
এটি প্রমাণিত যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অকার্যকর। ধর্ষণ বিষয়ক আইনের বিচারে ভিক্টিমের বিভিন্ন মুখি পরীক্ষা , আদালতে ধর্ষকের আইনজীবির ভিকটিমকে বিব্রতকর প্রশ্ন , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি , মিডিয়ায় ভিকটিমকে নিয়ে মাতামাতি , তাঁর পরিচয় এমন ভাবে তুলে ধরা যাতে কারো বুঝতে অসুবিধা না হয় কে ভিকটিম । ধর্ষককে মিডিয়া সমূহ প্রায়ই হাইড করে রাখা – ইত্যাদি বাঁধা পেরিয়ে যখন একজন বিচারক যখন রায় প্রদান করবেন , তিনি দেখবেন – এর সাজা সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন । এর অর্থ একজন ২০ বছরের ধর্ষক যাবজ্জীবন সাজা খেটে ৩৫ বছরে বের হয়ে আবার ধর্ষণ করার সুযোগ পায়। এদের সন্মান করে সংবাদ প্রকাশিত হয় ” তিনি ধর্ষন করেন” , যেন ধর্ষণ একটি সন্মানিত কাজ, ধর্ষককে তাই ‘ আপনি ‘ বলে সম্মোধন। কোনো পত্রিকায় লেখা হয় না ‘ সে ধর্ষন করে ‘।
শত শত সেমিনার , প্রতিবাদ , মানব বন্ধন করেও একারণে ধর্ষকদের থামানো যায় না ।
কি করতে হবে ?
#মিডিয়ায় ভিক্টিমের প্রচারণা , তাঁর বাবা মায়ের সাক্ষাতকার বাদ দিয়ে , ধর্ষকের প্রচারণা , ধর্ষকের বাবা মায়ের সাক্ষাৎকার , যে এলাকায় ঐ ধর্ষকের বাড়ি , সে এলাকায় ধর্ষকের ছবি দিয়ে পোস্টার , ধর্ষকের ভাই বোন কোন স্কুল কলেজে পড়াশোনা করলে, সে সব ভাই বোনদের ক্লাসে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে , ক্যাম্পাসে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিতে হবে – ঐ ধর্ষকের ভাই বোন। যেমনটা এখন সবাই দেখায় – ঐ যে মেয়েটা যে ধর্ষিতা হয়েছিল ।
#ধর্ষককে আইনের কাছে না দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে । এটা জনতা খুব সহজেই পারে।
#র্যাব এর ক্রস ফায়ার ধর্ষকের প্রতিও থাকলে ভালো হয়।
#এ ব্যাতিত ধর্ষণ কমার কোন সম্ভাবনা নেই , যতই আন্দোলন , সমাজ সচেতনতা মুলক প্রচার প্রচারণা চালাই না কেন। আইনে মৃত্যুদণ্ড জুড়ে দিলেও কাজ হবেনা।
একটি খুনের চেয়ে একটি ধর্ষণ বড় অপরাধ। খুন হয় একজন । কিন্তু ধর্ষিতার শুধু একা সামাজিক ভাবে খুন হন না, তাঁর পুরো পরিবারই খুন হয়ে যান সামাজিক ভাবে।
** স্মৃতির ডায়েরী ১৩ জানুয়ারি ২০১৪
১৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
আমি আপনার সাথে শতভাগ সহমত।
সবকটা পয়েন্ট যথার্থ হবে ধর্ষণের প্রবণতা হ্রাস করতে। এমনটাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
👏👏👏👏
জিসান শা ইকরাম
প্রচলিত আইনে ধর্ষন কমার সম্ভাবনা নেই।
ফয়জুল মহী
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার …… নেতাকে বহিস্কার (দৈনিক মানব জমিন)। তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে শুরু হোক।
জিসান শা ইকরাম
ধর্ষন কমাতে চাইলে নতুন আইন দরকার।
ছাইরাছ হেলাল
কোন্ দেশে যেন ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে নির্বীজ করণ প্রথা চালু আছে,
ঢাক-ঢোলে জানান দিয়ে করলে আরও ভাল হয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
“একটি খুনের চেয়ে একটি ধর্ষণ বড় অপরাধ। খুন হয় একজন । কিন্তু ধর্ষিতার শুধু একা সামাজিক ভাবে খুন হন না, তাঁর পুরো পরিবারই খুন হয়ে যান সামাজিক ভাবে।”
সহমত। সমাজ বিজ্ঞানী ও আইন প্রনেতাদের
ভাবা উচিত।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
সহমত ভাইজান।মনের কথাগুলো বলেছেন।আসলেতো তাই ধর্ষককে হাইলাইট না করে আমরা ধর্ষিতাকে হাইলাইট করছি।এ যে সেই ধর্ষিতার জন্য কতটা লজ্জাকর তা সেই বুঝেন।অনেক সময় এ লজ্জা ঢাকতে অপমানিতবোধ সইতে না পেরে আত্মহত্যা কিংবা একাকীত্বের পথ অবলম্ভন করেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সহমত দাদা।
ধর্ষককে হাইলাইট না করে আমরা ধর্ষিতাকে হাইলাইট করছি। আমরা কতটুকু পরিবর্তন হতে পেরেছি।
ধর্ষিতার জন্য মোমবাতি জ্বালাতে শিখেছি তার নিরাপত্তা কতটুকু দিতে পারছি।
তৌহিদ
আমাদের দেশে ধর্ষণ না কমার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এ দেশের প্রচলিত আইন। যে আইন ব্যবস্থায় একজন ধর্ষক সকল বাঁধা পেরিয়ে বেরিয়ে যায় আবার সেই আইনেরই ফাঁক-ফোঁকর গলে। যার সাজা কমানো হয় সেতো জেল থেকে বেরিয়ে আবার বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াবেই।
ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তার বাড়ির বাইরে সরকারি ভাবে লিখে দিতে হবে এটা ধর্ষকের বাড়ি। আর আপনি যা বলেছেন তার সাথে সহমত। তবে আদৌ কতটুকু সম্ভব সেটাই প্রশ্ন?
আমি ধর্ষকের ক্রসফায়ারের পক্ষে।
নিতাই বাবু
সুন্দরভাবে পরিস্কারভাবে লিখেছেন শ্রদ্ধেয় দাদা। এমনটা করলেই এদেশ থেকে চিরতরে ধর্ষণ বিদায় নিতো। কিন্তু না, তেমনটা হয় না, কেউ এমন উদ্যোগ নেয়ও না। সবাই যেন ধর্ষকের পক্ষই নিয়ে থাকে। তাই দিন দিন এদেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করছে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
কামাল উদ্দিন
কয়েকটি কথার সাথে আমি দ্বীমত পোষণ করছি। প্রথমতঃ ধর্ষকের ভাই বোনের প্রতি আঙ্গুল তোলা, দ্বিতীয়তঃ পুরিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা। এমনটা হলে সামাজিক বিশৃংখলা আরো চরম আকার ধারণ করবে। কাউকে হত্যা করার জন্য তারপ্রতি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পুড়ানোর চেষ্টা করা হবে। আইনে আজীবন কারাবাস হওয়াটাই আমার মনে হয় সব থেকে ভালো হতে পারে।
মোঃ মজিবর রহমান
কামাল ভাই কোন বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা নাই আইন যদি কঠর হই। বিশ্বের অনেক দেশে আইনের কঠর প্রয়োগের জন্যই ভাল আছে। রাস্তায় কাগজ ফেলতে পারেনা, সিগারেট জ্বালাতে পারেনা আইনের জন্যই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার সাথে পুরপুরি একমত। ডাইরেক্ট বিচারে যেতেই হবে। বিকল্প দেখিনা। আর নইত পুলিঙ্গে ইট বেধে লাল পিপড়ার উপর বসাতে হবে। আর না হই ঘোড়ার পিছনে দোড়াতে দিতে হবে ঐ অবস্থায়।
শান্ত চৌধুরী
একটি খুনের চেয়ে একটি ধর্ষণ বড় অপরাধ। খুন হয় একজন । কিন্তু ধর্ষিতার শুধু একা সামাজিক ভাবে খুন হন না, তাঁর পুরো পরিবারই খুন হয়ে যান সামাজিক ভাবে।