
৫ অক্টোবর ২০১৮
ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমারিকান সৈন্যদের ঘায়েল এবং বিভ্রান্ত করার একটি প্রধান পদ্ধতি ছিল টানেল যুদ্ধ। হাজার হাজার ভিয়েতনামি যুদ্ধকালীন সময়ে এই টানেলে থাকত। সুযোগ বুঝে আমেরিকান সৈন্যদের আক্রমন করে আবার টানেলে গিয়ে আশ্রয় নিত। গহীন অরন্যে আমেরিকানরা বুঝতেই পারতনা কোথায় থাকে ভিয়েতনামিরা, কোথা দিয়ে আক্রমন করে।
টানেলের শত শত মুখের একটির সামনে দাঁড়ানো আমি।
ভিয়েতনামি সরকার তাদের যুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে এসব অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষন করেছেন। এসব যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন দেখার জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন বিভিন্ন দেশ থেকে যার মধ্যে আমেরিকানরাও আছে।
আর আমরা ৭১ এ পাকিস্থানী সৈন্যদের আত্মসমর্পনের স্থানে শিশুপার্ক নির্মান করি শত্রুকে আড়াল করার জন্য, ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য।
#হ্যানয়, ভিয়েতনাম
৫ অক্টোবর ২০১৪
শব্দ বিষয়ক জটিলতা কাটিয়ে উঠলেও নাম নির্বাচন জটিলতা থেকেই গেলো।
#ঈদ_মুবারক ? নাকি ঈদ মোবারক ?
অন লাইনে দুটো শব্দেরই ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি। একটাকে বাদ দিতেই হয়। কিভাবে দেই ? মুবারক, মোবারক। মোবারক নামের এক জমির দালাল আছে আমাদের এলাকায়। লোকটা টাউট নাম্বার ওয়ান। একই জমি অনেকের কাছে বিক্রী করে। তাই মোবারক বাদ। ঈদের শুভেচ্ছা দেবো, আর মনে জেগে উঠবে টাউট এক ৪২০ এর নাম? এটি হতে পারেনা। যদিও মিশরের হোসনি মোবারক আমার খুব প্রিয় এক মানুষ ( খুব ইস্মাট লাগে তাঁকে )। তারপরেও জমির দালালের নাম যেহেতু মোবারক তালুকদার, তাই এই শব্দ বাদ। সিদ্ধান্ত ঈদ মুবারক লিখে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবো সবাইকে।
কিন্তু প্রথম শুভেচ্ছা দেবো কাকে ? যাকে সামনে পাবো তাঁকে ?
আমরা যেন আমাদের মনের পশুত্ব, অন্ধত্ব, হিংশ্রতা, হিংসা, রাগ, ভেদাভেদ চিন্তা, লোভ, লালসা, কাম সহ মনুষত্বের অবমাননা হয় এমন যা কিছু আমাদের মাঝে বিদ্যমান, তার কুরাবানী দিতে পারি। হে আল্লাহ আমাদের এই কুরবানী কবুল করো।– আমীন
সবাইকে ঈদ মুবারক।
( রাজাকার, রাজাকার গোত্র এবং ইসলামকে হীন স্বার্থে ব্যবহারকারীদের প্রতি ঘৃনা অব্যাহত থাকবে )
৫ অক্টোবর ২০১৪
কিছু কিছু মানুষকে দেখি ‘ গরুফি ‘ তুলে আপলোড করছেন
কিন্তু কেউ ‘ ছাগফি ‘ তুলে আপলোড করছেন না
ব্যাপার কি ?
সবাই বুদ্ধিমান হইয়া গ্যাছে
৫ অক্টোবর ২০১৩
ছিঃ ছিঃ ছিঃ আপনি কি মুসলমান ? একজন মুসলমান এর মাথার টুপি নিয়ে টানাটানি করছেন ?
একথার উত্তর আসলো – আমি নাস্তিক সরকারের এক নাস্তিক পুলিশ। আমি এক যাদুকর। যাদু দেখাবো আমি ।
উপস্থিত প্রায় তিনশত মানুষের সামনে প্রায় এক প্রকার জোড় করেই পায়ের গিড়ার উপরে পাজামা , সফেদ পাঞ্জাবী , মুখ ভর্তি দাঁড়ি এবং নুরানি চেহারার মানুষটির মাথার টুপি খুলে ফেললেন নাস্তিক পুলিশ ।
কিন্তু একি ? টুপি খোলার সাথে সাথেই গাঁজার পোঁটলা টুপ করে মাটিতে পরলো ! বাহ! কি তামাশা ! সব ফকফকা
অতঃপর টুপিওয়ালা এখন থানার মেঝেতে বসে উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে।
ঘটনার পিছনের কাহিনিঃ দক্ষিনাঞ্চলে গাঁজার রমরমা ব্যবসা। প্রশাসন চেস্টা করছে এদের নির্মূল করতে। সাদা পোষাকে পুলিশ ঘুড়ছে। ইনফরফার নিশ্চিত খবর দিয়েছে একটি মটর সাইকেলে গাজা যাচ্ছে । নির্দিষ্ট একটি বাজারে। সাদা পোশাকের পুলিশ বাজারে গিয়ে উপস্থিত দ্রুততার সাথে। বাজারে যত মটর সাইকেল আসছে সব চেক করা হচ্ছে। মাথায় টুপি দেয়া লোকটির মটর সাইকেলকে প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ । কি মনে করে হুজুরকে চেক করলেন। স্মার্ট হুজুর এর বেশী স্মারটনেস পুলিশের মনে কেন জানি নিশ্চিত ধারনা দিল – এই সেই লোক। মটরসাইকেল এর টুল বক্স , ড্রাইভার এর দেহ তল্লাসি , এরপর হুজুরের দেহ তল্লাসি শুরু। হুজুরের লেবাশ এবং তার কথায় মানুষ কিছুটা উত্তেজিত – একজন সন্মানিত আলেমকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে , ভীর বাড়ছে মানুষের । দেহ তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া গেলোনা । হুজুরের মাথার দিকে তাকালেন পুলিশ। টুপিটা একটু অস্বাভাবিক ভাবে উচু হয়ে আছে। মুখে হাসি ফুটলো পুলিশের । হাত বাড়ালেন টুপির দিকে । হুংকার আসলো হুজুরের কাছ থেকে , খবরদার টুপিতে হাত দিবেন না । মানুষও উত্তেজিত। নাস্তিক সরকারের আমলে মুসলমানদের এভাবে অসন্মান ? এরপর—– গাঁজার পোঁটলা ।
সেলোয়ার গিড়ার উপর , পাঞ্জাবী , টুপি পরা থাকলেই মুসলমান হওন যায়নারে ফাগল —
ঘটনাঃ ২৩/০৮/২০১৩
গাজা বাহকঃ মাসুদ রানা ওরফে ভুট্টো ।
৮টি মন্তব্য
তৌহিদ
ভিয়েতনাম আর আমাদের চিন্তাভাবনায় কত তফাত! ঈদ মুবারকেই অভ্যস্ত আমি এটাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অনেকেই আবার ঈদ মোবারাক বলেন। কেন? eid mubarak ইংরেজির বাংলা করেন বলে মনে হয়।
গরুফি, ছাগলফি তবু এবছর কম এসেছে ফেসবুকে। মৃতদের দাফনেও সেলফি দেখেছি আমি।
লেবাসধারীদের মুখোশ চেনা মুশকিল। মসজিদে তাবলিগ জামাতে আসা একজনকে গাঁজা খেতে দেখেছি। ☺☺
মোঃ মজিবর রহমান
মোবারক সংে আবার তালুকদার ভাল ভাল।
আসলে কি এখানে দোষ মানুসের নই, পোষাকেরও নই কিন্তি আমরা মুর্খ মানুষ পোষাকে বিশ্বাস করি। এই সব সর্বনাশ।
হালিম নজরুল
যে জাতি জন্মের ইতিহাস ঢাকতে চাই,সে জাতির কবর রচনা হয় অকালেই।
ইঞ্জা
এই বাঙ্গালীর রক্তে মিরজাফর, মনে রাজাকার, যখনই সুযোগ আসে তখনই কোপায়, তাহলেই বুঝুন কেন ওরা স্বাধীনতা কি উপলব্ধি করেনা, দেশ মাতৃকা কি তা কি জানে এই বাঙ্গালী?
ঈদ মুবারক না মোবারক? 😂
ভাইজান এইটা এপিক ছিলো। 😜
গরুফি – এইটা নিয়ে বিশেষ টিপ্পনী অসাধারণ হয়েছে। 😂
পরিশেষে হুগুরের টুপি উৎপাটন দুর্দান্ত হয়েছে। 😂
আরজু মুক্তা
অন্য দেশের থেকে বুদ্ধি, বিদ্যা সবখানেই কমতি।
নিতাই বাবু
“হুংকার আসলো হুজুরের কাছ থেকে , খবরদার টুপিতে হাত দিবেন না । মানুষও উত্তেজিত। নাস্তিক সরকারের আমলে মুসলমানদের এভাবে অসন্মান ? এরপর—– গাঁজার পোঁটলা।”
এসব তাঁদেরই মানায়। যাকে কৃষ্ণলীলা।
ছাইরাছ হেলাল
ভিয়েতনামের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।
আমাদের পরে স্বাধীন হয়েও অনেক অনেক এগিয়ে গেছে তারা।
মনির হোসেন মমি
হা হা হা শেষেরটা জোশ হইছে…আমার চেনা জানা কয়েকজন আছেন যাদের দাড়ি লম্বা এবং পাচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন গাজাও খায়। পুলিশের বাপেরও সাধ্য নাই ওদের ধরার তাই ওরা বুক ফুলিয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই চলেন। ভিয়েত নাম যুদ্ধে এ গুহার ইতিহাস সত্যিই বিরল।খুব ভাল লাগল।