেই আলাদা কোন মান, শুন্যের নিজস্বতা আছে শুধু মাত্র সহায়ক হিসেবে। শুন্যের উপস্থিতি প্রকাশ পায় কোন পার্টিকেল বা ম্যাটারের প্রকাশে।
“Great spirits have always encountered violent opposition from mediocre minds.”
― Albert Einstein
“A human being is a part of the whole called by us universe, a part limited in time and space. He experiences himself, his thoughts and feeling as something separated from the rest, a kind of optical delusion of his consciousness. This delusion is a kind of prison for us, restricting us to our personal desires and to affection for a few persons nearest to us. Our task must be to free ourselves from this prison by widening our circle of compassion to embrace all living creatures and the whole of nature in its beauty.”
― Albert Einstein
“অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা, কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলে। ঈশ্বর সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব তার সবই তিনি জানেন।”
__ আইজাক নিউটন (তথ্যসূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95_%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%A8)
Not only does God play dice, but… he sometimes throws them where they cannot be seen.
__ Stephen Hawking
(তথ্যসূত্রঃ http://www.brainyquote.com/quotes/quotes/s/stephenhaw131084.html)
ধর্মীয় যাজকেরা বা ধর্ম প্রবর্তনকারীরা ধর্মের প্রচার করেন মানবের মাঝে আর বিজ্ঞান? স্টিফেন হকিং এ নিয়ে বলেছেন-
“Scientists have become the bearers of the torch of discovery in our quest for knowledge.”
__ Stephen Hawking
ধর্মপ্রচারক আর বিজ্ঞানী দুইজনেই একই কাজে আছেন বটে অর্থাৎ ধর্ম আর বিজ্ঞান দুই একই সাথে বর্তমান একই উদ্দেশ্যে। ধর্ম এই ব্রহ্মান্ড ও এর নানান প্রকাশকে উপস্থাপন করেছেন রূপক অর্থে।
অবাক লাগে সেই আদ্যিকালে ধর্ম প্রচারকেরা আকাশ, বাতাস, স্বর্গ নরক নিয়ে যা বলেছেন নানান রূপকে তা বর্তমানের বিজ্ঞানীরাই প্রমাণ করছেন নানান উপাত্ত দিয়ে!
ধর্মে মানবের কর্মের পাপ ও পুণ্যের কথা বলা আছে আর আইজ্যাক নিউটন সেটা প্রমাণ করেছেন তাঁর গতি সূত্রেঃ
“প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।”
আরো খুঁজতে গেলে আরো অনেক কিছুই মিলে।
“Any fool can know. The point is to understand.”
― Albert Einstein
“The world as we have created it is a process of our thinking. It cannot be changed without changing our thinking.”
― Albert Einstein
(আলবার্ট আইন্সটাইনের বিখ্যাত সব উক্তির তথ্যসূত্রঃ http://www.goodreads.com/author/quotes/9810.Albert_Einstein)
তবে কি এই শুন্য আর এই ঈশ্বর এক?
অবিশ্বাসীরা বলেন ঈশ্বর দেখা যায় না তবে বিশ্বাস করি কিসে? ঈশ্বরকে ছুঁতে পারি না তবে মানি কেন?
“তুমি বাতাস দেখোনি কিন্তু স্বীকার কর বাতাস আছে, রোদ ধরোনি কিন্তু বকো রোদ তোমায় ছুঁয়েছে, তুমি আঁধার ছোঁওনি কিন্তু বলো আঁধারে শুন্যতা আছে।
যা দেখিনি তাই যদি মানতে রাজী না থাকি তবে আমি তো আমার জন্মই দেখিনি গো মানুষ”
ধর্ম আর বিজ্ঞান দুই আছে সৃষ্টির সাথে। ধর্ম সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব মহিমান্বিতকরণে আর বিজ্ঞান তাঁর প্রমাণে।
আর যারা ধর্মকে বিজ্ঞান হতে আলাদা করে গোঁড়ামিতে পূর্ণ এবং যারা বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধর্মকে অবজ্ঞায় ছুঁড়ছে তারা দু’ই একই ভাবে অন্ধ।
পরিশেষে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের উক্তি দিয়ে শেষ করিঃ
“If a cluttered desk is a sign of a cluttered mind, of what, then, is an empty desk a sign?”
― Albert Einstein
“Reality is merely an illusion, albeit a very persistent one.”
― Albert Einstein
“Logic will get you from A to Z; imagination will get you everywhere.”
― Albert Einstein
“If you can’t explain it to a six year old, you don’t understand it yourself.”
― Albert Einstein
ধর্ম আর বিজ্ঞান এই দুইকেই যদি সঠিকভাবে শিশুমনে উপস্থাপন করা না যায় তবে ধর্মান্ধ ও ধর্মবিদ্বেষী দুই গড়ে ওঠে একই কারণে।
পুনশ্চঃ শুরুর কবি ও কবিতা নিয়ে যা বলা তার অবতারণা একটি মাত্র কারণে আর তা হচ্ছে কালের বিবর্তণে সব কিছুরই অতিব্যবচ্ছেদ হয়।
আর তাইঃ
“Learn from yesterday, live for today, hope for tomorrow. The important thing is to not stop questioning.”
― Albert Einstein, Relativity: The Special and the General Theory
২৯টি মন্তব্য
ইমন
লেখাটা আবার পড়তে হবে। মনটা ঠিক স্থির না . একটু শান্ত হলেই পড়ে নিবো মনোযোগ দিয়ে। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ইমন ভাই আমি নিজেও অস্থির হয়েই লিখেছি। ‘আছে কি নেই’ প্রশ্নে আমরা গোঁড়ামিতে ডুবে আছি অস্থিরতা নিয়ে… সাথে থাকলাম আপনার শান্ত হৃদয়ের অপেক্ষাতে 😀
সঞ্জয় কুমার
ধর্ম আর বিজ্ঞান একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক ।
নীতেশ বড়ুয়া
কিভাবে! প্রশ্ন করলেই আর সে প্রশ্নের খোঁজে নামলেই কি অস্বীকার বা সংঘর্ষে মেতে ওঠা?
বিজ্ঞান তো প্রমাণে আমাদের শুরুর খোঁজে…
“Science without religion is lame, religion without science is blind.”
― Albert Einstein
শিশির কনা
ভালো লাগলো লেখা।আমার কাছে ধর্ম আর বিজ্ঞানে কোন বৈপরীত্য নেই।আসলে এতটা গুরুত্ব না দিলেও চলে আমাদের এসবে। এক্সট্রিম পর্যায়ে যেতে চাইনা আমি।
নীতেশ বড়ুয়া
ঠিক তাই… কিন্তু বর্তমানে সবাই এক লাফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আর চূড়ান্ত রূপ ধরে বসে আছে…
জিসান শা ইকরাম
নীতেশ বড়ুয়ার এমন লেখা এই প্রথম পড়লাম
চলুক এমন লেখা লেখি (y)
নীতেশ বড়ুয়া
বলি, বলবো করেও বলা হয় না ভাইয়া এইসব কথা। অনেকটা বিরক্ত হয়েই বলে ফেলা 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এই প্রথম আপনাকে এ ধরনের লেখায় দেখলাম।
ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে এ আলোচনা নিরন্তর চলমান।
সাধারণ ভাবে ধর্ম নিশ্চল বিশ্বাসের উপর দাঁড়ানো। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল প্রমাণ সাপেক্ষে
বিচারের পক্ষপাতিত্ব করছে।
এ দুটোকে মিলিয়ে দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
ধন্যবাদ এ আলোচনাটির জন্য।
নীতেশ বড়ুয়া
ভাইয়া বিজ্ঞান ও ধর্ম দুইই কিন্তু বিশ্বাসের উপর।
ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর আর বিজ্ঞান হচ্ছে বিশ্বাসের তর্ক প্রমাণের হুজুর।
এই দুই কে আমি সোজা সাপ্টা হিসাবে দেখিঃ নিরাকার আর ব্রহ্মান্ড শূন্য হতে তৈরি। কেউ তো করেছে তৈরী!
সেই আদ্যিকালে ধর্ম প্রচারকেরা যদি আজকাল বিজ্ঞান যেভাবে প্রাণের রহস্য ব্যখ্যা করে, সৃষ্টির রহস্য ব্যাখ্যা করে সেভাবে কি বোঝানো যেতো সেই সময়?
সময়ের সাথে ধর্ম এগিয়ে যায় সময়ের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে।
আমি সহজ সরল স্মীকরণে দুইকেই মিলিয়েছিঃ সৃষ্টিকর্তা আছে বলে ব্ররহ্মান্ডের সৃষ্টি এবং তাঁর অস্তিত্ব শুন্য তথা নিরাকার বলেই তাঁকে খুঁজে পেতে বিজ্ঞান চলেছে সময় হতে সময়ান্তরে 🙂
লীলাবতী
গতকালই পড়েছি আপনার এই পোষ্ট।এক নতুন ব্লগারকে দেখলাম আপনার মাঝে।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি ব্লগার নই… ব্লগিং বুঝি না এখনো 🙁
কাল সারাদিন সোনেলা ব্লগবাড়িতে কাটিয়ে গেলাম রাত অব্দি কিন্তু আপনার দেখা পেলাম না যে আড্ডা দেবো। মোটামুটি অনেক পোস্ট পড়েছি আর মন্তব্য করেছি, উপস্থিত ছিলাম হোম ফীডে। আমার নামে আপনার কোন টোটকা আর খাটানো যাবে না, হুঁহ… আমিও সবার পোস্ট পড়ি…
আপনাকে পাই না কেন উত্তর দেন :@
মেহেরী তাজ
এতো দেখি জ্ঞানের কথা চুলচেরা বিশ্লেষণ এর কথা। আমি অত শত বুঝি না কিন্তু আপনার এই ব্যতিক্রম লেখা আমার ভালো লেগেছে। সময় পেলে আরো কয়েকবার পড়তে চাই।
নীতেশ বড়ুয়া
বাই দ্য মন্তব্যঃ আপনার প্রোফাইলে এই ছবি দেখে বারেবারে মনে হয় সেই বালিকার কথা যে কোনায় গুলতি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে পাড়ায় নতুন কেউ এলেই গুলতি ছুঁড়ে দুদ্দাড় দৌঁরে পালাবে… :D)
মেহেরী তাজ
আমি মোটেই গুলতি ছুড়ে দৌড়ে পালানো টাইপ মেয়ে না। 🙁
সে যাক! কোন ছবির কথা বলছেন যেনো?
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার এইখানের এই ছবিটার কথা বলছি :D)
মেহেরী তাজ
আমি এখানে খুব মনযোগ দিয়ে পাহাড়পুর এর ছবি তুলছি। আর আপনি কি বলছেন…..!!!! 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
পাহাড়পুরে আপনি??? ছবি সহ পোস্ট দেন দেখি 😀
নীতেশ বড়ুয়া
জ্ঞানের কথা নেই গো তাজাপু, নেই চুলচেরা বিশ্লেষণ… এ হচ্ছে সাদামাটা, সোজাসাপ্টা কথাঃ যারা ধর্ম নিয়ে উন্মাষিকতায় আছেন বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে সেই তারাই জানেন না বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ লক্ষে নিয়ে যেতে এইসব বিজ্ঞানীরা কিসে আস্থা রাখেন… 😀
মেহেরী তাজ
কি যেন হতে পারে……..
আপনি তো জানেন,বলে ফেলেন…..
নীতেশ বড়ুয়া
বিজ্ঞানীরা শুন্যে আস্থা রাখেন আর শুন্য মানেই আকারহীন অস্তিত্ব 😀
ব্লগার সজীব
সহজ ভাবে লেখা পোষ্ট ভালো লাগলো।কোন পোষ্টে জানি মন্তব্য করেছিলেন,আপনি ব্লগিং বুঝেন না।আপনার এই পোষ্ট পড়ে আমি বললাম,আপনি ব্লগিং খুব ভালো বুঝেন এবং একজন উঁচুমানের ব্লগার আপনি।
নীতেশ বড়ুয়া
;( আমি সত্যিই ব্লগিং বুঝি না। আমি সবখানেই বলি আমি ব্লগিং বুঝি না। ব্লগিং যারা করেন তারা অনেক জেনে শুনে বুঝে তবে ব্লগে লিখেন যার কোনটাই আমার করা হয় না। কারণ একটাই বুঝি না কিভাবে লিখতে হয়, কিভাবে মন্তব্য করতে হয়। আর পোস্টে মন্তব্যের ধারাবাহিকতা খুঁজে পেতে আমাকে আঁতিপাঁতি খুঁজতে হয় সজীব ভাইয়া ;(
সোনেলাতে থাকা জিসান ভাইয়ার জন্য আর পোস্ট দেয়া ও পোস্ট পড়া লীলাপুর ভয়ে ;(
সীমান্ত উন্মাদ
আমি যখন ধর্মগ্রন্থ পড়ি সঠিক ব্যাখ্যা সহ তখন আমার কাছে মনে হয়, ধর্মগ্রন্থ হল একটি সুনির্দিষ্ট ধারনা দেয় সৃষ্টির রহস্য থেকে মানুষের জীবন প্রনালীর পর্যায়ক্রমকে যাতে বিজ্ঞানের চর্চা সঠিক পথে এগুতে পারে।
আপনার লিখাটা বেশ ভাললেগেছে আমার। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
নীতেশ বড়ুয়া
ঠিক তাই।
ইদানিং আমরা ‘চকচক চকচক করিলেই সোনা হয় না’ মোহে ডুবে আছি। বিজ্ঞানে ঝাঁ চকচকে রুপ দেখে বাকি সব অস্বীকার করার প্রয়াসে আছি।
অনেক ধন্যবাদ লেখার লিখার সাথে থাকার জন্য 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখাটা কয়েকবার পড়ার মতো। পড়েছি, ভেবেছি এতো চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে কিভাবে লিখলেন?
ধর্ম আর বিজ্ঞান নিয়ে কতো রকমের যে মতভেদ। এই দ্বন্দ্বকে কি সুন্দর যুক্তি দিয়ে তুলে ধরলেন!
আর ধোঁয়াশা ব্যাপারটা অনেকটাই সহজ হয়ে গেলো।
আপনি যে অনেক পড়েন, সেটা আবারও প্রমাণিত হলো এবং তা অবশ্যই অবশ্যই প্রশংসনীয়। (y)
চলুক, চলুক——- -{@
নীতেশ বড়ুয়া
না না… আমি তেমন পড়ি না। উক্তিগুলো গুগলে ঘাঁটলে পাওয়া যায় সহজেই আর হ্যাঁ স্বীকার করি নিজের বিশ্বাস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে তর্কের সাথে অনেক কিছুকেই আগানো যায়।
আজকালের ভাবে এমন হয় যেন বিজ্ঞানের ছাত্র মানেই ধর্মে অবিশ্বাসী আর ধর্মে বিশ্বাসী মানেই একেবারে গন্ডমূর্খ। তাই সেই সব বিজ্ঞানে বিশ্বাসীদের জন্যে সহজ সাদামাটা কিছু কথা তুলে এনেছি মাত্র।
এমন করে -{@ পেলে চলতে আপত্তি নেই \|/
শুন্য শুন্যালয়
আপনি নাকি পড়ুয়া নন? এগুলাও কি অদৃশ্য শুন্যের মতই হাওয়া থেকে পেয়েছেন? নাহ, আমাকে নিয়ে এত্তো গবেষণা, কই যে যাই -:-
ধর্ম মানিনা, এইটা যদি কানে কানে বলি, পিটাইবেন? কাউরে এখনো বলিনাই। বিশ্বাসঘাতকতা কইরেন না খবরদার।
সৃষ্টিকর্তাকে মানি, এর চাইতে বড় সত্য নাই। বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে আরো লিখা চাই।
“If you can’t explain it to a six year old, you don’t understand it yourself.” কথাটা দারুন লাগলো। কিছু বিশ্বাস তবু অন্যকে বোঝানো চায়না।
সবাই আপনার এত্তো প্রশংসা করছে, আমিও করি। আমি আগের থেকেই জানি নীতেশদা দারুন একজন লেখক। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সব আপনার জন্যই… আপনি শুন্য আছেন বলেই সবাই আপনার পিছে পিছে ছুটে :D)
আমি সত্যিই পড়ুয়া নই… আমাকে এখন যদি সমরেশ-সুনীল আলাদা করতে বলেন উপন্যাসের নাম দিয়ে তো পারবো না। যদি বলেন কয়টি হুমায়ুন আহমেদ পড়েছিস তো আঙ্গুলের কড়া গুনতে গিয়ে একদিন লেগে যাবে যে আঙ্গুলের কড়া শেষ হয় না কেন! যদি বলেন বাইরের দেশের কথা তবে ‘রাদুগা প্রকাশনী’র সেইসব শিশুতোষ সংকলন পড়া… আর মাসুদ রানা ও সেবা প্রকাশনীতে আমার ঘুরাফেরা্,
আমি পড়ুয়া নই…এই পোস্টের সকল প্রশংসার আসল দাবীদার গুগুল মামা, আমি না :@