আমি কখনো বইয়ের রিভিউ লিখিনি। লিখতে জানিও না। আসলে চেষ্টাই করা হয়ে ওঠেনি। এই যে পোষ্টটি লিখতে বসেছি একটি বই প্রকাশের কথা জানাতে। “লাইফ ইজ ডিউটিফুল” একটি রম্য ছড়ার সঙ্কলন। আগেই বলেছি রিভিউ আমার কম্মো নয়। আর বইটি নিয়ে বলার আগে কিছু কথা বলতে চাই।
কিছু কবি-সাহিত্যিক-লেখক আছেন, যারা নিজেদের প্রতিভাকে আড়ালেই রাখেন। পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হলেও সেসব নিয়ে খুব বেশী মাতামাতি করেননা। আর প্রচারণার তো ধারে-কাছে যা্ননা। তেমনই একজন রম্য ছড়াকার ব্রত রায়। বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা, দেশ ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু জেনেছি তার থেকে নয়। প্রচার-বিমুখ এই ছড়াকারের প্রথম বই “লাইফ ইজ ডিউটিফুল” প্রকাশিত হয়েছে। অভিনন্দন ছড়াকার ব্রত রায়কে। বইটি পাওয়া যাবে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ভেতরে স্টল নং ৪০৭-৮, দেশ পাবলিকেশন্স।
ওর একটি লেখা এমন, **আপনার সামনে আছে চারটি ইস্যু – বইমেলা, ভ্যালনটাইনস্ ডে, বিয়ে দিবস আর বিআরটিসির নষ্ট বাস। আপনি কী করবেন? একটিকে বেছে নেবেন? না একাধিক? এক কাজ করা যাক – বাসে চড়ুন, সেটা নষ্ট হোক বইমেলার কাছে এসে। তারপর? আসুন এগিয়ে যাই ……
বিআরটিসির
বাস এবং ….
ব্রত রায়
বইমেলাতে যাচ্ছি সেদিন অনেক ছিল তাড়া
মেলার থেকে খানিক দূরে – হঠাৎ এ কী ফাঁড়া!
বাসটা গেল নষ্ট হয়ে – হায় রে বিআরটিসি
চলার উপযুক্ত আছে অল্প কয়েক পিসই!
আর কোনো বাস আসছিল না উপায় কী যে করি
গাঁটের কড়ি খরচা করে বিকল্প পথ ধরি।
একটা খালি রিকশা দেখে দৌড়ে গেলাম আমি
যায় কি না যায় চেক করি নি, নাই রে দামাদামি!
উঠতে যাব এমন সময় “রিকশা যাবে নাকি?”
পেছন থেকে কারোর গলা ডাকল যেন পাখি!
কানের কাছে উঠল বেজে চুড়ির রিনিঝিনি
চমকে দেখি বাসের সহযাত্রী ছিলেন ইনি।
ডেস্টিনেশন একই ছিল, রিকশাও নেই আর
একসাথে হয় দু’জন মিলে যাত্রা চমৎকার!
আমায় দেখে হয় নি মনে বোধ হয় খারাপ কিছু
বইমেলাতে ঘন্টাদুয়েক আমার আগুপিছু
চলেন তিনি। ফুচকা খেলেন। আমার লেখা বই
পেলেন তিনি। সংগে পেলেন খোদ লেখকের সই!
ফেব্রুয়ারির চোদ্দ তারিখ দিবস ভালবাসার
দিনটা ছিল নবীন জুটির আরো কাছে আসার!
তারপরে যা হওয়ার ছিল সেটাই হল দ্রুত
যখন-তখন বেরিয়ে যেত কাছে আসার ছুতো!
সেটাও ছিল ফেব্রুয়ারি যেদিন হল বিয়ে
অনেক স্মৃতি অম্লমধুর বিয়ে দিবস নিয়ে!
এখন একই ছাদের নিচে পত্নী এবং পতি
ঝগড়া-প্রেমে দুজন আজও পরস্পরের গতি!
যেদিন লাগে লড়াই সেদিন অনেক কথাই ওঠে
সেইগুলো সব মিষ্টি কথা কেউ ভেবো না মোটে
সব বিষয়ে মত না হলেও এক বিষয়ে হই
দোষ যা সবই বিআরটিসির – আমরা দোষী নই!
এবারে ছড়াকার ব্রত রায়ের কথা দিয়েই লেখাটি শেষ করছি।
বিজ্ঞাপনের মতই —- ব্রত রায়
=================
লেখালখির জন্য আমি আলাদা একটি আইডি ব্যবহার করি। আমাকে যারা ব্যক্তিগত বা সামাজিকভাবে চেনেন (আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী) তাদের বেশিরভাগই আমার লেখালেখি পছন্দ করেন না। যারা করেন তারা দু’টি আইডিতেই আমার সাথে যুক্ত। লেখালেখির আইডিতে আমার বন্ধুতালিকা এই সামাজিক তালিকার তিনগুণ। যেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষ যেচে আমাকে যুক্ত করেছেন। সম্ভবত লেখার টানেই। আগে পত্রিকায় লেখা ছাপা হলে বা নতুন কিছু লিখলে এই সামাজিক আইডিতে পোস্ট করতাম বা শেয়ার করতাম কিন্তু দেখা গেল সেটি বেশিরভাগই না-পসন্দ করছেন (বা পছন্দ করছেন না)! তাই পোস্ট দেয়া বন্ধ করে দিলাম। দু’একজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনার লেখা কি আর ছাপা হচ্ছে না? বললাম, হচ্ছে, সপ্তাহে ৩-৪টি করেই হচ্ছে। কিন্তু আপনাদের অগোচরে হচ্ছে!
এখন প্রশ্ন হল – আমার লেখা পত্রিকায় ছাপা হলে আমার আত্মীয় বা বন্ধুরা তার প্রতি প্রবল অনাগ্রহী কেন? কারণ বিশ্লেষণ করা যাকঃ
১। ও তো এখন ‘পরিচিত’। ওর লেখা ছাপা হবেই! এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এতে মাথা ঘামানোর কী আছে? পড়ারই বা কী দরকার? তার চেয়ে ‘আমার ছেলে হাগু করেছে’ টাইপের স্ট্যাটাস বা গাবতলী এয়ারপোর্টের সেলফি নিয়ে মাথা ঘামানোই বেটার!
২। থ্রি-ইডিয়ট সিন্ড্রম! [এটার ব্যাখ্যার দরকার নাই।]
৩। ধুর, এসব সাহিত্য-টাহিত্য কে পড়ে? রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’র পর কি আর ভালো কবিতার বই বেরিয়েছে? [ছড়া আর কবিতার পার্থক্যই বা ক’জন বোঝে?]
আমার জন্য এসব মাথা ঘামানোর ব্যাপার নয়। বইমেলায় আমার একটি বই বেরিয়েছে। এত কিছু ভেবে বই ছাপাই নি আমি। যারা কেনার তারা কিনবেন। মজা হল এই আইডির বন্ধু তালিকার এখন পর্যন্ত একজনও আমার ছাপা বই কেনেন নি! একজন ছাড়া আর কেউ আগ্রহও দেখান নি। কিন্তু অনেক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কেউ কেউ বই চেয়ে বিকাশ করছে। তারা আমাকে বা তাদেরকে আমি চিনিও না। তারা অবশ্যই ওই আইডির বন্ধু! সামটাইমস্ ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড ইজ বেটার দ্যান রিয়েল ওয়ান। এ্যাট লিস্ট তারা টাকা ধার চেয়ে বসেন না বা ফেরত দিতে ভুলে যান না!
==============================================================
এবার আমি আসি আমার কথায়, আশা করি সকলে বইটি পড়ে দেখবেন। কেমন হলো, কেমন লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা, যারা কষ্ট করে আমার এই পোষ্টটি পড়েছেন।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ইং।
৪১টি মন্তব্য
খসড়া
বইয়ের রিভিউ লিখতে পারেন না! তাইলে এটা কি লিখলেন? আমি কি মন্তব্য লিখব তাইতো ভেবে পাচ্ছি না।
এইচ এম রিপন
হাসাইলেন :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
রিপন হাসেন বেশী করে। হাসি স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
এটাকে রিভিউ বলা যায় বুঝি!!!
আহ কি স্বস্তি অনুভব করছি। 🙂
শুভ্র রফিক
ভাল লাগল স্বল্প পরিসরে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো যে লাগলো আপনার।
তানজির খান
ভাল রিভিউ লিখেছো। এটাই বলছিলাম আমি। আশাকরি বইটি কিনবো, তবে কথা দিতে পারছিনা না এই জীর্ন সময়ে। আর চার দিন আছে মেলার, কিনে একটা সেলফি দিতে পারলে ভাল হতো ছড়াকারের সাথে। আর হ্যা, আগামী বছর আশা রাখছি আমার বই আসবে। তোমাকে কিন্তু অবশ্যয়ই রিভিউ লিখতে আমার বই নিয়ে।
শুভকামনা রইলো তোমার ও ছড়াকারের জন্য
আবু খায়ের আনিছ
অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া, আশা করি একটা অটোগ্রাফ পাব আগামী বই মেলায়।
তানজির খান
ভাই এটা আমার স্বপ্ন, জানিনা আল্লাহতালা কি নির্ধারণ করে রেখেছেন আমার জন্য। আপনাদের ভালবাসা সব সময়ই আমার জন্য বিশেষ কিছু। আবারো মুগ্ধ হলাম এত ভালবাসায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
তানজির ভাইয়া জীবনের প্রথম এভাবে লেখা। একটু নার্ভাস লাগছিলো।
তবু লিখেছি, কারণ আমি জানি এই ছড়াকারকে। প্রচন্ড প্রচার-বিমুখ। কিন্তু ভালো লেখে।
তাই পোষ্টটা দিয়েছি।
আর ধন্যবাদ তোমাকে কারণ তুমি-ই বলেছিলে বই রিভিউর কথা। এটা যদিও অরিজিনাল রিভিউ হয়নি, তবে চেষ্টা ছিলো।
আশা করি আগামীতে পারবো।
আবু খায়ের আনিছ
একটুর জন্য মিস হয়ে গেল। গতকাল গিয়েছিলাম, কাল দেখলে কিনে আনতে পারতাম। নেক্সট টাইম নো মিসিং………..
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া বইয়ের খবর আমি পেয়েছি-ই আমাদের গতকাল রাতে। পাবার পর অনেক কষ্টে লিখে পোষ্টটা দিয়েছি।
আর যদি যাওয়া হয় তাহলে পড়ে নেবেন।
অপার্থিব
চমৎকার রিভিউ। কয়েকদিন আগেই বই মেলায় গিয়েছিলাম। রিভিউটা আগে পেলে হয়তো বইটি কিনে ফেলতাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে বইয়ের খবর আমাদের গতকাল রাতেই পেয়েছি। তারপরই পোষ্টটা দিয়েছি।
আর রিভিউর কথা বলছেন, জীবনে এভাবে এই প্রথম লিখলাম।
লেখার পর মন ঠিকমতো সায় দেয়নি। কিন্তু আপনার মন্তব্যে সাহস পেলাম আবার লেখার।
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন বলছেন তখন তো পড়তেই হবে,
আপনার এই চমৎকার রিভিউ এর পর।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি সত্যি বুঝে পারছি না। সবাই আপনারা বলছেন রিভিউ ভালো লিখেছি, আমি সত্যিই রিভিউ সম্পর্কে জানিনা। মানে কখনোই তো লিখিনি। তবে আপনাদের সকলের এমন মন্তব্যে সত্যি প্রেরণা পাচ্ছি।
ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
এই রিভিউতে বেশ প্রো প্রো ভাব। এ জব আপনাকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাবে। যান যান। তবে আমার কবিতার বই রিভিউ এর জন্য কোন ফি দিতে পারবোনা বলে রাখলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ ফি দেবেন না, ছিনিয়ে নেবো। আরে বড়ো ভাই আপনি।
অতো সহজে ছাড়বো ভেবেছেন? 😀
অনিকেত নন্দিনী
পারিনা পারিনা বলেই এত্তকিছু! পারলে কী করতে? 🙂
আহা! কবে যে আমার বই ছাপা হবে (ইহজীবনে আর হয়েছে! :p ) আর এই ব্লগে তার রিভিউ যাবে। ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি এবার আপনি অনেক বেশী উপরে তুলে দিলেন আমায়। আসলেই পারিনা।
এভাবে এমন লেখা এই প্রথম। প্রবন্ধ-কলাম এসব লিখেছি, কিন্তু কোনো বইয়ের প্রচার! কোনোদিন না!!
আপনি চাইলেই আপনার বই ছাপা হবে। সামনের বছর বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন এখন থেকেই। 🙂
অনিকেত নন্দিনী
এখন বেশ কিছু প্রকাশক আছে ফাঁকিবাজ। নিজের পকেটের টাকা ঢেলে বই ছাপিয়ে সেই বইয়ের কমিশনের জন্য প্রকাশকের পিছু পিছু ঘুরে জান শেষ করতে হয় গো নীলাদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি আপনি জানা-শোনা প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করলে এমন সমস্যায় পড়তে হবেনা।
অরুনি মায়া
ওহহ পোস্টের শিরোনাম পড়ে ভেবেছিলাম তোমার রেস্ট শেষ আর ডিউটি শুরু 🙂 | পরে বুঝলাম এটা বইয়ের রিভিউ |
কেন যেন কাছের মানুষরা লেখার বিষয়টিকে সমর্থন করতে চায়না | লেখাটিক অর্থহীন মনে করে | কেন এমন করে বুঝিনা আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু আমার রেষ্ট শেষ হবার পথেই।
ছড়াকারের স্পষ্ট বক্তব্য সকলে নিতে পারেনা যে!
অরুনি মায়া
বল কি ,আমার একটা ভাঙা হাড়ের ব্যাথায় আজও ভুগছি! আর তুমি দৌড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছ 😮 | বাপরে কি সাহস!
জানিনা আপু কিসে সমস্যা | এইযে আমার লেখালেখিও বাড়ির কেউ পছন্দ করেনা | তবুও লিখছি |
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু মনের জোর অনেক বড়ো জোর। আমি মনে করি বেঁচে গেছি যখন, তার মানে এই পৃথিবীতে আমার এখনও অনেক প্রয়োজন আছে। সেই প্রয়োজন কি আমি জানিনা। তাই দৌঁড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কথায় আছে না, চাঁদ ছুঁতে চাওয়ার আগে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা উচিৎ। আমিও তাই করছি। 😀
তুমি বাড়ির সবাইকে বোঝাও, তোমার লেখা পড়ে শোনাও। দেখবে আস্তে আস্তে ওরাই তোমাকে উৎসাহ দেবে। -{@
ইলিয়াস মাসুদ
কি সুন্দর পর্যালোচনা
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ। আচ্ছা আপনার কবিতা “এখন নিভৃতে (শেষ পর্ব)” সেটা কোথায়? আমার মন্তব্যের বাক্স যতোবারই খুলছি পাচ্ছিনা।
আর সেটা না পাওয়া গেলে আমার মন্তব্যের বাক্সে প্রচুর মন্তব্য জমে থাকবে। তাতে বেশ সমস্যা। লেখাটিকে ফিরিয়ে কি আনা যায়?
ইলিয়াস মাসুদ
সাংঘাতিক কান্ড তো ? আমারো তো একই অবস্থা ছিল, দুঃখিত আপু, আমি অসলে লেখাটা নিয়ে গিয়েছিলাম ঠিক করার জন্য, প্রচন্ড ব্যাস্ততার কারনে সময় পায়নি……..
তাহলে আপনার মতো তো সবারই এমনি হয়েছে হয়তো !! -:-
নীলাঞ্জনা নীলা
না না এখন ঠিক আছে। হুম ওভাবে আর নিয়ে যাবেন না। তাহলে বেশ সমস্যা হয়।
ধন্যবাদ।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
যেমন ভালো কবির কবিতা!
তেমন ই ভালো বিশ্লেষন!
রিভিউ তো ভালোই লিখেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিভিউ ভালো লিখি, সে তো আপনারা সকলেই বলছেন।
তবে কবি ভালো লেখেন এটা সত্যি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
রিভিউ ভালোই হয়েছে
আর কিছুদিন আগে বইটির কথা জানলে সংগ্রহে রাখা যেত এবারই।
তবে মেলা শেষ হলেও এটি সংগ্রহ করা হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এই পোষ্টের পর আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু তোমরা সবাই মিলে যেভাবে প্রশংসা করছো, তাতে সাহস পাচ্ছি।
এটুকু জানি আপনজনেরাই ভুল ধরিয়ে দেয়।
তুমি ছড়াকারকে চেনো। ওর লেখা সংগ্রহে রাখার মতো।
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ চিনি ছড়াকরকে
সংগ্রহ করে নেবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা খুশী হলাম। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ছড়াটা দারুন মজার, সব বিআরটিসির দোষ। আমি অন্যদের এই ব্যাপারটা বুঝতে পারিনা, পরিচিত কেউ বই বের করলে, সবার আগে আমিই কিনতাম, তা সেটা যেমনই হোক। আসলে কবি আর লেখকের সংখ্যা এতবেশি হয়ে গেছে যে সবাই নিজেকে তাই ভাবছে, তাই অন্যের বই কিনতে চাচ্ছেনা।
ব্রাত্য রায়ের জন্য শুভকামনা থাকলো। দেশে থাকলে নিশ্চয়ই কিনতাম, চেষ্টা থাকবে সংগ্রহ করে রাখার।
এটা তোমার প্রথম রিভিউ? চমৎকার। তুমি সবকিছুতে হাত দিলেই তা নীলা হয়ে যাবে। খুবই ভাল হয়েছে লেখাটা আপু। সবকিছু কি আর ডিউটিতে হয়, ছড়াকার কে বলো, লাইফ টা সত্যিই বিউটিফুল 🙂
শুন্য শুন্যালয়
স্যরি ব্রত রায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এতো বেশী বলো না আমায়। রিভিউ শব্দটির মানে এই তো সেদিন বুঝেছি। যদিও হিসেবে যুগ পার হয়ে গেছে। কিন্তু লেখার সাহস করিনি। সেই কবে কলেজ জীবনের প্রথম দিকে গীতবিতানের তাল-লয় নিয়ে লিখেছিলাম! কিন্তু কিভাবে কিভাবে জানি ওই লেখাটি আমার স্যারের চোখে পড়ে গেলো, তখন উনি পত্রিকায় পাঠিয়ে দিলেন। আমি জানিওনা। প্রকাশিত হবার পর পত্রিকায় লেখাটি দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ। তখন উনি বলেছিলেন রিভিউ লিখতে। কিসের কি! আমি ও মুখো আর হইনি। কিন্তু এই ব্রত রায়ের লেখা আমার পরিচিত বলেই শুধু নয়, আসলেই ভালো লেখে। আর প্রচন্ড প্রচার-বিমুখ বলেই লিখতে বাধ্য হলাম।
ইতালিয়ান একটা মুভি আছে “লাইফ ইজ বিউটিফুল”, দেখেছো নিশ্চয়ই?
শুন্য শুন্যালয়
ছড়া লেখা কিন্তু কঠিন। ছন্দ, তাল সব মিলিয়ে মেসেজ টা পৌঁছে দেয়া কঠিন। রিভিউটা খুব ভালো লিখেছ আপু, বেশি বলিনি। লিখো কোন পছন্দের লেখা থেকে।
মুভিটি দেখিনি আপু। দেখে নেব সুযোগ পেলে। ভাল থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি বলছো যখন, তাহলে ভাবছি রিভিউ লিখবো মাঝে-মধ্যে।
ভালো আছি, ভালো রেখো। 🙂