এ এদিকে ঠেলে সে ঐদিকে ঠেলে, ও ও দাঁড়িয়ে মাজা লয়, এমন নয় কোন ভাবেই। প্রশস্ত পথ এতটা যে হাঁটাচলা থেকে যতখুশি ঘোরাঘুরি সব বহাল তবিয়তেই হবে।
g-14 বা h-14 সিট দুটি কয়েক কাঠি সরেস, এমনিতেই বসার সিট গুলো বিমানের ইকোনমি শ্রেণির সিট থেকে প্রশস্ত এবং লম্বা হাঁটুর লোকদের জন্যও বেশ আরামদায়ক। সিটে বসেই আরামছে হাত-পা খেলিয়ে নিতে পারা যাচ্ছে। আর এই সিট দু’টির মাহাত্ম্য হল আপনার সমুদয় মালছামানা/লটবহর (লোটা কম্বল) আপনার সামনে গুছিয়ে বা ইচ্ছেমত মেলে বা সাজাতে পারেন, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না। কাকস্য পরিবেদনার চান্স জিরো,(এখানে fire exite তাই ফাঁকা অনেক)
যাচ্ছি ঢাকা থেকে বরিশাল গ্রীন লাইনের বিজনেস ক্লাসের যাত্রী হয়ে, সহনীয় শব্দ ও বাতানুকূল দ্রুতগামী বিরাট লঞ্চে। প্রায় বিমানাভ্যান্তরের মত। আনন্দদায়ক ছ’ঘণ্টার জার্নি। নো লেট। সকাল আট’টায় ছেঁড়ে দুপুর দু’টোয় বরিশাল। মর্জিমাফিক এই সময়টুকু বিভিন্ন স্লটে ভাগ করে নিলে মজাই-মজা হতে পারে। কায়দাদুরস্ত হয়ে মনে মনে স্লটের সময় সাজাচ্ছি, উথাল-পাতাল না হলেও ভরাট মনানন্দ হাউই হয়ে উড়ে গেল ভাবনায় ছেদ টেনে,
শিশুটি গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে, নেহায়েত আপন জনের মতই আপন হয়ে। জুতোয় ক্ষুদে বাতি জ্বালিয়ে লঞ্চময় আনন্দময় দৌড়ঝাঁপ করতে দেখেছি। বুড়ো হাবড়া বিরক্ত হচ্ছে ভেবে দোনোমোনো ভাব নিয়ে যমজ রমণীদ্বয় দ্রুত এগিয়ে এসে শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে গোঁ ধরে আরও সংলগ্ন হয়ে গ্যাঁট হয়ে দাঁড়াল। অবস্থা কিছুটা বেগতিক ভেবে শিশুটিকে পাশের খালি সিট দেখিয়ে বসতে বললাম, মহা খুশি হয়ে মা-খালাদর(অনুমান)কপালে ভাঁজ ফেলে বসে পড়ল।
যা ভাবছিলাম, স্লটের বিন্যাস নিম্নরূপ হতে পারে,
১.কেতাবি হওয়া (পড়ুয়া ভাব নেয়া)
২.গান শোনা
৩. খেঁড়ো খাতায় লেখা মকশো করা
৪.মেসেজ চালাচালি করা
৫.টেলিভিশনের চলমান মোশা+তিশা দেখা
৬. ক্যামেরায় ছবি তোলা, ভেতরে ও বাইরে
৭. সেলফি, নানা প্রান্তে
৮.নাস্তা করা (লঞ্চ থেকে দেয়া)
৯. তাকাতাকি করা দূর ও কাছের সহযাত্রীদের দিকে, পছন্দ সই(দ্বিপাক্ষিক)
১০. খেজুরে আলাপ, জুত মত হলে
১১. তলরূম পরিদর্শন কানে তুলো দিয়ে
১২. ক্যান্টিনে জিভে জল আনা উপাদেয় পেটিস, বার্গার ও কফি পান
১৩.কাকনিদ্রা
১৪. ফেবু
১৫.ব্লগ
সতর্কতা,
ঝোপ বুঝে কোপ মারার চেষ্টায় অপরিচিত পরিচিতদের থেকে কিছু খাওয়া বা নেয়া ঠিক হবে না, তবে ফেবু সহ নানা এ্যাপের অ্যাড চালু করা যেতে পারে সহি সাবধানে। এক্ষেত্রে সেলফিও জায়েজ।
শিশুটি নিঃশব্দে এটা ওটা নাড়াচাড়া করছে, নিরুপদ্রব ভাবেই। হঠাৎ উঠে গিয়ে যমজদের ব্যাগ হাতড়ে গোটা কয়েক চকলেট বার নিয়ে এসে একটি খুলে খেতে শুরু করল, আধ খাওয়াটা পাশে রেখে এবারে একটি স্নিকার বের করে খুলে আমাকে খেতে ইংগিত করছে, এই প্রথম মনে হল! শিশুটি কী বাকপ্রতিবন্ধী? আমাকে খেতে বলছে, আমি অপ্রস্তুত বোধ করছি, শিশুটি কান্না জুড়ে দিল চকলেট নেইনি বলে, তড়িঘড়ি করে যমজদ্বয় ছুটে এসে বলল শিশুটি বাকপ্রতিবন্ধী, একটু জেদিও, চকলেটটি না খেলেও আমি যেন হাতে নেই, আমি তাই করলাম, এবারে সে আবার শান্ত হয়ে নিজের চকলেটে মন দিয়েছে।
এহেন পঞ্চদশ প্রকারের কাজ নিজস্ব মেজাজ-মর্জির সাথে রফা করে নিতান্ত ভাবেই আগু-পিছু করে করা যেতেই পারে, আর হ্যাঁ সংযোজন- বিয়োজন ইচ্ছাধীনেই থাকল।
জানা গেল যমজাকৃতির রমণীদ্বয় খালাত বোন হন, বরিশাল শহরের স্থায়ী বাসিন্দা।
তবে ছেলেটির মা কে হন তা বুঝতে পারিনি, জিজ্ঞেসও করিনি।(গোস্তাকি মাফ করবেন, হুমায়ূন আজাদের খালাত ভাই-বোন নিয়ে সে বিখ্যাত গল্পের কথা বলছি না, ইশারায় কাফি, তাও না)
নড়ে উঠল সময়, ঘাটে পৌছে গেছে জলযান, জলের যান!
সবাই নামলাম, আমার সাথেই আছে শিশুটি। এবারে যে যার পথে। শিশুটি আমাকে যেতে দিচ্ছে না, কী যেন বলতে চাচ্ছে, অভিভাবকদ্বয় আমাকে জানাল আমাকে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে, প্রমাদ গুনলাম, অগত্যা আমার ঝোলা থেকে এক বক্স চকোলেট দিতে চাইলে তা নিতে অস্বীকার করে একজনের কোলে উঠে অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে নিল।
অচিনের বিভূঁইয়ে যে যার পথে পথ দেখে নিলাম, নীরব রোরুদ্যমানতায়।
৫৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
শিশুটি আপনাকে বুঝতে পেরেছে যা হয়তো আপনি পারেননি। আমার জানা মতে, এই শিশুরা অল্প আদরেই তুষ্ট। শুধু সমান্য সময় ওদের পাওয়াটা অনেক বড় হয়ে যায়। একটু টাচি, তবে তৃপ্তিও আছে।
এত্ত লম্বা ফর্দ এই ৬ ঘণ্টার জন্য!! আমিতো ৯ নম্বর দিয়েই দিন পার করে দেই!!!
লেখাটা লিখিয়ের মতই হয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
শিশুরা শিশু, দেব শিশুও বটে, তাই তাদের চাওয়া,পাওয়া বা বুঝতে পারা
হয়ত আমাদের মত না, তাদের চাওয়া অবশ্যই সামান্য, আমরা হয়ত তা বুঝতেও পারি না।
শুধু মাত্র ৯!! বলেন কী? আরও কিছু ইচ্ছে হলেই ইচ্ছা করা যেতেই পারে।
একেবারে মন্দ না,
লিখিয়ের সনদ পেয়ে কিরাম কিরাম জানি লাগতেছে।
কোবতে-টোবতে ছাড়ুন, খানকতক।
জিসান শা ইকরাম
কেমন চেনা চেনা লাগছে গ্রীন লাইন লঞ্চ খানা।
স্লটের মধ্যে বেঁছে নিতে বললে আমি ৫ আর ১২ নাম্বার বেঁছে নেবো।
৯ নাম্বারের টা জীবনেও করিনি, জগৎ জানে … ড্যাশ ড্যাশ ফুলের মত পবিত্র 😀
ভাইবারে স্কীন সট সেন্ড করার শ্লট যোগ করা যেতে পারে……
( সেদিন পাশের সীটের একজনকে দেখলাম ঘন্টা দুই যাবত কিসের জানি স্কীন সট পাঠাচ্ছে। আহারে বেচারা, দুস্ক হয় তার জন্য )
**অসম্পূর্ন মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
চেনা তো লাগতেই পারে, লাগারই কথা, কত্ত মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনেও চলাচল করে,
পছন্দ দু’টো একটু ইয়ে মত হয়ে গেল না!!
শুধু কী ফুল? আরও অনেক কিছুর মতই ফকফকা!
জেবনটা একজনের তামাতামা হয়ে গিয়েছে, সে এক করুণ উপাখ্যান!।
স্ক্রিনশট ও এখন নাকি ফটুশপ হয়ে গেছে!
অনিকেত নন্দিনী
উহা কি ধুতুরার ফুল?
ছাইরাছ হেলাল
বাজারের মধ্যে বলা ঠিক হপে না।
অনিকেত নন্দিনী
কানে কানে কইলে অয়না? :p
ছাইরাছ হেলাল
অনুমতি লাগপে,
এ ফুল দিয়ে আফনে কী করপেন!!
অনিকেত নন্দিনী
জ্বি, লঞ্চ যাত্রীদের পানের খিলির ভিত্রে ভইরা এট্টুহানি।দিয়া মালসামাল লইয়া ভোকাট্টা হমু ভাবছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
পানের খিলির ভিত্রে ভইরা এট্টুহানি।দিয়া মালসামাল লইয়া ভোকাট্টা হমু!!
উরে বাবা ক্য কী?? এট্টুহানি দেলে কাম অইবে বলে মনে অয় না, বেশি দেলে কাম অইতারে,
তবে এই লঞ্চে পানের কোন ব্যবস্থা একেবারেই নেই।
ভোকাট্টার চান্স নেই।
অনিকেত নন্দিনী
আগে তো গাছসুদ্ধ ফুল দেন! বাদবাকি পরে বুজমুয়ানে।
ফুলেত্তে গাছ অইবে, গাছে ফল অইবে, ফলে বীজ অইবে আর ধুতুরাবীজ কী জিনিস তা আক্কেলমন্ত লোকেরা ভালাই বোজে। :p
ছাইরাছ হেলাল
গাছ লাগিয়ে নিন, এত্ত কিছু করা যাইবে না!
অনিকেত নন্দিনী
এম্নে নিরাশ করলেন? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আশা জাগালাম ফুলজনমের।
অনিকেত নন্দিনী
এইবার ঠিকাছে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
স্কিন শট আবার কি জিনিস? 😮 কিভাবে নিতে হয়? কেন নিতে হয়? অই বেচারার ডাল মে জরুর কুছ, কালা নীলা সবুজ হ্যায়।
৯ নাম্বারেই যাদের আগে চোখ যায়, তাদের চোখে কিঞ্চিত সমস্যা অতি অবশ্যই আছে, (পছন্দ সই, দ্বিপাক্ষিক)। যদিও দুইজনের সেই বাসে ঢুইলা পড়া ছবি মনে থাকলে সব নাম্বারই বাদ যাবে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
‘স্কিন শট’! এ বিষয়ে একটি টিউটরিয়াল দিলে মন্দ হয় না, আমরাও একটু শিখতে পারতাম।
শুধু কালা নীলা বা সবুজ নয়, আরও কিছু থাকতারে, ভাল করে ধরুন,
গ্যাক গ্যাক করে সব উগরে দেবে ভাইয়া।
বুড়োদের চৌক্ষে ইট্টু সমস্যা থাকেই।
আপনি ১৩ নম্বরের কথা ভুলে গেলে হপে না।
অনিকেত নন্দিনী
লঞ্চের সম্মুখে নীলশার্ট পরিধানকারী ভুঁড়ি বাগিয়ে ছবিতোলা লোকটারে কেমন জানি চেনা চেনা ঠেকে। ;?
এত্ত লম্বা ফর্দ! আমি তো ভাবছিলাম বিবাহ অনুষ্ঠানের ফাঁকেফাঁকে সময় কাটানির ফর্দ ভুলক্রমে এইখানে দিয়া দিছেন। :p
আগেপাছে জোড়াতালি দিয়া ফর্দ যতই লম্বা করেননা ক্যান আমার ধারণা আপনি ৭, ৮, ৯ আর ১৩ নিয়াই ব্যস্ত থাইকা সময় পার করেন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমি মাশাল্লা সবগুলোই এস্তেমাল করি। এত অল্পেতে হওয়ার লোক আমি না।
গুড়ি মেরে ভুঁড়ি বাগানো লোকটি চিনে ফেললেন?
আমি তো ঠিকঠাক ঠাওর করতে পারতেছি না।
যাত্রা পথে বিবাহের কী দেখলেন!!
ফর্দে আরও কিছু ছিল তা প্রকাশিতব্য নহে। আর ফর্দ মোটেই লোম্ফা না।
অনিকেত নন্দিনী
না চিনার কী আছে? শ্যেনচক্ষু বইল্ল্যা কথা! :p
অনেক লক্ষণ মিল্যা যায়, প্রকাশ্যে বলা যাপেনা। -:-
ছাইরাছ হেলাল
এখানেও শ্যেন!!
অনিকেত নন্দিনী
শ্যেন সর্বত্রগামী। :p
অরুনি মায়া
আরে বাহ এই লঞ্চতো সত্যি বিমানের মত দেখতে | এত সুন্দর লঞ্চ হয় তা আমার জানাই ছিলনা | তাইতো বলি বাড়িঘর ফেলে রেখে মানুষ লঞ্চে সংসার পাততে চায় কেন |
আপনার যেহেতু লম্বার কারণে পা ভাঁজ করে বসতে কষ্ট হয় তাই এখন থেকে এই লঞ্চে করেই দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াবেন |
আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী শিশুর পিতামাতারা সব সময় একটু হীনমন্যতায় ভুগেন ,ভাবেন তার শিশুটি আবার অন্যকে বিরক্ত করছে নাতো | সেজন্যই তার মা খালা বারবার ছুটে আসছিল | একটি স্বাভাবিক শিশুর বেলায় এমনটি হয়না |
অপরিচিত নারী পুরুষের নিকট হতে কিছু খাননি জেনে নিশ্চিন্ত হলাম | বলা যায়না দিনকাল বড্ড খারাপ |
ছবিতে নীল গেঞ্জি পরা সুদর্শন ব্যক্তিটি কি আপনার সেই সুকানি? আপনি কি উনারই এ্যাসিস্ট্যান্ট?
ছাইরাছ হেলাল
মা খালাদের ছুটাছুটি খুবই সৌন্দর্য্য!! অবশ্য কে যে মা আর কে যে খালা তা জান্তারিনাই,
এসব শিশুদের নিয়ে এ সময়ে আর হীনমন্যতায় ভোগার কিছু নেই, এখন আস্তে আস্তে এটি স্বাভাবিক ভাবেই সবাই মেনে নিচ্ছে।
কেউ কিছু খেতে সাধাসাধি ও করে না আজকাল, সাধলে বোঝা যেত কে কত জিভ হীন!
ছয় ঘন্টার পর নামিয়ে দেয়, তা নাহলে শুধুই ঘুরান্তিস!!
আপনিও মাল ছামানা নিয়ে ঘুরতে বের হলে মন্দ হত না।
নীল গেঞ্জির দিকে এত্ত চৌক যায় ক্যান, কেডা না কেডা কুনহানে খাড়াইয়া রইছে কে জানে!!
আমি তো চেনতারিনাই!!
অরুনি মায়া
তারমানে আরেকবার সাধিলেই খাইতাম এই অবস্থা নাকি :p |
নো চিন্তা, দিন সবসময় খারাপ যায়না | হয়ত এমন দিন আসবে অচিরেই খাদ্য বা পানীয় পায়ে হেটে আপনার সম্মুখে এসে হাজির হবে | 🙂
সত্যি লঞ্চ দেখেই ঘুরতে মন চাইছে | কিন্তু যাব কই কেউ আমারে নদীর দেশে দাওয়াতই দেয়না 🙁 |
আহা নীল গেঞ্জি আপনার সুকানি কিনা শুধু সেটাই ভাবছিলাম ,নইলে পর পুরুষের দিকে আমি তাকাইনা :p
ছাইরাছ হেলাল
কেউ তো সাধলোই না, তাই খাওয়া না খাওয়ার প্রশ্ন্রই আসে না।
খাদ্য সামগ্রী হাতের কাছে পেলে মন্দ হয় না একেবারে, বুড়োদের কায় ক্লেশে থাকতে হয় না।
লঞ্চ তো এখন দু’টো!! দাড়িয়েই থাকে, উঠে পড়ুন, নো ঝামেলা, দাওয়াতের লুকের অভাব হপে না।
পর পুরুষ আপনি পেলেন কোথায়! সবই তো আমরা আমরা।
খসড়া
ফেরীর ছবি দেখেই বুঝছি এটা আপনে। পড়তে ভয় পাইছি প্রথমে বুঝব তো। পরে পড়লাম। ভাইরে লেখায় কিছু ফাঁক রাখতে হয় যাতে মন্তব্যকারী সহজেই ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পড়তে ভয় পান!! ও মোর আল্লা, এ ও আমার শুনতে হল!
আপনার মত মন্তব্যকারীর মন্তব্য করতে ঝোপ খোঁজার দরকার হয় ই না।
চোখ বন্ধ করে কোপাইলেও একেবারে নিখুঁত লক্ষ্যভেদ ভিন্ন কোন পথ নেই।
ইলিয়াস মাসুদ
বাচ্চাদের-ই জানি আগে হাত করতে হয় বাচ্চার মা খালা পর্যন্ত পৌচতে হলে :p
এতো সুন্দর লঞ্চ ? বরিশালের লঞ্চের গল্প অনেক শুনেছি মুনির মার কাছে,মুনির নানা বাড়ি যে সেখানে, কিন্তু এমন সুন্দর লঞ্চ তা বিশ্বাস করেনি……….. ফিলিং প্রাউড 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কে যে মা আর কে যে খালা তাই তো বুঝতে পারলাম না।
বাচ্চাটি তো আমাকেই হাত করে ফেলেছে, এটি কোন কিছুর অংশ কীনা তা তো জানা গেল না।
আসলে এখনকার লঞ্চগুলো না দেখলে বোঝা সম্ভবই না যে কতটা সুন্দর আর আরামদায়ক এগুলো।
শুন্য শুন্যালয়
g-14 ছিটখানা কি আপনার ছিল ভাউ? g তে জিরাফ তাই ধরে নিলাম আর কি। ঠেলাঠেলি না খেয়ে এমন প্রশস্ত পথ স্বপ্নেরই একাংশ, আর এই লঞ্চ, ভাবতেই ভালো লাগে এটা আমাদের লঞ্চ, আর লঞ্চের সামনের নীল টি গায়ে, অইটাও আমাদেরই সোনা জি ভাই।
কাকস্য পরিবেদনা? আমি এই শব্দ আইজ প্রথথম শুনছি, মানে কইয়া দেন।
আমার মত একখান লক্ষি পয়মন্ত কেউ যদি ভুল কইরা কইয়া দেয় লঞ্চে বোমা আছে, তবে fire exit এর খুল্লাম খুল্লার মজা টের পাইতেন :p
যা একটা লিস্টি করেছেন, তাতেই বোধ করি ঘন্টা দুএক পার হয়ে গেছে। রোগী যখন কোন সমস্যা নিয়া আসে, তখন অনেক Differential Diagnosis ধরতে হয়, এরপর হিস্ট্রি নিয়ে, পরীক্ষা করে একটা একটা করে ড্যাগনোসিস বাদ দিতে হয়। অপেক্ষা করেন আইতাছি, অবশেষে স্লটের কোন একখানে হাত দিতেই আপনার ৬ ঘন্টার কম্ম সাবাড় হইলো, বের করে দিতাছি।
অনেক সময় এরকম একটি শিশুর কারনে ৭/৮ ঘন্টার জার্নিও এক পলকে শেষ হয়ে যায়। সাথে কিন্তু গেলেই পারতেন 🙂
এমন লেখকের হাতে পড়লে মুড়ির টিনের জার্নিও সুখকর হয়ে উঠবে। আর এতো এম-ভি গ্রীন লাইন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কাকস্য পরিবেদন………হায় আফসোস,
fire exite দিয়া বের হয়ে জলকেলি কিন্তু মন্দ নয়।
সাথে যাইতে চাইলেই কী সবাই সাথে নেয়!!
ভালু লিখক আমিও খুঁজি, একটু জার্নি করতে চাই, হোক না মুড়ির টিন।
দেখুন লিষ্ট যা দিয়েছি তা কিন্তু সবই প্রয়োজনিয়, যা দেইনি তা নিয়েও, আপনি হলে আরও কত কী যোগ হত আল্লাহ মালুম।
রং পেনসিল ও প্যালেট যোগ হত তা নিশ্চিত, আপনার তো আর ধার-ধুর করা লাগে না।
কী ওইটা সোনা জি!! আগে বলপেন না!! তাহলে আর কয় খানা ফটুক তুলতাম, উহ, খুব মিস হয়ে গেলু!!
আপনি ‘সোনা’ পেলেন, আমি কাছে বসেও কিছুই দেখলাম না, এ কেই বলে কপাইল্লার কপাল।
কিরা দিয়ে কইতেছি আমি সবগুলো স্লটই ব্যবহার করেছি শুধু ৯ নং টি ছাড়া।
g-14 আমার না হলে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
শুন্য শুন্যালয়
তাকাতাকির পরেও এত সময় পেয়েছেন ভাউ? যাক বাবা দেব দূর্গা হাজির 🙂
না বাবা, সোনা জি র এখখান ফটুকই ঠিক আছে, দেহেন না এত্ত সুন্দর লঞ্চ থুইয়া বেবাকে অই জি রেই দেখপার লাগছে, নজর না লাইজ্ঞা যায়।
আপনি হইলেন, তন্তর মন্তর জানা লুক, সবকিছু ব্যবহার করতেই পারেন, তবে ফেবু ভ্রমণ কিন্তু ভালু না, ঘাড়ে অশরীরির কয়খানা পড়লে আর উঠতে পারবেন না ভাউ।
৮/১২ নিয়া সন্দেহ নাই, ইতিহাস তাই-ই বলে।
৭ কোনখানে? এম,এম,এসে গেছে বুঝি? সবই তো দেখলাম ছায়ার ফটুক।
জার্নি যেইখানেই করেন, লেখা তো পাইমুই, ছায়া থাকলে সবই অপার্থিব, বেহেস্ত নসীব।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু তাকাতাকিতে কী হয়, অন্যান্য পর্বও তো আছে।
আর ঘটনা হল, সোনা জি না থাকলে ব্যাপারটা ঠিক সোনা সোনা হয়ে ওঠে না!
নাহ, নজর লাগবে না, উনি কবজ ধারণ করে আছেন, আপনি জানেন, আমরা নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা।
ফেবু না হলে আমার চলেই না, অনুমতি আছে, আমরা সবাই ফেবু ভালুবাসি!
দেখুন ছায়াই সত্যি বাকী সব ঝুটা,
আপনি ল্যাক্তে কইছেন তাই লেইখ্যা যাইতেইআছি।
বেহেস্ত দুরস্ত!! সবাই পায় না, কেউ কেউ পেয়ে গেছে।
মেহেরী তাজ
ছন্দপতন থেমেছে! আপনার নয় আমার। দিলে ফিরেছি! 🙂
এটাই তা হলে সেই নতুন লঞ্চ যা বরিশালবাসীদের দুপুরের খাওয়ার আগেই বাড়ি পৌঁছে দিতে পারে!
লম্বা হাটুর মানুষের জন্য আরামদায়ক?! :D)
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের জন্য অতিব সুসংবাদ, দিলে রহম পয়দা হয়েছে।
হ্যাঁ, আমরা দুপুরে বাড়ীতেই খেতে পাড়ি,
আপনার দাওয়াত এই আনন্দ ভ্রমণের জন্য।
আপনিও নিরাপদেই থাকবেন হাঁটু নিয়ে!!
মেহেরী তাজ
ধুর ওটা দিল নয় দল….. ^:^
দাওয়াতের জন্য ধন্যবাদ। যাবো কোন এক সময় ইনশাআল্লাহ।
ছাইরাছ হেলাল
ওই একই কথা!
চলে আসুন সসৈন্যে(লটবহর)।
শুন্য শুন্যালয়
১। পড়ুয়া ভাব নেয়া (আশেপাশে কোন ডানাকাটা থাকলে লেখার প্রত্থম লাইনেই ধরা পড়তো, তা যখন নাই তখন এই ভাব ধরা বাদ )।
২। গান শোনা, নতুন স্কুলে ভর্তি হবার আগ পর্যন্ত এইটা মুলতবী।
৩। খাতায় না হইলেও মাথায় মকশো চলে সারাক্ষনই, তাই আ্লাদা কইরা এমুন রুমান্টিক লঞ্চে এইডা হইতারবো না।
১৫। ব্লগ বাদ, ইতিমধ্যেই আপনার মোবাইল দক্ষতা সম্পর্কে জাতী অবগত আছেন। আস্তেছি ঠেরোন।
ছাইরাছ হেলাল
উরে বাবা!! ছুরি চাক্কু ধারাইতে গেছে!!
আমি খুপ অদক্ষ!
কবে যে ইসকুলের নোটগুলা পামু কে জানে।
হে হে, মকশো তো চালু রাখতেই হয়, বআতো যায় না কখন কী না কী লেখার এলহান এসে যায়!!
মৌনতা রিতু
আমি মজা নিয়েই পোড়লাম।তাকাতাকিও বুঝলাম।
আমি লিস্টের ১৪,১৫,৬,৭ নিব।কারন ৬,৭ তাও নদীর মধ্যে এমন একখানা লঞ্চে বসে,চেয়ার গুলো ও নাকি বিমানের সিটের চাইতেও প্রশস্ত।তাই সেলফি তুলে এডিট ফেডিট করে ক্যাপশান লিখুম,মুই এহন বিমানে!
😀
ছাইরাছ হেলাল
১০ ও ১২ এর দিকেও নজর দিতে পারেন।
৯ যখন বুঝে ফেলেছেন তখন ৪ নং টি কিন্তু খারাপ না।
ক্যাপশন দিয়ে শুরু করে দিন।
আবু খায়ের আনিছ
লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা মোটেও নেই, একবার ফেরী করে পাটুরিয়া-দৌলদীয়া ঘাট পার হয়েছিলাম এই যা।
ভ্রমনের কিছু কার্য্য বিবরণী পেলাম, পরেরবার ট্রাই করে দেখা যেতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
একবার ট্রাই করলে কম্ম কাবার,
ফেরি তো নস্যি এগুলোর কাছে।
আবু খায়ের আনিছ
করে দেখতে দোষ নেই।
ছাইরাছ হেলাল
ট্রাই করতেই হবে।
মৌনতা রিতু
আমি গেছিলাম লঞ্চে অনেকবার।স্বরনখোলা।ওখানে ফুফাতো বোনের শশুরবাড়ি।আর গেছিলাম রকেটেও একবার।রকেটে চড়ার মজাই আলাদা।
মোড়লগন্জ গেছি তো অনেকবার।ওখানে তালুকদার বাড়ি।ছোট বেলায় যেতাম।তখন ওখানে এক আপুর নাম ছিল *মল্লিকা* রবিন্দ্রনাথের একটা গান আছে না -তোমরক ভুলে গেছ মল্লিকাদের নাম,সে এখন ঘোমটা পরা কাজল বধূ দূরে কোন গাঁয়ে।
তো এই গানটা বড় আপারা যখন শুনত,ভাবতাম মল্লিকা আপুকে নিয়েই হয়ত লিখেছে।জিজ্ঞেস ও করেছিলাম আপাদের।ওদের সে কি হাসি! পাজির দল ছোটদের কান মলতে টিটকিরির হাসি হাসাতে খুব মজা পেত।
ছাইরাছ হেলাল
এখন আর একবার বেড়াতে আসুন, আমরা সবাই মিলে মল্লিকাদের খুঁজি
আরও একবার!
আবু খায়ের আনিছ
বাল্যকালে কত দুষ্টামী করেছি আর বড়রা সেগুলো নিয়ে কত হাসাহাসি করেছে। যেমন এখন করি আমরা।
ছাইরাছ হেলাল
চক্রাকারে চলছে সব কাল,
বাল্য আর বুড়ো, সবই এক কাল।
ব্লগার সজীব
আমিও একদিন এই লঞ্চে চড়বো, এরপর আপনার মত লেখার চেষ্টা করবো। যদি না পারি লিখতে তবে আপনার লেখাই কপি পেষ্ট করে দেবো :p
ছাইরাছ হেলাল
আরে একদিন কেন, আপনি রোজ রোজ চড়তেই থাকবেন, নো নামানামি।
শুধু কপি পেষ্ট! আপনার জা ইচ্ছে তাই করুন, সমস্যা নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
লঞ্চটা দেখেই তো চড়তে ইচ্ছে করছে। আর লঞ্চের সামনে ওই যে মানুষটা নীল রঙের টি-শার্ট পড়া,
“দেখে যেনো মনে হয় চিনি উহারে!
ওগো তুমি কোথা যাও, কোন বিদেশে?…”
ভালোই ঘুরছেন। ইস কতো বছর লঞ্চ চড়া হয়না। সেই ২০০৩ সালে বরিশাল, তারপর আর যাওয়া হয়নি।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই উহাকে আপনি চেনেন।
আবারও চড়ার সময় আমাদের জানাবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই জানাইবো। নীল রঙ-এর টি-শার্ট পড়া মানুষটিকে না জানাইয়া কখনোই লঞ্চে চড়িবো না।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।