কলিং বেলের মিহি সুরেলা শব্দে বিদ্যা দেবীর সাথে রফা করার চেষ্টা বিফল রেখে ঝটতি চাবি নিয়ে গেটের কাছে পৌঁছলাম। চমকে গিয়ে থমকালাম, প্রায় ছ’ফুটি এক ভাকুর্তার (ভয়ের প্রতীক) মুখোমুখি নিজেকে আবিষ্কার করলাম তব্ধা খেয়ে। ফুল প্রুফ হেজাবি। শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে। ‘কী হলো তালা খুলছো না কেন ?’ কথা নেই বার্তা নেই তালা! খুলতে বলে! নেতিয়ে পড়া চাবি খুঁজছি আর ভাবছি,
কে সে? তুমি করে প্রায় হুকুমের সুরে বলে? কুল কিনারা না করতে পারা সত্ত্বেও তালা খুলে ভেতরে আসতে বললাম। ভেতরে এসে নেকাব সরিয়ে গরুচোখা চোখ মেলে আমার ফ্যালফ্যালা চোখে চোখ রেখে মৃদু হেসে জানতে চাইল ‘কেমন আছ???’
বিজলির চমক, বান ডাকা আনন্দে। বয়সের ভারে……ম্লান হলেও ঔজ্জ্বল্যের ঐশ্বর্য হারায়নি নিভাঁজ রূপ-লাবণ্যের সমুদ্র। তিরিশ বছর পর আবার!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
‘সুরাইয়া মেহজাবীন’???????????????????
কলেজের প্রথম বর্ষে ছেলেটি বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো ক্লাস পালিয়ে দূরে দাড়িয়ে থেকেছে শুধু এক-আধবার মেয়েদের কমন রুমের জানলায় মেয়েটিকে দেখবে বলে। দেখেছে সে, দেখা দিয়েছিল বলে। দু’একবার নোটের সামান্য আদান-প্রদান হয়েছিল মাত্র। হয়নি আর কোন কথা। হয়ত কথা হয়েছিল না বলা অনেক কথায়।
সময়ের স্রোতে বিচ্ছিন্নতার নোনা জল কোথা থেকে কোথায় গড়িয়েছে তার হিসাব কেউ রাখে না। রাখিনি আমিও । হয়তে রেখেছে তা কেউ মনের গহীনে না জানিয়েই কাউকে। আর তাই তো আবার দেখা।
এত্ত এত্ত কাল পরে। আচম্বিতে।
_______________________________________________________________
প্রথম পুরুষে লেখার জন্য লেখাটি মিছমিছে ফিক ফিক ফিসকে হাসির আনুকূল্য পাবে। তা পাক, সমস্যা নেই।
চলবে——–
দেখি, নূতন করে কী গল্প ফাঁদতে পারি।
————————————————————
৩২টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
ত্রিশ বছর যে বড্ড লম্বা সময় ….
তবুও থেমে যায় নি দেখা হয়েছে,
চলুক। অতি দ্রুত আপডেট লাগবে, লাগবেই।
ছাইরাছ হেলাল
বানিয়ে লেখা সহজ কাজ নয়!
আচ্ছা, চেষ্টা থাকবে আপডেটের।
জিসান শা ইকরাম
যাক নোটের বহুল আদান প্রদান হয়নি
তাহলে লেখককে আবার কষ্ট করে অন্য গল্প লিখতে হতো
অভিজ্ঞতাহীন প্রেম প্রুম এর গল্প কেমন হতো কে জানে!!
সুরাইয়া মেহজাবীন নামটা পছন্দ হইছে
কেমন একটা সুরা সুরা ঢুলু ঢুলু মাদকতা নামে।
প্রথম পুরুষ এ কেউ কেউ বিশ্বাসও করে ফেলতে পারে
ব্যাপারনা 🙂
লেখা চলমান থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন সেই সময় প্রেম প্রুম এত্ত সহজ কর্ম ছিল না। অবশ্য সুগন্ধি মাখা নোটের আদান প্রদান হলে মন্দ হত না।
প্রেমপত্র পর্ব চালু করা যেত।
সুরাইয়া মেহজাবীন নামটি আমার বেশ পছন্দ। নাহ, ঢুলু-ফুলু কিছু নেই।
গল্প, গল্পই। তা যে পুরুষেই লেখা হোক না কেন।
জিসান শা ইকরাম
হরিণীর মত চোখ না লিখে গরু চক্ষু বলায় প্রমানিত হয়
আপনি বড়ই রসকসহীন—-
ছাইরাছ হেলাল
হরিণীর মত চোখ না লিখে গরু চক্ষু বলায় প্রমাণিত হয়
আপনি বড়ই রসকসহীন—-
তা আপনি ঠিকই ধরেছেন।
হরিণীদের সাথে দেখা হয়নি, তাই সে চোখের বর্ণনা অজানা।
আশা জাগানিয়া
ছফুট লম্বা নারী তো বিশাল এক নারী।পৃথিবীটা আসলে ছোট।দেখা হয়ে যায় যে কোন ভাবে।আর মনের গহীনে কিছু থাকলে তো কোন কথাই নেই।
এমনি ছোট ছোট গল্প চলুক,অপেক্ষায় থাকি আমরা।
ছাইরাছ হেলাল
গপ্পে ছ’ফুট কোন ব্যাপার না, দশ-বারো ফুটের ও হতে পারে।
মন ই নেই, তার আবা গহীন।
চেষ্টা চলবে চালু রাখার।
স্বপ্ন
আর একটু ডিটেইলস দিলে হতোনা? নাকি এর মাঝেই ডিটেইলস আছে? গল্পের বর্ননায় অভিনভত্ব 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মহাকাব্যের ঢং নিয়ে মাঝ থেকে শুরু করলাম।
মন দিয়ে পড়লে ডিটেইলস এখানেই পাওয়া যাবে।
ভিন্নতার চেষ্টা চলছে।
স্বপ্ন
মন দিয়েই পড়লাম আবার।চেষ্টা চলছে বুঝবার 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
সীমান্ত উন্মাদ
ভালো শুরু গুরু, চলছে চলুক, গল্প ফাঁদতে ফাঁদ পাতুন।
গরু চোখ উপমা বেশ ভালো লাগছে, উন্মাদীয় উন্মাদনা আছে কিন্তু। কারন উন্মাদ না হইলে কেউ প্রেমিকার চোখের উপমা গরুর চোখের সাথে তুলনা করে না।
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
চলবে বলেই আশা রাখি। এমন উপমা আরও আসতে পারে , তৈরি থাকুন।
লীলাবতী
প্রথম পুরুষে লেখার জন্য লেখাটি মিছমিছে ফিক ফিক ফিসকে হাসির আনুকূল্য পাবে।পাবে মানে, পেয়েছে পেয়েছে :D:)
আমরা অবশ্য বলবো না,ঠাকুর ঘরে কেরে……… আমি কলা খাইনা 😀
ছাইরাছ হেলাল
বেশি হাসা ঠিক না। রোজা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ঠাকুরের ঘরই নেই, ক্লার প্রশ্নই আসছে না।
দেখি পরের পর্বে কোথায় গিয়ে থামে।
খেয়ালী মেয়ে
‘সুরাইয়া মেহজাবীন’?—দেখা দিয়েছিল বলে দেখেছিল ছেলেটি, কিন্তু তিরিশ বছর কোথায় সে ডুব দিয়েছিলো জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি….
ছাইরাছ হেলাল
সে হবে ক্ষণ, তবে এখনকার কথা আগে শুনুন।
লীলাবতী
শিরোনামই তো বুঝলাম না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এখানে লেখক নিজেই সম্পর্কটি সম্বন্ধে সন্ধিহান।
এটি কী প্রেম না বন্ধুত্ব বা এর থেকেও কিছু বেশি তা আপনারাই নিরূপণ করুণ।
অনিকেত নন্দিনী
“কলেজের প্রথম বর্ষে ছেলেটি বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো ক্লাস পালিয়ে দূরে দাড়িয়ে থেকেছে শুধু এক-আধবার মেয়েদের কমন রুমের জানলায় মেয়েটিকে দেখবে বলে। দেখেছে সে, দেখা দিয়েছিল বলে” – দেখাই যদি দিয়েছিল তো ত্রিশ বছরের জন্য ডুব দিলো কেনো তা জানতে চাই। জলদি জলদি আপডেট চাই।
ছাইরাছ হেলাল
মন দিয়ে পড়েছেন দেখে আনন্দ বধ করছি।
এত দিন কেন ডুব দিয়ে ছিল এ প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক। ভেবে দেখি কই ভাবে এগিয়ে নেয়া যায়।
তবে এখন একটু বর্তমানেই থাকব । ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
পয়েন্ট টু বি নোটেড ইয়োর অনার ” হয়তে রেখেছে তা কেউ মনের গহীনে না জানিয়েই কাউকে।” হিসেব 30 বছর ধরে জমিয়ে রাখলে সুদে আসলে কত হবে তার হিসেব আছেতো ভাইজান? গরুর চোখ তো নাকি সাংঘাতিক মায়াবী, আর ইয়া বড়, তাই ভাকুর্তা বলুন আর যাই বলুন প্রেমিক বা বন্ধু হিসাবে আপনাকে পিলাস ই দিলাম। জলদি বা তাড়া সবার মত আমারও আছে। সত্যি বলছি ফিক ফিকে ফিসকে হাসি কিন্তু হেসেছি। ফাঁদে ফেলে গল্পের কি দফারফা করলেন দেখি এবার।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন অংকে বরাবরই কাঁচা, জমা-খরচের হিসেবে অপটু, বুঝতেই পারছেন লেজে-গোবরে অবস্থা।
গরুচোখা চোখ আপনার কাছে যতই মায়াবী হোক না কেন (জানিনা মন দিয়ে চোখের কাছে চোখ নিয়ে দেখছেন কিনা) আমি খুব ভয় পাই। আমাকে ভয় দেখায় অপলক চেয়ে থেকে।
হাসতে কোন মানা নেই, তবে গল্পের গরু গাছে চড়ে,আকাশে হেঁটে ও ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়।
চলবে……………
প্রজন্ম ৭১
অচেনা কাউকে ঘরে ঢুকতে দেয়া ঠিক না 🙂 পরের পর্ব কবে পাব?
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিকই বলেছেন, তবে অচেনার মাঝেও অতিচেনা যে থেকে যায়।
আসবে পরের পর্ব।
শুন্য শুন্যালয়
কেমন আছ র উত্তর পেতে আমাদের আরো 30 বছর অপেক্ষা করতে হপে।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, অতটা অপেক্ষা করতে হবে না। মেঘ কেটে গেলেই পেয়ে যাবেন।
পারভীন সুলতানা
বেশ সুন্দর শুরু……………………আরেক্টু এগিয়ে নিয়ে যান । আমরা সুন্দর একটা গল্প পড়ি । ভাল লাগলো ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে। এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থাকবে, তবে এমন লেখায় আমি অভ্যস্ত নই।
এই প্রথম লিখলাম। লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
অরুনি মায়া
তিরিশ বছর পরেও যে মুখ এক পলকেই চেনা যায়, যার স্মৃতি অমলিন ,সে অবশ্যই হৃদয়ের অনেকাংশই দখল করে আছে |
বেঁচে থাক প্রেমের বন্ধুত্ব,বন্ধুত্বের প্রেম
ছাইরাছ হেলাল
বন্ধুত্বের প্রেম বলেই হয়ত বেঁচে থাকে অনন্ত কাল।
তাই, অচেনা ও নয়।