মেঘের দেশের উপরে ভেসে ভেসে চীনের দিকে যাচ্ছি। কত ঘন মেঘ, মনের মাঝে ভাবনার উঁকিঝুঁকি, আচ্ছা কোনভাবে যদি বিমান হতে বাইরে ছিটকে যায়, মেঘ কি ধরে রাখতে পারবে আমাকে? যদি ধরে রাখে হেঁটে হেঁটে কোথায় যাবো মেঘের জমিনে?
বিমানে উঠলে কত কথাই যে মনে আসে। আপাতত মনের কথা বাদ, দেখা যাক বিমানের সময়টুকুতে বিশেষ কিছু করেছি কিনা।
বিমান মিস করার একটা অভ্যাস আছে আমার। মেলবোর্ন হতে সিডনি যাবার সময় সুখ নিদ্রা থেকে উঠতে বিলম্ব হয়ে যায়। কোনমতে ব্যাগ নিয়ে ট্যাক্সি করে বিমান বন্দরের কাছাকাছি আসার সময়ে খেয়াল করি আমার ল্যাপটপ হোটেলের কাউন্টারে রেখে এসেছি। কি আর করা, ফিরে গেলাম হোটেলে ল্যাপটপের মায়ায়। বিকেলে টিকেট কেটে আবার অন্য বিমানে সিডনি। সিউল হতে চীনের কুন্মিং যাবো এবার। এবারেও সারারাত জেগে থাকার ফলে বিলম্বে ঘুম থেকে জাগা, দ্রুততার সাথে বিমান বন্দরে আসায় ব্রেকফাস্ট ও করা হয়নি। বোডিং, ইমিগ্রেশন এর পাট চুকিয়ে বিমানে উঠে বসলাম। বিমান ছাড়ার সাথে সাথে পেটের ক্ষুধায় অস্থির হয়ে গেলাম। লাঞ্চের বক্স আসতে দেরি আছে। পাশের সীটেই এক কোরিয়ান নারী। সাথে ওনার ১২- ১৩ বছরের কন্যাও আছে।
ব্যাগ হতে পলিথিন বের করে আলুর চিপসের মত কি জানি খাচ্ছে দুজনে। দেখে আমার ক্ষুধা আরো বেরে গেলো। তাকিয়ে আছি ওনার হাতে ধরা পলিথিনের দিকে। উনি একবার আমার মুখের দিকে তাকালেন, কিভাবে বুঝে গেলেন কে জানে, পলিথিন থেকে ৬-৭ টি টুকরো দিলেন আমার সামনে, নাও খাও। কোন কথা না বলে মুখে হাসি এনে হাতে নিলাম। জিনিসটা কি বুঝতে পারছিলাম না। মুখে দিয়ে কামড় দিতেই বুঝে গেলাম এটি আপেল। পাতলা করে চিপসের মত করে কেটে রোদে শুকিয়েছেন। এত টেষ্ট আমি খুব কম খাবারেই পেয়েছি। আমার তৃপ্তিটা উনি ভালভাবেই বুঝলেন। এরপর পলিথিন মেলে ধরলেন আমার সামনে। আমিও সুযোগের পুরো সদ্ব্যবহার করলাম 🙂 বড় থাবার এক থাবা নিলাম, পলিথিনে অবশিষ্ট থাকলো সামান্যই। মহিলার মুখে হাসি, ওনার কন্যা কিছুটা অবাক। খাচ্ছি আমি তৃপ্তি নিয়ে। উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। উজ্জ্বল মুখ ওনার, তৃপ্তি যেন ওনারই বেশি।
বুঝলাম নারী তা সে বাংলাদেশের হোক বা কোরিয়ান হোক, নিজের করা খাবার খাইয়ে তৃপ্তি পান।
ইংরেজী তেমন জানেন না কোরিয়ান সাধারণ জনগন। আসলে আন্তরিকতায় ভাষা কোন সমস্যা নয়। বুঝালেন যে উনি বুঝেছেন যে আমি ব্রেকফাষ্ট করিনি। আমি কিছুটা লজ্জিত হয়ে হেসে বুঝালাম যে ঠিক ভেবেছেন উনি। এরপর ব্যাগ হতে বের করলেন এমন এক খাবার যা দেখে আমি তো পুরাই টাস্কিত। সিদ্ধ আলু, দিলেন আমাকে। সিদ্ধ আলু এত মজা লাগলো কেন? বিমানে বসে কেউ কোনোদিন কাউকে সিদ্ধ আলু দেয়, এই প্রথম জানলাম। বিমানে কত চড়েছি, আমিও এই প্রথম বিমানে সিদ্ধ আলু খেলাম।
কোরিয়ান খাবার খেতে খেতে হঠাত করেই গতরাতে আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে করছিল। ডাল পেলাম না, আলু সিদ্ধ তো পেয়েছি, মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠলো।
অবশেষে এলাম চীনের কুম্মিং বিমান বন্দরে। এখানেই হোটেলে থাকবো আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য স্বল্পকালীন পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দেয়া হয় এখানে। ভ্রমণ পিয়াসী গন কৌশলে যদি ৩ দিন এখানে ট্রানজিট নেন, তবে তিন দিনের ভিসাই এখান হতে দেয়া হয়। প্রচুর পর্যটক, ব্যাবসায়ী আসেন এখানে, একারনে এখানে হোটেলের রমরমা ব্যবসা। ইচ্ছে করেই ১৭ ঘন্টার ট্রানজিট নিয়েছি দেশে ফেরার সময়, সিউল যাবার সময় নিয়েছিলাম ১৬ ঘন্টা। সাধারনত ১০ ঘন্টা + ট্রানজিটের জন্য এয়ারলাইন্স হোটেলের ব্যাবস্থা করে, টিকেট নেয়ার সময় এটি কনফার্ম করতে হয়। আমি সিউল যাবার সময় এয়ারলাইন্স এর পক্ষে দেয়া হোটেলে ছিলাম।
বুকিং করা হোটেলের পক্ষ থেকে আমার নাম লেখা কাগজের প্লাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির সাথে পরিচিত হলাম। অনেক বাঙ্গালী হোটেলও আছে এখানে। টার্মিনাল হতে বের হবার সাথে সাথে তারা এলো তাদের হোটেল রেষ্ট হাইজে থাকবো কিনা জানতে চাচ্ছেন। আলী নেওয়াজ নামের একজন ‘মায়ের দোয়া’ রেষ্ট হাইজে থাকার আমন্ত্রন দিল। তাঁকে আমার হোটেলের নাম বলায় বললেন যে ওনার মায়ের দোয়ার কাছেই এই হোটেল। রাতে খেতে যেতে বললেন। ফোন করে জানিয়ে দিলেন ওনার হোটেলে খাবার তৈরী করতে। বিদায় নিয়ে আমার হোটেলের গাড়িতে উঠলাম।
আগে থেকেই বুক করা আমার হোটেল। সাইনবোর্ডে চাইনিজ লেখা ব্যতীত কিছু নেই। দেখে ভালোই লাগল। নিজেদের ভাষার কত গুরুত্ব দেয় এরা।
হোটেলে গিয়ে ফ্রেস হয়ে রাতে খাবারের সন্ধানে বের হলাম। মনে পরলো আলী নেওয়াজের কথা। খেতে যাবো ওখানেই। খুঁজতে খুঁজতে গেলাম মায়ের দোয়া রেষ্ট হাউজে। বাঙ্গালীর মিলন মেলা যেনো। অনেক বাঙ্গালী এবং নেপালিজ আছেন ওখানে। মায়ের দোয়া আসলে একটি রেস্ট হাউজ। থাকা এবং খাওয়া বেশ সস্তাই। মাত্র ১৫০ চায়না টাকায় থাকা এবং খাওয়া। পরে কখনো এলে থাকবো এখানেই ভাবছি।
খাবার টেবিলে দশ মিনিটের মধ্যে খাবার দেয়া হলো আমাদের দুইজনকে। খাবার দেখে তো হাসি আর ধরে না মুখে। একশত ভাগ বাঙ্গালী খাবার। প্রিয় আলু ভর্তা আর ডাল আছে 🙂 সাথে আছে বেগুন ভর্তা, সিম ভর্তা, বাঁধাকপি, ডিম ভর্তা আর চিকেন। বেশ তৃপ্তি সহকারেই খেলাম। আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খাবার ইচ্ছে তো পুর্নই হয়ে গেলো।
বেহেশতে থাকা অবস্থায় মানুষের সব ইচ্ছে আল্লাহ্ পূর্ন করেন। আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খাবার ইচ্ছে তো পূর্ন হয়েই গেলো। মনে হয় স্বর্গে আছি 🙂
৫৪টি মন্তব্য
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
গত বছর ডিসেম্বরে দেশে যাবার সময় কুমনিং এ আমার ট্রান্সসিট ছিল। আমার তার আগে সাংহাইতেও ট্রান্সসিট ছিল। ওদের বিমানবন্দর গুলো দারূণ লাগে দেখতে। তবে ইংরেজি বলতেই পারে না একদম। এ কারণে কোন কিছু এদের জিজ্ঞেস করলে বলবে “নো ইংলিশ, নো ইংলিশ”। আর এমন এক জায়গা আমি অনেক চেষ্টা করেও ওয়াই ফাই লাইন পাইলাম না। আর হোটেলের কথা কি বলবো। সারারাত বিমান বন্দরেই থাকতে হয়েছে। আমার এহারলাইন হোটেল দিবে বলেছিল কিছু দেয় নি। সকালে উঠে যখন চেক ইন করবো তখন আবার প্রব্লেম হয়েছে। তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক আমার। টিকেট কাউন্টারে এক “ঊজবুক” কে কিছু জিজ্ঞেস করতেই হাত নেড়ে বলে “নো ইঙ্গলিশ” । মেজাজ তখন চরমে। বলেই ফেললাম “তাহলে এখানে বসে আছো কেন”? :p
এরপর থেকে ঠিক করেছি চায়না হয়ে আর আসবো না। ট্রান্সসিট অনেক সময় নিয়ে থাকে।
জিসান শা ইকরাম
ওদের ইংরেজীতে খুবই সমস্যা। কোরিয়ানদেরও একই অবস্থা। আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। একটু ধৈর্য নিয়ে বলতে হয়। ইংরেজী জানা দু-একজন থাকে ওদের আশে পাশে। বললে হয়, তুমি বুঝনা, যে বুঝে তাকে ডাকো। যদিও এই কথা বুঝাতেও অনেক কস্ট হবে। উচ্চারন সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা।
ট্রানজিট ১০+ ঘন্টা হলে পাওয়া যায় সাধারনত। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর হোটেল সুবিধা বিভিন্ন। টিকেট করার সময় এটি কনফার্ম করে নিতে হয়। যাওয়া আসায় দুইটা ট্রানজিট থাকলে, একবার হোটেল সুবিধা দেয় এরা।
দীর্ঘ সময়ের ট্রানজিট ভালই লেগেছে আমার। আলাদা একটা স্থান জানলাম।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
ট্রান্সসিট ১৫+ ঘণ্টা ছিল। যেই এয়ারলাইনের টিকেট কেটেছিলাম ওরা বলেছিল আসা বা যাওয়ার সময় মানে শুধু একবার হোটেল পাবো। কিন্তু তারা আর দেয় নি। অনেক ঝামেলা করেছিল তারা। সে এক লম্বা ইতিহাস। পরে সময় করে বলা যাবে।
লম্বা ভ্রমণে আমার ভাল লাগলেও প্রব্লেম হয় বেশ।
যাই হোক, পোস্ট ভাল লেগেছে
জিসান শা ইকরাম
বলায় বিশ্বাস করিনি আমি, ডকুমেন্ট চেয়েছিলাম, ওরা ডকুমেন্ট দিয়েছিল। আসলে টিকেট নেয়ার সময় বলতে হয় আমরা হোটেল সুবিধা নেবো। এই টিকেট গুলোতে একটা আলাদা নাম্বার থাকে যাতে ট্রানজিটের সময় এয়ারলাইন্স বুঝতে পারে যে এই টিকেটে হোটেল সুবিধা আছে। আমি ট্রাভেল এজেন্সির কথায় আস্থা না রেখে এয়ারলাইন্স অফিসে যোগাযোগ করেছিলাম, ওরা বলার পরে ট্রাভেল এজেন্সিকে চাপ দেই যে আপনার দেয়া টিকেটে হোটেল সুবিধা নেই, মিথ্যে কেন বলেন? বাধ্য হয়ে ওরা আবার টিকিট হোটেল সুবিধা আছে এমন করে দেয়। ট্রাভেল এজেন্সিকে এজন্য অতিরিক্ত ৫০ ডলার দিতে হয়, এই ৫০ ডলার ওরা আসলে খরচ করতে চায় না 🙂
আমার দুই ট্রাঞ্জিটের একটা নিজেদের, অন্যটা এয়ারলাইন্সের। ইচ্ছে করেই দীর্ঘ সময়ের ট্রানজিট নিয়েছি।
মোহাম্মদ আয়নাল হক
(y) বাহ্ অনেক অনেক ভাল লাগল।সত্যিই অসাধারন। অনেক কিছু জানা হলো। দাদা
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ,
সোনেলায় লেগেই আছেন দেখছি। নিয়ম কানুন দেখে জেনে লেখা দিবেন।
মোহাম্মদ আয়নাল হক
অবশ্যই। দাদা। আপনাদের নিয়ম নিতিমালা । পড়ে নিয়েছি।।
মৌনতা রিতু
ভাইয়া, আপনি এতো নেলচিয়া,,,,,,, :D) সবগুলো চিপস্ এতোবড় মুঠোতে ভরে নিলেন, বাকি রাখলেন অল্পকিছু !
সত্যি অসাধারন ভ্রমন গল্প হয়েছে। ছোট একটার এক লাইনে মাতৃভাষার গরুত্ব তুলে ধরলেন।
হুমম, মিতু গল্প করে, বিদেশে কোথাও দেশি খাবার হলে চোখেই নাকি আগে পানি আসে।
জিসান শা ইকরাম
নেলচিয়া কি আবার? খাবার লোভি জাতিয় কিছু?
কি করবো? খেতে খুব ভাল লাগছিল। আর উনিও খুব আনন্দ পাচ্ছিলেন আমার খাওয়া দেখে। নারীরা আসলেই অন্যকে খাইয়ে আনন্দ পান।
চীনে ইংরেজী সাইনবোর্ড নেই বললেই চলে। নিজেদের ভাষা নিয়ে ওদের গর্ব অনেক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আলু ভর্তা আর গরম ডাল! অসাধারণ!!
ভ্রমণ কাহিনীগুলো পড়তে বেশ লাগে। দেশটি সম্বন্ধে খুটিনাটি জানা যায়। আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘের চিত্রটা দারুন এসেছে। ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ভ্রমন কাহিনী পড়তে আমারো ভাল লাগে।
অনেক দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছি ইতিমধ্যে, লেখা হয়নি কিছুই। লেখা বলতে গেলে আরম্ভ করলাম।
কতটা লিখতে পারি জানিনা।
ইকবাল কবীর
অনেক ভাল লেগেছে ভ্রমন কাহিনিটা পড়ে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
শুভকামনা আপনার জন্যও।
রিমি রুম্মান
ঘুরে এলাম সিউল… আপনার চোখ দিয়ে…
জিসান শা ইকরাম
সিউল থেকে ফেরার আকাশের কাহিনী এটি 🙂
সঞ্জয় কুমার
এরপর আরও কিছু ছবি দিবেন । কল্পলোকে ঘুরে এলাম সিউল
জিসান শা ইকরাম
ভ্রমণের কিছুই লেখা হয়নি, এটি ফেরার কাহিনী।
ছবি দেবো অবশ্যই।
আবু খায়ের আনিছ
ভাষার প্রতি আমাদের যত সমস্যা। ইংরেজী সাইনবোর্ড ব্যানার আর কথায় কথায় ইংরেজী বলা বা লিখা এখন আমাদের জন্য সম্মান এর বিষয় হয়ে গেছে। বলতে না পারলে ঘেয় ক্ষেত।
দোয়া করি এমন ভুলগুলো যেন আরো বেশি হয়, ল্যাপটপ ফেলে আসা নাস্তা না করা। সোনেলা পরিবার তাহলে অনেক কথাই জানতে পারবে। আমার তুষ্টির জন্য ভাইয়ার অমঙ্গল কামনা এই আর কি।
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন আপনাকে। একটা বড় সম্মান আর গৌরব আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের দেশে ইংরেজীর প্রতি যতটা টান, অন্য দেশে এমনটা দেখিনি আমি,
ইংরেজী আমাদের দেশে স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে গিয়েছে, অথচ এটি একটি ফালতু ধারনা।
দোয়া কবুল হোক, তবে প্লেন যেন মিস না করি।
সম্মানের পোষ্ট টা দিতে খুব অস্বস্তি লাগছে, তবে দিয়ে দেব একদিন।
আবু খায়ের আনিছ
কিছু বিষয় থাকে প্রকাশ করতে হয়, তা না হলে মানুষ জানার সুযোগই পাবে না। এটা শুধু আপনার নয়, পুরু দেশের জন্য গর্বের বিষয়। সুতরাং সবার জানা প্রয়োজন আছে।
প্লেন মিস হওয়ার দোয়া করি নাই।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা ঠিক আছে 🙂
শুভ কামনা -{@
ইনজা
বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন, চায়নার অভিজ্ঞতা আমার নিজেরই ছয় বছর আছে কারন সেখানে ছিলাম আমি চাকরি সূত্রে আর প্রায় প্রতি বছরই আসা যাওয়া হয় কিন্তু তাদের ভাষা শেখা আমার দ্বারা হয়ে উঠেনি, জানেন কিনা জানিনা শুনেছি তাদের বর্ণণমালা প্রায় সাড়ে বাইশ হাজার, হয়তো ভুলও হতে পারে আমার কারন তাদের ইংরেজি তাদের ভাষার চাইতেও ডেঞ্জারাস, তারা Duck কে বলে Tuck, Cat কে বলে Kat আর এই ধরনের ইংরেজি শুনতে শুনতে কানে আমার পাকা ধরেছে। অপেক্ষায় রইলাম আপনার কোরিয়া সফরের গল্পের। 🙂
জিসান শা ইকরাম
চায়নার ভাষা আসলেই কঠিন। উচ্চারনই তো বুঝিনা ভাই।
ব্রেডকে কোরিয়ায় বলে ব্রেদো , চায়নায় কি উচ্চারন করে কে জানে 🙂
ইনজা
ব্রেত বলে। :p
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা , ব্রেত 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
গতকাল যখন পড়লাম মন্তব্য লিখব যা পড়ার শেষে আর মনে নাই এই মনভুলা আমি।
বুঝলাম নারী তা সে বাংলাদেশের হোক বা কোরিয়ান হোক, নিজের করা খাবার খাইয়ে তৃপ্তি পান। মায়ের দৃষ্টি এড়ায়নি তাই না ভাইয়া।
মনের ভাষা যে আকিয়ে বাকিয়ে বঝান যায় তা গত আগস্টে ভারতের মজাফফরপুর বুঝলাম ভাইয়া। আমি গাধা একাই গেলাম। মজাফফ্রপুর নেমে হিন্দিও নাই বাংলাও নাই না ইংলিশ আছে। তা সাইন ল্যাঙ্গুয়েস যতটুকু সম্ভব কাজ করলাম। আপনার ভ্রমন কাহীনি মনে রেখাপাত করে গেল ভাইয়া।
একাই গেলেন সঙ্গে কে কে ছিল ভাইয়া?
জিসান শা ইকরাম
‘ বুঝলাম নারী তা সে বাংলাদেশের হোক বা কোরিয়ান হোক, নিজের করা খাবার খাইয়ে তৃপ্তি পান।’ এই উপলব্দিও লেখার একটি প্রধান পয়েন্ট।
সাথে আরো সফরসঙ্গী ছিল ভাই।
পরের যে কোন একটি পোষ্টে লিখবো সব।
মোঃ মজিবর রহমান
রমজানের মুবারক ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
শুভ রমজান -{@
নাসির সারওয়ার
এইডা ক্যামন অইলো! ডাল আলুভরতা!! আমরা বিদেশের খাবারের কথা শুনতে চাই। এই যেমন পোকামাকড় এর চড়চড়ি, তেলাপোকা ভাঁজা, কুকুর ভুনা আরো কত কি…।
আচ্ছা, মায়ের দোয়া রেস্ট হাউজ এর নাম কি চাইনিজ ভাষায় ছিলো? না মানে ওরা তো ওদের ভাষায় অন্য কিছু আনতে দেয়না।
তবে ভ্রমন কাহিনী কাহিনীর মতই হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
সচিত্র বিদেশী খাবারের লেখা দেয়া হবে। চিন্তাইয়েন না।
মায়ের দোয়া নামটা একদম বাংলা ভাষাতেই ছিল, ওটা তো বাঙ্গালিদের জন্যই করা।
নাসির সারওয়ার
জী জনাব, কুকুর ভূণার স্বাদ এর কতা কন। দেহি জিবে পানি আহেনি।।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা কমুনে, চলছে লেখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ হ মোরাও জানতে চাই কুকুর ভুণা কেমন টেষ্ট? কুকুর বিরিয়ানী কি মায়ের দোয়া হোটেলে নাই নাকি আছে?
যা-ই হউক হজ্ঞল কিছু জানতে চাই।
এইবার কহেন ভাইয়ূ থাকেন কই? আপনারে বাইফোকাল লাগাইয়াও খুইজ্যা পাই না। হেইডা কিছু হইলো মনু? 😀
নাসির সারওয়ার
অকাম নিয়া কামের ব্যস্ততার একখান ভাব লইয়া আছি। থাকি আর কয়দিন।।।
জিসান শা ইকরাম
কুকুর ভুনায় এত লোভ ক্যান? মায়ের দোয়ায় ১০০% দেশি খাবার, রান্নাও চমৎকার।
ব্লগার সজীব
* নারী তা সে বাংলাদেশের হোক বা কোরিয়ান হোক, নিজের করা খাবার খাইয়ে তৃপ্তি পান।
* নিজেদের ভাষার কত গুরুত্ব সবারই দেয়া উচিৎ।
লেখাটি মজারু হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
ব্লগে কম দেখা যাচ্ছে সজীবকে, ঘটনা কি?
ব্লগার সজীব
কিছুটা বিজি ছিলাম ভাইয়া। নিয়মিত থাকবো এখন হতে।
অপার্থিব
ভ্রমণকাহিনী ভালই লেগেছে। কোরিয়ায় যখন গেছেন পাশের দেশ উত্তর কোরিয়া থেকেও একটু ঘুরে আসতে পারতেন। কিম জং উন নাকি তার বোনের জন্য পাত্র খুজতাছে। একটা ট্রাই দিলে মন্দ হত না !! 😀
জিসান শা ইকরাম
উত্তর কোরিয়া গিয়েছি তো দুইবার 🙂
কিম জং উন এর বাবার গেষ্ট হিসেবে দুইবার গিয়েছি উত্তর কোরিয়ায়।
আমি আসলে আলসে খুব। ভ্রমণ নিয়ে লিখবো লিখবো করেও লেখা হয় না।
বাবার গেষ্ট যখন, তখন তো এই মেয়ে আমার ভাতিজি 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ফেবুতেই পড়েছি লেখাটি।আরো জানতে চাই ভাইয়া পথ চলায় শুভকামনা -{@
জিসান শা ইকরাম
আরো লিখবো, শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
অনেকদিন পর আপনার লেখা! 🙂
বেশ মজা করেছেন দেখছি!
আচ্ছা আপনি কি স্বর্গে গিয়েও ডাল আর আলু ভর্তা খেতে চাইবেন? এরকম উদ্দেশ্য থাকলে তো ভালোই! 🙂
জিসান শা ইকরাম
মজার তো কেবল শুরু………
তাজকেও অনেকদিন পরে দেখলাম।
স্বর্গে খাদ্য তালিকায় ডাল আর আলু ভর্তা অবশ্যই থাকবে 🙂
মেহেরী তাজ
তাজের একটু ব্যস্ততা বেড়েছে দাদা…
তবে মনে হয় এখন থেকে নিয়মিতই থাকতে পারবো সোনেলায়!
মজা কো ভাবেই মিস করতে চাই না, আমিও আছি কিন্তু….
জিসান শা ইকরাম
নিয়মিত থাকাকে স্বাগতম,
আনন্দ বিলাতেই থাকবো।
অলিভার
ইন্টারেস্টিং আর্টিক্যাল।
ভ্রমনকাহিনী না হলেও ছোট ছোট অনেক ব্যাপারই উঠে এসেছে।
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, কিছু ব্যাপার এসেছে।
অনেক দিন পরে অলিভারকে দেখছি।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা ভালোই দেখি ঘোরাঘুরি হইতাছে।
যা-ই হউক নারীজাতি তোমারেই কেন দিলো এটা একটা চিন্তার বিষয়।
প্রথমে মৎসকন্যা, এরপরে আরেকজন—নাহ ঘটনা সুবিধার না। ;?
জিসান শা ইকরাম
সবে তো কেবল শুরু, আরো কত্ত আছে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মেঘ ধরে রাখবে আপনাকে, পুরো সুইং বেডের মতো। তবে ছিটকে পড়বেন কেন, বালাই ষাট।
কি ছোঁচা আপনি, মুঠো ভরে নিয়ে নিলেন আপেল? ভরপেট খেয়ে এখন বলছেন খাইয়ে তৃপ্তি পেয়েছে!! 🙂
মায়ের দোয়ার খাবার দাবার দেখে পেটের মধ্যে কি জানি জানান দিতেছে। একা একা ঘুরে এইভাবে অন্যের কষ্টের কারন হওয়া ঠিক না। সুখনিদ্রা ভঙ্গের বিশেষ ব্যবস্থা থাকা দেখি আশু প্রয়োজন। আমিও অনেক মেঘের ছবি তুলছি, হুম্মম হুম, দেখামুনে। ভিডিও ও করছি। মেঘ উড়ে যাচ্ছে, কি গান এড করা যায় বলেন তো ভিডিওটা? ওগো মেঘ তুমি এত জোরে এসোনা? নাকি অন্যকিছু? 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যের পরে ঐ আপেলার স্বাদ আবার পেলাম 🙂
আসলেই মায়েরা খাইয়ে তৃপ্তি পান, তা বাংলাদেশ কোরিয়া চীন এ দেখেছি, আপনি কি ব্যতিক্রম এ থেকে? 😀
মেঘের ছবি ভিডিও দিয়ে পোষ্ট দিন, দেখি আপনার কত কতটা আলাদা,
আপনাকে পরামর্শ দিতে হবে নাকি? আপনি তো নিজেই পরামর্শের খনি, তবে ‘ মেঘ বলেছে যাবো যাবো…………” এই গানটি আমার প্রিয় খুব।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ একদম ব্যতিক্রম। আমিতো স্বপ্ন দেখি কেউ চা করে আমার ঘুম ভাঙ্গাবে। আমায় রান্না করে পাশে বসিয়ে খাওয়াবে। 🙂