আজ পোষ্টের ক্যাপশন দেখে বুঝতেই পারছেন মাছের বাজার বসেছে এই সোনেলার রান্নাঘরে। আপনাদেরকে সোনেলার রান্নাঘরে আমি রাঁধুনী নীলাঞ্জনা আপনাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যাক বেশী কথা বলার দরকার নেই। রান্না শুরু করি।
তেল-ইলিশ সন্ধি ঃ-
উপকরণ ঃ কালোজিরা, হলুদ পাউডার, জিরা পাউডার, লবণ, শুকনো মরিচ, কাঁচামরিচ, ইলিশ এবং তেল।
ইলিশ মাছ বেশী ধুতে নেই। অন্যান্য মাছ যেমন হলুদ-লবণ দিয়ে ধুতে হয়, ইলিশে তার প্রয়োজন নেই। এমনভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে রক্ত না থাকে। ধুয়ে তারপর জল ঝরাতে হবে। জল ঝরে গেলে হলুদ-জিরা-লবণ দিয়ে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো মেখে রাখতে হবে। চুলায় ফ্রাইপ্যান বসান, ফ্রাইপ্যান গরম হলে একেবারে অল্প তেল দিন। কারণ ইলিশের তেলেই পুরো মাছ রান্না হবে। তেল গরম হলে ওর মধ্যে কালোজিরা ও শুকনো মরিচ ফোঁড়ন দিন। লবণও ছিটিয়ে দিন। এবারে অল্প আঁচে হাল্কা করে ভাঁজুন। কালোজিরা আর শুকনো লঙ্কার ঘ্রাণ ছড়ালে মাছের টুকরোগুলো এক এক করে ফ্রাইপ্যানে দিন, তবে অবশ্যই হাল্কাভাবে ভাঁজতে হবে। এখন জ্বাল বাড়িয়ে দিয়ে একপাশ ভাঁজা হলে, উল্টে দিয়ে অন্যপাশও একইভাবে ভাঁজুন। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে দু’পাশই যেনো একই রকম দেখতে হয়। ভাঁজা হয়ে গেলে অল্প আঁচে ঢেকে রেখে দিন চুলায়। মাছের তেলেই মাছ সেদ্ধ হবে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে তেল যেনো শুকিয়ে না যায় এবং মাছ পোড়া না লাগে। নামাবার সময় কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিন। খুবই সহজ রান্না, গরম ভাতের সাথে শুধু এই একপদ দিয়েই খেয়ে নেয়া যায়।
ইলিশাসপারাগাস ঃ-
উপকরণ ঃ কালোজিরা, হলুদ পাউডার, লবণ, শুকনো মরিচ, কাঁচামরিচ, ইলিশ, অ্যাসপারাগাস, জল এবং তেল।
নামে একটু খটোমট হলেও রান্না খুবই সহজ। অ্যাসপারাগাস লম্বা করে টুকরো করুন। দেশে অবশ্য একইভাবে ডাটা দিয়েও ইলিশ মাছ রান্না করা হয়। ইলিশ একইভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে হলুদ-লবণ দিয়ে একেবারেই হাল্কাভাবে ভাঁজুন। ভাঁজা হয়ে গেলে ফ্রাইপ্যান থেকে উঠিয়ে নিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন। এবার ওই তেলেই কালোজিরা ফোঁড়ন দিন, সাথে সাথেই একটু লবণ ছিটিয়ে দেবেন। তারপর অ্যাসপারাগাস টুকরোগুলো ছেড়ে দিন ওই তেলে। হলুদ-লবণ দিন। হাল্কা ভাঁজা হলে অল্প একটু জল ঢেলে দিন ঝোলের জন্য। ঢেকে দিন জল ফুঁটতে শুরু করলে মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দিন। আবার ঢেকে দিন। মাছ সেদ্ধ হলো কিনা দেখুন, সেদ্ধ হলে ঢাকনা সরিয়ে দিন। আর ঝোল যতোটুকু রাখতে চান ঠিক ততোটুকুই রাখুন। সবশেষে কাঁচা মরিচ ফালি ছেড়ে দিন। তবে সাবধান অ্যাসপারাগাস খুবই নরম হয়ে থাকে, তাই খেয়াল রাখতে হবে গলে না যায়। আর দেশে যাঁরা আছেন, ডাটা দিয়ে ইলিশের ঝোল খেয়ে দেখুন। মনে হবে অমৃত।
আলু-কৈ মাছের ঝোল ঃ-
উপকরণ ঃ আস্ত জিরা, হলুদ-জিরা-ধনে-কারি পাউডার, আদা বাটা, লবণ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, আলু ও কৈ মাছ।
কৈ মাছ এখানে পরিষ্কার করাই পাওয়া যায়। আমি শুধু হলুদ-লবণ মাখিয়ে বহুবার ধুয়ে থাকি। ফ্রোজেন কৈ মাছে গন্ধ পাওয়া যায়, আমিও পাই। তবে খুব ভালো করে হলুদ-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে ফেললে একটুও ফ্রোজেন গন্ধ পাওয়া যায়না। আমি মাছের শরীরে হাল্কা একটা পোচ দিয়ে রাখি যাতে মশলাগুলো ভেতরে ঢোকে। এবার ধুয়ে ফেলে জল ঝরান। জল ঝরে গেলে হলুদ-লবণ মাখিয়ে নিয়ে ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে এক এক করে সবগুলো মাছ দিন। হাল্কা করে ভেঁজে নিয়ে তুলে রাখুন। ওই তেলেই এক চামচ আস্ত জিরা ্ছেড়ে দিয়েই লবণ ছিটিয়ে দিন। সাথে সাথেই আদা বাটা দিন। ছোট্ট একটা বাটিতে দুই চা চামচ জিরা-কারি পাউডার-হলুদ, এক চা চামচ ধনে পাউডার অল্প একটু জল দিয়ে মেখে নিয়ে ওই মশলা তেলে ঢেলে দিন। এমন ভাবে ভাঁজুন যাতে পোড়া না লাগে। এবারে হাল্কা ভাঁজা হলে ওর মধ্যে আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিন। বেশ নাড়াচাড়া করুন, মশলা বাদামী রঙ হলে এলে জল দিয়ে ঢেকে দিন। জল ফুঁটে আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে দিন। এবারে মাছগুলো দিয়ে জ্বাল কমিয়ে দিন। অল্প আঁচে মাছ সেদ্ধ হবে। ঝোল যতোটুকু পছন্দ ঠিক ততোটুকুই টানিয়ে নিন। নামানোর আগে লবণ দেখে নেবেন। তারপর কাঁচামরিচ ফালি ও ধনেপাতা কুচি দিন। ব্যস হয়ে গেলো আলু দিয়ে কৈ মাছের ঝোল।
সঁরপুঁটি মাছের ব্যঞ্জন ঃ-
উপকরণ ঃ আস্ত জিরা, আস্ত তেজপাতা-লবঙ্গ-এলাচ-দারচিনি (সবগুলো দুটো করে), হলুদ-জিরা-ধনে-কারি পাউডার, আদা বাটা, লবণ, কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, ঘি, গরমমশলা গুড়া।
সঁরপুঁটি মাছও এখানে পরিষ্কার করাই পাওয়া যায়। আমি শুধু হলুদ-লবণ মাখিয়ে বহুবার ধুয়ে থাকি। খুব ভালো করে হলুদ-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে ফেলে জল ঝরান। জল ঝরে গেলে হলুদ-লবণ মাখিয়ে নিয়ে ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে এক এক করে সবগুলো মাছ দিন। হাল্কা করে ভেঁজে নিয়ে তুলে রাখুন। ওই তেলেই আস্ত তেজপাতা-লবঙ্গ-এলাচ-দারচিনি ছেড়ে দিন। ওর মধ্যেই এক চামচ আস্ত জিরা ্ছেড়ে দিয়ে লবণ ছিটিয়ে দিন। সাথে সাথেই আদা বাটা দিন। ছোট্ট একটা বাটিতে দুই চা চামচ জিরা-কারি পাউডার-হলুদ, এক চা চামচ ধনে পাউডার অল্প একটু জল দিয়ে মেখে নিয়ে ওই মশলা তেলে ঢেলে দিন। এমন ভাবে ভাঁজুন যাতে পোড়া না লাগে। অল্প করে জল দিয়ে ঢেকে দিন। জল ফুঁটে উঠলে মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দিন। একই পদ্ধতিতে মাছ সেদ্ধ করুন। মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে চার চা চামচ ঘি ঢেলে দিন। এটা পাতলা ঝোল হবে না কিন্তু। মাখা মাখা হয়ে এলে নামানোর সময় কাঁচালঙ্কা ও গরমমশলা গুড়ো ছিটিয়ে দিন।
পাবদা মাছ মাখানী ঃ-
উপকরণ ঃ পেঁয়াজ-রসুন কুচি, আস্ত জিরা, আদা বাটা, পোস্ত বাটা, সরিষা বাটা, ধনেপাতা বাটা, জিরা গুড়া, ধনে গুড়া, হলুদ গুড়া, লবণ, ভেজিটেবল তেল, সরিষা তেল, কাঁচালঙ্কা।
পাবদা মাছ এখানে পরিষ্কার করাই পাওয়া যায়। কৈ মাছের মতোই পাবদা মাছকেও একইভাবে প্রসেস করে নেবেন। তারপর তেলে হাল্কা ভেঁজে আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। একটা ছোট্ট বাটিতে আদা-পোস্ত-সরিষা-জিরা-ধনে-হলুদ(সব এক চামচ করে) মেখে রাখুন। আর যে তেলে মাছ ভাঁজা হয়েছে সেই একই তেলে পেঁয়াজ-রসুন কুচি হাল্কা বাদামী করে ভেঁজে নিন। ওর মধ্যে মেখে রাখা মশলা বাটা দিয়ে দিন। তারপর ভালো করে নাড়াতে থাকুন। ভাঁজা ভাঁজা হয়ে গেলে খুবই অল্প পরিমাণে একটু জল দিন। জল ফুঁটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। সাথে সাথেই ধনেপাতা বাটাও দিন। ঝোলের রঙ একেবারে সবুজ হয়ে যাবে। জ্বাল কমিয়ে ঢেকে রাখুন যাতে মাছ সেদ্ধ হয়। সেদ্ধ হবার পর নামানোর সময় চার চা চামচ সরিষা তেল দিন। রান্নাটা একটু ঝামেলাদায়ক হলেও স্বাদে ঠকবেন না। পাবদা মাছের এই রেসিপি আমার মন থেকে নেয়া।
**আমি রান্নায় কাঁচামরিচ দেই, গুড়া পাউডার ব্যবহার করিনা। আর আমার রান্নায় পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবহার খুবই কম। অনেকেই অবাক হয়ে যায়, তবে কখনো বিস্বাদ হয় এ কথা শুনিনি। আশা করি রেসিপি সকলেরই পছন্দ হবে। কারণ এখানে তেলের ব্যবহার পুরোমাত্রায় আছে। আর তেল ছাড়া রান্না শুধু না, জীবনের সর্বক্ষেত্রই অচল। প্রতিনিয়ত দেখছি বিভিন্ন জায়গায়, অবশ্য ভিন্নভাবে। 😀
হ্যামিল্টন, কানাডা
৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং।
৩৬টি মন্তব্য
অয়োময় অবান্তর
যে ভাল লেখে, সে ভাল রাঁধেও।
দাওয়াত চাই, দাওয়াত চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
চলে আসুন যেদিন মন চায়। অবশ্যই রেঁধে খাওয়াবো। 😀
অয়োময় অবান্তর
(y) (y) (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
ছাইরাছ হেলাল
একবারে এত্তগুলো দিয়ে দিলে তো কোনটা রেখে কোনটা চাখি!
সমস্যায় ফেলে দিলেন তো!
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্যাপার না! একবেলায় সব তো খাওয়াও যাবেনা। আপনি এক একদিন এক এক পদ রান্না করে নিন। আর তা নইলে ভাবীকে বলুন রান্না করতে। উনি একদিনে সব রান্না পারবেন। ওহ অবশ্যই রেসিপি পোষ্টটা দেখাবেন। 😀
মিষ্টি জিন
মাছের রেসিপির মেলা বলেছে সোনেলায় । গতানুগতিক যেভাবে মাছ রান্না করি তোমার রান্না তার চেয়ে একটু ভিন্ন। যেমন আমি ইলিশে পিয়াজ ,হলুদ ,মরিচ ছাড়া অন্যকোন মশলা দেই না। 🙂
এসপারাগাসের স্বাধ অনেকটা কচুর লতির মত। তাই ইলিশ দিয়ে রান্না করলে স্বাধ হবে।আমি মাছ খাইনা তবে তোমার দাদা ভাইকে তোমার সব রেসিপি একটা একটা করে রেধে খাওয়াবো।
প্রচন্ড ব্যাস্ততায় দিন কাটছে , সোনেলায় একদমই আসতে পারছিনা।
ভাল থেকো ভালবাসা জেনো।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু ধুত্তোর তোমরা কেউ আসোনা। মৌনতা আপু, শুন্য আপু, তুমি, জিসান নানা তোমরা না এলে ভালো লাগে নাকি?
আমি ইলিশে একেবারেই পেঁয়াজ ব্যবহার করিনা। পেঁয়াজ আসলে ইলিশের সুন্দর গন্ধটা থাকতে দেয়না।
হুম এসপারাগাসের স্বাদ কচুর লতির মতো। আমি কচুর লতি কি কচু খাইনা একেবারেই। তাই আমার মামনি আমার জন্য ইলিশ মাছে কচু দিতো না। তবে ইলিশের সাথে পটল, কচু, ডাটা, বেগুণ, শসা এ সব্জীগুলো ভালো মানায়।
ও মা তুমি মাছ খাওনা!!! 😮 আর আমার মাছ ছাড়া চলেই না। আমি মাংস পছন্দ করিনা। তবে চিকেনটা খাই, তাও খুবই কম।
তাড়াতাড়ি ফিরে আসো মিষ্টি আপু। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
রান্নার আয়োজন সংগে রেসিপি। আর কি নাই সনলায় ভাল লাগলো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই কি খাওয়া কেমন হলো? জানাবেন কিন্তু খেয়ে। 🙂
নীরা সাদীয়া
তো রান্না করে কবে খাওয়াচ্ছেন? হুম! দারুন রেসিপি।
নীলাঞ্জনা নীলা
যেদিন আসবেন আগের দিন শুধু জানিয়ে দেবেন। এসে একেবারে গরম গরম খাওয়া টেবিলে সাজানো পাবেন নিশ্চিত। 🙂
ইঞ্জা
খাইয়া পেট ফুইল্লা গেছে। :c
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া এই নিন ধরেন পাম্প মেশিন, পাম্প দিয়া পেটা ফুলানা কমান। 😀 :p
ইঞ্জা
আহা ফুলানি কমানোর জন্য পাম্প লাগে নাকি, গ্যাস হয়ে বেড়িয়ে যাবে :p কিন্তু খাওয়া গুলো বেশ মজাদার, তা কবে খাওয়াবেন প্রিয় বোনটি। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কবে আসবেন হ্যামিল্টন? চলে আসুন অবশ্যই টেবিলে পাবেন আপনার প্রিয় খাবার আমার একমাত্র হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া। 😀
অলিভার
এই পোষ্টে মন্তব্যের আগে একটু বলে নেই আমার রান্না-জ্ঞান সম্পর্কে। রান্না-জ্ঞান যা আছে তা হল- আমি চুলা চিনি, কড়াই চিনি, পাতিল চিনি, পানি চিনি, আর চিনি ডিম, চা আর চিনি 😋 এর বাইরে যা চিনি, তা যেন চিনিয়াও চিনি না 😷
তো সেই চিনা-চিনির জ্ঞান নিয়ে যখন পোষ্টের ৪ নম্বর লাইনে থাকা উপকরনের লিষ্টিতে এসে পড়লাম “হলুদ পাউডার” তখনই আমার জ্ঞানের হাড়ি-পাতিলে সব জগাখিচুড়ি লেগে গেল! মেরিল কিংবা পন্ডস এর টেল্কাম পাউডার এর নাম জানি, তিব্বতের ঘামাচির পাউডারের নামও শুনেছি, কিন্তু হলুদ পাউডার! এটা আবার কি জিনিষ সে নিয়েই দুই মিনিট নিরবতায় ভাবলাম :p শেষে বুঝলাম ইহা হলুদ গুড়োর কথা বলা হয়েছে :D)
অতএব অধমের রান্না-জ্ঞান সম্পর্কে আশা করি যথেষ্ট ধারণা আপনাদের সকলেরই কম বেশি হয়ে গেছে। পোষ্টের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করার কথা ভাবনার ভাবনাতেও নিয়ে আসার সাহসিকতা দেখাতে গেলাম না। তাতে হীতে-বিপরীত হবার সম্ভাবনাই প্রবল।
সোনেলা ব্লগের নতুন সংযোজন দেখে ভালো লাগছে, আশা করি এটাও নিয়মিত চলবে 😃 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
হলুদ গুঁড়া লেখা উচিৎ ছিলো। আসলে মাঝে-মধ্যে ভুল হয়ে যায়।
ইংরেজী Turmeric Powder আর বাংলায় হলুদ গুঁড়া একসাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম।
আপনাকে কি আর বলবো, আপনি নিজেই জানেন এসব কথা। বাংলাদেশের ছেলেরা ফাইভ ষ্টার রেষ্টুরেন্টে শেফ হতে পারে, ঘরে তারাই আবার কিছুই করতে চায়না। তবে আমি আমার ছেলেকে শেখাই সব, ১২ বছর বয়সেই ভাত-ডিম অমলেট-নুডলস বানানো শিখে গেছে।
এসব কেন বলছি জানেন? আমি নিজেই ওর বয়সে তো দূরের কথা মাষ্টার্সেও রান্না পারতাম না। 😀
যাক রান্না শিখে নিন গল্পকার। কবে কখন কি কাজে যে আসবে আমরা কেউই জানিনা। 🙂
অলিভার
রান্না করিতে যাইয়া যখন কান্না বাহির হইয়া আসে তখন দৌড়াইয়া পালানোই সঠিক পন্থা মনে হইতেছিল। এ যাত্রায় দয়া করিয়া এই অধমকে রান্নাঘর হইতে বাইর হইবার অনুমতি প্রদাণ করুন।
তবে পোষ্ট যাহাদের উপকারে আসবে তাহাদের সাথে অতি অবশ্যই শেয়ার করিবো 😃 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে রান্নাঘর হইতে বাহির হইয়া যাইবার অনুমতি দেওয়া হইলো। 😀
অলিভার
অশেষ কৃতজ্ঞতা 😃 😃 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
:= 🙂
মিষ্টি জিন
অলিভার সাহেব, আপনি ঠিক ধরেছেন হলুদ পাউডার ও একধরণের প্রসাধনি ।ইহা টেলকম পাউডারের সাথে মিশাইয়া ব্যাবহার করিতে হঁয়। (শুধু মাতরো পুরুষদের জন্য)
ব্যাবহার করিয়া দেখিতে পারেন। 😀 :D) :D) :D)
অলিভার
হলুদের গুড়ো অনেকেই পেষ্ট তৈরি করে প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার করিয়া থাকে। সেই সম্পর্কেও অধমের কিঞ্চিত ধরনা রহিয়াছে। কিন্তু কথা হইল এই পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া ভিনগ্রহের এ্যালিয়ান হওয়ার চাইতে নিজ গৃহের ঘরকুনো কুনোব্যাঙ হয়ে থাকাই আমার নিকট অধিক শ্রেয় মনে হচ্ছে 😛 😛
তবে যেহেতু আপনি সাজেশন করিলেন তখন ধরিয়া লইলাম উক্ত প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে আপনার নিয়মিত যাতায়েত রহিয়াছে :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু এই টারমারিক পাউডারের সহিত সবুজ লঙ্কা পিষিয়া তৈয়ার করা মাস্ক উনাদের জন্য, যাঁহারা রান্নাঘর হইতে সহস্র হস্ত দূরে থাকেন। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
অলিভার শুঁটকি ভর্তা খাইয়াছেন? আমি উহা খাইনা, তবে বড়োই সুন্দর করিয়া রাঁধিয়া থাকি। 😀
অলিভার
শুঁটকি ভর্তা অন্যতম প্রায় খাদ্য। তবে সব ধরণের নয় আবার সবার তৈরিটাও না 😋
উহা কেবলই আম্মা আর খালামনি কর্তৃক তৈরী হইলেই অমৃত মনে হয় 😃 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
শুঁটকি আমি খাইনা, এমনকি গন্ধও নিতে পারিনা। তবে আমার একান্ত প্রিয় বন্ধুটির জন্য রেঁধেছিলাম, ওর মতো শুঁটকি ভর্তা নাকি খুব কম জনেই পারে এটা এই হ্যামিল্টনের অনেক বাঙ্গালীদের মতে। তো ও-ই আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলো আমি ভালো যে বানাই। আর ও সার্টিফিকেট দেয় খুব বেছে বেছে। তাই বললাম অনেক ভালো শুঁটকি রাঁধি আমি। 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আহ্! বাহ্!
এ্যাঁ! এ্যাঁ! এ্যাঁ! ;( ;( ;(
আপু দাওয়াত দেয় না ক্যান!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কাঁদে না, কাঁদে না।
বাসায় চলে আসুন। আমি রেঁধে খাওয়াতে খুব ভালোবাসি। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এই বুঝি তোমার রান্না করতে ভালো না লাগা?? তুমি এইভাবে রেসিপি দিয়ে দিয়ে ছেলেদের মাথা খারাপ করছো আরো। রেসিপি পোস্ট কোন পুরুষের হাতে সমর্পন করো আর পঁচা পঁচা রান্নার রেসিপি দিয়ে ছেলেদের বলো এই দেখেন আমাদের রান্নার হাল অতএব নিজের টা নিজে রাঁধুন 😀
এই মাইয়া এতো রান্নাবান্না, কাজকর্ম কইরা আমারে আর মনে করার টাইম পাও?
নীলাঞ্জনা নীলা
এই তিলোত্তমা তুমি আসোনা কেন রোজ? সত্যি করে বলো তো মন কি টানেনা, বা টের পায়না আমি সত্যি-ই তোমাকে খুব মিস করি।
নাগো রাঁধতে পারিনা আজকাল। এসব মাছ একেকদিনের রান্না। একই দিনের নয়। বুঝেছো?
হুম ভেবেছি ছেলেদের জন্য ইস্পিশাল 😀 রেছিপি প্রদান করিবো। তবে ছবি ছাড়া। কি কেমন হয়?
প্লিজ আসো রোজ।
ভালো থেকো তিলোত্তমা। -{@ (3
নাজমুস সাকিব রহমান
পাবদা খেতে ইচ্ছে করছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
রেসিপি চাই নাকি? 🙂
মৌনতা রিতু
কোনো মন্তব্য হবে না। শুধু স্কিন শট হবে। রান্নার সময় কাজেলাগবে। আপু, মশলা তো এদিক ওদিক করে দেওয়া যাবে ইচ্ছেমতো তাই না ?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু অবশ্যই মশলা এদিক-ওদিক করে দিতেই পারো। তবে পেঁয়াজ না দিলেই ভালো। তা নইলে স্বাদ বুঝবে না। 😀