
ক্ষুদিত এক মূক পক্ষী তোমাকে দেখার অপেক্ষায় ঠায় বসে রয় রাতের সকল প্রহর, দিনের প্রতিটা প্রহর, দিবা রাত্রির এই অষ্টপ্রহর
ক্ষুদিত মূক মন সে সব আকুলতায় কবিতার শব্দ খোঁজে
চোখের অতলস্পর্শে প্রগাঢ় অন্ধকারে তোমার মুখটি কখনো চেনা কখনো বড় অচেনা
স্পষ্ট দেখি আবার দেখি না।
এ মূক পক্ষী আমার মূঢ়াধমজন
তাকে দেখার আকুলতা তাই হয়না আর তোমার।
মনোমুগ্ধকর টোপর বিশেষ সে সুরের বীণা এ মূক পক্ষীর নেই
সুরে ভাসাতে পারে না যে মূকপক্ষী তার ভালবাসায় নির্লিপ্ত সুদূরত্ব বাড়ে হয়তো
গোধূলীলগ্নে দিগন্তের সাথে ঐ নীলের
নীল হারিয়ে যায়, যেমন ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের সাথে চাঁদের আলো। তবে কি জানো, নীরব শব্দে যা কিছু প্রকাশ তা আমার ভালোবাসার মোহরূপ হ্রদ।
,,,রিতু,,, কুড়িগ্রাম।
০১.০৪.১৯.
২৭টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
পাখি প্রেমিকের সংখ্যা দিন দিন সোনেলায় বেড়ে চলছে।পাখিদের সূর পাগল করা না হলে সেপাখির কদর থাকে না যথার্থই বলেছেন।কবিতা টাইপ লেখা কম বুঝি তাই সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে জানান দিলাম অপূর্ব শব্দ চয়ন আর অনুভুতি।
রিতু জাহান
অনেক ধন্যবাদ মনির ভাই।
ভালো থাকুন সব সময়।
প্রহেলিকা
সুরেলা লেখা, কোমলভাবে লেখা প্রতিটি শব্দ। ভালো লেগেছে। লেখাতে শব্দ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু শব্দ যখন ছবি হয়ে ধরা না দেয় তখন সে লেখা টিকে থাকে না। কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। আপনার লেখায় শব্দরা ছবি হয়েই ধরা দেয়।
রিতু জাহান
এখানে প্রচন্ড অভিমান আছে কিন্তু। প্রেম উছলে পড়ার আগমুহূর্ত।
শব্দরা ছবি হলে অপলোক তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে বড্ড।
প্রহেলিকা
“গোধূলীলগ্নে দিগন্তের সাথে যেমন ঐ নীলের
নীল হারিয়ে যায় যেমন ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের মতো”
লেখকের ব্যাখ্যা শুনতে চাই উপরের দুটো লাইন নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
এইবার আমিও শুনতে চাই।
রিতু জাহান
গোধূলিলগ্নে নীল কি থাকে আকাশ! মেঘমুক্ত নীল আকাশও একটু একটু করে রক্তিম হয়।
চাঁদও ক্ষয়িষ্ণু হয় একটু একটু করে। তবে চাঁদ আকাশ পূর্ণ ইচ্ছা নিয়ে ফিরে আসে আবারো।
পূর্ণ প্রেমে। বিচ্ছেদ বা অভিমান যাই বলেন, তারপরের প্রেমটা জমে কিন্তু বেশ। ঐ যে ‘আমি করি রাগ আর সে ভাবে আমার ভাব!’
ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
হু, আমি আগে সবার কমেন্ট পড়বো, তারপর কমেন্ট দিবো ☺☺
রিতু জাহান
আচ্ছা। পড়ো☺☺☺☺
তৌহিদ
আমিও আগে সবার মন্তব্য দেখি, তার পর কমেন্ট করবো। তবে পাখি প্রেমিকরা নাকি ভাবুক প্রকৃতির হয়, আসলেই কি?
যদি আমিও মূক পক্ষী পেতাম! ☺
ভালো লেগেছে পড়ে আপু।
রিতু জাহান
তারা আসলেই ভাবুক প্রকৃতির হয়। মূক পক্ষী কিন্তু নীরব কথা বলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই।
ইঞ্জা
খুব সুন্দর প্রকাশ, ভালো লাগা রইলো প্রিয় আপু।
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ভাইজু। খুব ভালো থাকুন।
আপনার গল্পের পুরো সিরিয়াল একবারে পড়ে নিব।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ প্রিয় আপু, আমি জানি আপনারা পড়বেন
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রতিটা শব্দ মন ছুয়েছে মুগ্ধতায়। আপু আপনি মূক পাখির আশায় বসে থাকেন, শব্দ ভান্ডার খুঁজে ফেরেন। আমি যে অলসতার কারণে ঘুমিয়ে কাটাই! উপায় কি পরিত্রাণের জানিতে চাই।
রিতু জাহান
আমি শব্দ খুঁজি। কিন্তু শব্দ ধরা দেয় না। ঠায় বসে থাকি এটা ঠিক।
শব্দরা অলসদের বেশ ভালবাসে কিন্তু। আর আপনার মতো অলসদের শব্দরা ভালো না বেসে যাবেই না।
লিখুন ভাই বেশি বেশি করে।
ভালো থাকুন ভাই
ছাইরাছ হেলাল
নীরব প্রকাশ দিয়ে তো থামিয়ে দিচ্ছেন, সরবে থাকুন, আমরাও স্লোগান তুলি,
পাখি তুমি দোল খাও, আমার তোমার সাথি ভাই।
চেলা বা অচেনা, দেখা বা অ-দেখা যাই হোক না কেন পক্ষী আমাদের একান্তই আমাদের প্রাণপাখি।
রিতু জাহান
একদম। সে আমাদের প্রাণপাখি।
তবে তার ব্যস্ততা অনেক। পাখি সবারই সাথী হয়ে ঘোরে ফিরে উড়ে এ ডাল ও ডাল।
শুন্য শুন্যালয়
শব্দটি সম্ভবত ক্ষুধিত হবে।
মূঢ়াধমজন শব্দের অর্থ কী? যে কথা বলতে জানেনা, এমন?
ডিকশনারী তো শুধু তোমার থাকলে হবেনা, আমারও একটি চাই।
তোমার নীরব শব্দেরই যেই ধার দেখলাম, তাতে আর কী প্রকাশ লাগে! 🙂 কবিতা আর শব্দের হাহাকার নিয়ে ভালোবাসুক মূকপক্ষী। বেশ লিখেছো।
রিতু জাহান
মূঢ়াধমজন মানে যে কিছু বোঝে না এরকম। বোকাসোকা। মূকপক্ষী যে ভালবাসে খুব। নীরব ভালবাসা।
থ্যাংকু 😚
শুন্য শুন্যালয়
ছবিটি দারুন 🙂
রিতু জাহান
গুগল মামু।
মোঃ মজিবর রহমান
মূক পক্ষি কেমনে হয় হা করে আছেতো। হা হাহা হা । অবশ্য হা করলে যে ডাকে তা নয় কিন্তু।
সুরে ভাসাতে পারে না যে মূকপক্ষী তার ভালবাসায় নির্লিপ্ত সুদূরত্ব বাড়ে হয়তো সুরে না হলেও অন্তরাত্মাও ভাল বেসে মহাত্ব প্রকাশ ঘটাতে পারে। ভাল লাগ্ল আপু।
রিতু জাহান
ধন্যবাদ মজিবর ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
একটা মূকপক্ষী পেলে ভালোই হতো,
কবিতা ভালো হয়েছে।
রিতু জাহান
আপনারও একটা মূকপক্ষী আছে তো।
থ্যাংকু ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্তসুন্দরী আপু আমি কিচ্ছু বলবো না। কয়েকবার পড়ি আরোও।