
পাশ ফেরা-ফেরি, হাই তোলা-তুলি, গড়াগড়ি না-করে
লিখে ফেলতে পারি, ঝট করে উঠে গিয়ে, কী-বোর্ড দাপিয়ে/দাবিয়ে
কিছু-না কিছু তো লিখতেই পারি, লিখি-ও;
একদম ই দাঁত বসাতে না পারলেও অতি প্রিয় লেখক কমল কুমার মজুমদারের উপন্যাস সমগ্র, প্রবন্ধ সমগ্র,ছোট গল্প সমগ্র, প্রকাশিত চিঠি সমগ্র যা অনেক প্রতীক্ষার পর সংগ্রহে নিতে পেরেছি। মনোবল না হারিয়েই পড়া-বোঝার চেষ্টা করেই যাচ্ছি পৌনঃপুনিকতা নিয়ে, বুঝতে পারি-না সামান্য এক আধটি লাইন-ও কখনো কখনো, তাও টেবিলে, শিয়রে গুছিয়ে রাখি অনেক অনেক ভিড়ের মাঝে, হাত বুলিয়ে, একদিন ঠিক বুঝে নেব এমন আশা-ভালোবাসাটুকুর জানান ঠিক-ই টের পাচ্ছি।
ইচ্ছে হলেই অতি প্রিয় মুভি পরিচালক, Andrei Tarkovsky (1932–1986)এর গুটি কয়েক সিনেমা, কত বার যে দেখেছি, এখন ও দেখছি, আজ ও দেখলাম Nostalghia (1983), যা ফুরবার নয়, দেখে দেখে, না দেখেও; কিছু একটা তো লেখাই যেতে পারে, এ নিয়ে পারি- ও।
অনেক দিনের না-দেখা শ্মশানের শ্মশান-ডাইনি বা ডাইনি-রানীর রাজ দরবারে উঁকি তো দিতেই পারি, অবাধে;
ফেসবুকের পেত্না-পেত্নীদের তল-বক্সে যারা উঁকি ঝুঁকি দিতে পারে তাদের সাথে গপসপ, তাও দিতে পারি;
লিখতে পারি সোনেলার না-জানা ইতিহাস, লিখিয়েদের মনো-খবর! কত শত আনন্দ-বেদনা হাসি তামাশা;
করোনার আপাত: বন্দিত্বে অনেক অনেক বইয়ের সাথে পড়ে ফেলেছি লেজলি হেইজেলটনের বিখ্যাত দু’টি বই,
দ্য প্রফেট ও নবী মুহম্মদের পর, শুনেছি তাঁর বক্তৃতা অনেক অনেক।
এই-ই মাত্র খোলা জানলার ফাঁক গলে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছে অনেক কষ্ট/চেষ্টা করে সংগ্রহ করা ইংরেজি অনুবাদের পবিত্র গ্রন্থগুলো। মজা দেখা বৃষ্টিকে তুলো ধুনো করতে পারি শ্রাব্য অশ্রাব্য গদ্যে/কাব্যে!!
তাজা তাজা পেল্লাই ইলিশ মুচমুচে কিরে ভেজে বা সরসে ইলিশ ও রান্না করে পেট পূজো করে ফেলতে, চিংড়ি ভর্তা,
গরুর মাংসের কালা ভুনা তা-ও, এখানে এবারে পাওয়া যাচ্ছে আমার প্রিয় হাড়িভাঙ্গা আম, হাপুস হাপুস করে গলা অবধি খেয়ে ভাত ঘুম/রাত ঘুমের আয়োজন সে তো হতেই পারে;
সাবান-খেকো কাকদের অহেতুক কানাকানি ডাকাডাকি সহ্য করতেই পারি, করিও; দেখি প্রবল হিংসুটেদের
খামোখা-অক্ষম ফালাফালি।
জলে ভাসা ডেইজি ফুলেদের দিকে এক নাগারে তাকিয়ে থাকতে পারি।
বুঁদ হয়ে গোল গোল চোখে The Secret in Their Eyes (2009) মুভির চোখের রহস্য খুঁজতে পারি।
কোন কারণ ছাড়াই ভালোবেসে পড়তে পারি দু’টো কবিতা
An Immorality
Ezra Pound
Sing we for love and idleness,
Naught else is worth the having.
Though I have been in many a land,
There is naught else in living.
And I would rather have my sweet,
Though rose-leaves die of grieving,
Than do high deeds in Hungary
To pass all men’s believing.
The alter
Let us build here an exquisite friendship
The flame, the autumn, andthae green rose of love
Fought out their strife here, ‘tis a plece of wonder;
Where these have been, meet ’tis, the ground is holly.
শুধু আরজু মুক্তার মত পচা-পচা-লেখা (!!!)লিখতে পারি-না।
ছবি নেটের।
২২টি মন্তব্য
রিতু জাহান
হুম, লিখতে সবাই পারে না।
এটা যেমন তেমনই সত্যি হচ্ছে, হাঁচি কাঁশি দিয়েও লেখা যায় তাতে লেখার মান ঠিক কতোটুকু ধরে রাখা যায় সেটাও বিষয়।
পাঠক হয়েই বরং ঢের আছি,,, ফেসবুকে পেত্না পেত্নিদের সাথে মোনোরঞ্জন নামক আড্ডা কোনোকালেই উঁকি মারি নাই। তবে কে বা মারে তাও দেখার হাপিত্তেসে ভুগি নাই।
কারণ, লেখক নই পাঠক বলে।
আপনার লেখার শব্দ ভান্ডারের তুলনা তো নেই আসলে।
ছাইরাছ হেলাল
কে বলছে লিখতে সবাই পারে না, আপনি তো ভাল করেই পেরেছেন/পারছেন/পারবেন-ও।
আসলে আগে থেকে মান ভাবনা করার কী দরকার, যেমন ধরুন কোন মান ই যেন হল না লেখায়, সে জন্য
কথা বলা হাসি ঠাট্টা কি আমরা বন্ধ করে দেব!! আগে তো চালু রাখি সব কিছু, পরের ভাবনা না হয় পরেই ভাবি!!
লিখতে হলে পড়তে হবে এ তো আমাদের সবার ই জানা। পাঠক হয়েই আরও একটা জীবন চাই, চাই না-পড়তে পারাটুকু পুষিয়ে নিতে।
ভাল থেকে সাথে থাকবেন, লিখে লিখে। অনেক ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
না লেখা কি আর পাড়া যায়!!
লিখতে পড়তে পারা যায়।
তবে শব্দে তা দিতে আমি সদা প্রস্তুত। আমি সব সময়ই চলমান,, হয়তো তা থাকে নিজেরই গন্ডির মধ্যে।
বেড়াজালের বাইরে যা কিছু তা আমার ধরার বাইরে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি আপনার সীমার মধ্যে থাকবেন সাধ্য মত।
আপনার চলমানতা অটুট থাকুক তা কামনা করি।
আমাদের পড়া-লেখা চালু থাকবে এ আশা রাখি।
আবার ও ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
এজন্যই আপনি মহারাজ কিংবা কবিতা’র রাজা। এতো এতো পারেন যিনি নিঃসন্দেহে তিনি সব্যসাচী লেখক। এতো ধৈর্য্য নিয়ে পড়া-লেখা চালু রেখেছেন জেনেই বিস্মিত আমি/আমরা। আপনার মতো লেখকের পাঠক হতে পেরেছি বলে আমরা সোনেলাবাসী কৃতজ্ঞ আপনার কাছে।
অনেক ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
আরও মজার মজার লেখা লিখতে থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
লেখা মজার হবে কী না তা বলতে পারি না, তবে ফটফটিয়ে লিখে যাব নিরন্তর। সে কথা দিতেই পারি।
আসলে পড়া খুব কঠিন একটি বিষয়, পড়ার বিষয়-আষয় কঠিন হলে হাঁসফাঁস হতেই পারে হয় ও। তা বলে হাল ছেড়ে তো দেয়া যাবে না।
ধরুন নস্টালজিয়া মুভি আপনি দেখতে পারবেন না, হাঁটা চলা করে কবিতা বলে কিচ্ছু বোঝা যায় না উপর-তলে, কিন্তু
কবিতা একটু বুঝতে পারলে শুধু দেখবেন আর দেখবেন। কমল কুমার পড়ে এগুনো যায় না। জটিল এবং জটিল। কিন্তু তারপরেও
কথা থেকেই যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি রোজ লিখবেন যা মনে চায় তাই।
একটি ঘাসফড়িং এর সাথে হলেও কথা বলে আমাদের জানাবেন।
সুরাইয়া পারভীন
ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো ভাইয়া
এখন থেকে ঘাস পাতা গাছ গাছালির ফড়িং চোখের সামনে যা পাবো তাই নিয়েই লিখতে চেষ্টা করবো। হয়তো হবে না কিছুই তবুও চেষ্টা করবো
না হতে হতেই একদিন কিছু একটা হবেই ইনশাআল্লাহ। দোয়া রাখুন ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
গুড, ভেরি গুড, এই তো চাই, কী হবে সে ভাবনা বাদ থাকুক।
নিজের মনে লেখা চলুক, চালু থাকুক।
অবশ্যই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
গোলাপ শুকনো হলে তার সুগন্ধ বেশি ছড়ায়।
একজন লেখকের সার্থকতা তখনি যখন সে ভালো পাঠক হতে পারে। আর সোনেলা এমনি একটা প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে শেখা যায়। আমি শিখছি তাঁদের কাছ থেকে যারা অগ্রগামী। লেখার মান বা শব্দ ভাণ্ডারের থেকে, আমি লিখতে পারি এটাই বড়। একদিনে কেউ বিখ্যাত হয় না। সোনেলায় যারা লিখে আমি তাদের সবার লেখা পড়ার চেষ্টা করি। সবার কাছ থেকে শেখার আছে। ফালাফালি দেখে মুচকি হাসি অবশ্যই হাসি। ফেসবুকার আর মার্ক জুকার্স সমার্থক শব্দ তাই বুঝতে কষ্ট হয় না। হা হা।
সবশেষে বলবো the music which I bore and it was heard no more….
পচা লেখা চলুক দুর্বার গতিতে। শিকড় থেকে শিখরে।
তাঁর জন্য শুভ কামনা যে আমার মতো পচা লেখা লিখতে পারেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আপনি চাচ্ছেন আপনার মত যেন কেউ ভাল লিখতে না পারে!
আসলেই আমরা নিরন্তর শিখছি আর শিখছি, আর শিখছি বলেই লিখতে পারছি।
শিখরের ঠিকানা কিন্তু দেন-নি, দ্রুত দিয়ে দিন, একা একা ঊর্ধ্বগামী হবেন ! এ কিন্তু ঠিক না ঠিক না।
ইদের শুভেচ্ছা।
আরজু মুক্তা
শিখরের ঠিকানা
sonelablog.com
ঈদ মোবারক। ঈদ ভালো কাটুক
ছাইরাছ হেলাল
“The petals fall in the founten,
the orange-coloured rose-leaves্
Their ochre clings to the stone” Ezra Pound
ইদ-আনন্দে থাকুন।
আরজু মুক্তা
রোজ কিন্তু এখনে ভেনাসের প্রতীক। আর পাথরও বর্ণচ্ছটায় উজ্জ্বল অবশ্যই।
ও ভালো কথা এটা কিন্তু হাইকুর উদাহরণ। আমার একটা হাইকু নিয়ে লেখা আছে ব্লগে।
ছাইরাছ হেলাল
rose-leaves তো!!
আপনার হাইকুতে আছে, তা কী আর এতদিনে মনে থাকে!!
ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
বিনা কারণে লিখা যায় ঠিক, কবি। তো কারণ ছাড়া আর উদ্দেশ্য ছাড়া লেখা কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে? আমার মনে লেখার শুরু আছে, শেষ আছে, উদ্দেশ্যও আছে। এখানে এই লেখায় মনে হয় আপনিও একটা উদ্দেশ্য নিয়েই লিখেছেন। তো আমার মন্তব্যখানি সঠিকও হতে পারে, আবার ভুলও হতে পারে। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন বলে আশা করি।
ব্লগাস্ প্রোফাইল নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু ইদানীং একটু ঝামেলায় আছি। তাই আর লিখলাম না।
শুভকামনার সাথে পবিত্র ঈদুল আজহা’র আগাম শুভেচ্ছা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই লেখার কারণ থাকে, সে জন্যই লেখা হয়,আমরা লিখি,
এখানে বিনা কারণে বলতে লেখার সাবলীলতার কথা বোঝানো হয়েছে।
ব্যাপার না, ঝামেলা শেষ হোক আস্তে-ধীরে লিখবেন।
ভাল থাকুন ও সাবধানে ও থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সোনেলা আমার অন্ধ চোখ খুলে দিয়েছে, নিজেকে কিছুটা হলেও মানুষের মাঝে নিয়ে যেতে পেরেছি, সবার ভালোবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি এটাই আমার কাছে বিশাল পাওয়া। আপনাদের মতো পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়ে নিজেকে ধন্য ভাবতে পারছি। আপনি লেখেন, পড়েন সাবলীল ভাবে যেটা সবাই পারে না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো। ঈদের শুভেচ্ছা রইল
ছাইরাছ হেলাল
কখন কীভাবে আপনি এত্ত এত্ত কিছু-মিছু নিলেন দেখলেন জয় করলেন!!
কোন ভাগ-ভুগ না দিয়ে না জানিয়ে চুপিসারে!! তাজ্জব ক বাত!!
আমরাও আপনার মত ধন্য হতে চাই।
আমি তো দেখে দেখে শিখি আপনাদের থেকেই।
শুভেচ্ছা ইদের।
রোকসানা খন্দকার রুকু
খুব টের পাচ্ছি এ আমার কম্ম নয়। এতো এতো কঠিন পড়া/লেখা কি করে মানুষ পড়ে তাই তো ভেবে পাই না। আমার মতো নিশ্চয়ই ঘুমায় না।
জনাব এতো কিছু জানালে লোকজন পালাবে নির্ঘাত। একটু সহজপাঠ্যও আনেন আমাদের অবুজ বালক/ বালিকাদের জন্য। আরজু মুক্তা আর আপনি এভাবে কঠিন রসে কষে ব্লগ দাবিতে বেড়ালে আমরা কি করবো সেটাও ভাইবেন।।।
অনেক অনেক ভালোবাসা দুজনের জন্যই। ঈদ মোবারক।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অবুঝ!! কবে কখন থেকে!!
তিনি সাহিত্যের ছাত্রী, সেখানে আমি তো নাবালকের মত!!
আপনি সাথে আছেন এবং থাকবেন ও।
ইদের শুভেচ্ছা।
তৌহিদুল ইসলাম
পড়তে পারলেই পাঠক আর লিখতে পারলেই লেখক এমনটা আমি মনে করিনা। না লিখেও পাঠক হওয়া যায় কিন্তু পাঠক না হয়ে ভালো লেখক হওয়া অসম্ভব কিন্তু! লেখা সেতো মুদির দোকানী টালি খাতা লিখে লিখে ভর্তি করে ফেলে্য
তবে আপনার শব্দ ঝংকার পাঠকের মনে যে দোলা দিয়ে যায় এটাই একটি উদ্দেশ্য আর তা হলো আত্মার প্রশান্তি। যা পড়লে কিংবা লিখলেই কেবল আসা সম্ভব।
ঈদ শুভেচ্ছা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমার আজন্ম সাধ প্রকৃত পাঠক হতে পারা, যদিও এর জন্য আরও একটি জীবন প্রয়োজন,
যা পড়তে চাই বলে ঠিক করেছি তা পড়ে যেতে পারব বলে মনে করি না।
পাঠক নিজ গুণে গুণান্বিত, ভাল মন্দের ভার তাঁর নিজের নিজের।
লেখক নিজের কথাই শুধু নিজের মত করে বলার চেষ্টা নেয়।
ভাল থাকুন।