বইলে/খাড়াইলে/হুইলে (চিৎ-কাত-উপুর) হুড়হুড়িয়ে-ঝুড়ঝুড়িয়-কুড়কুড়িয়ে ল্যাহা
গড়িয়ে-গড়িয়ে পড়ে এমন দাপানো তাবৎ কাবিলদের সংগত কারণে-বিনা-কারণেও
হিংসা করি, হিংসাই পরম ধর্ম!!
এ্যাহোন বৃষ্টি-বাদল বন্ধ, চালু থাকলেও লেইখ্যা সব উঁচা করে ফেলব বা উঁচা করে রেখেই ল্যাখমু এমন কিন্তু না;
উহ্, একটা ভাল-জিনিস মনে পড়ছে, খাড়ান, খাড়ান!! বৃষ্টি হইলে ফ্লোর ঘাইম্মা ওডে ক্যা!! এইডা নিয়ে গপ্পো ফাঁদা যাইতে পারে।
নাহ্, আর কিছু মনে পড়তেছে না, এইডা বাদ, তয় আর একটি কথা মনে পড়ছে……………
বৃষ্টি অইলেই এ্যাহোন ঠাডা পড়ে, দিনে রাইতে হোমানে, তা পড়ুক, বেশি বেশি পড়ুক, আমার সাথে যারা নানান কিছু করেছে
তাদের গায়ে-মাথায়, মাথার তাউল্লা বরাবর জোড়ায়-জোড়ায় জোড়া-জোড়া ঠাডা পড়ুক, আসলি ঠাডা-বা-নকলি, চুম্মা-চাট্টির ঠাডও পড়ুক (ঠাডা চালু রেখে তিড়িং-বিড়িং করে অন্য কাম-কাইজে যাই, আহেন);
বৃষ্টি-ব্জ্র-বিদ্যুৎ, একটির সাথে অন্যটি গলাগলি-জড়াজড়ি করে থাকে (ইচ্ছেয়-না-অনিচ্ছেয় জানি-না), থাকুক।
থেকে-থেকে মরুক (মাড়া খাক)। তবে দামিনী শব্দের অর্থ স্ত্রী/ বিদ্যুৎ। (আর সামনে না-এগুই)
ঠাডা রহিত-করণের জন্য তাল গাছ রোপণের চিন্তা করা হচ্ছে, দারুণ (ভিয়েতনামে এটির কার্যকারিতা প্রমাণিত),
আমি ভাবছি অন্য কথা, এই তাল গাছ কবে বড় হবে!! হুর-পরীরা নিত্য ডাকাডাকি করে, একটি তাল গাছ হাবডাইয়া ধইর-রা
কবে-কখন বৃষ্টির দিনের এক-খান ল্যাহা লেইখ্যা ফালা-মু ভাবতে-ই আছি, ভাবতে-ই আছি!!
আপনাদের একটি ঘটনা বলি,
এই-তো ক’দিন আগে বৃষ্টির-দিনে আমাদের অনেকের প্রিয় লঞ্চটিকে (গ্রিন লাইন) প্রকাশ্য দিবালোকে (খাড়া দুপুরে)
অন্য একটি বালি-জান পিছন থেকে মেড়ে দিয়েছে, না-বলে-কয়ে, দিয়েছে-তো-দিয়েছে, একেবারে তলা-ফাটিয়ে দিয়েছে,
অবশ্য মানির-মান নিয়ম-মত এবারে-ও অন্যের হাতেই ছিল, প্রাণহানি হয়নি (আল্লাহ-ই আল্লাহ),
মানহানিও-না!! (তাজ্জব-কি-বাৎ)
১৮টি মন্তব্য
নীহারিকা
হাসাইতে হাসাইতে কি মারবার প্ল্যান? ঠাডা ঠুডা দিয়া ডরও দ্যাহাইলেন মনে কয়। তয় তালগাছের ব্যাপারটা ভাল্লাগছে। চলেন দলে দলে তালগাছ লাগাই। আমরা গেবনে এর তাল খাইতে না পারলেও নাতিপুতিরা তাল খাইবো, ঠাডা তাড়াইবো এ আর কম কি?
ছাইরাছ হেলাল
আসলে বর্ষা নিয়ে লিখতে বললেন তাই যা-হোক লিখে দিলাম,
বৃষ্টি আর ঠাডা দুজনে দুজনার!!
মিষ্টি জিন
ওরে মোর ল্যাহা :D) :D) :D) :D)
টাউক্কা মাথা পুরা পাবনা দিয়া ড্রাই ক্লিন করা হইছে হেইয়া বোজ্জালাইছি।
কয়েকটা তাল গাছ লাগায়েন হাবডাইয়া ধইর্রা চুম্মা চাট্টি করার লইগ্গা ।
লেইখ্যা তো এব্বারে উলডাইয়া দিলেন।
গ্রীন লাইনের জন্য খুব খারাপ লেগেছে। ভাগ্য ভালো কোন প্রানহানি হয়নি।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আপনার মত মেকাপ মেরে সুন্দর করে তো লিখতে পারি না,
বোঝেন-ই-তো, টাউক্কা মাথায় এরথে ভালু কিছু কেমতে আইবে,
তাল্গাছের সাথে কথা -বলা ছাড়া আর কুন-ই উপায় নাই,
আমাদের প্রিয় লঞ্চটিকে মেড়ে দিয়েছে, আফছুছ!!
মৌনতা রিতু
আচ্ছা হোমানে কিসব লেখপার শুরু করছেন ^:^ ঠাডা পড়ার ডর তো সবারই আছে। সরকার কইছে তাল গাছ লাগান হমানে।
কেবল তালগাছের আড়াই হাত! হোক তা কুনো সমস্যা না। পাঁচ হাত হইতে হইতে নাতিনাত্নীরই না হয় মুখ দেখুম।
শোনেন, এই বৃষ্টি বাদলে এমুন ডর দেওন ভালা না।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন তালগাছ আমাদের সবার লাগেই,
ঐ যে, তোরা যে যা বলিস ভাই, তালগাছটা কিন্তু চাই-ই।
নাতি-নাত্নীরা হলেই বা মন্দ কী!!
মেহেরী তাজ
আগে জানতাম ক্ষমা পরম ধর্ম। এখন জানলাম হিংসা। দিন পাল্টাইতেছে বচন পাল্টাইলে ক্ষতি কিসে। নাকি অনেক ভুল জানার মধ্যে এটাও পড়ে তা ভেবে দেখতে হবে।
বৃষ্টি হইলে ফ্লোর ঘাইম্যা ওডে ক্যান সেটা আমার ও প্রশ্ন। এটা ফ্লোরের পরম ধর্ম ও কিন্তু হইতে পারে। 😀
ভাইয়া যে গরম তার উপর ঠাডা? শুইনাই তো কইলজা শুইকা যাইতাছে।
ছাইরাছ হেলাল
জামানা ডিজিটাল, হিংসা-ই আসল ধর্ম, এটি আমাদের মানতেই হবে,
আপনিও সুগভীর ভাবেই ভাবতে শুরু করে দিন।
ফ্লোরের ব্যাপারটি হাতে রেখেছি, পেয়ে যাবেন হয়ত কোন এক সময়।
কলিজা ঠাণ্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখবেন, আরোগ্য হাতের মুঠোয়।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা সুগভীর ভাবনার বিষয় ভেবে দেখবো। সেটা আবার অতিরিক্ত গভীর হয়ে যাবে না তো? ভাবছি! ;?
ভাইয়া চরম এলার্জিতে কলিজা ঠাণ্ডাপানি তে চুবিয়ে রাখার আইডিয়া টা কি শতভাগ সঠিক? এটাও ভাবছি।
ছাইরাছ হেলাল
সুগভীর হলেই হবে, অতিরিক্তটুকু বাদ দিয়ে।
ঠান্ডা-পানি প্রাকটিসে রাখতে হবে, সময়-অসময়ে-ও কাজে দেবে।
শুধু ভাবতে থাকলেই হবে না, কাম-কাইজেই লাগাতে হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা ১৯৮৮ সালের দিকে কি গ্রীনলাইন ছিলো? যেটুকু মনে হয় ছিলো। পদ্মা, ভরা জ্যোৎস্না আর আমি, এ জীবনে কোনোদিন ভুলবো না। কোনদিনই না।
আমারে বুদ্ধি দ্যান তো এইখানে তালগাছ ক্যাম্নে লাগামু?
কানাডাতে আইজকাল যা ঠাডা পড়ে, কি আর কমু! ওহ একখান কথা আমি আবার ঠাডারে ডরাইয়া না। তয় পুত্রের বাপ মারাত্মক ডরায়। 😀
কুবিরাজ ভাইয়েও দেখি হাসাইবার লেখা দ্যায়? ^:^ মাথা খাউজ্জাইতাছে, রম্য লেখার শিক্ষক খুইজ্জা হয়রান আমি। আর এইখানে কুবিরাজ ভাইও দেখি আছে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ওই সময় এ-সার্ভিস ছিল না, এটিতো দিনে চলাচল করে।
দেশে আসলে হাতে কলমে তালের চাষ দেখিয়ে দেয়া যাবে চাইলে।
এটি খুপ-ই সিরিয়াস-ধর্মী লেখা, হাসাহাসির কিচ্ছু নেই,
উকুন না ফেলে দ্রুত লিখতে শুরু করুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি জানি আমরা বরিশাল যেতাম কোন একটা লঞ্চে চড়ে! তখনকার সময়ে ওটার টিকেট আগে থেকে করে রাখতে হতো। নামটা মনে নেই।
দেশে যাবো তালের চাষ শিখতে!!! 😮
উকুন অতিরিক্ত হয়ে গেছে। শেষ হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই চাষ-বাষ শেখানো হবে,
এসে পড়ুন,
মাথা মুণ্ডন উকুন নিবারণের শ্রেষ্ঠ উপায়!!
ইঞ্জা
:D) ভাইজান হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা ব্যাথা হয়ে গেল ভাইজান। :D)
ছাইরাছ হেলাল
পেট চেপে ধরে হাসতে হবে, হাসি বন্ধ করা যাবে না। ভাই।
ইঞ্জা
চেপে ধরাতেই তো ব্যাথাটা বেশি হয়েছে :D)
ছাইরাছ হেলাল
চাপ বাড়ান, ব্যথা কমে যাবে।