
তন্বী না পারছিলো তমালকে বেঁধে রাখতে, না পারছিলো বাঁধন খুলে দিতে। কথা না বললে তমাল তখন খুব আবেগ দেখায়। তন্বী আরো বেশী দুর্বল হয়ে পড়ে তমালের প্রতি। হঠাৎ তমাল বললো,’আমাকে ক্ষমা করো । আমাদের মধ্যে যা হচ্ছে সেটা অন্যায়। তুমি আমাকে পাবেনা তাই মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই, কষ্ট পাবে তুমি। বন্ধু ছিলাম বন্ধুই থাকি। আমরা এখন থেকে কম যোগাযোগ করবো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলবো না।’তন্বীর সমস্ত পৃথিবী নড়ে উঠলো , মনে হলো সে তমালকে চিনতে ভুল করেছে। এই বয়সের একটা পুরুষ তার আবেগ, ভালোবাসাকে অপমান করবে, অস্বীকার করবে ভাবতেই পারেনি। তন্বী তো শুধু ওকে ভালোবাসে। কোনো কিছু পাবার আশায় নয়-শুধু ওর পাশে , হৃদয়ে থাকতে চেয়েছে। কিন্তু সে তমালকে বোঝাতে ব্যর্থ হলো।
ইদানিং ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে তমাল আগের মতো কথা বলেনা তন্বীর সাথে। ওর সাথে কথা বলার জন্য, একটু দেখা পাবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। কিন্তু তমাল এটা ওটা বলে ওকে দূরে ঠেলে দিতে থাকে। কিছুদিনের জন্য তমাল ওর বাড়িতে যাবে বলে জানালো, তখন সে তন্বীকে সময় দিতে পারবেনা বলে জানায়। তন্বী বললো, ‘একদমই কথা হবেনা, দেখা পাবোনা তোমার?’ তমাল বললো ,’বাইরে গেলে হয়তো কথা হতে পারে, চেষ্টা করবো কথা বলার জন্য ।’ তন্বীর তখন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। সে যে তমালের কথা শুনতে না পারলে , দেখতে না পারলে থাকতে পারবেনা। সে একা একা কিভাবে এ’কটা দিন কাটাবে? তন্বী তমালকে আর কিছু বললো না। ভেবেছিলো তমাল নিশ্চয়ই ওকে ফিল করে । তন্বীকে না দেখে, কথা না বলে তমাল ও থাকতে পারবেনা।
যথারীতি তমাল লম্বা সময়ের জন্য বাড়িতে গেলো। প্রতিটি প্রহর যায়, রাত যায়, দিন যায় তন্বী অপেক্ষা করে তমালের একটি ম্যাসেজের, একটু সময় পাবার জন্য। না তমালের কোন খবর নেই, কোনো যোগাযোগ করছেনা। তন্বীকে নিষেধ করেছিলো তমাল যোগাযোগ না করলে সে যেন কোনো ধরনের কোনো ফোন, ম্যাসেজ না দেয় । এদিকে তন্বী পাগল প্রায়। সেতো তমালের সাথে কথা না বলে, না দেখে খেতো না। তন্বীর বুকের ব্যথাটা বেড়েই চলেছে। তন্বীর ঘুম নেই, খাওয়া নেই। সারাক্ষণ ফোনের পাশে পড়ে থাকে-কখন তমালের একটা ম্যাসেজ পাবে, কথা শুনতে পারবে, একটুখানি দেখা পাবে। কেমন আছে তমাল? নিশ্চয়ই ভালো আছে এই বলে নিজের মনকে সান্ত্বনা দেয়। এদিকে তন্বীর এক দূরসম্পর্কের ভাই ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তন্বী অসম্মতি জানায় । ছেলেটি বিদেশে থাকে, ডিভোর্সি, একটা ছেলে আছে।
২২টি মন্তব্য
কামাল উদ্দিন
দূরসম্পর্কের ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াটা মনে হয় তন্বীর আরো একটা বড় ভুল। সে এখন সাধারণ চিন্তা করার মতো পরিস্থিতিতে মনে হয় নাই…….সাথেই আছি আপু, চালিয়ে যান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সবসময়
কামাল উদ্দিন
হুমম, দেখার জন্য তো আমরা অপেক্ষাই করছি
ফয়জুল মহী
নান্দনিক লেখনী ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন শুভ কামনা
ছাইরাছ হেলাল
এক পাক্ষিক প্রেমের যন্ত্রণা কতদূর টেনে নিয়ে যান তা
দেখার অপেক্ষায় আছি। গল্পে চমক চাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম ভাইয়া। ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
দেখা যাক কি হয়।
পরের পর্বের অপেক্ষা করছি।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো 🌹🌹
হালিম নজরুল
লেখার বহুরৈখিক রহস্যময়তা ভাল লাগছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো। শুভ সকাল
রেহানা বীথি
স্বচ্ছন্দ গতি, ভালো লাগছে।
এগিয়ে যাক গল্প।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভ সন্ধ্যা
আরজু মুক্তা
রহস্যময় অপেক্ষা।
চলুক গল্প
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন শুভ রাত্রি
ইঞ্জা
আপু পড়ে নিলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো লাগলো
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু।
জিসান শা ইকরাম
হায়রে তন্বীর অবুঝ মন,
পুরোই শেষ সে……………
পরের পর্বে যাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা ভাই। শুভ কামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
বেশ ভালো ধারাবাহিক লেখনী দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো