বৃদ্ধ বয়সে শ্রবণশক্তি কমে আসে।স্মৃতি হারাতে থাকে। বিষণ্নতা দেখা দেয় ধীরে ধীরে। শারীরিকভাবেই অকর্মন্য ভাব চলে আসে। সামাজিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে থাকে মানুষ। উচ্চ রক্তচাপও দেখা দিতে থাকে। আরও কত সমস্যা এসে ভর করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এসব তুলনামূলকভাবে কমিয়ে রাখতে পারে বিবাহীত জীবন। হ্যাঁ, ব্রিটেনের লগবোরোহ ইউনিভার্সিটি তাদের এক গবেষণায় একথা জানিয়েছেন।বুড়োদের নানা রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনে বিবাহিত জীবন।এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। সুস্থ থাকতেও বিয়ের রয়েছে প্রয়োজনীয়তা। সেটা যে বয়সে হোকনা কেন।
তাছাড়া কথায় আছে না ভালবাসার কোন বয়স নেই। আর এজন্যই যে বয়সটাকে আমরা বলি বুড়ো বয়স, সেই বয়সেও অনেকে ভালোবেসে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেন। যদিও অনেকে এই বয়সের প্রেমকে ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি’ বলে থাকেন। আমি কিন্তু বিষয়টারে এইভাবে দেখিনা। মানুষের বয়স বৃদ্ধি হতে হতে একটা পর্যায়ে সে শিশুদের মতো আচরণ করতে শুরু করে। ষোল বছরের ছেলেমেয়ের মতো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাতর হয়ে ওঠে। মন অস্থির হয়ে ওঠে। একাকীত্ব এসে ভর করে। এসময় তার দরকার একজন বন্ধু। যে তাকে সময় দিবে। তার সাথে কথা বলবে। তার যত্ন নিবে। শিশু যখন ভুল করে তখন মা বকা না দিয়ে যেভাবে আদুরে গলায় কোনটা ভুল কোনটা সঠিক তার পার্থক্য শেখায়, সেভাবে তাকেও তার সঙ্গী নতুন করে শেখাবে।
বুড়ো বয়সেও ভালোবেসে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেছেন, ঘর বেঁধেছেন; পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ এখানে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা যায়- ৫৬ বছর বয়সে হিটলার বিয়ে করেন তাঁর থেকে ২৩ বছরের ছোট ইভা ব্রাউনকে। ৫৪ বছর বয়সে চার্লি চ্যাপলিন বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সী উনা ওলিনকে। ৭৩ বছর বয়সে পেলে বিয়ে করেন ৪৮ বছর বয়সী মার্সিয়া সিবেলে আওকিকে। ৬৪ বছর বয়সে নীল আর্মস্ট্রং বিয়ে করেছিলেন ক্যারল নাইটকে। ৫৭ বছর বয়সে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বিয়ে করেন ৩৮ বয়সী মেরি ওয়েলশ হেমিংওয়েকে।
এছাড়াও আমাদের একজন মুজিবুল হক আছে, যার জীবনী থেকে আপনি বৃদ্ধ বয়সে প্রেম করার অনুপ্রেরণা পাবেন। বিয়ে করার সাহস পাবেন।
সোনেলা ব্লগ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম।
মানবিক জীবনের অন্যতম চাহিদা শাশ্বত প্রেম। কার জীবনে কখন কিভাবে প্রেম আসবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারেনা। এটা হয়ে যায়। প্রেম পবিত্র, যতক্ষণ না সেটা স্বার্থ দ্বারা কলুষিত হয়। বয়স, ধর্ম, স্থান-কাল, রুপ বা সময়ের হিসেব মেনে কেউ সত্যি অর্থে প্রেম করতে পারেনা/ হয়না।
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি এখনও বেমানান। বিশেষ করে মেয়েদের বেলায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবস্থা ভিন্ন। অথচ সন্তানরা যখন নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন বাবা হারা মা, কিংবা মা হারা বাবা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। মনের দু’,টো কথা বলার মানুষের বড় অভাব হয়ে পড়ে তখন। এ অবস্থায় একজন সঙ্গীর প্রয়োজন আছে নিঃসন্দেহে।
আপনার লেখার প্রতি সম্পর্ন একমত আমি। প্রেম বিয়ে মানুষের জিবনে সুস্থ, সুন্দর স্বাভাবিক ভাবে চলার পাথেয় যদি না হই অবৈধ বা কলুষিত।
সুন্দরর একটি লেখার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
আরো লিখুন পড়ি। আশা করি এই সোনা ভরা সোনেলায় ভাল লাগবে।
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম,
লেখাটি আলো হয়েছে।
একটি পোস্ট দেয়ার পরে চব্বিস ঘন্টা অতিক্রম করার পরে আপনি পরবর্তী পোস্ট দিতে পারবন।
নিজে লেখুন, অন্যের লেখা পড়ে মন্তব্য দিন।
শুভ ব্লগিং।
আকবর হোসেন রবিন
আয় হায় কি বলেন! আমি তো ২য় আরেকটা লেখা পোস্ট করেছি একটু আগে।
জিসান শা ইকরাম
2য় নয় ৩য় প্রকাশ করেছেন।
নীতিমালা পড়ে নিন, তাতে সুবিধা হবে আপনার।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
প্রেম কাম্য নয় তবে বিয়ে করাই যায়। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে বুড়ো বয়সে বিয়েকে বাঁকা চোখে দেখা হয়।
আকবর হোসেন রবিন
হ্যাঁ। আশাকরি ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা ব্লগ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম।
মানবিক জীবনের অন্যতম চাহিদা শাশ্বত প্রেম। কার জীবনে কখন কিভাবে প্রেম আসবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারেনা। এটা হয়ে যায়। প্রেম পবিত্র, যতক্ষণ না সেটা স্বার্থ দ্বারা কলুষিত হয়। বয়স, ধর্ম, স্থান-কাল, রুপ বা সময়ের হিসেব মেনে কেউ সত্যি অর্থে প্রেম করতে পারেনা/ হয়না।
ভালো লাগলো আপনার লেখা। লিখুন নিয়মিত, সবার সাথে মিলেমিশে আপনিও হয়ে উঠুন সোনেলার একজন।
শুভ কামনা 🌹🌹
আকবর হোসেন রবিন
অনেক ধন্যবাদ, এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আরজু মুক্তা
চিন্তা ভাবনা করা হবে। সময় আসুক। ভালো লাগলো।
আকবর হোসেন রবিন
শুকরিয়া।
মনির হোসেন মমি
জীবনের শেষ বয়সটাও হলো মানুষের জীবনে খুব কষ্টকর জীবন এ সময় সমবয়সী সঙ্গী মনকে চাঙ্গা রাখে। সুন্দর লেখা।
আকবর হোসেন রবিন
ভালোবাসা নিবেন।
সুরাইয়া পারভিন
আসলেই শেষ বয়সে সঙ্গ অপরিহার্য
আকবর হোসেন রবিন
হ্যাঁ। একাকীত্ব মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রেহানা বীথি
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি এখনও বেমানান। বিশেষ করে মেয়েদের বেলায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে অবস্থা ভিন্ন। অথচ সন্তানরা যখন নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন বাবা হারা মা, কিংবা মা হারা বাবা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। মনের দু’,টো কথা বলার মানুষের বড় অভাব হয়ে পড়ে তখন। এ অবস্থায় একজন সঙ্গীর প্রয়োজন আছে নিঃসন্দেহে।
আকবর হোসেন রবিন
ধন্যবাদ, এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার লেখার প্রতি সম্পর্ন একমত আমি। প্রেম বিয়ে মানুষের জিবনে সুস্থ, সুন্দর স্বাভাবিক ভাবে চলার পাথেয় যদি না হই অবৈধ বা কলুষিত।
সুন্দরর একটি লেখার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
আরো লিখুন পড়ি। আশা করি এই সোনা ভরা সোনেলায় ভাল লাগবে।
আকবর হোসেন রবিন
ধন্যবাদ ভাইয়া। লেখার চেষ্টা করবো।
মোঃ মজিবর রহমান
সে আশায় থাকলাম