“অনেকে রয়েছেন একটা মাত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠি খরচ হওয়ার ভয়ে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখেন। একটা কাঠির চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি না।“
—–মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি গ্যাস বিস্ফোরণে পুরো একটি পরিবার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সতর্কবার্তা হিসাবে একথা বলেন। যেখানে গ্যাসের চুলা জ্বলবে সেখানে জানালা দরজা খুলে রাখার জন্যও তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান। —————————————-
আক্রান্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।
প্রকাশিত খবর থেকে যা জানা গেলো, গৃহকর্তী সুমাইয়া সকালে নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে চুলায় আগুন দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। আর বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় সারা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, ওই বাসার গ্যাসের চুলা বা লাইনে সমস্যা ছিল। এর ফলে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘর থেকে পুরো ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে যায় আর চুলা জ্বালাতেই এর বিস্ফোরণ ঘটে।
পুরো ঘটনাটি আমাদেরকে একটি বার্তাই দেয়, ঘর বন্ধ থাকা অবস্থায় গ্যাসের চুলায় আগুন দিতে নাই। অবশ্যই আগে দরজা-জানালা খুলে নিতে হবে।
দুর্ঘটনাটি হয় গ্যাসের চুলার লাইনে লিক থাকায় ঘটেছে, নাহয় গ্যাসের চুলা ওপেন ছিলো বলেই ঘটেছে।
আরো একটি বিষয় সম্পর্কে সজাগ থাকা উচিৎ। আর তা হলো, অকারণ গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে না রাখা। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন থেকেই আমার লিখার ইচ্ছা। আজ তাই এ ব্যাপাটি নিয়ে লিখতে বসলাম।
আমার বাসায় প্রতি তিন মাসে এক বাণ্ডিল করে দিয়াশলাই লাগে। এক বাণ্ডিলে সম্ভবত ১০/১২ টা দিয়াশলাইর বাক্স থাকে। অটোবার্নার কিনলেও এক সময় আর অটো থাকে না। দিয়াশলাইয়ের ব্যবহার করতেই হয়। গত একটি বছর ছাড়া বরাবরই বলা যায় আমার বাসায় দিনে চুলোই জ্বলে না। পরিবারের সকলেই সকালে যার যার কাজে বেরিয়ে বিকালে ফিরি। তারপরও এত্তোগুলো দিয়াশলাই লাগার মুল কারণ হচ্ছে প্রয়োজন ছাড়া চুলার আগুন এক মুহুর্তও জ্বালানো থাকে না। প্রয়োজন শেষ, তো চুলা বন্ধ। আবার প্রয়োজন, আবার দিয়াশলাই। আমরা দু’জন দিয়াশলাই সরবরাহ করতে রাজী কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া চুলোয় আগুন দেখতে রাজী নই। চুলা জ্বালানো থাকা মানেই গ্যাসের অপচয়। গ্যাস আমাদের জাতীয় সম্পদ। একটা দিয়াশলাইর কাঠি খরচ হবে বলে জাতীয় সম্পদের এমন অপচয় কতোটা ন্যায়সঙ্গত? গভীরভাবে ভেবে দেখুন তো, তাই কি উচিৎ? আমার রাষ্ট্রীয় সম্পদের এমন অপচয় যদি আমি রোধ করতে না পারি তো এর সুফল আমি ভোগ করার আশা করবো কিভাবে? চারপাশে গ্যাসের এমন অপব্যবহার দেখে এজন্য আমি বরাবরই চাই গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত গ্যাসে মিটার পদ্ধতি চালু করা হোক অথবা প্রি-পেইড গ্যাস সরবরাহ পদ্ধতি চালু হোক। কারণ আমার দেশের মানুষগুলোর মধ্যে অনেক ভালো ভালো গুনের সমাহার থাকলেও তাদের সবচেয়ে বড় দোষ তারা অবচেতন মনে একটা ধারণা লালন করেন, আর তা হলো ‘সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল’ অর্থাত যা আমার নয়, তার যথেচ্ছ ব্যবহার। শুধুমাত্র অবচেতন মনে এই ধ্যান-ধারণায় অভ্যস্ত বলে অবোধ বাঙালী অনুভবই করতে পারে না সরকারী সম্পদ মানেই আমার সম্পদ, আমার দেশের সম্পদ।
তাছাড়া নৈতিক দিক থেকে অপচয় রোধে শুধু সম্পদই (গ্যাসই) কেনো? অপচয় মানেই তো অপচয়। বাসা-বাড়িতে বুয়ারা কাজ করলে দেখা যায় সাপ্লাই কলটা ছেড়ে রেখে থালাবাটি মাঝতে থাকে! ওদিকে বিনা প্রয়োজনে কল থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে তো পড়ছেই। কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে। এই অনুচিত কাজটি অবলীলায় অনেক সাধারণ মানুষকেও করতে দেখি। আমার বাসায় যেকোন গৃহপরিচারিকা আসলে তাদের মাঝে একটা আচরণগত পরিবর্তন হয়েই যায়। কেউ কেউ এক সময় বলেও ফেলে, কতো বাসায় কাজ করেছি, কিন্তু আপনার মতো করে সাপ্লাই কলের পানি ব্যবহারে এতো মিতব্যায়ীতা আর বারবার চুলায় কাঠি জ্বালিয়ে আগুন দিতে দেখিনি। তখন কথাচ্ছলে আমি তাদের সাথে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি। দেখা যায় আপনা থেকেই তাদের মাঝে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আচরণগত পরিবর্তন এসে যায়। ফলে তারা শুধু আমার এখানে নয়, পরবর্তী সব জায়গাতেই এর প্রতিফলন ঘটাবে বলে মনে করি।
আমরা অনেকেই নিজেদেরকে সচেতন নাগরিক হিসাবে ভাবি। কিন্তু আমরা কি একবারও নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি সুনাগরিক হিসাবে আমরা কতোটুকু সচেতন? রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রের প্রতি আমরা কতোটুকু দায়বদ্ধ? কতোটুকু নাগরিক কর্তব্য পালন করি। কিছু একটা হলেই পারি শুধু সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করতে, মেয়রকে গালি দিতে, প্রশাসনকে দোষারুপ করতে। আরে বাবা! সরকার, মেয়র, প্রশাসন সব তো এই আমাদের নিয়েই। আমরা সজাগ-সচেতন থাকলে, তারা আমাদের সচেতনভাবেই পরিচালনা করবেন। প্রতিটা পদক্ষেপেই আমাদেরকে রাষ্ট্রের প্রতি, সমাজের প্রতি, পরিবারের প্রতি দায় মিটাতে হবে। পরিবর্তনটুকু আগে নিজের মধ্যে নিয়ে আসি! তারপর এর প্রভাব নিজের চারপাশে ছড়িয়ে দেই। একসময় দেখা যাবে সকলেই এমনটা ভাবছে। পরিবর্তনের এই সুফল আপনি না পেলেও আপনার আগামী প্রজন্ম এর সুফল ঠিক ভোগ করবেই।
আসুন নিজে সচেতন হই আর অন্যকেও সচেতন করি।
দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
৩৩টি মন্তব্য
খসড়া
খুব মূল্যবান পোস্ট। সবাই সতর্ক থাকুন নিরাপদ থাকুন।
আমি আমি
আমার দেশ মানেই আমার দেশের সম্পদ। তাই এর রক্ষনাবেক্ষন আমার দায়িত্ব
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সতর্কতা অবলম্বন অনেক রকম বিপদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
কাজেই সতর্ক থাকুন নিরাপদ থাকুন।
অরুনি মায়া
অনেক চমৎকার একটা পোস্ট দিয়েছেন আপু | আসলেই দেশের সম্পদ মানেই তো আমার সম্পদ | অপচয়কারিকে আল্লাহ্ও অপছন্দ করেন | আমিও কাজ শেষ চুলা বন্ধ করে দেই | ম্যাচের কাঠির হিসাব রাখিনা | অযথা কল ছেড়ে পানি নষ্ট করিনা | দেশের সম্পদ রক্ষার্থে এটুকু নিজ দায়িত্ব মনে করি |
আপু পোস্টের বিষয়বস্তু খুব ভাল লেগেছে |
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ অরুনি মায়া।
গ্যাসের অপব্যবহারটা আমার কাছে সীমাহীন পীড়াদায়ক। সকলকেই এ ব্যাপারে সজাগ থাকা উচিৎ।
আবু খায়ের আনিছ
গ্যাস, পানির কথা বলেছেন সাথে আমি আরেকটা বিষয় যোগ করে দিতে চাইছি। বিদুৎ। অপ্রয়োজনে ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি, চালানোর একটা প্রবণতা আমাদের মাঝে আছে। একটু আলসেমি করতে গিয়ে কত বড় ক্ষতি হচ্ছে তার দিকে কোন ভ্রু ক্ষেপ নেই। এই ক্ষেত্রে একটা বিশেষ কথা বলব, প্রত্যেকের ঘরেই ফ্রিজ আছে এবং এটা নির্দিষ্ট সময় পর পর বন্ধ করে রাখলে অনেক বিদুৎ সাশ্রয় হয়।
গ্যাস নিয়ে কখনো ঝামেলা না হলেও পানি নিয়ে দুয়েকবার বন্ধুদের সাথে ঝগড়া পর্যন্ত হয়েছে। আর বিদুৎ নিয়ে ত মহামারি। ৫ জন থাকি এক ফ্ল্যাটে অথচ লাইট চৌদ্দটি তার মধ্যে দিনের পরিস্কার আলোতেও দুয়েকটা লাইট জ্বলেই থাকে। এই নিয়ে কত ঝগড়া হল।
যাইহোক, যেটা বলতে চেয়েছিলাম। স্টেট উনার মানে দেশের মালিক কে? আপনি আমি আমরা সবাই। দেশের কোন কিছু অপচয় বা খারাপ কিছু হওয়া মানেই ত নিজের খারাপ হওয়া। আর নিজের ভালো কে না বুঝে? পাগলেও ত বুঝে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য হলেও দেশকে রক্ষা করা দরকার। আর দেশকে রক্ষা করবেন কিভাব? যুদ্ধ করতে হবে না, শুধু নিজের জায়গায় দাড়িয়ে দেশের ক্ষতি না করলেই দেশ রক্ষা করা হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, বিদ্যুৎ এর অপচয়ও আরেকটি প্রধানতম অপচয়। সেক্ষেত্রে কিছু মানুষ খরচের ভয়ে মিতব্যয়ীতা অবলম্বন করে। কিন্তু যেখানে পকেটে টান পড়ার সম্ভাবনা নেই, সেখানে যেনো কোন দায়ই নেই।
আমার কথা হলো, প্রয়োজন থাকলে খরচ; সেটা বেশি বা কম সমস্যা না কিন্তু প্রয়োজন নেই কেবল উদাসীনতার কারনে অপব্যবহার! এমনটা মানা যায় না। অপচয় রোধে একটু সচেতন হলেই দেশ অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে।
আবু খায়ের আনিছ
আপনি বলেছেন , ‘সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল’ এই মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। ভাবতে হবে রাষ্টের ক্ষতি মানেই আমার ক্ষতি। তাহলে সচেতন হওয়া যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট।
যখন দেশে ছিলাম দেখতাম প্রায় বেশীরভাগ বাড়ীতে গ্যাস জ্বালানোই থাকতো। বাড়ীওয়ালী ভাবীকে একদিন বললাম, ভাবী এভাবে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখা ঠিক না। কে শোনে কার কথা! তো আমাদের বাসার বুয়া সেও বলতো এতো দেশলাইয়ের কাঠি নষ্ট করি আমি।
আপু আমাদের দেশে কোনোদিনও এমন মন-মানসিকতা ঠিক হবেনা। কিছু সংখ্যক মানুষ ছাড়া।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কষ্ট লাগে মানুষগুলোর মাঝে এমন উদাসীনতা দেখলে। আচ্ছা, আগেকার দিনের নারী বা অশিক্ষিত কোন নারী যদি এমনটা করেন, তাও হজম করা যায় যে তিনি সচেতন নয়। কিন্তু শিক্ষিত কোন নারীকেও যখন এমনটা দেখা যায় তখন কি আর সয়?
আর শুধু নারী বলি কি করে! আমার বাসায় তো আমি এ ব্যাপারে যেমন, আমার বরও তেমনই। খুব সজাগ এবং সচেতন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এসব হলো মানসিক অভ্যাস।
এখানে হাইড্রো বিল একসাথে আসে ২ মাস পর পর। যথেচ্ছা ব্যবহার করার কথা ভাবনাতেও আসেনা।
রিমি রুম্মান
উপকারী, সচেতনতা মূলক পোস্ট।
এমন পোস্টগুলো আমাদের সচেতন করে তুলুক।
তবে মনটা বিষাদে ছেয়ে আছে, পরিবারটির জন্যে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পরিবারটির আরো কিছু মর্মস্পর্শী আক্ষেপের কথা জেনে রীতিমতো মনে হয়েছে মানুষ আর মানুষের জায়গায় নেই। অন্যের বিপদ দেখলে কি করে নিজেকে এমন গুটিয়ে রাখে?
দিনদিন মানুষ কেমন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে!
প্রার্থনা করি সবার মননে মানবতা জাগ্রত হোক।
জিসান শা ইকরাম
মুলত দেশপ্রেম এর অভাব, স্বার্থপরতা এর জন্য দায়ী। দেশপ্রেম কারো উপর চাপিয়ে দেয়া যায় না। আমাদের মনভাব আমরা নিজেদের জন্য বাঁচবো। অন্য কেউ বাঁচল কিনা তা দেখিনা।
জন গুরুত্বপুর্ন একটি ভাল লেখা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক বলেছেন। দেশপ্রেমের অভাবই এর প্রধান কারন। আমরা কেবল নিজেরটা বুঝি, নিজে ভালো থাকতে চাই। সমষ্টিগতভাবে ভালো থাকার চিন্তা কেউ করিনা।
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
নিজের ক্ষতি কত প্রকারে করা যায় এটি তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
অবশ্য মিটার বসানো গেলে দেখা যেত কে কতটা জ্বালিয়ে রাখে।
এই তো শেষের পথে আমাদের গ্যাস, এর পর কী তা কিন্তু কেউ হিসাবে রাখছি না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এরপর কি মানে? জানেন না বুঝি হুজুগে বাঙালীকে? কেউ একবার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে দিলেই হলো সরকার গোপনে সব গ্যাস পাচার করে ফেলছে, তাই গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে! হুজুগে বাঙালী আর যায় কোথায়!! মাতম শুরু করে দেবে।
নাসির সারওয়ার
সচেতনতা বাড়িয়ে দেবার পোস্ট। হয়তো জানি, তারপরও ঠিক কাজটা করছিনা। আমাদের ঘাড়ে একটা মিটার বসালেই হয়তো টনক নড়বে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
“হয়তো জানি, তারপরও ঠিক কাজটা করছিনা।” এখানেই মূল ব্যাপার।
কাজেই সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে। দেশ আমার, কাজেই দেশের সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দেয়া নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থেই জরুরী।
অপার্থিব
চমৎকার পোস্ট। গ্যাসলাইন বিস্ফোরনে পরিবারটির প্রায় সবাই নিহত হওয়ার ঘটনাটি নি;সন্দেহে মর্মান্তিক। আমি সহ সবারই এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অবশ্যই। এ থেকে আমাদের সকলেরই শিক্ষা নিতে হবে।
অনিকেত নন্দিনী
নিঃসন্দেহে সচেতনকারী পোস্ট।
*একটা দেশলাইয়ের দাম কতো?
-বড়জোর ৫ টাকা।
*একটা দেশলাইতে কয়টা কাঠি থাকে?
-৫০/৬০ টা।
*বারবার চুলা ধরালে একটা দেশলাই দিয়ে কয়দিন চলে? মাসেই বা কিরকম খরচা পড়ে?
-৫/৭ দিন। মাসে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা।
*তাহলে একটা পরিবারের সব সদস্যের জীবনের দাম কি ৩০ টাকার চাইতেও কম?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অহ হো! ফাও পাইলে হুস হারা বাঙালীকে বুঝি চিনেন না! নগদে এক আনা খরচ করতেও তাদের গায়ে লাগে।
একবারও চিন্তা করে না অজান্তেই নিজেদের কি ক্ষতি করে যাচ্ছে।
অনিকেত নন্দিনী
সেই পিচ্চিবেলা থেকে শুনে আসছি, “বাঙালি ফাও পাইলে আলকাতরাও ফেলেনা”। 🙁
সামান্যতম খরচ বাঁচাতে গিয়ে অমূল্য প্রাণ হারাচ্ছে বেঘোরে। একটা কথাই বলার আছে, “এদের বুদ্ধি দাও প্রভু”। 🙁
ব্লগার সজীব
দুর্ঘটনায় পুড়ে গেল একটি পরিবার অসতর্কতায়। জাতীয় সম্পদের মূল্যই আমরা বুঝিনা। ভাল লিখেছেন আপু। ব্লগ টিমকে ধন্যবাদ এই লেখা ষ্টিকি করার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ব্লগটিমকে এজন্য আমিও ধন্যবাদ জানাই, যদিও ইতোমধ্যে চারদিন গড়িয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। দেশের সম্পদ মানে আমার সম্পদ। এটা অপচয় করলে লস টা আমার ই হয়!
এসব সম্পদ নষ্ট করলে এক সময় আমাদেরকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়!
আমাদের এসব অপচয় থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সেটাই কিন্তু আমজনতা এ ব্যাপারে একেবারেই সচেতন না।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চমৎকার শিক্ষনীয় একটি পোষ্ট -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
খুবই গুরুত্বপূর্ন পোস্ট আপু। ম্যাচের কাঠির অপচয় নয় বরং যতই খরচ হোক গ্যাস মাস শেষে একই টাকা দিতে হয় এটাই মুখ্য আমার কাছে যা মনে হয়। পানি, গ্যাস, বিদ্যুত, নিজের ঘরের চারপাশ এগুলো আমরা রক্ষা না করলে সরকার কিভাবে করবে? সবার সচেতনতা চাই। এমন দূর্ঘটনা খুবই দুক্ষজনক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
“ম্যাচের কাঠির অপচয় নয় বরং যতই খরচ হোক গ্যাস মাস শেষে একই টাকা দিতে হয় এটাই মুখ্য” ঠিক বলেছেন, এজন্যই মিটার বসানো উচিৎ।
না, সব দায় তো সরকারের। আমরা ভোট দিয়ে সরকার এনেছি না! এখন সরকারকেই তা করতে হবে।
অথচ আমরা ভাবি না নাগরিক হিসাবে আমাদের দায় কি। আমাদের নিয়েই তো সরকারের পথ চলা। আমরা যদি সচেতন না থাকি তো কারোরই সাধ্য নেই সুন্দর এবং সঠিকভাবে সরকার পরিচালনা করা।
বর্তমান সরকার যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছে, এখন আমাদের উচিৎ গণসচেতনতা তৈরি করে সরকারকে তার কর্ম পরিচালনায় সহযোগিতা করা।
লীলাবতী
গ্যাসের জন্য অবশ্যই মিটার বসানো উচিৎ, অবৈধ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিৎ। পানির মর্ম ঢাকাবাসীরা ভালো করে বোঝে বলেই হয়তো, পানির অপচয় এখন কম হয়, বিশেষ করে বাড়িতে। আসলে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে, তারপর বুদ্ধির উওদয় হয় আর যতক্ষন না পর্যন্ত নিজের স্বার্থে আঘাত না হচ্ছে। সব দায় সরকারের, আসলে আমাদের দেশের সরকার হওয়াই সবচেয়ে বড় পরীক্ষার। এমন একটি দূর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সবার সচেতনতা চাই।