
শুরু হয়ে গেল আবার একটি রাতের জন্য। এভাবেই ডাকতে থাকবে সারাটিরাত বিরামহীন।
চোখ গেলো!! চোখ গেলো!!
একটি নিশ্চুপ, নিঃশব্দ রাত কাটানোর কোনো সুযোগ নাই ওর জন্য। একাকিত্ব বোধ করার কোনো সুযোগ দিবেনা সে। কে বলছে ওকে ডাকতে এতো রাতে?
কে শুনছে ওর ডাক?
কেনো ডাকে এভাবে?
এটা কি ওর একাকিত্ব লাঘবের কোনো মাধ্যম?
ওর ডাক কী কেউ শুনতে পায়?
ওর কেউ কি জেগে থাকে এই সময়টির জন্য?
কী এক করুণ আকুতি ওর ডাকে!!
কি বুঝাতে চাইছে ও,আহাজারি নাকি অন্যকিছু! উত্তর খুঁজতে থাকি মনে মনেই। পাখিদের ভাষা বুঝার ক্ষমতা কেনো দেওয়া হলো না মানুষকে? তাহলে হয়তো ওর ডাকাডাকির অর্থ খুঁজতে গিয়ে এ রাতে সঙ্গী হতে হতোনা।
ওর ডাকাডাকিতে একটা গান মনে পড়লো-
চোখ গেলো,চোখ গেলো
কেনো ডাকিস রে, চোখ গেল পাখি।
তোর চোখে কাহারো চোখ, পড়িছে নাকিরে
চোখ গেলো পাখি।”
”
হয়তো তাই হবে,অথবা……!!
২৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
“চোখ গেলো” পাখীটির নাম কি পাপিয়া? এখন তো এই পাখীর দেখাই মেলে না।
পাখী নয় রাত জাগছে, আপনি কেন জাগছেন? তবে জেগে থেকে ভালোই তো হলো, একটা লেখা চলে এলো।
ইকরাম মাহমুদ
এই পাখিটা প্রতিরাতেই ১২ টা ৪৫ এর পর থেকে ডাকা শুরু করে। রাতজাগা মানুষগুলো ওর ডাক শুনতে পায়। সারা রাত ডাকে। সময়জ্ঞান ভুলে গেছে মনে হয়। এই লেখাটা লেখছিলাম, তখনও সে ডাকছিল। ভোর হওয়া অবধি ডাকে এই পাখি। হুম, ওর সাথে জেগে থেকে দু এক লাইন লেখা তো হলো!
নীলাঞ্জনা নীলা
বহুদিন এই পাখীর ডাক শোনা হয়না। এর নাম পাপিয়া-ই। পাখীটির ডাক রেকর্ড করে সোনেলায় পোষ্ট দিন।
রিমি রুম্মান
বাহ্ ! পাখি নিয়ে কি সুন্দর করেই না লিখে ফেললেন অল্প কথায়। আমার বেলকনির সামনের গাছেও এমন করে পাখি ডাকে দিনভর।রাতে কোথায় যেন হারিয়ে যায় । সকালে আবার ফিরে… ডাকে বিরামহীন …
ইকরাম মাহমুদ
রাত যত গভীর হয়, ওর ডাকাডাকি ততই স্পষ্ট হতে থাকে। কোাথায়,কত দূরে, কোন ডালে বসে ডাকছে, কোনো কিছুই অনুমান করতে পারিনা।
মিষ্টি জিন
আপনাকে খুব ভালবাসে পাখিটা । আপনি যেন একাকিত্ব বোধ করতে না পারেন তাই রাত ভর ডেকে ডেকে আপনাকে সংগো দেয়। যা আপনি বুঁঝতে পারছেন না। 😀
ইকরাম মাহমুদ
আমিই ভালোবেসেছি কিনা! হয়তো আমার একাকিত্বে সঙ্গী হিসেবে ওকেই খুঁজে নিয়েছি।
শুন্য শুন্যালয়
পাখিটা কেন চোখ গেলো বলে!! সব দেখতে পাওয়া নাকি সব দেখা অন্ধকার হয়ে যাওয়া তাও বা কে জানে! ভারি মিষ্টি একটা লেখা দিলেন তো, খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে দুই রাত-জাগানিয়া দুজনের জন্যই জেগে রয়েছে। পাখির ভাষা বোঝা যায়না, কে বললো! লুক এট ইয়োরসেলফ। 🙂
ইকরাম মাহমুদ
দুই রাত-জাগানিয়া দুইজনের জন্যই জেগে আছে। কথাটা বেশ বলেছেন।
ও যদি জানতো ওর সাথে কেউ জেগে আছে, তাহলে কি এমন ডাকত?ভালোই হয়েছে কেউ কাউকে না বুঝেও অনেক আপন করে নিয়েছি। একাকিত্বের সঙ্গি হয়েছি ওর অথবা সে আমার।
মৌনতা রিতু
পাখি চোখ গেল চোখ গেল কেন বলে ?
তবে, এই রাতজাগানির পাখির গান হয়ত অনেকেই শোনে।
ধন্যবাদ।
ইকরাম মাহমুদ
কেনো ডাকে তা জানিনা। তবে রাত জাগা মানুষগুলো ওকে শুনতে পায়।
আবু খায়ের আনিছ
পাখির ভাষা যদি মানুষ বুঝতে পারত তবে কি হতো? সৃষ্টির রহস্যগুলো অনেক উন্মোচন হয়ে যেত না? কিছু রহস্য থাকা প্রয়োজন।
এত রাতে, হুতুম পেচা ছাড়া আর কি পাখি ডাকতে পারে? থাকো ত গ্রামে তাই অনেক কিছুই শুনতে পাও। আমি ভাই গাড়ির শব্দ ছাড়া কিছুই তো শুনি না।
ইকরাম মাহমুদ
সৌভাগ্য আমার।
জিসান শা ইকরাম
চোখ গেলো পাখিটির ডাক নিয়ে আপনি তো আমার ভাবনাটিই লিখে দিলেন 🙂
ভাল লেগেছে।
শুভ কামনা।
ইকরাম মাহমুদ
ভালো লাগল জেনে, আপনাদের ভাবনার দুয়ারে পৌঁছুতে পেরেছি একটু হলেও।
ছাইরাছ হেলাল
রাতে পাখির ডাক শুনি, তবে এমন করে তো শোনা হয়নি।
বেশ ভাল লাগল লেখাটি।
ইকরাম মাহমুদ
মানুষের চারপাশে যখন কেউ না থাকে তখন প্রকৃতির কত কিছুই তো গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে। গাছের পাতায় লেপ্টে থাকা ছোট্ট পোকার ডিমও তখন দৃষ্টি এড়ায় না।
ধন্যবাদ…
ইঞ্জা
পাখিটি চোখ গেলো করে ডাকে কেন?
ইকরাম মাহমুদ
পাখিটার নাম পাপিয়া। চোখ গেল কেনো ডাকে তার পিছনে একটা গল্প আছে, শুনেছিলাম দাদি-নানীর কাছে। মনে নেই।
মেহেরী তাজ
পাখি জেগে আছে বলেই আপনিও জেগে আছেন! আর জেগে আসছেন বলেই এমনন একটা লেখা আমরা পেলাম।
লেখা ভালো লাগলো….
ইকরাম মাহমুদ
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনিকেত নন্দিনী
রাতজাগা পাখির মতো জেগে থেকে কলাইন লিখতে পারলে খারাপ কী?
পাপিয়ার ডাক শুনিনি বহুদিন।
ইকরাম মাহমুদ
সোনেলাতেও খুব শীঘ্রই ডাকবে এ রাত-জাগানিয়া। অপেক্ষা করুন।
অনিকেত নন্দিনী
জ্বি। ডাকবে অবশ্যই। সেই ডাকাডাকিটা এক জায়গায় আটকে না থেকে সবার ব্লগবাড়িতে হলে ভালো হয়। 🙂