একটা ডাহুক একলা ডাকুক

বিরহী উদাস দুপুরে

মাঝরাত্তিরে তুমুল নামুক

ধারাজল এই বুকজুড়ে।

 

 

আমার ইচ্ছেরা বড় হতে হতে, বনসাই থেকে হয় বনস্পতি

অথচ তোমাকে চেনার আগে, ইচ্ছেরা ছিলো অন্ধবৃত্তে ঘুরে মরা

ঝরাপাতাভরা পথের মতোন, চেনা পৃথিবীর অন্ধকারে।

মধ্যরাতের মাতাল বৃষ্টিতে ধুয়েছি দুঃখবোধ, অগনন দমবন্ধ মুহুর্ত

তারপর আলো এসে জানালার শার্শির ফাকগলে আমারে ছুঁয়ে দিলে –

গাঙ্গুরের বেনোজলে ভাসায়েছি সকল দুঃখ, অসুখী সময় ; ভাসায়েছি অখন্ড তোমারে।

 

 

রঙ ছিলো, ক্যানভাসও অপেক্ষায় ছিলো ইজেলে

সময় অপেক্ষায় ছিলো পুর্ণ চিত্রকল্পের –

জলের ছবিটি না একেই খেলা ফুরায়ে

বিষন্নতার রঙ মেখে ডানায় চলে গেছো অচেনা উড়ালে।

 

 

একটা বেপথু হাওয়া এসে হঠাৎ জানলায় আলগোছে দোলা দেয় –

আর তক্ষুনি ডেকে ওঠে তক্ষক, ঠিক ঠিক ঠিক।

নিজের হাসির শব্দে ঘোর ভাংগে নিজেরই ; সময় বদলে গেছে।

ভাংগা আয়নায় অখণ্ড মুখচ্ছবি দেখবার বাসনা মিছে।

 

 

আলো কাঁপে –

কাঁপে ছায়ারাও, সুদীর্ঘ সময়তলে

পড়োপড়ো দেয়ালজুড়ে বিস্মৃতির ছাপচিত্র।

আধোঘুমে শুনে যাই ইতিহাস,

হৃদপিঞ্জরে কে আজ সময় খুড়ে অনন্ত দুঃখ ছোয়ায়

আমারে কে ডেকে বলে – জাগো, যায় বেলা অবেলায় ।

৪৪৪জন ৪৪৪জন
0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ