জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলীয় ব্যক্তি নন, তিনি সার্বজনীন।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি ছোট্টছোট্ট প্যারা আকারে ধারাবাহিকভাবে (আপাতত ধারাবাহিক দেয়ার কথাই চিন্তা করেছি) ব্লগে তুলে ধরার যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি, আমি মনে করি অল্প করে প্যারা আকারে তুলে ধরলে অনেকেই তা পড়বে। বইটি পড়তে গিয়ে আমার উপলব্দি হয়েছে, এ বইটা যতো বেশি মানুষ ধারন করবে ততো বেশি মানুষের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে।
বেশ কিছুদিন আগে শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যারের একটি কথা আমার এই কাজ শুরু করাটিকে আরও বেশি তরান্বিত করেছে।
আমার বিশ্বাস তাতে এ প্রজন্মের অনেকে, যারা বঙ্গবন্ধুকে এখনো অতোটা ভালোভাবে জানে না কিংবা এখনো বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধু কেবলই আওয়ামী লীগের নেতা তারা আরো ব্যাপকভাবে তাঁকে জানবে, বুঝবে, উপলব্দি করবে।
অবশ্যই প্রতিটি প্যারার সিরিয়াল নম্বর থাকবে এবং প্রতি শনিবারেই তা একটু করে তুলে ধরার ইচ্ছা।
এখনকার সময়ের বেশিরভাগ মানুষই বই পড়তে চায় না। বলা যায় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রভাব হয়তো মানুষকে বইবিমুখ করে তুলেছে বা অনেক ক্ষেত্রে সময়ের অভাব, আবার অনেকের পড়ার অভ্যাস তেমন নেই। কিন্তু এখনকার সময়ে ফেসবুক/ব্লগ মানুষের জীবনে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে। আমি নিজেও ফেসবুক/ব্লগে চষে বেড়াই। এর বিভিন্ন কারনও আছে। এই সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো থেকে খুব সহজেই গণ যোগাযোগ সম্ভব আবার এখানে নিঃসঙ্কোচে নিজের মতামত প্রকাশ করা যায়, অন্য আরও মানুষের সাথে চলমান যেকোন বিষয় নিয়ে ভাবের আদান-প্রদান করা যায় ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে ফেসবুক/ব্লগ এখন ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইদানীং আবার ফেসবুক/ব্লগ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যক্রমেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এটা অবশ্যই একটা গুড সাইন। সমাজে কোন অসঙ্গতি দেখা দিলেই ফেসবুকে/ব্লগে ঝড় উঠে। আর এই ঝড় সরকারকে তৎপর হতে বাধ্য করে। সরকারসহ দেশ-বিদেশের সচেতন বাঙালীমাত্রের কাছেই ফেসবুক/ব্লগ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী মাধ্যম। এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার কাছে যেকোন বিষয় পৌছে দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, এই মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে আমরা চাইলেই ঘরে বসে অনেক কিছু দেশ, সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য করতে পারি।
আমার বিশ্বাস, ইতিহাস যাকে কিংবদন্তীর নায়ক বানিয়েছে, তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানতে হলে তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিই যথেষ্ট।
নতুন বছরের শুরুটা আমি এই মহান নেতার আত্মকথন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েই শুরু করতে চাই। সহব্লগারদের সকলের কাছে অনুরোধ থাকল ধারাবাহিক সব লিখা না হলেও অন্তত যে অংশটুকু আপনাদের ভালো লাগবে, সেটুকু নিজেদের ফেসবুক ওয়ালেও শেয়ার দিন। আমার মুল উদ্দেশ্য তা ছড়িয়ে দেয়ার। যতো বেশি ছড়াবে, সে উদ্দেশ্যটি ততো সফল হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে, আগামী প্রজন্মের মননে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে আর বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আসুন সবাই মিলে উদ্যোগটাকে সফল করি। আপনাদের সহযোগিতা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
এ বিষয়ে পূর্বের পোষ্টঃ বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’
২২টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অপেক্ষায় আছি -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ। আপনাদের অপেক্ষা যেনো সার্থক করে তুলতে পারি।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
জিসান শা ইকরাম
আপনার আন্তরিকতা,সদিচ্ছা ও উদ্যোগকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি -{@
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলীয় ব্যক্তি নন, তিনি সার্বজনীন। ১৯৭৫ এর পরে অত্যন্ত সুকেৌশলে বঙ্গবন্ধুকে একটি দলের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে,এবং তারা কিছুটা সফলও হয়েছে।
অপেক্ষায় আছি আপনার পোষ্টের।
শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ।
বিশ্বাস করি, ইতিহাস কাউকে তাঁর প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে না। মানুষ যতো চেষ্টাই করুক ইতিহাসকে নিজের মতো সৃষ্টি করতে, ইতিহাস তার নিজের নিয়মেই স্বমহিমায় আবির্ভূত হয়।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
জিসান শা ইকরাম
নিজের চোখেই দেখা, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার জন্য কত চেষ্টা করা হলো ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পরে
বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছেন আমাদের মাঝে স্ব-মহিমায়
নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে তারাই যারা বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।
নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
মোঃ মজিবর রহমান
আমার বিশ্বাস তাতে এ প্রজন্মের অনেকে, যারা বঙ্গবন্ধুকে এখনো অতোটা ভালোভাবে জানে না কিংবা এখনো বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধু কেবলই আওয়ামী লীগের নেতা তারা আরো ব্যাপকভাবে তাঁকে জানবে, বুঝবে, উপলব্দি করবে।
অবশ্যই প্রতিটি প্যারার সিরিয়াল নম্বর থাকবে এবং প্রতি শনিবারেই তা একটু করে তুলে ধরার ইচ্ছা।
আগামী পস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপনাদের অপেক্ষা সার্থক হোক।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভ নববর্ষ
সকল বাঁধা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।
শুন্য শুন্যালয়
এখানে বই পাওয়ার সুযোগ নেই, নিঃসন্দেহে আপনার সব পোস্টের জন্য অপেক্ষা করবো আপু। আপনার এই উদ্যোগ কে শ্রদ্ধা। এই মানুষটিকে আরো আরো অনেক জানতে চাই, ধারন করতে চাই।
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপু। ভালো থাকুন পরিবার কে নিয়ে, আনন্দে থাকুন। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপনার কথা থেকে অবগত হলাম, দেশের বাইরে প্রিয় বই সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য। ভালো লাগছে ব্লগে লিখতে পারার সুবাদে দেশের বাইরের অনেকেই হয়তো পড়তে পারবে। এজন্য ‘সোনেলা’কে ধন্যবাদ। কারন সোনেলা’র মাধ্যমেই আমার প্রথম ব্লগিং জগতে বিচরণ।
সাথে থাকুন।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
তানজির খান
সহমত জ্ঞাপন করছি প্রিয় ব্লগার। আপনার এমন উদযোগ আমেকেও এ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলেছে। শুভ কামনা রইল। আগামী বছরের শুভেচ্ছা রইল।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আগ্রহী হয়ে উঠার কথা জেনে আনন্দিত হলাম। আপনাদের সহযোগিতাই আমার এ কাজটিকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা যোগাবে।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
ব্লগার সজীব
আপনি সবসময়ই দায়িত্বশীল পোষ্ট দেন।অপেক্ষা করে আছি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ার জন্য।আপনার কল্যাণে পড়ার সুযোগ হবে।অবশ্য বইটি আমাদের সবার সংগ্রহে রাখা উচিৎ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপু -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ। দায়বদ্ধতা থেকেই দায়িত্বশীলতা এসে যায়। সবসময় মনের মধ্যে এই কাজ করে আমি আমার দেশকে, সমাজকে তথা মানুষগুলোকে কি দিতে পারছি!
এই অনুভূতিই প্রতি পদক্ষেপে আমাকে তাড়িত করে।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
অপার্থিব
সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ফেসবুক ঝড় যেমন উঠতেও সময় লাগে না , তেমনি হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। ভুল মতাদর্শ ছড়ানোর জন্য ফেসবুকের জুড়ি নেই। লাইকের সংখ্যা দিয়ে লেখার গুরুত্ব বিচার করা হয় যেটা আরো ভয়ংকর। আপনার লেখায় কেউ লাইক দিলে সে যে আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত সবসময় এমনটি ভাবারও কোন কারণ নেই। আদর্শ বা চিন্তাধারা গঠনের জন্য ফেসবুকের চেয়ে ব্লগই তুলনামূলক বেশি কার্যকর কারণ এখানে গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ থাকে। লেখাটি ব্লগের সম্পত্তি হওয়ায় সবাই নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে আলোচনার সুযোগ পায়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, তা হতে পারে। তবে হারিয়ে গেলেও ঝড় কিন্তু তার ছাপ রেখে যায়। আবার এটা ঠিক, ফেসবুকে ভুল মতাদর্শ ছড়ানোতে জুড়ি নেই। তবে এটাও সত্য, এই ভুল আর সঠিকের লড়াই থেকেই প্রকৃত সত্যটা বের হয়ে আসে।
ফেসবুকে যারা সস্তা জনপ্রিয়তা গড়ে তুলতে চায় তাদের ক্ষেত্রে ‘লাইক’ এর গুরুত্ব বেশি। আমি অন্তত ‘লাইক’ এর সংখ্যা দিয়ে লেখার গুরুত্ব বিবেচনা করি না। কিন্তু আমি এটা চাই, লাইক দরকার নেই, কিন্তু পড়ুক আমার লেখা। প্রয়োজনে আমার সাথে বিতর্ক বাধাতে চাইলে আমি তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেই।
আমার টাইমলাইনে সাইলেন্ট বন্ধুর সংখ্যা বেশি। তাদের বেশিরভাগই আমার চেনা জগতের। তারা যে আমার নিয়মিত পাঠক সেটা আমি খুব বুঝি, কারন ইনবক্সে তাদের সাথে আমার কথা হয়। যেহেতু লেখালিখিতে রাজনৈতিক ছাপ বেশি, সেকারনে অনেকেই পড়লেও কোন রেসপন্স করে না।
আবার আরেকটি বিষয়ও আছে, ফেসবুকে এক ধরনের মানূষ যারা ব্লগ বুঝে না আবার ব্লগে আরেক ধরনের মানুষ যাদের ফেসবুকে তেমন যাতায়াত নেই।
আর এজন্যে দু জায়গাতেই আমি পোস্ট দিতে চাই। যতো বেশি মানুষ পড়বে ততো বেশি আমার ধারাবাহিক প্রকাশ সার্থক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
ছাইরাছ হেলাল
যে অসামান্য কাজ হাতে নিয়েছেন তা এগিয়ে নিয়ে যাবেন তা আশা করি।
ফেবুর ব্যস্ততার মধ্যেও যে উদ্যোগ আপনি নিয়েছেন তাতে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল।
যাক, এবার থেকে ওদিকেও নিরব চোখ রাখব।
শুভেচ্ছা আপনাকে নূতনের।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, ফেবু’র বন্ধুতালিকায় যেহেতু সঙ্গী হয়েছেন, নজর তো রাখতেই হবে। আর নিরব কেনো সরব হতে দোষ কি? আপনিও কি সাইলেন্ট ফ্রেন্ড এর তালিকায় স্থান নিতে চান?
-{@ শুভেচ্ছা খ্রিস্টীয় নতুন বছরের।
মরুভূমির জলদস্যু
বইটি এখনো পড়া হয়ে উঠেনি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমি প্রকাশ করা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৪ পর্ব প্রকাশ হয়েও গেছে।
যতো বেয়াহি পড়া হবে, ততো আমার প্রকাশ করা সার্থকতা পাবে।
ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু জানার জন্যে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
প্রকাশ করা শুরু করেছি রে আপু।