সন্ত্রাসীরা চুল পাকার আগেই মরে যায় এমন একটা কথার জের-ধরে গুলাগুলি হয়। ছাব্বিশটা গুলি লাগলেও বিপুল ক্রেস্টের জীবন ছিলো। মৃত্যুর আগে বিপুল ক্রেস্ট ছেলে জাহিদ ক্রেস্টকে বললেন , বাবা তোর জন্য অঢেল সম্পত্তি রেখে যাচ্ছি। তুই একটা কাজ করবি বাপ! ভাড়া করা গুন্ডা মাস্তানদের বিশ্বাস করবি না। সেজন্য তুই দশটা বিয়ে করবি। প্রতি বছর সন্তান নিবি।
একদিন তারাই একটা বিশাল বাহিনী হবে। নেতৃত্ব দিবে পুরো ঢাকা শহরের। এই বলে হাওয়া চুবানো বন্ধ করেন বিপুল ক্রেস্ট। বাংলা মোটর এ্যালিফেন্ট রোড ধানমন্ডি কাঁটাবন সব জায়গাতেই রয়েছে তার বাবার বাড়ি ও ব্যবসা।
বাবাকে দেওয়া কথানুসারে জাহিদ ক্রেস্ট দশটা বিয়ে করলেন। দশ জনের গর্ভেই এলো দশ সন্তান। প্রতি বছর সন্তান উৎপাদনের শিল্প-কারখানা কখন যে, কতো সংখ্যায় দাঁড়ালো সে হিসেব এখন আর জাহিদ ক্রেস্টের জানা নেই। জাহিদ ক্রেস্টের ও এখন শরীর দুর্বল হয়েছে বিশেষ করে যখন শুনে আপনি তো ষাট -সত্তুর জন সন্তানের পিতা।
এক সময় জাহিদ ক্রেস্টের ইচ্ছে হলো সব সন্তানদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাত করার। সেই অনুযায়ী কাজ হলো প্রথম মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। জাহিদ ক্রেস্ট ভাড়া করলেন ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড়ো হল। হলে ঢুকার সময় জাহিদ ক্রেস্ট দেখলেন দরজার সামনে কিছু তরুণ-তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তার পি এস কে জিজ্ঞেস করলেন এরা কারা? পি এস বললেন , আপনার সন্তান স্যার তাহলে এরা বাহিরে কেন? কি করবে স্যার ভেতরে তো জায়গা নেই! জাহিদ ক্রেস্ট রেগেমেগে ধমক দিয়ে বললেন কি বলছ ? এরপর জাহিদ ক্রেস্ট হলের ভেতরে প্রবেশ করলেন, জাহিদ ক্রেস্ট দেখলেন, ক্রিকেটের গ্যালারির মতো পরিপূর্ণ শিশু-কিশোর।
জাহিদ ক্রেস্ট মায়া ভরা নজরে তাকালেন শিশু কিশোরের দিকে (নিজের সন্তান বলে কথা) কিন্তু তিনি দেখলেন একেকটি সন্তান একক রকম হয়েছে কোনটা দেখতে ইংরেজের মতো ফর্সা কোনটা নিগ্রোর মতো কালো কোনটা আরবীয় সৌষ্ঠব কোনটা ফরাসির মতো আবার মাঝে মাঝে বাঙালির মতো ও দেখা যায়। জাহিদ ক্রেস্ট পি এস কে জিজ্ঞেস করলেন, এ-ই অবস্থা কেন? পি এস বললেন, আমি কী করে বলব স্যার,, আপনি ওদের মায়েদের জিজ্ঞেস করুন তারাই ভালো বলতে পারবেন। জাহিদ ক্রেস্ট তখন একটু বাঁকা হেসে বললেন , আমার সন্তানগুলো দেখছি অকবির অগোছালো হাইব্রিড কবিতার মতো।
অনেকটা রম্য কবিতা।খুব ভাল লাগল। বর্তমান সময়ের অ- কবি ও অ-কবিতাকে বেশ সুন্দর উদাহরণ টেনে বুঝিয়ে দিলেন অজস্র কবিতা কবি জন্মালেও তালের কোন ঠায় ঠিকানা নেই।
দারুন অনবদ্য। কবিতার বাস্তবতা নিয়ে দারুণ উপমা দিলেন আপনার লেখনীতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এমনটাই ঘটছে এখনকার লেখকদের মধ্যে, অসংখ্য লেখা বের হচ্ছে কিন্তু লেখার মানদন্ড ঠিক থাকছে না। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
একদম ঠিক বলেছেন কবি দাদা। আজকাল বাংলা ভাষার বাংলা কবিতাগুলোরও একই অবস্থা। তা এইরকম কাহিনীর মারপেঁচে মেলালেন কী করে? দার হয়েছে কিন্তু। এই কাহিনী বাঙালিদের অনেক ব্যপারেই মেলে।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
১৮টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
দালান জাহানের কবিতা মানেই অর্থপূর্ণ উপমা । পুরো কবিতা না পড়লে তৃপ্ত হয় না মন।
দালান জাহান
ধন্যবাদ ভাই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
মনির হোসেন মমি
অনেকটা রম্য কবিতা।খুব ভাল লাগল। বর্তমান সময়ের অ- কবি ও অ-কবিতাকে বেশ সুন্দর উদাহরণ টেনে বুঝিয়ে দিলেন অজস্র কবিতা কবি জন্মালেও তালের কোন ঠায় ঠিকানা নেই।
দালান জাহান
যথার্থ বলেছেন ভাই। কিন্তু এ-র শেষ হচ্ছে না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন অনবদ্য। কবিতার বাস্তবতা নিয়ে দারুণ উপমা দিলেন আপনার লেখনীতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এমনটাই ঘটছে এখনকার লেখকদের মধ্যে, অসংখ্য লেখা বের হচ্ছে কিন্তু লেখার মানদন্ড ঠিক থাকছে না। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
দালান জাহান
সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
নিতাই বাবু
একদম ঠিক বলেছেন কবি দাদা। আজকাল বাংলা ভাষার বাংলা কবিতাগুলোরও একই অবস্থা। তা এইরকম কাহিনীর মারপেঁচে মেলালেন কী করে? দার হয়েছে কিন্তু। এই কাহিনী বাঙালিদের অনেক ব্যপারেই মেলে।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
দালান জাহান
কৃতজ্ঞতা দাদা আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
নিতাই বাবু
হতো “দারুণ” হয়েছে ‘হয়েছে’ আশা করি বুঝে নিয়েছেন কবি দাদা।
আবারও শুভকামনা থাকলো।
দালান জাহান
জি দাদা ওটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ গল্প বর্তমান পরিস্থিতি এমনি দাদা বুঝায় না কে কি করে
অনেক শুভেচ্ছা রইল———————
দালান জাহান
ধন্যবাদ ভাই কৃতজ্ঞতা
আরজু মুক্তা
তবুও লিখুক। লিখতে লিখতে গায়েন। অকাজ না করে লিখালিখি করলেও সুন্দর দিন কাটে।
নেশাগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে, লিখুক।
দালান জাহান
ধন্যবাদ কবি ভালো থাকুন সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ছলে বলে ভালোই লাগল।
শুভ কামনা।
দালান জাহান
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
দালান জাহান
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
সঞ্জয় মালাকার
একদম ঠিক বলেছেন দাদা। আজকাল বাংলা ভাষার বাংলা কবিতাগুলোরও একই অবস্থা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনা কে।