তবুও শব্দেরা নেচে উঠবে
বিনা হিসাবের রাত-বিরাতে
আনন্দ ঝংকারের সুর তুলে,
বিকেলের পিঠে সোনা রোদ ফেলে
আবনান্ত বীথিপথের বাঁকে বাঁকে;
বিমূঢ় সন্ধ্যার ডাক শুনে।
অনলস অথচ নিষ্ফল শব্দেরা
কাচের রহস্যময়তায় বকবক করে,
কটূক্তি করে সবল জ্যেষ্ঠতায়,
ভাবেনা শব্দবার্ধক্যের কথা!!
শব্দে আঁকা কল্পনার শব্দছবি
অবোধ্য আড়াল নীরবতার অনুচিত বিষণ্ণতায়
টুঁ-শব্দটি না করে রয়ে যায় নিঃসাড় অনাবৃতে;
————————————-
শ্রদ্ধায় থাকুন সৈয়দ হক;
৩৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
আজ শব্দেরা সত্যিই বিষণ্ণ। সব্যসাচী লেখক চলে গেলেন অসমাপ্ত রেখে তাঁর অনেক অনেক শব্দ। যে শব্দগুলোকে তিনি না-ফেরার দেশে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেছেন, সেখানে কি পূর্ণতা পাবে?
“শব্দবার্ধক্য”—শব্দেরা কি কখনো বার্ধক্যে পৌঁছাতে পারে? জানা নেই।
আপনার আজকের এ কবিতায় পিনপতন স্তব্ধতা শুয়ে আছে যেনো।
ছাইরাছ হেলাল
তিনি আমার প্রিয় লেখকদের একজন।
যাকে হারালাম;
নীলাঞ্জনা নীলা
উনি কি কারো অপ্রিয় হতে পারে?
ছাইরাছ হেলাল
অনেকের কাছেই অপ্রিয়,
নীলাঞ্জনা নীলা
তাইতো দেখলাম। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
হুম,
নাসির সারওয়ার
টুঁ-শব্দটি মানে কি দুইটা শব্দ?
এই মানুষটা আমার প্রিয়দের একজন। অনেক ভাল একজন লেখক।
ছাইরাছ হেলাল
টুঁ-শব্দ কিন্তু করেই ফেলেছেন!
অবশ্যই প্রিয় মানুষের বিদায়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনলস অথচ নিষ্ফল শব্দেরা
কাচের রহস্যময়তায় বকবক করে,
কটূক্তি করে সবল জ্যেষ্ঠতায়,
ভাবেনা শব্দবার্ধক্যের কথা!!
শব্দে আঁকা কল্পনার শব্দছবি
শব্দরাও যে বুড়ো হয় জানলাম আর শিক্ষক যিনি সে সমালোচনা করতেই পারে।সত্যিই সব্যসাচীর মৃত্যু কবি সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি।তার বিদেহী আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি,
প্রহেলিকা
মৃত্যু সেজে এসেছিল সকল ঝিঁঝিঁপোকার দল
দেহের সাথে সাথে এসেছিল শব্দ কেড়ে নিতে,
শব্দ কি আর মরীচিকা সাজে বাদামী আলোতে
বাজিকর গিয়েছে চলে তবুও শব্দেরা খেলে ধরণীতে।
ভাল থাকুক কবি যেখানেই থাকুক!
ছাইরাছ হেলাল
ঝটতি বেশ সুন্দর করেই বলে ফেলেছেন,
শব্দেরা চির অম্লান হয়েই থেকে যাবে,
অবশ্যই তিনি ভাল থাকবেন, যেখানেই থাকুন,
প্রহেলিকা
আমি একটুখানি দাঁড়াব
সৈয়দ শামসুল হক
আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব;
শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব;
না, আমি থেকে যেতে আসিনি;
এ আমার গন্তব্য নয়;
আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েই
এখান থেকে
চলে যাব।
আমি চলে যাব
তোমাদের এই শহরের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি
এর মার্চপাস্টের যে সমীকরণ
এবং এর হেলিকপ্টারের যে চংক্রমণ,
তার তল দিয়ে তড়িঘড়ি;
আমি চলে যাব
তোমাদের কমার্সিয়াল ব্লকগুলোর জানালা থেকে
অনবরত যে বমন
সেই টিকার-টেপের নিচ দিয়ে
এক্ষুনি;
আমি চলে যাব
তোমাদের কম্পিউটারগুলোর ভেতরে যে
বায়ো-ডাটার সংরক্ষণ
তার পলকহীন চোখ এড়িয়ে
অবিলম্বে;
আমি চলে যাব
যেমন আমি যাচ্ছিলাম আমার গন্তব্যের দিকে
ধীরে ধীরে
বহুকাল ধরে
আমি একটি
দু’টি
তিনটি
প্রজন্ম ধরে।
ছাইরাছ হেলাল
আজ এই কবিতাটি যে কতবার পড়েছি তা জানি না,
প্রহেলিকা
ঘটনা আরেকটা আছে কিন্তু। আপনার এ লেখাটি যে আমি আজকে বহুবার বারবার করে পড়েছি। প্রশংসা করা শিখতে পারিনি যদি পারতাম তাহলে আজকে অবস্থা বেগতিক হতো আপনার।
সত্যিই বহুবার এসে এসে পড়েছি।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর মশাই! কিসের মধ্যে কী!
এই ভুল-ভাল লেখা পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক না,
প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান বিষয় নির্বাচন করে পাঠে মন দিন,
ভাল কথা, পড়তে দিচ্ছেন না কেন! আজব,
ইঞ্জা
মুগ্ধকরা
ছাইরাছ হেলাল
কী যে বলেন!
ধন্যবাদ,
ইঞ্জা
-{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,
আবু খায়ের আনিছ
শ্রদ্ধায় থাকুন সৈয়দ হক
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তিনি শ্রদ্ধায় থাকবেন।
অনিকেত নন্দিনী
কবিতা কী বুঝতে শেখার আগেই (এখনো কী ছাই বুঝি!) তাঁর আর তাঁর কবিতার প্রেমে পড়েছিলাম। সেই প্রেম এখনো কাটেনি, চাইনা কাটুক। 🙁
অনন্তনিদ্রায় ভালো থাকুন প্রিয় কবি। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
তাঁর উপন্যাস দিয়ে শুরু করেছিলাম, শেষে কবিতায় এসেছি,
যা এখনও চালু আছে, থাকবেও।
ভাল তিনি থাকবেনই,
অনিকেত নন্দিনী
তাই যেন থাকেন। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই থাকবেন,
মিষ্টি জিন
পূর্নমিাতে ভাইসা গেছে নীল দড়িয়া..সোনার পৃদিম বানাইছিলা ঘৃত্য ভরিয়া…. অসাধারন সৃষ্টি তার।
শ্রদ্ধ্যেয় কবি বেঁচে থাকুক আমাদের সবার মাঝে।
ছাইরাছ হেলাল
এটি তাঁর অসাধারণত্বের একটি,
অবশ্যই বেঁচে আছেন, থাকবেন ও।
মৌনতা রিতু
শব্দেরা নাচ্ছে তার ধানক্ষেতের বুক চিরে। এই যে সবুজে হাওয়ার দোল খেয়ে। আমি যে পথে বসে থাকি তারই শেষ মাথায় তাঁর মাটির প্রাসাদ। হাওয়া এসে ছুঁয়ে যায় আমায়। আমি সেই হাওয়াকে অনুরোধ করি মাটির প্রাসাদ থেকে এক ঝুড়ি শব্দ আনতে।
সুন্দর হইছে কবি ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
ঝুড়ি-ফুড়িতে হবে-টবে না, ট্রাক-ফ্রাক নিএ আসুন জলদি,
আচ্ছা, ধরে নিচ্ছি সুন্দর হয়েছে,
তা মাঠোরানী নিয়ে লেখা পাইনি কিন্তু!
রুম্পা রুমানা
আপনার অনুভূতি আমাদেরও ভাবিয়েছে।
ভালো থাকুন সব্যসাচী। আপনাকে ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
তিনি যেখানে থাকুন যেমন থাকুন, ভাল থাকুন, এই কামনাই করি,
শুন্য শুন্যালয়
শ্রদ্ধাঞ্জলী বোধহয় এভাবেই লিখতে হয়! কাঁচের রহস্যময়তায় বকবক করা কথাটা ভীষন ভাল্লাগলো।
শুধু মুখের শব্দরাই কথা বলেনা, কথা বলে অক্ষর, লেখার শব্দরা। শেখাই হলোনা এমন করে লেখা!
ছাইরাছ হেলাল
কীভাবে কী কী লিখতে হয় জানিই না, তবে লিখে ফেলি আপনাদের
লেখার পথরেখা দেখে দেখে, টুকে-ফুকেও!
কিছুই শেখালেন্না শব্দে শব্দে শব্দ অব্দি পৌছানোর কারুকলা,