আমি যা ভাবি সেগুলো টুকে রাখি,
আমার অধিকাংশ কথা আপনার সাথে দ্বিমত।
১.
বন্দুক আর বন্ধু দুটোই অনিয়ন্ত্রিত অগ্নোয়াস্ত্র,
বন্দুক বুলেট ছুড়ে বুক ঝাঝরা করে আর বন্ধু দুর্বলতায় আঘাত করে।
বন্ধুদের সাথে গোপন কথা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন;
পিস্তল যেমন নিরলস সার্ভিস দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে তেমনি সেটা নিজের উপর চালালে আপনার মৃত্যুটাও সহজ করে দিবে।
সো কেয়ারফুল!
২.
যারা জন্মগত পুঁজিবাদী তাদের নেতা বানানো উচিত নয় বা তাদের পিছে গরীবদের থাকাটাও গোলামী।
পুঁজিবাদীরা কখনো অর্থের অভাব বুঝতে পারেনা,
তারা অনুভব করতে ব্যর্থ যে- একজন শ্রমিক সারাদিন পরিশ্রম করে যখন রিক্ত হস্তে ঘরে ফিরেন তার মনের ভাবটা কি রকম হয়;
যারা গরীবের অভাব অনুভব করতে অক্ষম তারা আসলে জোঁক কোনো জনদরদী নেতা ফেতা নয়।
আশার কথা এই যে গরীব মানুষ গরীব নেতা পছন্দ করেনা।
ফলে, যে দুয়েকজন গরীব প্রতিবাদী রক্তচোষা জোঁকের মুখে লবণ দেওয়ার সাহস করে;
তাদের পদদলিত করে শত শত গরীব লোকজন জোঁকের রক্ত পিপাসা মিটাতে পা বাড়িয়ে দেয়।
৩.
মানবধিকার ও নারী অধিকারের মুল উদ্দেশ্য কি?
-ফুটপাতে ক্ষুধায় কাতর শিশু, পতিতা মা চৌরাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে খদ্দর খুঁজে জায়গা আছে যাবেন ৩০০ দিলেই চলবে!
টিভিতে দেখি সুশীলরা হিজিবিজি ঘটনা হাইলাইট করে শীতার্তদের অনুভুতি জানতে চায়;
আমাদের শান্তনার শেষবানী….
গৃহহীন ফুটপাতী-টোকাই আর অভাবী পতিতাদের সুস্হ্য জীবনে ফেরানোর আগেই বঙ্গবন্ধু খুন হয়ে গেছে।
৪.
বৈধ কায়দায় জন্ম দিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে,
গাড়ী-বাড়ী আর উন্নত চাকুরীর ব্যবস্হায় সন্তানের যথেষ্ট সুখ-আহ্লাদের নিদর্শন তৈরী করলেই পারফেক্ট বাবা-মা হওয়া যায় না।
পারফেক্ট বাবা-মা হতে গেলে পরকীয়া ছাড়তে হয়, বুঝছো মমিন।
৫.
আমি চাই
শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আরও বাড়ুক!
কারন ডিগ্রীধারীরা ক্ষেতের কাজ করতে চায় না সবাই চাকুরীর জন্য ছুটে;
চাকুরী না পেয়ে একদিন শিক্ষিতরা-
অশিক্ষিতদের সাথে কৃষকের হাল ধরবে তখন পেঁয়াজ চড়াদামে কিনতে হবেনা কৃষিখাতে বিপুল উৎপাদন ঘটবে।
(যেসব শিক্ষিত বেকারদের পৈত্রিক চাষযোগ্য পর্যাপ্ত জমি আছে ইহা তাদের থেরাপী)
৬.
মানবিক হউন,
অকারনে বাসস্টাফ আর বেওয়ারিশ কুকুরকে আঘাত করবেন না।
কুকুরকে আঘাত করে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন আপনার আঘাতে কুকুরটা অন্য কাউকে কামড় দিলেও লোকটা বেঁচে যাবে।
বাসস্টাফদের আঘাত করলে রক্ষা নেই;
বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সোজা গর্তে!
৭.
ধৈর্য সম্পর্কে ধর্মের সুন্দর সুন্দর বানী থাকার পরেও অনাকাঙ্খিত ধর্মযুদ্ধ রক্ষক্ষয়ী ক্রসেড সৃষ্টির ইতিহাস পড়লে মনে হয়,
পৃথিবীর ধর্মযোদ্ধারা ভুল ছিলো উভয়ে ধৈর্যের বাহিরের যুদ্ধ করে পৃথিবী অশান্ত রেখেছিলো কয়েকশ বছর।
৮.
সৃষ্টার কাছে সৃষ্টি দুর্বল-
সৃষ্টির সেরা জীবেরা,
ভয়ংকর ভয়ংকর শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র তৈরী করছে কারন:
কেয়ামতের আগে নিজেরাই তা ব্যবহার করে শিঙাধারী ফেরেশতাদের পৃথিবী ধ্বংসের কাজটা সহজ করে দিবে।
৯.
“আমরা করবো জয় নিশ্চয়”
-কিভাবে?
এইতো মা/বাবা পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিচ্ছে।
১০.
বাঙালী আইন মানেনা।
যখন বিপদে পড়েন তখন আইনের আশ্রয় নেন,
সমস্যা তা নয়;
সমস্যা হলো,
যারা দেশের মঙ্গল কামনা করেন মঞ্চে শ্লোগানে দেশকে ইউরোপ আমেরিকা কিংবা সিংঙ্গাপুরের কাতারে দেখতে চান আবার তারাই দেশের অরাজকতা বন্ধ করতে আইনের সংস্কার পছন্দ করেনা।
২৭টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
দ্বিমত হয়ত থাকবে-
তবে আমি সহমত-
এক, দুই আর পাঁচ- অসামান্য থিউরী ।
শেষটায় – দুঃখ রেখে গেলাম, কারণ যারা সমৃদ্ধির জন্য আইনের সংস্কার মেনে নিবে, তারা কোনদিন কেমেরার সামনে দাড়িয়ে নীতি বাক্য ঝাড়তে পারে না। ওরা আড়ালেই থাকে। ওদের চিৎকার কারও কানে পৌঁছায় না।
শুভকামনা রইলো
নুর হোসেন
দেশ যেভাবে চলছে, যারা চলাচ্ছে সেহিসেবে আমরা চলছি থিওরী অনুযায়ী আমরা জগতের অন্যতম জাতি।
ভালবাসা নিবেন।
মনির হোসেন মমি
“আমরা করবো জয় নিশ্চয়”
-কিভাবে?
এইতো মা/বাবা পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিচ্ছে।
চমৎকার যুক্তি। সবগুলোর মধ্যে এটা আমাগো সমসাময়িক চরিত্র। খুব ভাল লাগল।
নুর হোসেন
একজন টিচারকে দেখেছি এইতো কয়েকদিন আগে ক্লাস টু এর শিক্ষার্থী ছেলের জন্য সদ্য আসা ইংরেজী ও অংক প্রশ্ন সংগ্রহ করতে।
আমরা পাশ করা ছাড়া মেধা যাচাইয়ের ধার ধারছিন আজকাল।
মনির হোসেন মমি
দুঃখজনক। অভিবাভকরা যদি এমন হয় তবে বাচ্চারা জ্ঞানের আলো কী ভাবে পাবে?ভাল বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
বন্ধু বিহীন জীবন তো ভাবতেই পারি না।
নুর হোসেন
হেলাল ভাই,
আমার কোন বন্ধু নাই।
আজও আমি অবসরে ২৪ ঘন্টা রুমে কাটাই।
একান্ত অভিরুচি/ইচ্ছা বিভিন্ন মানুষের নানা রকম।
আমার চুপচাপ থাকতেই ভালো লাগে।
কামাল উদ্দিন
…………..রেসিপিটা কিন্তু দারুণ নুর হোসেন ভাই 😀
নুর হোসেন
শিক্ষিতরা সহজ সরল আন্তরিক তারা ভালবাসা দিয়ে ফসল ফলালে, আমাদের অভাব থাকবেনা।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আপনার খেরোখাতার ভাবনাগুলো সতয়িই অনেক চমৎকার, এই খাতার সবগুলো পৃষ্ঠা উল্টাতে চাই।
নুর হোসেন
আপাতত ভাবতেছি,
যদি বেঁচে থাকি অবশ্যই শেষ অবধি জানতে পারবেন।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।
নুর হোসেন
আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রতিটি অংশে, প্রতিটি ভাবনায় আছে চরম সত্য, কঠিন বাস্তবতা।
নুর হোসেন
ধন্যবাদ আপুমনি,
আপনার অনুপ্রেরণামুলক মন্তব্যে আমি ইমপ্রেস।
ভাল থাকুন।
তৌহিদ
“আমার অধিকাংশ কথা আপনার সাথে দ্বিমত।”
আপনি কি ধরেই নিয়েছেন আপনার কথার সাথে দ্বিমত? তবে দ্বিমত শব্দটির পরে যদি লিখতেন “হতেও পারে” সে ক্ষেত্রে অন্যকিছু বোঝাত কিন্তু। কারন সবার সবকিছুর সাথে মতের মিল থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক।
আপনার যুক্তিগুলি পছন্দ হয়েছে। তবে ১০ নম্বর পয়েন্ট উল্লেক করে বলছি- কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আপনার পছন্দ যেমন থাকতে পারে তেমনি ঘৃণা, অপছন্দও থাকতে পারব। তো সেটির নাম সরাসরি বলে দিন? ভয় পান কেন? আপনি এখানে আওয়ামীলীগ সরকারের কথা বলছেন তা বলতে কি ভয় পাচ্ছেন? ☺
সোনেলা দলাদলি পছন্দ করেনা। দল যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি, পছন্দের। লেখায় এসব না আনাই বেটার। আমি এর আগেও কয়েকবার দেখেছি ঘুড়িয়ে প্যাঁচিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন মন্তব্যে।
সাহস নিয়ে সরাসরি বলুন, আড়ালে বলে কি লাভ? তবে তা ব্লগে নয় কেমন?
যদি জানতে চান – কেন? তবে তার উত্তর নিজেই খুঁজে দেখুন পান কি না। ☺
নুর হোসেন
ধন্যবাদ তৈহিদ ভাই।
“আপনি এখানে আওয়ামীলীগ সরকারের কথা বলছেন তা বলতে কি ভয় পাচ্ছেন?
সোনেলা দলাদলি পছন্দ করেনা। দল যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি, পছন্দের। লেখায় এসব না আনাই বেটার।”
-আপনি এখানে আ’লীগ পেলেন কোথায়?
আন্দাজে কোন কিছু বলা ঠিক নয়।
এখানে সাধারণ মানুষের কথা বলা হয়েছে,
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পরিবহন আইনের যে সংস্কার আনা হয়েছে তা নিজেরাই মানছি না;
বাইকের বৈধ কাগজ পত্র অনুসন্ধান ও ধরপাকড় শুরু হলে বাইক মালিকরা ধর্মঘটে নামলেন।
কাহিনী কি?
যেখানে সেখানে বাইক আটক চলবেনা…..
অথচ এই ছাগলগুলাই নিরাপদ সড়কের দাবীতে মাঠ কাপায়।
ভাবা যায় এগুলা।
অপরাধীও ধর্মঘট করার সুযোগ পায় একমাত্র বাংলাদেশে।
জেনে রাখা ভালো: আমি জন্মগত জয়বাংলার লোক এবং আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নাতী এবং ভাতিজা।
আ’লীগকে যেমন ভালোবাসি তেমনি তার শুভাকাঙ্খী।
আ’লীগের সমালোচনা করতে হলে মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যে করতে হবে, ব্লগে করা যাবেনা; ওকে।
আশাকরি শুধুমাত্র আন্দাজে বিতর্কিত লেখা ভাববেন না।
তৌহিদ
আমার মন্তব্যের ইঙ্গিত কোনদিকে বুঝলেননা তো?? ☺☺
আপনার মন্তব্য ভালোলাগা।
নুর হোসেন
আসলে ব্লগারেরা একটু ডিফারেন্ট তাদের মতিগতি ভাবসাব খুব একটা বোঝা যায় না।
শুধুমাত্র দলকানা ব্লগারের ছাড়া বাকী সব ব্লগারেরা উন্নত ভাবনার গোডাউন।
ভালবাসা ও শুভ কামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
খেরোখাতায় অনেক অনেক ভালো লাগা,
বন্ধু বাদে সব কিছুর সাথেই একমত।
বন্ধু মানে প্রকৃত বন্ধু।
নুর হোসেন
কাকে বিশ্বাস করবেন?
আমাদের আশে-পাশে ছড়িয়ে আছে মুখোশ পরিহিত স্বার্থলোভীরা,
যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্বার্থ হাসিল হলেই কেটে পড়েছে কৌশলে!
“প্রকৃত” শব্দটা মাইনাস করলে কোনো বন্ধুত্ব নেই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
সমসাময়িক ভাবনা ভালো লাগলো। চাকরের কাজ না করে নিজেই উদ্যোগি হওয়া ভালো।
নুর হোসেন
ধন্যবাদ,
দাসত্বের অবসান ঘটলেও আধুনিক দাসবংশ এখনও চলছে।
প্রয়োজন কমিউনিটি।
সুরাইয়া পারভিন
আগেই কেনো ধরে নিলেন দ্বিমত হবে। আমার তো সব কয়টা পয়েন্ট সঠিক মনে হয়েছে।এখানে দ্বিমতের অবকাশ নেই
নুর হোসেন
ধন্যবাদ প্রিয় লেখিকা,
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।
আমি আপনার ফ্যান ফ্যানকে খুশি করার জন্য বলছেন কিনা কে জানে!
সাবিনা ইয়াসমিন
সব গুলোই ভালো বলেছেন।
বন্ধুত্বের ব্যাপারে আমি শতভাগ সহমত।
ওটা ততোক্ষণ বজায় থাকে যতক্ষণ নিজ উদ্যেগে স্বকীয়তা বজায় রাখা যায়, নয়তো বন্ধুর মতো চরম বিশ্বাসঘাতকের স্থান আর কেউ নিতে পারে না।
শুভ কামনা 🌹🌹
নুরহোসেন
আমার কোন বন্ধু নেই।
অনেকদিন পর পরিচিত সমবয়সীদের সাথে দেখা হলে হাই হ্যালো পর্যন্তই কেননা বন্ধু বোবা শত্রু তাদের চক্রান্ত বোঝা যায় না।