
সমাজের এক শ্রেনী সবসময় চুপ করেই থাকেন আর একশ্রেণী যে কোন কিছু নিয়ে নেমে পড়লে অন্যদল সেটিতে ট্রলিং, বুলিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পোশাক আন্দোলনে নেমেছে। তাতে যারা মনে মনে সাপোর্টকারী তারা চুপ থেকে ঘটনা দেখছে। একশ্রেণীর পুরুষরা নির্দ্বিধায় নোংরা গালিগালাজ, ট্রলিং এ ব্যস্ত।
একদল বলছে শিক্ষার্থীরা ‘দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়’, ‘পোশাকের স্বাধীনতার নামে পাবলিক নুইসেন্স বন্ধ হোক’, ‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’ ইত্যাদি লেখাসংবলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
অন্যদল বলছে, ‘সংস্কৃতি কারও বাপের না’, ‘শান্তিপূর্ণ দাসত্বের উপরে প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতা বেছে নিলাম’, ‘কয়দিন পর যদি নাম শুনেই সিডিউসড হয়ে যান’, ‘সিডিউসড হোন বা না হোন হামলে পড়বেন না’, ‘আমি বলি না নিপাত যাক, বলি সব থাক থাক’ ইত্যাদি লেখা ছিল।
মজার ব্যাপার হলো, তাদের সাথে যোগ হয়েছেন আমাদের তথাকথিত পর্দানশীন নারীরা। তারা বলছেন, তারা বোরকা পরেই স্বাধীন, জানিনা কে তাদের পরাধীন বলেছে। এখানে আসলে স্বাধীনতা না হয়ে স্বাভাবিকতা বা কমফোর্ট ফিল করা ব্যাপারটি আসতে পারে। যে যেমনভাবে নিজেকে কমফোর্ট করাতে পারে। তার কাছে সেটিই তার পরিধেয় তবে কিছুটা স্থান, কাল, পাত্রভেদে।
আপনি মার্কেটে গেছেন, আপনি টি শার্ট কিংবা অন্যকিছু পরেছেন। ছেলেদের আগে পাশে থাকা বোরকা পরা মেয়েটি আগে ছি! বলবে। শার্ট পরা মেয়েটি কিন্তু কোনদিনই বোরকা পরা মেয়েকে নিয়ে মন্তব্য করে না।
আমি বলি, আজকাল বোরকা একধরনের ফ্যাশান। বেশ টাইট ফিট, স্টাইলিষ্ট ঠিক শার্ট কিংবা সালোয়ার/ কামিজের মতোই। একটা দামী শাড়ি বা লেহেঙ্গায় যে পরিমান কাজ থাকে, স্টাইল থাকে, আটোসাটো থাকে বোরকা তার চেয়ে দামে বেশি ও স্টাইলের হয়। অথচ আমাদের বোরকা পরা মেয়েরা দাবী করছে সে নিশ্চিত একজন পবিত্র নারী আর টপ জিনস পরা মেয়েটি বেয়াদব, অশালীন, অপবিত্র।
সবচেয়ে বেশি নোংরামী হয়েছে একজনকে নিয়ে। আপনারা তার সেক্সুয়্যালিটিতে কনফিউজড, সে ছেলে না মেয়ে না হিজড়া। কেন ভাইয়া/ আপুরা সেক্সুয়ালিটি তার যোগ্যতার সাথে কেন প্রশ্নবিদ্ধ? এ সমাজে হেট্রোসেক্সুয়াল মানুষদের মতো হোমোসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, ক্রসজেন্ডার সব মানুষই প্রকৃতির সৃষ্টি। যাকে আপনারা অপূর্ণ বলছেন তার ভাষা, কথার ধরন, ভদ্রতা শালীনতা আপনাদের চেয়েও মার্জিত ও রুচিশীল ছিল।
পোশাক স্বাধীনতা আন্দোলনে যেসব কমেন্ট এসেছে তা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা। লোকালয়ে একটা বিকিনি পরা মেয়ে যতোটা নোংরা তার চেয়েও বেশি নোংরা। কুকুরের সেক্স কর ছবি দেয়া হয়েছে। এসব মেয়েরা পশুর জন্মা কিংবা পশুর চেয়েও খারাপ।
জেনে রাখুন, পশু/পাখিরা সেক্স করার আগে মানিয়ে নেয়, বাগিয়ে নেয়, তৈরি করে নেয়। আপনাদের মতো রেপিষ্ট বা জুলুমকারী না, সিডিউসড হয় না। অবশ্যই তারা অনেকাংশেই আমাদের চেয়ে ভালো।
আমার নিজের কথাই বলি। যখন কেয়ার বাংলাদেশে জবে ছিলাম একেবারেই তরুন বয়স। প্রচুর কাজের চাপ, ফিল্ডে সারাদিন থাকতে হতো। তো সে সময় প্যান্ট/লং টি শার্ট পরে খুব দ্রুত বের হতে হতো। ফিল্ডের কাজ শাড়িতে বা থ্রি পিচে কষ্টকর বা ঝামেলাপূর্ন ছিল। তাই সময় ও ঝালেলা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করতে হতো। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখার বিষয় ছিল আমাকে কোনভাবেই অশালীন লাগছে কিনা। কারন গ্রামের মানুষদের নিয়ে কাজ। তারা অবশ্যই আমার ব্যস্ততা দেখবে না। তারা দেখবে একজন শালীন মানুষকে যার কথা রাখা যায়।
পেশা চেঞ্জ হলো, বয়স বাড়লো। পোশাকও বদলে গেল। শিক্ষক হিসেবে শাড়ি কিংবা থ্রি পিচ পরি। হিজাবের ব্যাপারটা একটু আলাদা। এটা আমার চুল কন্ট্রোল ও সময় বাঁচানো যাকে বলে আরকি! এক ঠিলে অনেক পাখি মারার মতো।
বাজার কিংবা নদীর পাড়ে নিশ্চিতে পায়ে সান্ডেল কিংবা ট্রাউজার/ ঢোলা পাজামা, লং টি শার্ট আমার ভালো লাগে। আমি তখন পেশায় নেই তবুও কিছু মানুষের জন্য আমার রাস্তার খাবারের মজা বা বেড়াতে যাবার মজাটা আর মজা থাকে না। রাস্তার পাশে ফুচকা খেতে দেখে অনেকেই হা! কারন সেখানে ক্যাজুয়ালী হিজাব ছাড়া গিয়েছি। কিংবা আমার মতো শিক্ষকের এটা বেমানান। যদিও আমি অশালীন নেই।
বলেও বসে- তুমি কি হিজাব ছেড়ে দিয়েছ? বাধ্য হয়ে নিজেকে হিজাবে ঢেকে আজকাল ফুচকাও খেতে হয়। রাস্তার পাশে চাও খেতে পারিনা। কেন ভাই?
একজন পুরুষ মানুষের পেশাগত পোশাক আর বাড়ির পোশাক এক হয় না। আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, বাজারের পোশাকটাও আলাদা। বিয়ে বাড়ি, ঈদ, পুজো কিংবা পহেলা বৈশাখে সে নিশ্চিন্তে আলাদা আলাদা পোশাকে থাকে। মেয়েদের বেলায়ও ঠিক তেমনই হওয়া উচিত। একজন ডাঃ হয়তো সময় বাঁচানোর তাগিদে চুলের স্টাইল না করে হিজাবী কিন্তু সে কোন ফেস্টিভ্যালে সেভাবে নাও থাকতে পারে। কিংবা পরিবার নিয়ে সাগর পাড়ে বেড়াতে গিয়ে তিনি তা নাও করতে পারেন। এটাকে নিয়ে ট্রল করা যাবে না। আর পোশাক পরিধানকারীকেও সচেতন হতে হবে। তবে সমাজের কিছু লেজকাটা শেয়াল আছে যারা কারও ভালো দেখতে পারে না। আপনি ভালো চাকরী করেন, ব্যবসা করেন, ভালো চলছেন? কিন্তু সে সেটা পারছে না। তো আপনারটা তার অবশ্যই অসহনীয়। তো তিনি বোরকায় নিজেকে ঢেকেছেন, আপনাকেও ঢাকতে হবে।
আসলে তা মোটেও নয়। যেহেতু আমাদের মার্কেটগুলোতে সবধরনের পোশাক পাওয়া যায়। তার মানে আমরা এগুলো পরবো। তো আমাদের পোশাক হবে স্থান, কাল, পরিবেশ, পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর শিক্ষার্থীরা সালোয়ার কামিজ কিংবা কাট ব্লাউজেও শালীন ও সুন্দর। সমাজটাতে এতো সমস্যা থাকতে আমরা যেন দিনে দিনে আজাইরা বাকওয়াস টপিক নিয়ে সময় নষ্ট করছি।
যে পুরুষদের পতিতালয়গুলোতে নিয়মিত আনাগোনা তাদের কে সিডিউসড করে? মাদ্রাসা শিক্ষক তার ছাত্রীকে ধর্ষন করে সে কার দাড়া সিডিউসড হয়? ৬ বছর, ৮০ বছরের বাচ্চা বা নারী কেন ধর্ষণের শিকার হয়? নারী মানে শুধু শরীর, সেক্স করার বস্তু পুরুষের এই মানসিকতাই জন্মগত সিডিউসড। আমরা একজন হাফপ্যান্ট পুরুষ দেখলে চোখ নামিয়ে নেই অথচ রিকসার হুডের ফাঁক দিয়েও পুরুষ নারী খোঁজে। ওড়না না থাকলে বা পাতলা ওড়না পরলে শিষ দেয়। এসব আসলে মানষিকতা।
আজকে যে ওয়েস্টার্ন কালচারের কথা বলা হচ্ছে। ভাই একজন ওয়েস্টার্ন পুরুষ হয়ে দেখান তারা বিকিনি পরে থাকলেও ফিরে তাকায় না। জোর করে ধর্ষন তো দুরের কথা!
প্রত্যেক নারী/ পুরষ, তরুন/ তরুণীর সাজপোশাকে স্বাধীনতা থাকা উচিত। স্থান-কাল-সময় বুঝে পোশাক পরাই পোশাকের স্বাধীনতা। পোশাকের মধ্য দিয়ে একজন মানুষের রুচিশীলতা, ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। সাজপোশাকের মধ্য দিয়ে নগ্নতা বা উগ্রতা ফুটে তোলা আধুনিকতা নয়। আটোসাটো, অর্ধলগ্ন শরীরের তথাকথিত আধুনিক পোশাক নয়। আবার শালীন পোশাক বলতে শার্ট- প্যান্ট মেয়েদের জন্য নয় এটাও বলা যাবে না। শুধু শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, বোরকা নয়, সকল পোশাকই স্মার্টলি ক্যারি করতে পারলেও মানুষকে সুন্দর দেখায়। আর শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, বোরকা পরে কেউ এগিয়ে বা পিছিয়ে যায় না। আমাদের এগিয়ে বা পিছিয়ে নেবার জন্য মানষিকতার পরিবর্তন জরুরী। এ মানষিকতা অবশ্যই দ্বীপাক্ষিক। আমরা কারও পোশাক দেখেও সিডিউসও হবো না আর কাউকে সিডিউস করার মতো কিছু পরবোও না।
ছবি- নেট থেকে।
১৯টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
শাড়ি পড়া অনেক আগে থেকেই আমার পছন্দ ছিল না
পোশাকে স্বাধীনতা চাওয়াটা অভদ্যতা মনে হয়!
ভাল থাকবেন রুকু আপু———-
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাই এই লেখাটায় আমার কতো কষ্ট হয়েছে জানেন?
মন্তব্যে যদি সচেতন না হন কষ্ট হয়। একটু সময় নিয়ে লেখায় কমেন্ট করুন প্লিজ 🙏🙏
আলমগীর সরকার লিটন
কেনো রুকু আপু
আমার কমেন্ট আপনার কাছে ভাল লাগিনি
আপনি যেভাবে লেখেছেন ঠিক সেভাবেই
আমার অভিব্যক্ত প্রকাশ করেছি!
সঞ্জয় কুমার
দুঃখিত আপনি কি বোঝাতে চাইলেন বুঝলাম না।
বন্যা লিপি
এই পোষাক পোষাক নিয়ে আমার অস্থান স্পিকটি নট*। কারন একটাই- আমি যাদি মনে করি আমার রুচি ব্যাক্তিত্ব এবং আমাকে পরিচিতি দেবে আমার পোষাক! তাতে করোর মাথা ব্যথা থাকলেও আমার কিছু করার নেই, ব্যস্….ফিনিস।
সমসাময়িক ক্যাচাল এখন আমি দেখছি /পড়ছি আর বিজ্ঞজনদের লাফালাফি উপভোগ বা ভোাগ*(১) করছি।
আমি বলি- করতে দিননা! যারা যা করছে! আপনি যেমন চলার তেমন চলবেন। আমিও যেমন চলার তেমন চলব। মাঝে এইযে শুরু হওয়া সাময়িক ঝড়! কেউ উড়ে যাবে, কেউ টিকে থাকবে। আপনি/ আমি এবং এই আমাদের মত আরো কেউ কেউ ঠিকঠাক নিজের অবস্থানটাতেই থেকে যাব।
যায় দিন ভালো
আসে দিন খারাপ…..
এটা তো সবাই জানি। কালে কালে আরো ভয়ানক কিছু দেখা/শোনার অপেক্ষায়….
সিডিউস ওই হারামীদের করা লাগে না,,,,, ওরা হিজাবি বলেন আর বোরখাওয়ালী বলেন,,,, সর্ট কিংবা পুরো দস্তর পোষাকই বলেন,,,,কারন একটাই- পোষাক একটা দৃশ্যত অজুহাত মাত্র। বাবার কাছে যে কন্যা ধর্ষিত হলো সে মেয়ে কেমন পোষাকে বাবাকে সিডিউস করেছিলো?
রাতের অন্ধকারে যে চাচা তার কিশোরি ভাতিঝির শরীরে হাত দিলো, সে ভাতিঝি কিন্ত জানতই না নিজ চাচাও এ হেন কাজ করতে পারে! সেই ভাতিঝি কিন্ত ওই বয়স পর্যন্ত হাতা কাটা ফ্রক পর্যন্ত কোনোদিন পরেনাই।
আমি এক কথায় বলতে চাই- যে পুরুষটা প্লাকার্ড হাতে কাতর আবেদন করছে! -“সর্ট পোষাকে আমাকে সিডিউস করবেন না” তোগো সিডিউস করা লাগে? তোরা সিডিউস তো ঘরে বইসা বইসাই হইয়া রইছস।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আসলেই কিছু পুরুষ আছে যাদের সিডিউসড করা লাগে না। তাদের সবটাতেই সমস্যা। আর বাংলাদেশের ৯০ ভাগ নারীই মার্জিত পোশাক পরে। দুচারজন হয়তো সামান্য ব্যতিক্রম থাকতে পারে।
নারীরা পুরুষদের নিয়ে কিন্তু এতো মাথা ঘামায় না। কিন্তু এদের কেন যে এতো মাথা ব্যাথা, বুঝি না।
আমিও বলি থাকুক না যে যার মতো থাকতে চায়! এতো সমস্যা বোধ করার তো কিছু নেই।
অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানবেন আপু 🌹
মোঃ মজিবর রহমান
সমাজের এক শ্রেনী সবসময় চুপ করেই থাকেন — এর একজন আমি রুকু আপু। হইত প্রতিবাদ বা আন্দোলন করার শক্তি আমার নাই।
ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায় এর আমি শেষের টার সাথে একমত।
সিডিউসড— মানুষ লোভী, চাকচিক্য , পছন্দ করে যদিও বিস্বাশ করুন আর নাই করুন মরহুম শফি হুজুরের কথায় একসময় তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি তিনি কিন্তু খুব মিথাও বলেনি। ইচ্ছাশক্তি অনেক খারাপ ও অমংগলজনক। এর বেশ আমি বলতে পারবনা।
তারা বলছেন, তারা বোরকা পরেই স্বাধীন, জানিনা কে তাদের পরাধীন বলেছে। এখানে আসলে স্বাধীনতা না হয়ে স্বাভাবিকতা বা কমফোর্ট ফিল করা ব্যাপারটি আসতে পারে—- আপনার সংগে সহমত।
আমি বলি, আজকাল বোরকা একধরনের ফ্যাশান। বেশ টাইট ফিট, স্টাইলিষ্ট ঠিক শার্ট কিংবা সালোয়ার/ কামিজের মতোই। একটা দামী শাড়ি বা লেহেঙ্গায় যে পরিমান কাজ থাকে, স্টাইল থাকে, আটোসাটো থাকে বোরকা তার চেয়ে দামে বেশি ও স্টাইলের হয়। অথচ আমাদের বোরকা পরা মেয়েরা দাবী করছে সে নিশ্চিত একজন পবিত্র নারী আর টপ জিনস পরা মেয়েটি বেয়াদব, অশালীন, অপবিত্র। — এখানে যে নারী প্রকৃত ইসলামিক ভাবাপন্ন তারা কিন্তু স্টাইলিস্ট বোরকা পরেননা। হইত দ্বিমত থাকতে পারে।
বাজার কিংবা নদীর পাড়ে নিশ্চিতে পায়ে সান্ডেল কিংবা ট্রাউজার/ ঢোলা পাজামা, লং টি শার্ট আমার ভালো লাগে। আমি তখন পেশায় নেই তবুও কিছু মানুষের জন্য আমার রাস্তার খাবারের মজা বা বেড়াতে যাবার মজাটা আর মজা থাকে না। রাস্তার পাশে ফুচকা খেতে দেখে অনেকেই হা! কারন সেখানে ক্যাজুয়ালী হিজাব ছাড়া গিয়েছি। কিংবা আমার মতো শিক্ষকের এটা বেমানান। যদিও আমি অশালীন নেই।—- এখানে বলব কিছু মানুষ যারা সবসময় সমালোচনায় থাকেন তারা জড়িত।
সৃষ্টি জগতে লেজ কাটা মানুষ বেশিই সমস্যা করে সমাজে।
আজাইরা বাকওয়াস টপিক নিয়ে সময় নষ্ট করছি। এই ডিজিটাল জগতে মানুষ বেশি ভাবান্তর বেশি সময় দেয় যাতেই অনেক সমস্যা তৈরি হই বলে মনে করি। আমি,
যে পুরুষদের পতিতালয়গুলোতে নিয়মিত আনাগোনা তাদের কে সিডিউসড করে? মাদ্রাসা শিক্ষক তার ছাত্রীকে ধর্ষন করে সে কার দাড়া সিডিউসড হয়? ৬ বছর, ৮০ বছরের বাচ্চা বা নারী কেন ধর্ষণের শিকার হয়? নারী মানে শুধু শরীর, সেক্স করার বস্তু পুরুষের এই মানসিকতাই জন্মগত সিডিউসড। আমরা একজন হাফপ্যান্ট পুরুষ দেখলে চোখ নামিয়ে নেই অথচ রিকসার হুডের ফাঁক দিয়েও পুরুষ নারী খোঁজে। ওড়না না থাকলে বা পাতলা ওড়না পরলে শিষ দেয়। এসব আসলে মানষিকতা। অবশ্যই মনমানসিকতার এটা। আর এখানে শুধুই পুরুষই তাকায় না হইত পুরুষ আনুপাতিকহারে বেশি মহিলাও আছে। যেটা আমি কলকাতায় দেখেছি।
শেষে আপনার মন্তব্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। সহমত।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার ব্যাখ্যামূলক মন্তব্যে আমিও কৃতজ্ঞ। তবে এতোটুকু বলতে চাই মনমানষিকতা নারী/ পুরুষ সবারই পরিবর্তন জরুরী। পৃথিবী কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে আর আমরা এখনও একই জায়গায় পরে আছি।
ধন্যবাদ ভাই 🌹
মোঃ মজিবর রহমান
পৃথিবীর সব দেশেই প্রায় একই অবস্থা আমাদের দেশ আসলে সংকর জাতি মানেই মনে ভেজাল তাই ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা এই। বাংগালী বলি আর সংকর বলি কোন পার্থক্য নাই।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সময়ের সাবলিল উচ্চারণ আপু!
স্বাধীনতা ও সামাজিকতা দুটোকেই সমন্বয় করে মানুষকে মেনে চলতে হয়।
যে কোন কাজের প্রকৃত দিক বিবেচনা না করে
অতিরঞ্জিত বাহানা নিয়ে চিল্লানো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে
তাই সর্বদাই এহেন অবস্থার সম্মূখীন হতে হচ্ছে।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শুভকামনা জানবেন ভাই 🌹
হালিমা আক্তার
পড়ে গেলাম। কমেন্টস এ পরে আসবো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আসুন আসুন, অপেক্ষায় রইলাম।।
হালিম নজরুল
সবার আগে সত্যিকারের মানুষ হওয়াটা জরুরী। পোশাক অবশ্যই জরুরী, তবে তা মানুষ হবার পর।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কৃতজ্ঞতা ভাই 🌹
হালিমা আক্তার
আমাদের বর্তমান বাজারের চমৎকার আলোচনা পোশাক। আপনার সাহসী লেখার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইলো। পোশাক নিয়ে বিভক্তি সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা খেলায় নেমেছি, যে কোন একটি পক্ষ নিতে হবে। পোশাক মানুষের আব্রু ও সম্মান রক্ষা করে। আমি কি পরব সেটা আমার ব্যাপার। এখানে অবশ্যই আমার স্বাধীনতা থাকবে। এ পর্যন্ত শুনি নাই স্বল্প বসনা পরার জন্য কেউ ধর্ষিতা হয়েছে। বাসের মধ্যে যে মেয়েটি হামলার শিকার হয়েছে,সেকি স্বল্প বসনা ছিল। নাকি পুরুষের লোভাতুর দৃষ্টির শিকার ছিল। পাঁচ বছরের শিশুর মধ্যে কী আকর্ষণ আছে, যা দেখে এক শ্রেণীর পুরুষের কামনা জেগে ওঠে।
যারা বোরকা পরেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে হয়। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ বোরকা পর্দার জন্য পরা হয় অবিশ্বাস্য। এখনকার স্টাইলিশ বোরকা স্বল্প বসনার চেয়ে কম কিসে। বোরকা পরে ঘুরতে সুবিধা কেউ চেহারা দেখে না। মাথার হিজাব বাঁধে উটের কুঁজোর মতো করে, এটা যে কবিরা গুনাহ। এটা নিষেধ করে কেউ বানী দিয়েছেন বলে মনে হয় না। এক শ্রেণীর পুরুষেরা মেয়েদের কে শুধু মাত্র সেক্সূয়াল পন্য মনে করে। যত দিন পর্যন্ত এ মানসিকতার পরিবর্তন না হবে। ততদিন কিছু পুরুষ এমনি সিডিউসড হবে। নিজেদের চোখের পর্দা করুন।
ধন্যবাদ আপা। শুভ কামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
স্কুল পড়ুয়া ছেলেদেরও নাকি সমস্যা হয়। তাহলে বলেন আমরা কোথায় আছি।
করোনা আসার পর ছাত্রদের দ্বারা কতো টিজের শিকার হলাম। মুখ ঢাকা থাকে বুঝতে পারেনা। আমি আস্তে করে মাস্ক নামিয়ে দেই তখন আবার সালাম দেয়।
নার্গিস রশিদ
প্রত্যেক দেশে বা সমাজে কালচার, পোশাক পরা বা চিন্তা চেতনা একটা পরিবর্তন শীল ব্যাপার। এগুলো কোন একটা জায়গাতে দাঁড়িয়ে থাকেনা। প্রয়োজনের সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মা যে ভাবে শাড়ি পড়তেন তা পরিবর্তন করলো তাঁর ছেলের বউ জ্ঞানোদা নন্দিনী দেবী। তা পার্সিয়ান দের মতো করে। ১৯৭০ পরে আস্তে আস্তে সালওয়ার কামিজ এলো। তাও কিশোরী বয়েসের জন্য । কলেজে শাড়ী । উনিভারসিটিতে কেউ সালোআর কামিজ পড়লে তখন তাকে নিয়ে আড়ালে কথা হতো। এখন কলেজে পড়ালেও কামিজ পরে। কারন দৈনিক চলাফেরা ,বাসে রিক্সায় দৌড়াদৌড়ী করা কঠিন ব্যাপার। শাড়ী সুন্দর সবায় বলে । কিন্তু তা এখন বিশেষ দিনের জন্য। ‘কেন এটা হল, কারন এটা হওয়ার কথা ছিল’ । এই হল ব্যাপার। সুন্দর লেখা। শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার সুন্দর মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ম্যাম!!