আকবর হোসেন রবিন:
বৃদ্ধ বয়সে শ্রবণশক্তি কমে আসে।স্মৃতি হারাতে থাকে। বিষণ্নতা দেখা দেয় ধীরে ধীরে। শারীরিকভাবেই অকর্মন্য ভাব চলে আসে। সামাজিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে থাকে মানুষ। উচ্চ রক্তচাপও দেখা দিতে থাকে। আরও কত সমস্যা এসে ভর করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এসব তুলনামূলকভাবে কমিয়ে রাখতে পারে বিবাহীত জীবন। হ্যাঁ, ব্রিটেনের লগবোরোহ ইউনিভার্সিটি তাদের এক গবেষণায় একথা জানিয়েছেনবুড়োদের নানা রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনে বিবাহিত জীবন।এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। সুস্থ থাকতেও বিয়ের রয়েছে প্রয়োজনীয়তা। সেটা যে বয়সে হোকনা কেন।
তাছাড়া কথায় আছে না ভালবাসার কোন বয়স নেই। আর এজন্যই যে বয়সটাকে আমরা বলি বুড়ো বয়স, সেই বয়সেও অনেকে ভালোবেসে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেন। যদিও অনেকে এই বয়সের প্রেমকে ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি’ বলে থাকেন। আমি কিন্তু বিষয়টারে এইভাবে দেখিনা। মানুষের বয়স বৃদ্ধি হতে হতে একটা পর্যায়ে সে শিশুদের মতো আচরণ করতে শুরু করে। ষোল বছরের ছেলেমেয়ের মতো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাতর হয়ে ওঠে। মন অস্থির হয়ে ওঠে। একাকীত্ব এসে ভর করে। এসময় তার দরকার একজন বন্ধু। যে তাকে সময় দিবে। তার সাথে কথা বলবে। তার যত্ন নিবে। শিশু যখন ভুল করে তখন মা বকা না দিয়ে যেভাবে আদুরে গলায় কোনটা ভুল কোনটা সঠিক তার পার্থক্য শেখায়, সেভাবে তাকেও তার সঙ্গী নতুন করে শেখাবে।
বুড়ো বয়সেও ভালোবেসে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেছেন, ঘর বেঁধেছেন; পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ এখানে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা যায়- ৫৬ বছর বয়সে হিটলার বিয়ে করেন তাঁর থেকে ২৩ বছরের ছোট ইভা ব্রাউনকে। ৫৪ বছর বয়সে চার্লি চ্যাপলিন বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সী উনা ওলিনকে। ৭৩ বছর বয়সে পেলে বিয়ে করেন ৪৮ বছর বয়সী মার্সিয়া সিবেলে আওকিকে। ৬৪ বছর বয়সে নীল আর্মস্ট্রং বিয়ে করেছিলেন ক্যারল নাইটকে। ৫৭ বছর বয়সে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বিয়ে করেন ৩৮ বয়সী মেরি ওয়েলশ হেমিংওয়েকে।
এছাড়াও আমাদের একজন মুজিবুল হক আছে, যার জীবনী থেকে আপনি বৃদ্ধ বয়সে প্রেম করার অনুপ্রেরণা পাবেন। বিয়ে করার সাহস পাবেন।
তাহলে আর দেরি কেন! ঘরে ঘরে স্লোগান তুলুন, বৃ্দ্ধ বয়সেও বিয়ে করুন।
২৬০৫জন ২৪৩৮জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ