
নেই কোন লাস্যময়তা এখন, এ সময়ে,
দুপুরের প্রত্ন-ঘুম শেষে আড়মোড়া ভেঙ্গে
ভাবতে বসি, এখন আসলে কখন!!
বিকেল সন্ধ্যা রাত্রি নাকি রাতের শেষে বিষণ্ণ কোন প্রহর!
কিছুই ঠাহর হয় না, শুধুই মোচড়া-মুচড়ি!
টানা বৃষ্টি সপাট ধাক্কা শার্সির গা জুড়ে;
খুঁজে ফিরছি সময়ের না-সুখ না-দুঃখের ক্ষণটি,
এক স্তূপ ফুলেদের আদুরে নিঃশ্বাসে, জ্যোৎস্নার
ছুঁড়ে দেয়া এক ফালি রূপোলী সৌরভে;
সমস্ত শূন্যতার হৃদয়ে ভাসে নীলাকাশের
পেঁজা সাদা মেঘ-দল, চাঁদ-জ্যোৎস্নার হুটোপুটি
আর বাতাসের উসখুস!!
নৃতত্ত্ব/প্রত্নতত্ত্বের ভার আর পিছলে পড়া তৈলাক্ত
বাঁশ-বাঁদরের-অঙ্ক, এ ছিন্ন হৃদয়ে সইবে-না, সইছে-না,
কামাখ্যা মন্ত্র আমার চাই-ই, অবগুণ্ঠন ছিঁড়ে ফেলার।
ছবি নেটের।
৪৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক আছে শরত আসবে। আবার দেখা হিবে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন বলছেন তখন ভরসা পাচ্ছি।
মোঃ মজিবর রহমান
পেতেই হবে বস
যুগ যুগ জিও
প্রাণএর সোনেলায়
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
করোনায় একটু সতর্কতা অবলম্বন করে প্রকৃতিতে যেতেই হবে ভাইজান। শরৎকে আসতেই হবে হাতের মুঠোয়। পরে কি হবে কে জানে?
শুভকামনা রইলো ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
পরিবর্তনের এই ঋতুকে অব্শ্যই স্বাগত বলি।
শরৎ নিজ ভূমে স্বমূর্তিতে এই অপেক্ষায় আছি।
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শরৎ চলে এসেছে , প্রকৃতির এ ডাক ফিরিয়ে দেয় কার সাধ্যি! মন্ত্র পড়ে, সাবধানতা অবলম্বন করে ঘুরে আসুন। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
শরৎ এসেছে হিসেবের খাতায়। প্রকৃতিতে তাকে খুঁজে পাচ্ছি কই !!
ভাল থাকবেন আপনি।
নিতাই বাবু
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত, বসন্ত, হেমন্ত মিলে ষড়ঋতুর মর্মার্থ শুধু কবিদের ভাবনায়-ই থাকে। লিখে যায় দিনে-রাতে, থেকে যায় কবির ডায়েরির পাতায় পাতায়। কবিদের ভাবনার জয় হোক।
কবি মহারাজের জন্য শুভকামনা থাকলো।
ছাইরাছ হেলাল
ঋতুরা শুধু বুঝি লিখিয়েদের জন্য আসে নাকি !
প্রকৃতি নিজ নিয়মে তার সব কিছু নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা তা দেখি বা না-দেখি।
ভাল থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রিয় ঋতু শরতের কথা লিখে শেষ হয়না।
শরতের জন্য অপেক্ষা করতে ও ভালো লাগে।
খুব সুন্দর কবিতা শব্দের নিপূণ বুননে শুধুই মুগ্ধ হই।
শরতের শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও আপনার প্রিয় শরতের শুভেচ্ছা।
ভাল থাকবেন আপনি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
শরৎ চাই মানে চাই’ই।
আমার খুবি প্রিয় একটা ঋতু।
খুবি সুন্দর লিখেছেন দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আমার ও প্রিয় ঋতু , তও এই পাওয়া না পাওয়ার আক্ষেপ।
ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
প্রত্ন-ঘুম নামটা আমার নতুন শোনা, তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমোবার বদ অভ্যাসটা আমার ব্যপক, সুযোগ পেলেই হলো। আর শরতের আকাশ আর কাশফুল কে ভালো বাসি বলে আমি ও আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলি শরৎ আমার চাই-ই
ছাইরাছ হেলাল
শরতের আকাশ আর কাশফুল আপনার ও প্রিয় জেনে ভাল লাগলো।
ভাতঘুমের আনাগোনা একটু থাকেই, এই বৃষ্টিতে ।
ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
তারমানে প্রত্ন-ঘুম আর ভাতঘুম দুই ভাই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
না না দুই ভাই না, ঘুমকে মহামূল্যবান বোঝাতে প্রত্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
ভাল থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
নদীর ধারে সাদা ফুল
কাশবনের দুলছে দুল
কিশোরী দোলায় দু’হাতে ফুল
মনময়ুরী দুলছে দু,কুল।
চাইছে যখন মন শুভ্রশরত
প্রফুল্লহৃদয়ে বাড়ান পা দু’খান
নেলিয়ে দিন শরীর খানা সেথায়
নরম পেশম সাদাফুল দেবে ভুলিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
বাতাসে দুলে যাওয়া কাশ ফুল আমার খুব প্রিয়।
ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
কামাখ্যা মন্ত্র আমার চাই-ই, অবগুণ্ঠন ছিঁড়ে ফেলার।
আমারও চাই-ই চাই।
দারুন লেগেছে কবি।
ছাইরাছ হেলাল
পাইলে দিমুনে!! ভাই।
আহা ভাই আমার !!
ভাল থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
পছন্দ বলে কথা।
শুভ কামনা।আশা পুরন হোক আমাদের ও এই প্রত্যাশায়।
ছাইরাছ হেলাল
যে যা বলিস ভাই , শরৎ আমার চাই-ই।
ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
কি যে বলেন-লেখেন!
হৃদয় ছিন্ন হলে বেচে আছেন কি করে! নাকি এ
হৃদয় সে হৃদয় নয়!
শুনেছি-জেনেছি সুখ আর দুখ নাকি পাশাপাশিই হাটে। আমাদের জানাবেন সেই সময় ক্ষন যখন এদুটো থাকবে না যা আপনি খুজছেন। ভাবছি, সেই ক্ষনের নাম কি হবে!
ছাইরাছ হেলাল
আউলা মাথায় যা যা যেভাবে ধরা দেয় তাই ঠুকে দেই।
আপনি কবি তাই এমুন মনে হয়।
সেই মহা ক্ষণের সাথে দেখা হলে আপনার ঠিকানায় পাঠামুনে !!
সাধু সাধু !!
নাসির সারওয়ার
নিজে যদি বুজেশুনে লেখেন, তাহলেই হোল। আমার বুজ আমার থাক।
সেই মহা ক্ষন শুভ হোক আর অশুভ হোক, পাঠাতে ভুলবেন না যেন।
বুজতে মন চায় – এই সাধু সাধু কি সাধু শায়তান না সাধু সাবধান!!
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, বুঝেশুনে লিখতে পারি না, যা যা মুনে আসে তাই ছুঁড়ে দেই!!
ঠিক-ঠাক পাঠাবো, তখন কিন্তু ক্যাকো ক্যাকো করা যাবে না!!
সাধু শুধু ই সাধু।
সাবিনা ইয়াসমিন
শরত কালে বসেই শরত চাইছেন! কেন শরত দিয়ে কি করবেন আপনি?
ছাইরাছ হেলাল
ক্যালেন্ডারের শরতে মন ভরছে না , আসল শরৎ চাই, ভর্তা বানিয়ে খেতে !!
বুঝছি তো, দেখা পান নাই !!
পাইবেন পাইবেন।
ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার অনুভূতির ছোঁয়া কবি দা
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আষাঢ় শ্রাবণ গত হলো,
যেদিন গুলোর অপেক্ষায় ছিলাম তাও ফুরালো,
শুনেছি এখন নাকি শরৎ এসেছে!
বৃষ্টির অবিরাম ধারায় এ-কেমন শরৎ!
আমার চোখ ভিঁজিয়ে দেয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির রেণু,
কাশফুলের শুভ্রতা ধরা পড়েনি এই চোখে এবার।
ধরা কি পড়েছিলো আর-বার?
প্রতিক্ষার অনন্তদিন গুলোতে
দিনলিপির নিয়ম মেনে ফুরিয়ে আসছে একটা-একটা দিন,
আমি দিনগুনে যাই প্রহর ভুলে
ভুলে যাই আগত সময়কে স্বাগত জানাতে,
একটা নির্মল শরৎ দেখবো বলে
একটা আগুন রঙা ফাগুন বসন্ত আসবে বলে,
দিনগুনে যাই.
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে দেখতে চাই অনাগত সেইদিন,
যেদিনের কোনো হিসেব নেই
যোগ-বিয়োগের গুণ-ভাগের ভাগীদার নেই
সেদিনটা হবে শুধু আমার!
রোকসানা খন্দকার রুকু।
শ্রদ্ধেয়া কবিতাখানা কি আপনার?
হলে রচনাকাল কাল জানতে চাই।
রচনাকাল এখনহলে পাতায় দিলে অনেকেই পড়ে ধন্য হত।
হাঁ করে বসে থাকা মানুষগুলো।
শুভ কামনা ও ভালোবাসা।
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বী ম্যাডাম, মন্তব্যখানা এই অধমাই লিখেছি। মন্তব্যের উপরে সময় দেয়া আছেতো! মহারাজের লেখা পড়ে সাথে সাথেই মন্তব্য দিয়ে ফেলি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাবছি আর ভাবছি, কাব্যে শরৎ আপনার কাছে যেভাবে ধরা দিয়েছে
আক্ষেপ অপেক্ষা নিয়ে তার কী উত্তর হয় তা খুঁজছি !!
যেন তেন উত্তর তো সবাইকে দেয়া যায় না, কবিদেরকে তো না-ই।
আরো কয়েক খানা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল থাকুন শরৎ-বৃষ্টি নিয়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা, তথাস্তু। শরৎ বন্দনা আরও ডজনখানেক পোস্ট করুন মহারাজ। আমিও তাহলে হালিখানেক মন্তব্য দেয়ার ইচ্ছা রাখি।
ছাইরাছ হেলাল
বলছেন যখন ডজন হবে কী না এখন বলতে পারছি না,
তবে কিছু তো হবেই।
নিন এবার শুরু করে দিন।
আরজু মুক্তা
এটা হলো শরতের বৃষ্টি। কিছু মেঘ, কিছু রোদ, কিছু নীলাকাশ। সাদাদের উপস্থিতি। সব মিলিয়েই শরতের লুকোচুরি
ছাইরাছ হেলাল
হুম, সাদাদের উপস্থিতি আর লুকোচুরি দেখবো বলেই তো অপেক্ষায় আছি।
ধন্যবাদ।
উর্বশী
স্মৃতির করিডোরে আছে লুকায়িত,
কত সুখময়তা, আছে কত অভিপ্রেত।
আমি নিমিষে নিমিষে তোমায় দেখি,
শরতের বিকেলে নন্দিত নয়নের হাসি।
যে দৃষ্টি আমায় উদগ্রীব করে তোলে
ধীরে ধীরে ডুবে যাই নিঃশব্দ ধ্যানের শিল্পিত তন্দ্রায়।
যার ছায়া ঘিরে থাকে সারাক্ষণ স্বপ্নীল বিলাসের উষ্ণতায়।
নীল আকাশ,ছেড়া ছেড়া সাদা মেঘ,দৃষ্টির সীমানায় কিছু আবেগ,
শরতের বাতাসকে বলে দিয়েছি সে কথা তাকে বলে দিতে।
প্রলম্বিত সময় বুকের গভীরে তোমায় করেছি লালন,
তারপরেও অনুভব করি সুনসান ভাব অবিরাম।
নীল আলাশ,নীল সাদা রোদের খেলা দারুন টানে আমায়। ভাইয়া, ভেবেছিলাম আমি ই বুঝি একটু বেশী শরতের ছায়া প্রেমী। আপনি তো মা শা আল্লাহ।
আমরা শরৎ মেলায় মিশে যাই লেখার মাঝে।ভাল থাকুন।শরতের শুভেচ্ছাসহ শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বলছি এই আবেগি মন্তব্যের উত্তরে কী লিখতে হয়, কীভাবে প্রতি উত্তর দিতে হয় তা ভেবে ভেবেই
এই দেরি,
প্রতিটি ঋতুই আমাকে টানে, যেমন টানে প্রতিটি প্রিবর্তন, শরত আপনার ও প্রিয় জেনে আনন্দ হচ্ছে।
লিখে ফেলুন আরও আরও কিছু আপনার জন্য, আমাদের জন্য।
ভাল থাকবেন আপনি। ডাক্তারের কথা/নিয়ম মেনে।
সুরাইয়া পারভীন
আমারও একটা শরৎ চাই, একটা নিজেস্ব শরৎ চাই!
এমন একটা শরৎ যে শরতে নীলাকাশের নিচে
শ্বেত শুভ্র কাশফুলের বনে প্রিয়জনের/আপনজনে হাতে হাত রেখে শুভ্রতার পবিত্রায় হারিয়ে যাওয়া যায়।
এই কবিতার মন্তব্য গুলোও কিন্তু দারুণ
ছাইরাছ হেলাল
দেরিতে হলে ও আপনার মন্তব্য ও সুন্দর।
ভাল থাকুন, শরতের অপেক্ষায়।