
রাত প্রায় এগারোটার কাছাকাছি। আর কিছুক্ষণ পরই ঘড়ির ঘণ্টার কাটা এগারোটার বরাবর হলেই, দেওয়াল ঘড়িতে রাত এগারোটার এলার্ম বেজে ওঠবে। অথচ নিত্য বাবুর ঘরে একটা সিগারেটও নেই। অন্যান্য দিন নিজের পকেট ছাড়াও ঘরে চার-পাঁচটা সিগারেট সবসময় মজুদ থাকতো। কিন্তু আজ নেই। নিত্য বাবু অফিস থেকে আসতে মনের ভুলেই নিজের পকেটে আর হাত দেয়নি। তাই আজকে এমন সাংঘাতিক ভুলটা হয়ে গেল। এই ভুলের মাশুল দিতে হলে, এখনই মহল্লার রাস্তার পাশে থাকা যেকোনো একটা দোকানে গিয়ে, সিগারেট কিনতে হবে। সিগারেট ছাড়া নিত্য বাবুর একদম চলে না। নিত্য বাবু হলেন ধূমপানের প্রেসিডেন্ট। ধূমপানের জন্য উনাকে সম্রাট টাইটেলও অনেকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নিত্য বাবু তা প্রত্যাখ্যান করে সেই সম্মাননা আর গ্রহণ করেনি। নিত্য বাবু প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে শুরু করে সিগারেট ফুঁকা। সেই ফুঁকা একটানা চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। তাহলে সিগারেট ছাড়া আজকের রাতটা নিত্য বাবুর কাটবে কী করে? সিগারেট ছাড়া রাতে কিছুতেই নিত্য বাবু ঘুম আসবে না! ঘুম আসার কথাও নয়। তাই রাত এগারোটার সময় গলায় একটা গামছা পৌঁছিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গিন্নির জিজ্ঞাসা,
–এতো রাইতে আম্নে কই যাইতাছেন?
–না- মানে সিগেট নাইতো, হিল্লাইগা দোয়ানে যাইতাছি!
–সিগেট ছাড়া কি এক রাত চলন যায় না? যাইবেন যহন দেইক্কা যাইয়েন। রাইত কইরা রাস্তার মাধ্যে কুত্তা থায়।আবার হুদাহুদি ভালা ভালা মাইনষেরে পুলিশে ধইরা লইয়া যায়। মাইনষের কাছে কিচ্ছু না থাইকলেও, পুলিশরা কয় গাইঞ্জা পাইছে।
–আরে তুমি চিন্তা কইরো না! আমি তাততাড়ি কইরা আইয়া পড়তাছি।
ঘরের লক্ষ্মী গিন্নিকে এই বলে শান্তনা দিয়ে নিত্য বাবু ঘর থেকে বের হলেন মহল্লার একটা দোকানের উদ্দেশে।
নিত্য বাবু যেই মহল্লার ভাড়াটিয়া, সেই মহল্লাটি নামীদামী এক শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। পুরো মহল্লার বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে এজমালি রাস্তা ছাড়া বিন্দুমাত্র জায়গা আর খালি নেই, শুধু বাড়ি আর বাড়ি। বাসা আর বাসা৷ বাসা ঘেঁষেই বাসা। নিত্য বাবু বাসা থেকে বের হয়ে এজমালি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দোকানের উদ্দেশে। রাস্তার ডানপাশে রমজান আলীর বাড়ি। রমজান আলীর বাড়িতে অনেকগুলো ভাড়াটিয়া বাসা। রমজান আলীর বাড়ির এক বাসা থেকে তাজা ফুলের মৌ মৌ সুগন্ধ নিত্য বাবুর নাকে আসতে লাগলো। সাথে দামী সেন্টের ঘ্রাণও। ফুলের সুগন্ধ নাকে লাগতেই, নিত্য বাবু এদিক-ওদিক সু-গন্ধের সন্ধান করতে লাগলো। কিন্তু রাস্তা ঘেঁষে সারিবদ্ধ বাসা হওয়াতে, ঠিক কোন বাসা থেকে তাজা ফুলের সুগন্ধ বের হলো, তা আর নিত্য বাবু অনুমান করতে পারিনি। তবে ধরনা ঠিকই করতে পেরেছে, এই বাড়ির কোনোএক ভাড়াটে বাসা থেকেই সেন্টের সুগন্ধ বের হয়েছে। মনে মনে সেই ধারনা নিয়ে পরিচিত এক দোকানে গেলো। অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে দোকানদার সে-সময় দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নিত্য বাবু আর কিছুক্ষণ পর গেলে এই দোকনটা খোলা পেতো না। নিত্য বাবুকে যেত হতো সামনের বাসস্টপে। একটু তাড়াতাড়ি হেঁটে আসাতেই দোকানটা খোলা পেয়েছে। দোকানদার নিত্য বাবুকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
–কিও বাবু, কিল্লাইয়া আইছেন?
–আরে ভাই আমার লগে ত সিগেট নাই। সিগেট ছাড়া ত রাইতে আমার ঘুম আইত না। হিল্লাইগা আইলাম তোমার দোয়ানে।
এই বলেই জোরে ঝাঁঝালো একটা হাঁচি মেরে দিলো।হেঁচ্ছো করার সাথে সাথে দোকানদার জিজ্ঞেস করলো,
–ঠাণ্ডা লাগজেনিও বাবু? এমুন জোরে জোরে আঁচি দিতাছেন!
–আরে নাও ভাইও, ঠাণ্ডা লাগে নাইক্কা। ব্যাঙের আবার ঠান্ডা আছেনি? ঠান্ডা না, ঠান্ডা না! সেন্টের ঘ্রেরাণে নাকের মাধ্যে পোড়া মইচের মতন ঝাঁজ লাগছে। হিল্লাইগা আঁচি আইয়া পড়ছে।
–এতো রাইতে সেন্টের ঘেরাণ কইতন পাইলেন?
–আমগো বাসা তুনে আহনের সুম রাস্তার ডান দিগের রমজান আলীগো বাইত তুনে তাজা ফুলের ঘ্রেরাণের লগে সেন্টের ঘ্রেরাণ বাইর অইতাছিল। হেই ঘ্রেরাণই আমার নাকে লাগছে। আহারে ঘ্রেরাণ! ঘ্রেরাণ কারে কয়! মনডায় চাইছিল, হারা রাইত বইয়া বইয়া বেক ঘ্রেরাণ নাকে টাইন্না লইয়া লই। সিগেটের লাইগা হেইডা আর অইল না।তাততাড়ি কইরা আইয়া পড়ছি। তয় ভাই রমজান আলীগো বাইত আয়োজনডা কিয়েরও?
–ও, আম্নের রমজান আলীগো বাড়ির কতা কইতাছেন? হেগো বাড়ির এক ভারাইট্টা পেলা পারিত কইরা বিয়া করছিল, আইজগা দশবার দিন অয়। হেই বিয়া লইয়া বহুত দেনদরবার কইরা হেষে কাইলকা বউ লইয়া আইছে। আইজগা দুপুরে বউভাত গেছিল। অহনে মনে অয় হেগো বাসর রাইত চলতাছে। হিল্লাইগাই সেন্টের ঘ্রেরাণ পাইছেন। এই ঘ্রেরাণ ত আইজগাই শেষ অইয়া যাইবোগা বাবু। কদিন পরে হেই ঘরের তুনে ঘ্রেরাণ বাইর অইত না। বাইর অইবো কান্দনের শব্দ! এমুন পিরিতের বিয়া কত দেইখলামও বাবু! বিয়ার পরে দুইদিন যাইতে-না-যাইতে লাইগগা যায় কিলাকিলি। হের পরে ছাড়াছাড়ি। অহনে কন আম্নের সিগেট কয়ডা লাগবো?
–আম্নে ভাই যা কইলেনও! আম্নের কতা অহনকা আমার হারা রাইত বইয়া বইয়া চিন্তা করন লাগবো। হিল্লাইগা সিগেটও বেশি লাগবো। আমারে এক পেক মেরিল সিগেট দেন। টেকা কাইলকা অপিসো যাওনের সুম দিয়া দিমু।
–আইচ্ছা লন! তাততাড়ি কইরা বাইত যানগা। রাত বহুত অইছে।
নিত্য বাবু দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল, সেই বাসার পেছন দিয়ে। আসতেই আবার সেন্টের ঘ্রাণের সাথে ইংলিশ মিউজিকের শব্দ কানে আসলো। নিত্য বাবু সেইদিকে কান দিয়ে সোজা নিজের বাসায় চলো এলো।
নিত্য বাবু বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে রাতের খাওয়া সেরে নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইলটা নিয়ে বিছানায় গিয়ে দুই একটা অনলাইন নিউজে দেশের খবর পড়ে শুয়ে পড়লো। কিন্তু কিছুতেই নিত্য বাবু চোখে ঘুম আসছে না। ভাবছে দোকানদারের কথা! যেই কথা ঘণ্টাখানেক আগে শুনে এসেছিল। ভাবতে ভাবতে বিছানায় এদিক সেদিক করতে করতে একসময় নিত্য বাবু ঘুমিয়ে পড়লো।
রাত শেষে ভোর হলো। নিত্য বাবুর লক্ষ্মী গিন্নীর বাটন মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠলো। তখন সময় সকাল ছয়টা। ঘরের লক্ষ্মী বাইরে যাবে। মানে কর্মক্ষেত্রে। এটাকে একরকম যুদ্ধক্ষেত্রও বলা চলে। সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা। আবার দুপুর দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা। ওভারটাইম চললে রাত দশটা পর্যন্ত একটা ঘরের লক্ষ্মী গিন্নীকে যুদ্ধ করতে হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদানে দুই মিনিট দেরি হতে পারবে না। দেরি হলেই মাসিক বোতন থেকে মিনিট প্রতি টাকা কর্তন করা হয়। তাই মোবাইলে সকাল ছয়টায় এলার্ম দিয়ে রাখা হয়। যাতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে, আগেভাগে রান্নার সিরিয়াল ধরতে পারে। আর ঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে পারে। এরপর তাড়াহুড়ো করে রান্নাবান্না করে খেয়ে-না-খেয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগদানের জন্য শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। নিত্য বাবু রাজার হালে সকাল নয়টায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আস্তেধীরে অফিসে রওনা হয়। অফিসে যেতে যেতে বেজে যায় সকাল দশটা। দুপুর একটায় স্বামী-স্ত্রী দুইজন এক সময়ই বাসায় আসে। এভাবে চলছে নিত্য বাবুর নিত্যদিনের দৈনন্দিন জীবন।
নিত্য বাবু প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার মাঝে রাস্তা ঘেঁষা রমজান আলীর ভাড়াটিয়া বাসার দিকেও খেয়াল রাখে। নজর রাখে। যেই ভাড়াটিয়া বাসা থেকে এক রাতে সুগন্ধ বের হয়েছিল। এখন আর সেই রাতের মতো সুগন্ধ বের হয় না। ইংলিশ মিউজিক শোনা যায় না। এখন মাঝে মাঝে চিল্লাচিল্লি শোনা যায়। আবার মাঝে মাঝে শোনা যায় কান্নার শব্দ। একদিন নিত্য বাবু দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। হঠাৎ বাইরে অনেক লোকের চিল্লাচিল্লি শুনে নিত্য বাবু ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির বাইরে যায়। বাড়ির বাইরে এজমালি রাস্তার ডান পাশে রমজান আলীর সেই ভাড়াটে বাসার জানালা দিয়ে দেখে মাসেক খানেক আগে বিয়ে করা বউটাকে মারছে। ভালোবাসার স্বামীর হাতে বেধড়ক মার খেয়ে প্রেমিকা স্ত্রী বিলাপ ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘আমি আর তর ভাত খাইতাম না, গোলামের ঘরে গোলাম। আমারে তুই অহনই ছাইড়া দিবি। তর ঘর করনের চাইতে জানোয়ার লইয়া থাওন ভালা। কত সখ কইরা বিয়া বইছিলাম! হেই সখের মাইধ্যে ঠাডা পইড়া গেছে। তুই আমারে অহনই ছাইড়া দিবি।’ এভাবে নতুন বউ আরও অনেক কথা বলে বিলাপ ধরে কাঁদতে লাগলো।
তখনই নিত্য বাবুর সেই রাতে দোকানের কথা মনের পড়ে গেল। দোকানদার বলেছিল, “এই ঘ্রেরাণ ত আইজগাই শেষ অইয়া যাইবোগা বাবু।কদিন পরে হেই ঘরের তুনে ঘ্রেরাণ বাইর অইত না। বাইর অইবো কান্দনের শব্দ! এমুন পিরিতের বিয়া কত দেইখলামও বাবু! বিয়ার পরে দুইদিন যাইতে-না-যাইতে লাইগগা যায় কিলাকিলি। হের পরে ছাড়াছাড়ি।” সেই রাতে দোকানদারের কথাটা আজ বাস্তবে পরিণত হলো। যেই বাসরঘর থেকে সুগন্ধি বের হয়েছিল, আজ সেই বাসরঘরে শোনা যাচ্ছে কান্না শব্দ!
গল্পের ঘটনা সম্পুর্ণ কাল্পনিক!
৩২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখার কমেন্ট পরে দিবো, আগে বলুন এতদিন কই ছিলেন? কোনো খোঁজ খবর নেই, ফেসবুক টাও অফ করে রেখেছেন। এভাবে কেউ নিরুদ্দেশ হয়??
নিতাই বাবু
বর্তমানে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। অফিসের বাৎসরিক অডিট। তাই ব্লগ এবং ফেসবুক, দুইটাই স্থগিত! মনির দাদা ফোন করেছিল। দাদাকে কথা দিয়েছিলাম, দুএক দিনের মধ্যে ব্লগে পোস্ট করবো। আশা করি কথা রাখতে পেরেছি। তো আপনি কেমন আছেন, দিদি?
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালো আছি দাদা। মমি ভাই বলেছেন আপনার ব্যস্ত সময়ের কথা। আপনাকে কোথাও না পেয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন ভালো আছি 🙂
আকবর হোসেন রবিন
আমিও খুঁজতেছিলাম। হঠাৎ একটা লেখায় দাদার কমেন্ট দেখে তাড়াতাড়ি উনার প্রোফাইলে উুঁকি মারতে আসলাম।
আকবর হোসেন রবিন
গল্প কথকের ভাষা ভালো লাগলো। আঞ্চলিক ভাষা একটানা লিখা অনেক কঠিন। গল্পের মূলভাবও দারুণ ছিলো।
ধন্যবাদ দাদা, ফিরে আসার জন্য।
নিতাই বাবু
আকবর হোসেন রবিন দাদা, ইদানীং আমি খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। পোস্টের আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। আশা করি ভালো থাকবেন।
শাহরিন
এতো আমাদের নিত্য জীবনের সংগী দাদা, যত গুড় ততো পিপড়া আসবে। কামনা করি এর সংখ্যা যেন কমে আসে। অনেক গোছানো গল্প। সিগারেট আরেকটু কম খেলে মন্দ হতো না।
নিতাই বাবু
আমাদের সমাজের চারপাশে অনেকের সংসারেই এমন কান্নার শব্দ প্রায়ই শোনা যায়! সাথে মারপিট কিলাকিলিও দেখা যায়। তবে আমরা কেউ এমনটা কখনোই কামনা করি না। সবার সংসার সুখী হোক, এই কামনাই করি।
আর নিত্য বাবুর এখন এক পা সমাজে, আর এক পা শ্মশানে। তাই যে ক’দিন নিত্য বাবু বেঁচে থাকে সিগারেট চলবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে শুভেচ্ছা শুভকামনা।
কামাল উদ্দিন
এমনটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, বা এমনটা কামনাও করিনা। তয় আপনার আঞ্চলিক ভাষার লেখনিতে একটা আলাদা মাধুর্য্যতা খুঁজে পেলাম।
নিতাই বাবু
আমাদের সমাজের চারপাশে অনেকের সংসারেই এমন কান্নার শব্দ প্রায়ই শোনা যায়! সাথে মারপিট কিলাকিলিও দেখা যায়। তবে আমরা কেউ এমনটা কখনোই কামনা করি না। সবার সংসার সুখী হোক, এই কামনাই করি।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা
মোঃ মজিবর রহমান
এই ঘ্রেরাণ ত আইজগাই শেষ অইয়া যাইবোগা বাবু। কদিন পরে হেই ঘরের তুনে ঘ্রেরাণ বাইর অইত না। বাইর অইবো কান্দনের শব্দ! এমুন পিরিতের বিয়া কত দেইখলামও বাবু! বিয়ার পরে দুইদিন যাইতে-না-যাইতে লাইগগা যায় কিলাকিলি। হের পরে ছাড়াছাড়ি।
ভালই বলতাছেন ইটা সত্যও খাটি কথা।
নিত্য বাবুর লক্ষ্মী গিন্নীর বাটন মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠলো। হ্যা হ্যা হ্যা
এটাই হইত জীবন।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ দাদা, এটাই আমাদের জীবন। এমটাই ঘটছে আমাদের সমাজের অনেকের সংসারে। তবে আমরা কেউ এমনটা কখনোই কামনা করি না। সবার সংসার সুখী হোক, এই কামনাই করি।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
এত সিগ্রেট প্রীতি দেখে প্রথমেই নিজের অজান্তে নিতাই বাবুর কথা মনে পড়ে গেল।
সেন্টের ঘেরান ক্ষনিকের, কিলাকিলি চিরস্থায়ী, অতএব উহা চালু থাকুক/থাকিবে।
যত কাজ থাকুক, কমপক্ষে উঁকিঝুঁকি চালু রাখতেই হবে, মনে থাকে যেন।
নিতাই বাবু
কিছুদিন ধইরা আমি বহুত কামের মাধ্যে আছি, দাদা। হিল্লাইগা হেসবুক আর ব্লগ বেশি টাইম দিতে পারতাছি না। হের পরঅ কইলাম আম্নেগো হগলতের লেখা দেহি। তয় মন্তব্য দেওনের সময় পাইনা দেই, আর মন্তব্য দিতে পারি না।
সুরাইয়া পারভিন
কি জানি হয়তো প্রেমের বিয়ে কখনও সুখের হয় না আবার কখনো হয়েও যায় সুখের সংসার।
” বুকের ঘরে এমনই অসুখ না পেলে হাজার জ্বালা পেলেও নিজের সুখ” গানটা কে লিখেছেন জানিনা, তুমি গানের কথাগুলো সত্য এবং চমৎকার লিখেছেন।
নিতাই বাবু
“বুকের ঘরে এমনই অসুখ না পেলে হাজার জ্বালা পেলেও নিজের সুখ” এই গানটা আমি এখনো শুনিনি। তবে গানটা অনলাইনে পেয়ে গেলে এই পোস্টে আপনার করা মন্তব্যের জবাবে লিংক দিয়ে দিবো।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে শুভেচ্ছা সহ শুভকামনাও থাকলো।
নৃ মাসুদ রানা
নামের সাথে গল্পের অনেক মিল, ভালো লেগেছে।
নিতাই বাবু
ভালো লাগার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা!
এস.জেড বাবু
কাল্পনিক হলেও প্রতিটি চরিত্র একেবারে বাস্তব।
যেন আশেপাশের কারও ঘরের গল্প শোনলাম।
চমৎকার লিখেছেন-
বিয়ের আগের প্রেমে সুখের গ্যারান্টি নাই তবে বিয়ের পরের প্রেমে সুখের আভাস থাকবেই থাকবে।
নিতাই বাবু
না দাদা, না! প্রেমের বিয়ে সুখের হয় না। এমন অনেক দেখেছি দাদা। একশো-তে আশি পার্সেন্ট লটরপটর। দশ পার্সেন্ট হয়তো বা সুখের হয়ে থাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা জানবেন।
এস.জেড বাবু
শেষ লাইনটা তেমনি লিখেছিলাম-
বিয়ের আগের প্রেমে সুখের গ্যারান্টি নাই তবে বিয়ের পরের প্রেমে সুখের আভাস থাকবেই থাকবে।
আসলে বিয়ের পরে প্রেমে পড়লে সুখের গ্যারান্টি থাকবে।
ধন্যবাদ ভাই।
নিতাই বাবু
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বিয়ের পর স্বামীকে স্ত্রীর প্রেমে পড়তে হবে, স্ত্রীও স্বামীর প্রেমে নতুন করে মন মজাতে হবে। তাহলেই তাঁদের সাংসারিক জীবনে শান্তি আসবে। সংসার সুখের হবে।
আর বিয়ের আগে যদি কারোর প্রেমিক প্রেমিকা থাকে, তাহলে তো বুঝতেই পারছে…অবস্থাটা কী হতে পারে!
জিসান শা ইকরাম
আমি যে কটা প্রেমের বিয়ে দেখেছি, অধিকাংশই পরবর্তীতে সুখের হয়নি,
এর কারণ ভেবেছি অনেক, কিন্তু কোন সঠিক কারণ উদ্ধার করতে পারিনি, ।
প্রেমের বিয়েতে প্রেমিক প্রেমিকার প্রত্যাশার চাপ থাকে বেশি হয়ত, অথবা অন্ধ প্রেমের কারণে বিয়ের পূর্বে প্রেমিক প্রেমিকার দোষ ত্রুটি কেহই খেয়াল করে না। যা বিয়ের পরে একসাথে থাকা কালীন খেয়ালে আসে। তখনই স্বপ্ন ভংগ হয়।
অনেক দিন আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় দাদা, আমি আজ কিছুদিন ধরে অফিসের কাজে খুবই ব্যস্ত আছি দাদা। এরমধ্যে আবার আমার ভালোবাসার ধলুকে নিয়েও পরেছি বিপাকে! অবহেলিত প্রাণী ধলু আমার বাসা ছাড়ছে না। কিছুতেই ওকে বাসা থেকে ফেরাতে পারছিলাম না। তাই আজ তিনদিন ধরে ধলুকে রেখে এসেছি শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে। রেখে আসার পর ধলুকে দেখতে যেতে হয়, সকালে একবার। বিকালে একবার। এভাবে চলছে আমার বর্তমান সময়। আমার ধলুকে দেখতে হলে এখানে দেখুন! এই জায়গাটা হলো শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় চৌরাপাড়া গুদারা ঘাট। এটাই এখন ধলুর বর্তমান ঠিকানা। এখানে আর কেউ ছিছিছি, রামরাম দুরদুর বলবে না। এখানেই থাকুক, আমার ধলু।
মনির হোসেন মমি
শখের তুলা আশি টাহা মানুষ মনে হয় শখ কইরাই ভালবাসে আবার বিয়াও করে নতুবা ছাড়াছাড়ি অইব কেন? ঘটনা বাস্তব না হইলেও এ সমাজেরই করুণচিত্র।
নিতাই বাবু
দাদা, আমি যত প্রেমের বিবাহ দেখেছি, সবকটাই দেখেছি ঝগড়াঝাটি, মারামারি, ছাড়াছাড়ি। এছাড়া সুখের সংংসার খুব কমই দেখেছি।
মনির হোসেন মমি
হুম অধিকাংশই।
সঞ্জয় মালাকার
কাল্পনিক হলেও প্রতিটি চরিত্র একেবারে বাস্তব।
যেন আশেপাশের কারও ঘরের গল্প শোনলাম।
কি জানি হয়তো প্রেমের বিয়ে কখনও সুখের হয় না আবার কখনো হয়েও যায় সুখের সংসার।
চমৎকার লিখেছেন-শ্রদ্ধে দাদা, পড়ে ভালো লাগা।
শিরিন হক
অনেক ভালো লাগলো সুঘ্রাণ সিগারেটের নেশা আর প্রেমের বিয়ের পরিণতি।তিনটেকে এত সুন্দর করে উপস্হাপন করলেন সত্যি মুগ্ধতায় ভরা।তবে কিছু প্রেমর বিয়ে সুখেরও হয়।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। শুভকামনা সারাক্ষণ।