
অধরা- যাবেন?
অমিত- কোথায়?
অধরা- ছাদে।
অমিত- এত রাতে, চলেন। আবৃত্তি শুনাবেন আপনি একটা। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আপনার আবৃত্তি শুনবো।
অধরা- ভালো যদি না হয়।
অমিত- তবুও শুনবো। রাত আর কবিতা দুটোই আমার প্রিয়।
অধরা- চা খাবেন?
অমিত- না! কবিতা খেতে চাই। সিগারেট খেতে পারি?
অধরা- হম! কি করে বুঝলেন আমি কবিতা পারবো।
অমিত- আপনার কণ্ঠ বলে দিচ্ছে আপনি কবিতা পারবেন।
অধরা- একটু বেশী বলছেন।
অমিত- কী জানি! যার কণ্ঠ শুনেছি সে আবৃত্তি পারে।
অধরা- আকাশটা কী মেঘলা। চাঁদ ঢাকা পড়েছে মেঘের আড়ালে।
অমিত- আজ তো সারাদিন বৃষ্টি ছিলো।
অধরা- এখন যদি বৃষ্টি নামে?
অমিত- নামুক
অধরা- কখনো বৃষ্টি রাতে ভিজেছেন?
অমিত- ইচ্ছে গুলো অপূর্ণ রয়ে গেছে বহু কাল।
অধরা- যদি জ্বর আসে?
অমিত- আসুক। আজ বৃষ্টিতে ভেজার বড্ড লোভ হচ্ছে। আপনার অসুবিধে আছে ভিজতে?
অধরা- একলা চলতে শিখে গেছি বহুদিন হয়। জ্বরটর তেমন ঘেসতে পারেনা। তবুও সমাজের দৃষ্টির ধার এত তীক্ষ্ণ, আপনাকে আমাকে একসাথে ভিজতে দেখলে মনে করবে তাবৎ জগতের পাপ করেছি আমরা দুজন।
অমিত- কী আসে যায়। ছাদ থেকে নেমে যাবো তাবৎ সমাজের দৃষ্টির ভয়ে?
অধরা- থোরাই কেয়ার। আমি জানি আমি পাপি নই।
অমিত- রাতের এই মেঘলা আকাশ শীতল হাওয়া নিস্তব্ধতার আপনার সান্নিধ্য এ এক অন্যরকম অনুভুতি।
প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেয়া হয় না। আমার ইচ্ছের ডানা ঝাপটায় আহত পাখির মতো।
অধরা- কেমন যেনো হেয়ালী করে বলেন সব কিছু। কোথায় যেনো শূন্যতা। কখনো নিজের কথা সুধাননি আমায়, বন্ধু না হই শত্রু তো নই।
অমিত- কেউ কী আছে ইচ্ছে গুলো মুক্ত করে দেয়ার মতো?
অধরা- আকাশ ডাকছে বৃষ্টি হবে এখুনি চলেন যাই।
অমিত- চলেন।
১৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছের ডানার আনন্দ-অবগাহন !!
এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।
শিরিন হক
আমি চাই বেশী কিছু বলবেন আমার লেখার ভালো মন্দ মিলিয়ে। তবেই না লেখার উৎসাহ বেড়ে যাবে। ইচ্ছের ডানা মেলে উড়তে পারবো বিশুদ্ধ সরবরে।
আপনাদের মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হই ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শাহরিন
মন খুলে কথা বলার মানুষ থাকলে সব চেয়ে খারাপ জায়গাটি ও অসাধারণ হয়ে যায়। আর ভালো লাগার পরিবেশ থাকলে তো কথাই নেই।
শিরিন হক
কল্পনার রাজ্যে ভালোলাগার অনুভুতি স্বাধীন ভাবে যে কোনো পরিবেশে উড়তে পারে।
শুভকামনা আপু।
জিসান শা ইকরাম
শুধু কথোপকথন দিয়ে একটি পোস্ট!
কথা সাজিয়ে একটি সময়ের বিশেষ মুহুর্তের গল্প লেখা কঠিন কাজ, আপনি এই কঠিন কাজটি পেরেছেন সফল ভাবেই।
মানুষের অনেক ইচ্ছেই পুর্ন হয়না, হয়ত পুর্ন হওয়া উচিতও না।
তারপরেও মানুষ সুন্দর কিছুর আশা নিয়ে বেঁচে থাকে।
শিরোনাম, লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু অনুযায়ী সঠিক ছবি নির্বাচন, সব কিছু মিলিয়ে পোস্ট ভালো হয়েছে খুব।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
কল্পনায় লেখক গল্পো লিখে ভয়ে ছিলো খুব এমন মন্তব্যের পর একটু সস্তি পেলো।
কৃতজ্ঞতা জানাই উৎসাহ আর সাহস দেবার জন্য। দোয়া করবেন।
মাসুদ চয়ন
বেশ প্রানবন্ত গল্প চিত্রায়ণ
শিরিন হক
এমন মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই।অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা। এভাবে পাশে থাকবেন আশাকরি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দারুণ কথোপকথন।
বেশ ভালো লাগলো দিদি।
শিরিন হক
আজকাল সবাই এতটা কৃপন যে দারুন বেশ বলতেই চায়না।এক কথায় মন্তব্য করে চলে যায় সময়ের অভাবে।
আপনার মন্তব্য লেখক কে অনুপ্রাণিত করে।এভাবে পাশে থাকলে সাহস পাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দিদি,
আপনি ভালো লেখেন আর আমি ভালোভাবে পড়ি। তাই ভালো কে ভালো বলি।
কথোপকথন বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন।
শিরিন হক
খারাপ দেখলেও বইলেন। ভালোভাবে পড়া একটা গুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাকে ভালো লেগে যায় তার সাথে সময়ের সব মূহুর্ত গুলোই উপভোগ্য হয়।
ভালো হয়েছে খুব। ছোট গল্পের মাঝে ভালো লাগা রইলো। আপনার গল্প লেখার ধরন বেশ সুন্দর। আরও লিখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
শিরিন হক
আপু ধন্যবাদ অনেক।
তৌহিদ
কথোপকথন নিয়ে এত সুন্দর করে লেখা যায় ধারনাই ছিলোনা। যেন দুজন মানুষের গল্প পড়লাম।
দারুন লিখেছেন আপু। শুভকামনা জানবেন।
শিরিন হক
এতো উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিয়ে মন্তব্য করেন যে সত্যি লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।এভাবে পাশে থাকবেন আর হ্যা লেখায় ভুল চোখে পরলে সুধরে দিতে কার্পণ্য করবেন না। আমি শিখতে চাই আরো।
অশুভকামনা রইলো কৃতজ্ঞতা সমেত।
তৌহিদ
আপনিও পাশে থাকবেন আপু।
আরজু মুক্তা
টেলিফোনে কথোপকথন।সাথে ইচ্ছার বাড়াবাড়ি।
ভালো লাগলো বেশ।