
এই তুমি তো সেই তুমি নও –
যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম,
যাকে দেবতার আসন অর্পণ করেছিলাম।
যার আবেগে,কান্নায় নিজেকে সমর্পিত করেছিলাম অবলীলায়।
দেখছি ,ভাবছি আর অবাক হচ্ছি- একই অঙ্গে এতো রূপ!
এই কি সেই তুমি? এতো নিষ্ঠুর, নির্দয় তুমি?
আমাকে কাঁদিয়ে তুমি সুখ পাও নির্দ্বিধায়, তুমি খুনি!
তুমি হাসতে পারো খুনি হয়েও,
তুমি ভালো থাকতে পারো খুনির রক্তে।
আমার অশ্রু তোমাকে আজ আর বিচলিত করে না ।
সব শেষ করে দিলে মিথ্যে অহমিকায়, মিথ্যে উছিলায়;
কি অপরাধ ছিলো আমার- তোমার প্রতি;
এক নিমিষেই গভীরতর বন্ধুত্বের গ্রাফটাকে অচেনার দেয়ালে টেনে নামালে?
চাওয়ার/পাওয়ার/দেনাপাওনার হিসেবে তোমাকে হৃদয়ে বাঁধিনি।
মুক্ত/স্বচ্ছ/চকচকে শ্বেতপত্রে ভালোবাসার চম্পু লেখার সাধ ছিলো।
সেখানেও তোমার কার্পণ্যতা !
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত,রাত পেরিয়ে ভোর;
আবার সকালের মিষ্টি রোদে – কথোপকথনে বিলীন হওয়া –
সব আজ অচেনা, অস্বাভাবিক!
এ তোমার কেমন বিমাতাসুলভ আচরণ?
তোমাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল,
ছিলো অভিলাষের বৃত্তে আবদ্ধ পরিপাটি মানসলোক।
একটি সাবন কাটাবো বিনিদ্রার চাদরে,
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতার কম্পনে প্রকম্পিত হবো।
হারিয়ে যাবো মর্ত্যলোক থেকে বহুদূরে,
নিরবতার মিছিলে একাত্ত হয়ে;
কথার ফুলঝুরিতে নয় আত্নার মেলবন্ধনে।
ভালোবাসা কখনোই পাপ হতে পারে না;
তাকে তুমি পাপী করেছো নিজ স্বার্থে ,
ক্ষণিকের মোহ বানিয়ে নির্মল ভালোবাসাকে করেছো অপমানিত;
তুমি আমার আত্নাকে খুন করেছো,
বিশ্বাস কে খুন করেছো,বন্ধুত্বকে খুন করেছো।
তুমি খুনি! আমি চিৎকার করে বলবো তুমি খুনি!!
আমার কষ্ট আজ আর তোমাকে- আমার বুকে টেনে আনেনা।
কতটা বদলে গেছো তুমি!
আত্ন-অহমিকায়,আত্ন-তৃপ্তিতে ভুলেছো পাপ-পূণ্যের মাপকাঠি;
ভুলেছো কাউকে কাঁদিয়ে কখনো সুখী হওয়া যায় না,
অহংকার কখনো কন্ঠহার হতে পারে না।
মিথ্যা অভিযোগে আমাকে করেছো দোষী,
করেছো অচিনপুরের বাসিন্দা।
ভেবেছো কি কখনো-এই ভব মাজারে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়?
হাসির পর কান্না, সুখের পর দুঃখ এই নিয়েই ভবলীলা সাঙ্গ হবে;
বিচার হবে প্রতিটি প্রহরের ,রঙের, হাসি-কান্নার,ঘাত-প্রতিঘাতের।
সেদিন আমিও বিচার চাইবো-
আমাকে দেয়া প্রতিটি আঘাতের, কান্নার-
‘কি ছিলো আমার অপরাধ?’
২০টি মন্তব্য
তৌহিদ
এরকম প্রতিবাদী না হলে সে আবার প্রেমিকা কিসের? প্রতিবাদ চলতেই থাকবে। প্রতিটি আঘাতের একদিন বিচার হবে। সেই বিচারের দিনে সকল প্রেমিকারা তাদের প্রেমিককে সরোবরে অবগাহন করিয়ে শুদ্ধ করবে।
বিচার হবেই না হলে প্রেম যে কলুষিত হয়ে যাবে! দারুন অনুভব কবিতা পড়লাম আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সরোবর অবগাহনে হয়তো শুদ্ধ হবে কিন্তু সেই নির্মল ভালোবাসা, ভালোলাগা আর বেঁচে থাকবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
এস.জেড বাবু
কারও বদলে যাওয়ার কথাগুলো যখনি কোন কবিতায় উঠে আসে- তা কষ্টের অনুভুতি মুছে ভালোলাগা ছড়িয়ে দেয়।
অতন্ত্য চমৎকার এক কাব্যগাঁথা। আগামীর মূল্যবান সাহিত্য।
ভালোলাগা রইলো আপু
শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
ফজলে রাব্বী সোয়েব
যখন কোন স্বার্থপর লোকের আত্মার মৃত্যু হয় তখন সে আর মানুষ থাকে না। সুন্দর লিখেছেন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো বলেছেন আত্নার মৃত্যু হলে সে আর মানুষ থাকে না। আপনি ও ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন
ফয়জুল মহী
ভালো লাগলো । ঘরে থাকুন। ভালো থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ও ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভেবেছো কি কখনো-এই ভব মাজারে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়?
হাসির পর কান্না, সুখের পর দুঃখ এই নিয়েই ভবলীলা সাঙ্গ হবে;
বিচার হবে প্রতিটি প্রহরের ,রঙের, হাসি-কান্নার,ঘাত-প্রতিঘাতের।
সেদিন আমিও বিচার চাইবো-
আমাকে দেয়া প্রতিটি আঘাতের, কান্নার-
‘কি ছিলো আমার অপরাধ?’
.
আকুতিভরা এ নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় প্রেমিক এতো অভিমানী হয় কেমন করে!
একটি বারো তার চোখেরজল ঝরলো না প্রিয়জনের প্রতি।
দারুণ অনুভব দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো। চোখের জল ঝরে অন্যকারো জন্য তাই হয়তো এখানে ঝরলো না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সুরাইয়া পারভীন
কবিতার প্রতিটি পরতে পরতে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন!
এ ক্ষোভ নেহাতই ক্ষোভ নয়, ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত হৃদয়ের যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ। চমৎকার লিখেছেন দিদি
👏👏👏
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো 🙂🙂
ছাইরাছ হেলাল
কড়ায় গণ্ডায় পাই-পাই করে বিচার বুঝে নিতে হবে, এই অবহেলার।
কিন্তু লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে বিচার শুরু হয়ার আগেই বিচার প্রার্থি ভ্যা করে কেঁদে দেবে, প্রেম তো অটুট।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। ক্যায়া বাত হ্যাঁয়। প্রেম অটুট তবুও বিচার করতেই হবে, বিচার পেতেই হবে।এ হোক কোয়ারেন্টাইনের অঙ্গীকার। ভালো থাকবেন শুভ কামনা ও শুভ সন্ধ্যা
সুপায়ন বড়ুয়া
“বিচার হবে প্রতিটি প্রহরের ,রঙের,
হাসি-কান্নার,ঘাত-প্রতিঘাতের।
সেদিন আমিও বিচার চাইবো-
আমাকে দেয়া প্রতিটি আঘাতের,”
বিচার মোদের চাইতে হবে
প্রতিটি অন্যায় অবিচারের
হোক না সে প্রেমিক বর
প্রতিটি প্রতারকের।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সাথে সহমত দাদা। সে যত আপন ই হোক প্রতিটি অন্যায়, প্রতারকের বিচার হতেই হবে। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভ সন্ধ্যা
রেহানা বীথি
অন্যকে দুঃখ দিয়ে কেউ কখনও সুখী হতে পারে না। আর যে দুঃখ দেয়, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই হবে।
সুন্দর লিখলেন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রতিবাদ হোক ভেতর থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
এমন কঠিন হৃদয়ের কিছু মানুষ থাকে যাদেরকে প্রথমে চেনা যায় না, বুঝা যায় না। কস্ট দেয়া, প্রতারনা করা এদের স্বভাব।
কোনো ক্ষমা নেই, এদের চরম বিচার চাইতে হবে।
ভাল লেগেছে কবিতা।
শুভ কামনা ছোটদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ভাই। বিচার হবেই তানা হলে ভালোবাসার যে মরণ হবে। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো