-কি করছেন?
– বসে আছি জানালার পাশে বিষন্ন মনে।
– কেন?
– কারন আজ মেঘলা ….
– মেঘলা কে?
– মেঘলা কেউ না, বললাম আজ আকাশ মেঘলা।
– ও! আকাশ মেঘলা হলে আপনার মন বিষন্নতায় ভরে উঠে?
– না! মেঘলা আকাশ যখন চাঁদের মুখ ঢেকে দেয় তখন বিষন্নতা ভর করে!
– কেন?
– কারন চাঁদের মুখেই যে দেখি প্রিয়তমার মুখ!
– হাউ সুইট!
– সুইট না তো! মেঘলা! মেঘের স্বাদ লবনাক্ত!
– আপনি মেঘ খেয়েছেন?
– না! ইচ্ছা হয় যখন চাঁদকে আড়াল করে রাখে! তখন একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়।
– বাববা! কে সে যাকে দেখেন ঐ চাঁদে?
– কে আবার! চাঁদের বুড়ি!
– বলেন না…
– সে একটা মেয়ে! অনেক সুন্দর। হরিণীর মতো মায়াবী চোখ, কাকের চোখের মতো সুদীর্ঘ কালো চুল! কোকিলের মতো মিস্টি কন্ঠ!
– বাহ্! এত উপমা!
– হুম! তার উপমার কোন শেষ নেই!
– সে এখন কোথায়?
– জানি না তো! সে তো কোকিলের মতোই! শুধু বসন্তের সময়ে তাকে দেখা যায়!
– সত্যি জানেন না সে কোথায়?
– না! জানলে কি আর মেঘ খাওয়ার ইচ্ছা পোষন করতাম!
– হুম! তাও ঠিক! আচ্ছা তার নাম কি?
– তার নাম জানা নেই! তবে আমি তার নাম দিয়েছি চাঁদনী!
– বাহ্! সুন্দর নাম তো! তাকে যখন পাবেন তখন কি করবেন?
– তাকে কি পাওয়া যাবে! চাঁদ কি কখনো মাটিতে আসে!
– আহহা! ধরেন না একদিন আসলো! ভাগ্য তাকে আপনার কাছে নিয়ে এলো! তখন কি করবেন?
– তখন! ভাবি নি কখনো! কি করবো! শুধু চেয়ে থাকবো 🙂

২০৭৫জন ২০৭৫জন
0 Shares

৩৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ