
শীতার্ত ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন আচ্ছাদনের এপাশ-ওপাশে
ধুম্রজালিকায় মোহাচ্ছন্ন নিগূঢ় মূর্ছনায়,
বিরস বদনে জুবুথুবু বসে থাকা বিরহী কাক
আর এলোকেশী নাগরী আজ উভয়েই হয়েছে উন্মাতাল।
উদ্বেলিত শঙ্খমালা শক্তপোক্ত জড়তার শৃঙ্খলভেঙে
কামনাদীপ্ত অনলের ধারায় প্রবাহমান নদী,
দিবারাত্রির হিমহিম ঠান্ডা বরফগলে
খরস্রোতারুপে ধরাদেয় রাগ-অনুরাগের মিলনোৎসবে।
ভাতঘুমের আলস্যে কিংবা বিকেল-সন্ধের আর্দ্রতায়
বেণুবনে লুকোচুরির আড়ালে; পায়েপায়ের ঠোকাঠুকিতে,
ঈষদুষ্ণ তাপানূকুলতায় বিরহী সে কাক
অগ্নুৎপাতের অনলে ফাঁদপাতে কুহকের ধূম্রজাল।
একরাশ লজ্জাবতী ওমের গারোগহীনে
জড়জঠরস্থ নিউরনের অনুরণিত দ্বীপশিখারা,
প্রোজ্জ্বলিত ভালোবাসার নির্লিপ্ত জঠরে
বিভাজিত হয়ে খেলাকরে সহস্রবর্ষের ঐকান্তিকতায়।
বিরহাতুর হিসেবনিকেশের টালিখাতার পাঠ চুকিয়ে
ওষ্ঠাগত দু’জনায় মত্ত আঁচলপাতা পিড়িতে,
বেলা-অবেলার আলিঙ্গনে মাথাগুঁজে ঠাঁই খোঁজে
পাহাড়ি অববাহিকার উঁচুনীচু বালিয়াড়ির খাঁজে।
৩৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
কী লিখলেন এগুলো বুঝাইয়া কন।
আসছি আবার।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কই, বুঝাইয়া দ্যান!
তৌহিদ
মহারাজ শরম দিলেন?
তৌহিদ
এত্ত বয়স হইলো আর এইগুলা বোঝেননা? এইডা কতা কইলেন মিয়াভাই? ☺
মনির হোসেন মমি
শীতের উষ্ণতার মতই কবিতাটি..পরতে পরতে কেবল উষ্ণতায় মন বহমান। খুব লাগল ভাই।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি!
বালিয়াড়ির ভাঁজে-খাঁজে নিরালে বসে উষ্ণ হিসেব নিকেশের লেখালেখি চালু রাখতে চান! এই শীতে!
আহা শীত! এত্ত দেরিতে কেন আসে!
তৌহিদ
মজারাজ এইতো বুইজা ফালাইসেন। 😃😃
পাহাড়ি অববাহিকার উঁচুনিচুতে উষ্ণ ওমে মুখ গুজে এই শীত পার করতে চাই। আহা! শীত বড্ড তাড়াতাড়ি চলে যায়! ☺
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্কুলে কবিতার শেষে শব্দার্থ , সারমর্ম, উদাহরণ সহ পড়েছিলাম তাই পাশ করতাম কিন্তু এখানে তো তা নেই, অনুবাদকের খুবই প্রয়োজন দেখছি সোনেলা তে। অনুবাদক না পেলে কবিতার শেষে এগুলো সংযুক্ত করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি স্ব স্ব কবিতার কবিদের। তা না হলে ভবিষ্যতে আমার মতো মধ্যম মার্কা ছাত্রীর এগুলো পড়ার জন্য পাবেন না
তৌহিদ
এ আর এমন কি! আরও একবার পড়লেই সব পানির মত সোজা। এই শীতে উষ্ণ ওম কে না ভালোবাসে বলেন?
সোনেলায় আপনাদের কবিদের ভীড়ে নিজেকে শেষকাতারে হলেও দেখতে চাই। সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কথা। তবে কবিতায় আমি খুব একটা অভ্যস্ত নই আপু। কি থেকে যে কি লিখি তা আপনারাই বলবেন। ভুল হলে শুধরে দেবেন এটাই কাম্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আগের টাই এখনো বুঝতে পারিনি , দিলেন নতুন একটা দাঁতভাঙা কবিতা। এই শীতে দাঁতে দাঁতে ঠক্ঠক্ তার মধ্যে আপনার আর ছাইরাছ হেলাল ভাইয়ের কবিতা পড়ে সব পড়ে গেল দাঁত
মনির হোসেন মমি
আমি আপনার সাথে আছি আপু।নতুবা দুর্বার আন্দোলন চলব।কবিরা নিজেই শুধু কবিতার মুল ভাব বুঝবে আমাগোও বুঝাইতে অইব অন্ততঃ ইঙ্গিত হিসাবে হলেও কবিতার সাথে কিছু না চিরকুট চাইইই চাই হুম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া
সুরাইয়া পারভীন
বাবা আমি কি পড়িনি
তাই কিছু বলবো না
আফটার অল বড়ো ভাইয়াদের ব্যাপার স্যাপার
🙊🙊🙈🙈
সুরাইয়া পারভীন
কিছু
তৌহিদ
কবিতায় আবার বড়ভাই টাই কি? সব্বাই ওস্তাদ এখানে।☺
সঞ্জয় মালাকার
শুধু পড়লাম দাদা কিন্তু কিছু মাথায় ঢুকলো না।
তৌহিদ
আরো একবার পড়বেন কি? ভালোবাসাবাসির খেলা আর কি!
শবনম মোস্তারী
যথেষ্ট কঠিন শব্দ মালা…
তবে আহ্বানটা ভালো লেগেছে…
তৌহিদ
আহবান আপনি না বুঝলে আর কে বুঝবে বলেন? তবে আপনি কিন্তু যথেষ্ট প্রত্যুতপন্নমতী ☺
আরজু মুক্তা
পাহাড়ে তো আরও বেশি ঠাণ্ডা। জবুথবু হয়ে দালানে লেপের ওমই ভালো।
শীত এবার ভালোই নাচন দেখাচ্ছে। শুধু পরিবেশে না, লিখাতেও।
তৌহিদ
ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে লেখা। বোঝেনইতো!!
সুপায়ন বড়ুয়া
বুঝা বড় শক্ত
তাই তো কবির ভক্ত !
শুভ কামনা
তৌহিদ
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কোত্থেকে যে এসব কঠিন কঠিন শব্দ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!! পড়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অনবদ্য কবিতা।
কালকে পড়েছিলাম একবার।
আর আজ দুবার মোট তিনবার। বুঝতে হিমসিম খেয়েছিলাম। যাই হোক অবশেষে কিছুটা বুঝেছি।
যদি সারমর্মে একটু বুঝিয়ে দেওয়া যায় দাদা।
তৌহিদ
এত সুন্দর প্রেম আহবান, তাই বুঝলেন না? আমিতো শরমে মরমে শেষ হয়ে গেলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
মাথার উপরে যাই। সরিষার ফুল দেখতাছি।
তৌহিদ
আরও একবার পড়ুন তবে ভাই ☺
কামাল উদ্দিন
………কেমন যেন খুবই সহজ আবার কঠিন মনে হয়। বুঝতে গিয়েও বুঝতে পারিনা। শব্দার্থ বুঝলাম তয় সারমর্মটা নিয়েই যতো সমস্যা 😀
তৌহিদ
সহজ খুব সহজ। মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন ভাই।
কামাল উদ্দিন
আজকে ব্লগটাতে কিছু সমস্যা আছে নাকি ভাই? সকাল থেকেই কেমন যেন শীতে কাবু মনে হচ্ছে।
তৌহিদ
এখন ঠিক আছে ব্লগ। কারিগরি কাজ চলছিলো।
কামাল উদ্দিন
এখনো অনেক স্লো দেখছি ভাই
তৌহিদ
আমার ব্রাঊজার ওকে দেখাচ্ছে ভাই।
নুরহোসেন
আরেকবার পড়ে জানাচ্ছি!
তৌহিদ
পড়েছেন কি?
নাজমুল হুদা
কবিতাটা আমি বুঝছি। এখানে একজন ডাক্তারের শীত নিয়ে রোমাঞ্চকর রোমান্টিক টানাপোড়েনের গল্প আছে।
তবে কথা হইলো তা না-
আমি ডাক্তারের সহযোগী দেখে বুঝছি। কিন্তু যারা ডাক্তারের কাছে মাঝে মাঝে আসে তারা কী এতো কঠিন শব্দের দেয়াল টপকে তার রহস্য উন্মোচন করতে পারবে ?
কবিতায় অবশ্যই আড়ালে থাকবে, তবে যেন দেয়াল না হয়ে যায়।
“কবিতা হবে নববুধুর মতো , যাকে ঘোমটা খুলে আবিষ্কার করে যাবে।” এই কথা আমি যখন প্রথম অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম ক্লাস করি সেদিন স্যার বলছিলো। তখন আমি খুব লজ্জায় জবুথবু হয়ে গেছিলাম।
শেষ কথা হলো-
কবিতা আমি বুঝছি সবাই না বুঝলেও।
তৌহিদ
সবাই কি আর ঘোমটা খুলতে জানে! তবে স্যার কিন্তু ঠিকই বলেছেন। নাজমুল আমার হয়ে প্লিজ বাকীদের একটু বুঝিয়ে দিনতো।
নাজমুল হুদা
ঘোমটা খোলা তো সবার গণতান্ত্রিক অধিকার না। যার যার মতো সবাই বুঝে নিবে, আমি বুঝে নিছি।