
একটু দেরিতে দেরি করে হলেও চিনে/বুঝে ফেলেছি
চিনি ও লবণের তফাৎ, রং ও স্বদে;
গ্যাসের ফুঁয়ে ফোলানো বেলুন, মৌসুমি কাকতাড়ুয়া
কলা পাতায় আঁকা ভিঞ্চি আর্ট, টেনে টুনে কতক্ষণ
আর টিকিয়ে রাখা যায়, টিকে থাকে!!
জড়ো করা বীজে চিটে ধান চিনে ফেলে
বিস্মিত কৃষক বিপুল অভিজ্ঞতায়, সময়ের ঋতুতে;
গাঢ় নির্জনতায় লৌকিক-অলৌকিক বিকেল,সন্ধ্যা
বা রাতের যে কোন প্রহরে, সবটুকু নীরবতা মেখে,
জন্মধানের ঘ্রাণ ঠিক ভেসে আসে;
জলের-বাসায় ভেসে থাকা শাপলা-শালুক
মেয়াদোত্তীর্ণতাকে পেছনে ফেলে ঠায় দাঁড়িয়ে
থাকে, পান-মুখের রঙিন ঠোঁট ছুঁড়ে;
ছবি নেট থেকে।
২১টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
যার যা কাজ তাতে তার অভিজ্ঞতা একটু বেশিই থাকে
তাই তো কৃষক অনায়াসে চিটে ধান চিনে/বোঝে জড়ো করা বীজে
যেমন কবি চিনেন/বোঝেন অজস্র শব্দের মধ্যে কোনটা যথার্থ শব্দ। চিনতে পারাটায় আসল ব্যাপার হোক তা দেরী করে
চিনি ও লবণের তফাৎ, রং ও স্বদে; আকার মিসিং
ছাইরাছ হেলাল
লেখক তো আপনাদের থেকে দেখে দেখে শেখে
জটিলতায় খেই হারাতে হারাতে বাঁচে,
কুড়িয়ে নেয়া পাখিদের শিস হৃদয়ে গেঁথে রাখে;
ধন্যবাদ, সুন্দর করেও পড়ার জন্য। আপনি যা সব সময়-ই করেন।
সুরাইয়া পারভীন
একনিষ্ঠ পাঠক লেখকের থেকেই
লেখকের দেখে দেখেই শিখে/শিখি
জটিলতায় খেই হারাতে হারাতে বাঁচে/বাঁচি
কুড়িয়ে নেয়া পাখিদের শিস হৃদয়ে গেঁথে রাখে/রাখি
লেখকও যে এর বাইরে নয় সেটাও জানা গেলো
অর্থাৎ লেখক পাঠক একে অপরের পরিপূরক
ছাইরাছ হেলাল
আমি সমান্য পাঠক মাত্র,
এত্ত কঠিন কথা কন ক্যা! কে জানে!!
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ সুরাইয়া এই কবিতা চিনিয়ে দেয়ার জন্য। কিছুই বুঝতেছিলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
আমারে কেউ কিচ্ছু শিখিয়ে দিতেই চায় না।
তৌহিদুল ইসলাম
জীবনে মানুষ চেনাটা খুব জরুরী। জহুরি যেমন খাঁটি সোনা চেনে কৃষক তেমনি তেনে চিটা ধান।
কাকতাড়ুয়া আর ফোলানো বেলুন কিছুদিনে গেলে নিজেরাই মিইয়ে যায়। মেয়াদউত্তীর্ণ সম্পর্কগুলি ফানুস হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে মনের আকাশে।
শুভকামনা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের টানাপোড়নে অনেক কিছু ই আমরা শিখি, শিখতেও হয়।
মেকি বিষয়াশয় খুব-ই সাময়িক।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
সম্পর্ক মজবুত না হলে চুপসে তো যাবেই। ধ্রুপদী সত্য যে আমরা জানালা বন্ধ করে বসন্তের স্বাদ নিতে চাইলেও কোকিলের ডাক বা ফুলের সুবাস আসে না। অথচ প্রকৃতি মনের আনন্দে সবকিছুই বিলিয়ে দিচ্ছে নতুন উদ্দীপনায়। আমরা গ্রহণ করি বা না করি। এরকম নিঃস্বার্থবান হতে হবে।
শুভ কামনা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতির নিয়ম মেনে আমাদের সব কিছু শিখে নিতে হয়, উদার হস্তের সে দান যথযাথ ন্যায্যতার
সাথে গ্রহন-বর্জন করতে হয়, জেনে বুঝে। পাকা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।
আরজু মুক্তা
ওরে বাপরে।
ধন্যবাদ আপনাকেও
ছাইরাছ হেলাল
সত্য-ভাতের খুব আকাল দেখছি!!
জিসান শা ইকরাম
অভিজ্ঞ কৃষক সব বুঝতে পারে তার অভিজ্ঞতা থেকে,
ঠায় দাড়িয়ে থাকা শাপলা শালুক আছে!!
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা! আপনি নিজেকে খুউব অভিজ্ঞ ভাবতেছেন!!
অভিজ্ঞতা খুব দামী, তবে প্রায়শই তা অপাত্রে উঁকিঝুঁকি দেয়।
ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
একজন কবিই বুঝতে পারে কবিতার ‘ক’ এর মর্মার্থ। তা কিন্তু আমি অধম বুঝবো না। শুধু পড়তেই পারবো। তাই কবির লেখা কবিতা পড়েই যাচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু পড়া চালু রাখলেই চলবে!! মনে থাকে যেন!!!!
ভাল থাকবেন সাথে থেকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মেকি সম্পর্ক কতক্ষণ আর টিকিয়ে রাখা যায়? চিনি, লবনের স্বাদ বুঝা যায় , তফাৎটা ও ধরা যায় ঠেকে আর ঠকে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ভোগ করতে হবে নিঃস্বার্থভাবে, মন পবিত্র না হলে এই সৌন্দর্য উপভোগ করা কখনোই যাবেনা সেটা আমার বিশ্বাস। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
ইদানিং প্রকৃতি কৃপানন্দ দিতে খুব অনীহা দেখাচ্ছে!! মেকিত্ব খুব ই সাময়িক।
আপনি ভাল থাকবেন, সহজ সাবধানতায়।
ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
অভিজ্ঞতা বড় জিনিস। কৃষক অভিজ্ঞতা দিয়ে ধান চিনতে পারে। মানুষ চেনা বড় জটিলতা। যে সম্পর্ক সাময়িক আবেগে তৈরি হয়।তা একসময় ক্ষণস্থায়ী ফানুসের মত চুপসে যাবে। সময় আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, সময় আমদের সব থেকে বড় শিক্ষক, কিন্তু আমরা সেখান থেকে খুব কম-ই শিখি।
আপনি এখন ভাল মন্তব্য দিচ্ছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
সব কিছু চিনতে পারা সহজ কথা নয়।
লবন, চিনির পার্থক্য নিয়ে এত হৈচৈ এর কি আছে বুঝলাম না! লবণের দাম নেই বলতে চান! বেশি চিনির খাওয়ার পরিনাম কি হয় সেটাও তো লিখলেন না!
আর চিটা ধান… ওটাও নেহাত অকাজের নয়, চুলায় চটপট আগুন ধরাতে চিটা ধানের উপকারীতার কথা
কৃষাণীই ভালো জানে।
তাজ্জব ব্যাপার, আপনিও ফাঁকিবাজি লেখা শিখেছেন!
অভিজ্ঞতার কোন সমাপ্তি নেই, আতুর ঘর থেকে আঠালো মাটির ঘর পর্যন্ত চলতে চলতে পুরোটা পথেই অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে আছে/ থাকে।
হু, একমাত্র শাপলা শালুকের জল-নীড়ে কৃষাণের দৌড়াত্ম চলে না 🙂