১.
ট্রেনের ফ্ল্যাট ফর্মে দাঁড়িয়ে
যে দুটো চোখ আমাকে
গিলে খেতে চেয়েছিলো-
ও দুটো চোখের বাহির দেখেছি শুধু,
দেখিনি ভেতরের চঞ্চলতা।
আমার উদাস দৃষ্টি সেই চঞ্চলতাকে
সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে কাঁচের জানলা
বেয়ে পৌছে গিয়েছিলো
খুব কাছে থেকে বহুদূর।
২.
আমি তার মুখোমুখি সেও আমার
একই কম্পার্টমেন্টের ভেতর,
আমার চঞ্চল হৃদয় তাকে গিলে খেতে চায়
সে চায়না না আমায়।
বহুদূরে নিক্ষেপিত দৃষ্টি স্থিতিশীল হয়না,
মরিয়া হয়ে উঠে ভেতরে আসার জন্য-
অথচ তার ফর্সা বাহির দেখে
সহজে ধরা পড়েনা ভেতরের অন্ধকার।
৩.
আর কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনের চাকাগুলো
নিথর হয়ে যাবে পাথরের মতোন,
সজীব হয়ে উঠবে ভ্রমনক্লান্ত প্রাণগুলোও।
আমিও উঠে দাঁড়িয়েছি নেমে যাবো বলেই
“জনাব, কিছু ফেলে গেলেন কি ?”
বাসের মতোন লেখা ভেসে উঠেনা ট্রেনের দরজায়
তবুও আমি স্মরণ করি কিছু ফেলে গেলাম কি ?
জবরুল আলম সুমন
বাণীনগর, লালমনির হাট।
১লা জুন, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ট্রেনের প্লাটফর্ম থেকে চলমান ট্রেন এবং নেমে যাওয়া নিয়ে
লেখাটি পড়ে ভাল লাগল ,
চালু থাকুক এমন লেখালেখি ।
জবরুল আলম সুমন
সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয়না যেমন আমাকে দিয়ে কবিতা, অন্তত আপনার মতো কবিতার দক্ষ কারিগর আমি নই। বছর দেড়েক আগে আমি উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলাম, উল্লেখিত স্থানে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে লেখার বিষয়গুলো মাথায় ঢুকলো, নিজের মতো করে আগোছালো ভাবে লিখে ফেললাম। লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ প্রীত হলাম হেলাল ভাই…
জিসান শা ইকরাম
তিন ভাগে একটি পুরো কবিতা
ভালোই লাগলো
কিছু অবশ্যই আমরা ফেলে রেখে যাই
স্মৃতি
যা অমূল্য —–
জবরুল আলম সুমন
কবিতার বিষয় বস্তুর সাথে আমার বাস্তবতার কোন স্মৃতি নেই, তারপরও অনেক কিছুই ফেলে যাই, ফেলতে ফেলতে কিছু রয়ে যায় স্মৃতি হয়ে…
সুরাইয়া পারভীন
তিনটি অনুকবিতায় দারুণ
বাহির রেখে যেমন বোঝা যায় না ভেতরের চঞ্চলতা
তেমনি ভেতরে অন্ধকার দেখা যায় না বাহিরের ফর্সা/সাদা রঙ দেখে