হৈ হল্লায় আর একটি দিন কেটে গেল, রাত্রি সমেত। নিরন্নের শিশুরা যেমন আছে তেমন ই থেকে গেল,
গো-হারা শৈত্য প্রবাহে কুকুর সাথী হয়ে,
শীত,
তোমার মায়াবী অথচ কঠিন চাদরটি নিয়ে একটু এড়িয়ে গেলে পারতে, এ যাত্রার কটা দিন,
নেভানো কয়লায় না হয় রাত কাটাতাম, মিট মিটে মিঠে আগুন জ্বালানোর সাধ্য যে আর বাকী রাখোনি।
ঐ উঁচু দর-দালানের দিকে যাও তো, দেখি পার কিনা হত্যাকলায় হাত মকশো করতে? পার না, তা তো জানি ই,
ভরসা এই নাঙ্গারা ই, বেশ আয়েশ করে টক,ঝাল,মিষ্টি বা শুঁটকির তীব্র গন্ধ মিশিয়ে যা খুশি যেমন খুশি করে খেতে পার,
খাও ও ,যত পার।
বেশুমার শীতে নিরন্ন নিবস্ত্র মৃত্যুর ধ্বংসস্তূপ সে তো তোমাদের ই দখলে।
কাপুরুষতার সীমারেখা টানা গেল এবারে,
২৫টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
ইট কাঠ কংক্রিটের আলিশান দালানে রুম হিটার ব্যবহার করে নরম কম্বল গায়ে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের দল কি করে বুঝবে ফুটপাথের শীতের শীতলতা কি? কেমন করে বুঝবে এক মুঠো খড়ে কতটা উত্তাপ?
শীত মশাইও নাছোড়বান্দা , তেলা মথায় তেল দিয়ে মহাসুখে আছে | সেও চায়না আদরের ঘরে বাঁদর হয়ে প্রবেশ করতে |
অপূর্ব লিখেছেন | প্রিয়তে নিয়েই নিলাম |
ছাইরাছ হেলাল
আসলে প্রকৃতিও দুর্বলের প্রতি ভিন্ন আচরণ করে তাদের দুর্দশা বাড়িয়ে
মজা লয়, অসহায়ত্বের সুযোগে।
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আনন্দিত বোধ করছি।
অরুনি মায়া
যেখানে সৃষ্টিকর্তাই করুণা করেনা তার সৃষ্টির প্রতি, সেখানে আর কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটাই বেকার |
ছাইরাছ হেলাল
কর্তা খুব কঠিন, নির্দয় ও বটে,
তবে প্রত্যাশা আমাদের থাকেই তাঁর কাছে।
নাসির সারওয়ার
এসব কি কয় – জানতাম আগুন নাকি ঝাল ঝাল হয়, কারন জলসে যায় বলে। এখন শুনি আগুন নাকি মিঠাও হয়।
হেই আগুন কি মধু দিয়া জ্বালাইছেন??
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাগো আগুন আগুন না, সে আগুনে মজা দেয়, হ্যারা মজা লয়।
শুধু কী মধু! আরও কত কী দেয় কে জানে! ত্যয় দেয় শিউর।
নাসির সারওয়ার
মজা দেয়, মজা লয়! কয় কি!!
আবে ঐ চানদি ছিলা, নীচের দিকে ঘোততা মার। ঠানডা পাথরের নীচে গিয়া মাথাবি ঠানডা রাখ। এইছব লেহা আমগোর লাইগা না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এত্তগুলা কবি মানুষ, এ সব আপনি বুজবার পারবেন না।
অনিকেত নন্দিনী
টক,ঝাল,মিষ্টি তো ঠিক ছিলো; শুঁটকির তীব্র গন্ধ মিশিয়ে দিলেন কেনো আবার? (নাক ধরা ইমো নাই) ;(
কখনো শুনেছেন পানি গড়িয়ে উঁচুতে উঠতে? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
শুঁটকির প্রেমে পড়েছি, তাই এমন, নাহ্ কোন গন্ধ নেই ই।
দেখুন সিডরের সময় পানি উল্টো দিকেই গড়িয়েছিল।
অনিকেত নন্দিনী
এইতো! নিজেই বলছেন তাও বোঝেননি? পানিকে উল্টোদিকে গড়াতে হলে সিডর চাই, স্বাভাবিকতায় সেইটা অসম্ভব। পারবেন সিডর তুলতে?
ছাইরাছ হেলাল
‘সিডর’ তুলতে খুব ই অপারগ কিন্তু সাহস হারাইনি।
অনিকেত নন্দিনী
শুন্যাপুরে মিচাইতেসি। ;(
ছাইরাছ হেলাল
উহহ্,
ধুর কী যে কন না কন!!
ভয়ে হাত পা কাঁপাকাঁপা!!
শুন্য শুন্যালয়
আমারে কেনু মিচাইতেছেন গো নন্দিনী আপু? এই ল্যাকা লুকা কবি নিজেও না বুইজ্জাই ল্যাখছে, আমরা তো কোন ছাড়। @নন্দিনী আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ও ভাউ, মিঠে আগুন দেখি ডরান না, আবার আমারে ডরান? অবশ্য শুন্যেই ডর বেশি হওয়ার কথা।
জিসান শা ইকরাম
একটু কঠিন কঠিন লাগতাছে
ভাবতাছি……
ছাইরাছ হেলাল
খুপ ই কঠিন,
ভাবতেই আছি।
হতভাগ্য কবি
হৈ হল্লা করে জীবন পেরিয়ে যাচ্ছে তবুও ভালবাসাকে জড়িয়ে ধরে দিন পার করে দিচ্ছি কাপুরুষ আমি। হেলাল ভাই আপনার প্রতিটি লিখাই আমাকে অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে, দিনে অন্তত ৫টি পোষ্ট দিবেন পিলিজ -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কাপুরুষ হতেই পারেন না, শত বিপর্যয়েও জীবনকে ভাল করে ভালোবাসুন,
আপনি তা পারবেনও।
আপনাকে এখানে অনেক মিস করি, একটু সময় নিয়ে আমাদের সাথে থাকুন,
মডুদের রাগ আপনি সামাল দিলে আপনার জন্য দিনে দশটি করে লেখা দিব, কিন্তু আপনি পড়বেন তো!
হতভাগ্য কবি
আমি পারবো ! আপনার বিশ্বাস জেনে ভালো লাগলো,
মডু কিছু বললেই তীব্র আন্দোলন হবে, আপনি লিখুন 😀
ছাইরাছ হেলাল
যাক, অভয় যখন দিলেন, দেখি কী করা যায়।
হতভাগ্য কবি
😀 😀
মোঃ মজিবর রহমান
গরিবের আকিঞ্জন লুকায়িত আবার খোলা আকাশ
কেটে অস্থির সময় কষ্ট ষষ্ঠে পার। বুঝবে কি ইটব্লি মাঝে বায়ুহীন জীবন
কি আছে তাদের অরথের অহংকার বাদে।
হোইহুল্লর জিবেনে জা আছে ওই দালানে কি তা আছে।
শুন্য শুন্যালয়
অন্তর্দহনে পুড়ে যান, পুড়ে পুড়ে ভস্ম হোক শীত, কৈশোর বসন্ত। কবির কলম জ্বলে উঠলো ধ্বংসস্তূপেও। কঠিন চাদরে শীত কমলেও আগুনের ভয় থেকেই যাচ্ছে। বেশ লিখেছেন কবি। যতদূর জানি সীমারেখা টানতে পারলে সে কাপুরুষ নয়, পুরুষই হয়ে ওঠে।