ইদানীং লেখা খুব-ই মন-কষ্ট মন-যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে, কত যে চোখের-জল নাকের-জল
মুখের-জল ও অন্যান্য নানাবিধ জলে জলারণ্য হয়েছে সে হিসেব কেউ রাখেনি, রাখেও না। কারণ তেমন কিছুই-না,
সে নাকি ল্যাক্তে-ট্যাক্তে পারছে-না (লেখা কী এমুন দরকারি জিনিস যে হেইয়া লাগবেই!! তা বোধের অগম্য); কিন্তু এ-তো এমন হতেই পারে, হয়-ও, রাইটার্স ব্লক নামক কথাটি বিজ্ঞ জনেরা বলেই থাকেন (তেনারা বলেই খালাস)। কে শোনে কার কথা! এখানের এখনকার বিশিষ্ট/নিবিষ্ট লিখিয়েদের কাছে তাকে নাকি খুবই ক্ষীণ -বস্ত্র ভুখা-নাঙ্গা হাড়-জিরজিরে লিকলিকে-ফিনফিনে মনে হচ্ছে! আজব মনে হলেও ঘটনা এমন-ই। তাই লেখা ভাবছে……………।
কিছু একটা রফা করতেই হবে সে যে-ভাবেই হোক, যেন তেন প্রকারেই হোক, ছোরে-গা নেহি অবস্থার পণ। এখানেও সমস্যা, সে তো কেষ্টু-বিষ্টু কেউ না, যে ছিট্টি বাজালেই লেখারা হামলে পরে জড়িয়ে-গড়িয়ে-পড়ে আঁশটে পিষ্টে বেঁধে ফেলে ঝর-ঝর করে লেখা বেরিয়ে আসবে! সোনেলায় লিখে-টিখে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলবে! কিন্তু কিছুতো একটা করতেই হবে, লেখা সখ্যতার জন্য।
ভাবছে, লেখা মোটাতাঁজা প্রকল্প নিলে কেমন হয়! উহ্, যা ভাবছেন ব্যাপারটি তেমন না,
সে রকম-ও না। লেখাদের পাছা উদোম করে কাউ সট (গরুর ইনজেকশন) দিয়ে দিল আর গুরগুর করে ভুরভুর করে দলে দলে লেখারা বেড়িয়ে এলো এমন-ও না, অবশ্য এমন করে লেখা এলে-তো ভালই, কিন্তু কাউ ডাং বের হয়ে আসার প্রভূত সম্ভবতা বাতিল তো করা যাচ্ছে না।
এক কাজ করার কথা আমরা ভাবতে পারি বা লেখাকে ও ভাবতে বলতে পারি। একটি
প্রেরণা যোগার করতে পারলে মন্দ হয় না, লেখা নিজেও উৎরে গেল আমরা ও (যদি কারো লাগে জানি লাগবে না)
নানান ঠেকে বেঠেকে ধার-কর্য নিলাম।
ঠিক আছে এই কথাই রইল, আসুন আমরা সবাই কায় মন বাক্যে ঊর্ধ্বমুখ হয়ে কিছু আবেদন নিবেদন পাঠাই দোয়া খায়ের করি উপরে। যদিও আমি বাদে আপনাদের ঈমান আমানের যা অবস্থা তাতে হিতে বিপরীত হলেও অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই। অবশ্য বলছি না গন-কান্নার আয়োজন বৃথা হয়ে যাবে। আসুন আমরা চেষ্টা জারি রাখি।
অবশেষে অনেক কাঠ-খড় বা খড়-কাঠ পুড়িয়ে-টুড়িয়ে যজ্ঞের আয়োজন করা শেষে অবশ্য আগে খড় না আগে কাঠ তা নিয়ে-ও বিস্তর কানাঘুষা পার করতে হয়েছে। রেস্তর অভাবে গাওয়া ঘি পোড়ানো সম্ভব হয় নি। ধরে নিলাম, প্রেরণা কে পাওয়া গেল।
এখানে কিঞ্চিত ভজঘট লেগে গেছে, প্রেরণার লিঙ্গ কী, পুং হলে ব্যবস্থাদি এক রকম, আবার স্ত্রী লিঙ্গ হলে অন্য রকম হাডিবুডির ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রেরণা শব্দটির মধ্যে কীরাম যেন একটি স্ত্রী-লিঙ্গের হাবভাব বিদ্যমান। পুং হলে যে কিছু পাওয়া যাবে-না বা নেব না এমন না। আবার কপালে খারাবি-ও জুটতে পারে, তাই বলে তো থেমে থাকা যাবে-না, ঠিক-ও না।
মনে পড়েছে একটি ঘটনা যা না বল্লেই না। খোঁজা চলছে হন্য হয়ে, যে করেই হোক প্রেরণা কে চাই-ই। গেঁয়ো পথে হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে লেখা দ্যাখে, একটি লোক মন দিয়ে দেখছে সুন্দর দুধেল গাইয়ের মাটি ছুঁই ছুঁই ভারী দুধে বকনা বাছুরটি লেজ উচিয়ে মনের আনন্দে দুধ খাচ্ছে, লোকটি এই দৃশ্য সহ্য হলো না, এই সামান্য পিচকে গরু সে কী করে এই হীন কাজ করতে পারে, রাগে গর গর করে সে কুট্টি বাছুড়টিকে বেঁধে ফেলে নিজেই দুধ খেতে এগিয়ে গেল……………… এর পর শুধুই ইতিহাস। শুধু চাপা গোঙ্গানীর শব্দ আর তার নিম্ন-বস্ত্রটি গাভিটির শিঙে হাওয়ায় দুলতে দেখা গেছে। লেখার কাছ থেকে শোনা, একটুও মিশেল দেইনি বিশ্বাস রাখতে পারেন।
শেষের শেষে কোন এক সুবেহসাদেকে লেখা পৌছে যায় প্রেরণার দোর গোড়ায় বিমূর্ত প্রকরণের মিশেলে স্বহননেচ্ছার কষ্ট কল্পনায় ভর করে, সুগন্ধ উদ্দীপিত, সুগন্ধে উদ্দীপিত গভীর বনানীতে, খুব গভীরে পৌছার আগেই গ্রীবা বাঁকিয়ে খুব-ই কিউট ভঙ্গিতে জাদুময়তার সহবতে বুদবুদের মিহি ধ্বনি তুলে লাপাত্তা চোখের নিমিষে উদাও হয়ে যায় প্রেরণা!
লেখার প্রাণ জুড়ে জেঁকে বসে সুবৃহৎ দ্বান্দ্বিক বিষাদ!
করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে, লেখা হাল ছাড়ে না, ল্যাখা-ল্যাখির প্রেরণা তার চাই-ই!!
চলিবে……………………
২৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আমার কিন্তু একটা প্রেরনা লাগবেই লাগবে,
প্রেরনা না হইলে লেখে কেমনে?
সিং এর গুতা খাইতেও রাজি আছি, আমার প্রেরনা চাইই চাই।
ছাইরাছ হেলাল
তা লাগতেই পারে, লাগুক,
প্রেরণা ছাড়া সবাই লিখতে পারে না।
আপনি সাহসী লুক তাই গুতায় রাজী হইছেন’
তবে সাবধান এফোঁড়-ওফোঁড় না হয়ে যায়।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমিও প্রেরনা প্রেমি!!!!!
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা জেনে নিলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
হায়রে কি কপাল !কেউ ল্যাখা লেখির জন্যে প্রেরণা রে খুজে,,আর বাকিরা খুজে প্রেমে।কেউ আবার শিঙ এর গুতো খেতেও রাজি।যদিও প্রেরণার লিঙটা এখনো ক্লিয়ার না,তারপরেও। আচ্ছা,তাহলে আমি আর কিছু চাওয়া থেকে বাদ যাবো কেন।আমি চাই অণুরাগ।অণুরাগকে পেলে আমিও লেখা মোটাতাজা করন পদ্ধতিতে অংশ নিবো।😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি লেখক, তাই তেমন খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন পরে-না, তারপর-ও
অনুরাগের দিকে ধেয়ে যেতে চাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার যন্ত্রণাও নিতে চাচ্ছে,
দেখা যাক জলের-নদী কোথায় কোথায় যায়, কোথায় গিয়ে হারায়!
বোধ করি তাঁজা-করণ প্রকল্প আপনার লাগবে না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
অণুরাগ আর প্ররণা ছাড়া “কাসৌটি জিন্দেগী কি” দেখতে একদম ভালো লাগবে না।ছেলেরা প্রেরণাকে চাইবে আর মেয়েরা অণুরাগকে।এটাই স্বাভাবিক। 😀
আমি লেখক হতে চাই।আমার লেখাগুলোকে মোটা তাজা করতে চাই,,এতেও আপনার আপত্তি !!মনে দুঃখ পেলাম।যাই এক গ্লাস পানি খেয়ে টিভিতে “কাসৌটি জিন্দেগী কি” সিরিয়াল দেখি।আজ প্ররণার গায়ে হলুদ ঐ শয়তান প্রতারক নবীন বাবুর সাথে।অণুরাগ এখন কি করবে দেখতে হবে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
লেখক/কবিদের আমি খুব হিংসে করি, করতেই থাকব;
আর ভাবতে থাকবো এরা এসব লিখে কী করে!! নিজে তো ল্যাক্তে পারি না।
দেখা যাক প্রেরণা/ অনুরাগ কোথায় গিয়ে কার সাথে দাঁড়ায়!!
আপনিও সিরিয়ালি!!
সাবিনা ইয়াসমিন
অণুরাগ আর প্রেরণা কোথায় গিয়ে কই দাঁড়াবে সেটা জানতে হলে আপনাকে ক্রমাগত সিরিয়াল দেখতে হবে।এতো সময় আপনার হবে কি তাই ভাবছি। ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপাতত মাফ করে দিন লেখক/কবি!!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হা হা হা খুজঁতে থাকেন পাইলে আমারে খবর দিয়েন আমি ধার নেবো তবে অপরিশোধিত।চমৎকার গদ্য লেখাটি।আপনি গদ্যে পদ্যে সমান পারদর্শী।আপনার জন্য শুভকামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
খোঁজা খুঁজি চালু থাকবে, কিন্তু পাওয়া যাবে কী না তা নিশ্চিত নই।
পেলে ধার নয় শুধু যে যেমন চাইবে সে রাজি থাকলে সবাই পাবে,
পাওয়াই উচিৎ।
আপনাকেও অভিনন্দন।
তবে ‘পারদর্শী’ শব্দটিতে কিঞ্চিত আপত্তি জানাচ্ছি।
এমন লেখা আমার জন্য একটু কঠিন বৈকি!!
চালু রাখার চেষ্টা থাকবে, আপনাদের দোয়ায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার মনের কথা লিইখ্যা দিলেন? এক্ষণে বুঝিলাম যে আপ্নে আমারে খুব বেশিই বুঝেন। আমারেও একটা প্রেরণা, পিলিজ লাগে।
চলিবে’র পরের অংশে পাঠাইয়েন কিন্তু! অপেক্ষায় এই বসিয়া রহিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনের মনের কথা আমি ছাড়া আর কে জানবে!!
বেশি বুঝতে দেন বলেই না ইট্টু বুঝি!!
শুনুন আমার জন্য কঠিন পরিশ্রমের কাজ এটি।
আপনি যখন বলছেন (হুকুম) পরেরটুকু অবশ্যই দিতে চেষ্টা করবো!!
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টার আর কদ্দুর!?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো বলেই খালাস,
এ লেখাটি কিন্তু বেশ জটিল উপস্থাপনায় ছিল;
তাছাড়া এমন লেখায় অভ্যস্ত-ও না।
আসলে কাছে থেকে দেখা একটি জীবন কে নিজের মত করে লেখার চেষ্টা চলছে,
যদিও থেমে থেমে, তথ্য উপাত্ত সব পাইনি এখন, স্বাধীনতার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত।
জানিনা সব টুকু লেখা হবে কী-না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে দিয়ে সম্ভব। আমার মতো আলসে তো আপনি না!
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, খুব কঠিন কাজ,
তথ্য উপাত্ত যোগার করতে পারছি না!!
দেখি কি হয়।
রিতু জাহান
আমার লেখার প্রেরণা কিন্তু আমি খুঁজে পাইছি এই সোনেলা উঠনে। নাম কিছু তা গোপনই থাক।
লেখায় ব্যস্ততা তা কি লেখকের দোষ?
লেখক নই তাই বলতে পারলাম না। বোধহম্য কিছুই হইলো না। উর্ধমুখী হয়ে তাইলে দোয়া খয়রাতই করতে থাকি। যদি লেখক হইবার পারি।
প্রেরণা যাদের পাইছি তারাও মাঝে মধ্যে ডুব মারে। কি আর করা! তখন নিজেরে কই চুপ থাক রিতু, তোকে দিয়ে লেখা হইবে না আর।
গুরুজি যদি একটু সদা কৃপা করে তবেই খয়রাত দিলে কিছুটা কাজটাজ হইতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে!!
আপনি- তো মহা ভাগ্যবতী প্রেরণা পেয়ে গেছেন,
যারা কিছুই পায় না, ল্যাক্তেও পারে না তাদের কী হবে তাই ভেবে দেখুন!!
ডুব মারে না, ডুবে যায়, তখন তাদের তুলতে হয়!!
কে কে বলছে লেখা/টেখা হবে না তাদের নাম বলে দিন,
ডাইনী চিকিৎসা দিয়ে ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করে দেব!!
মায়াবতী
বেশ কিছু দিন সোনেলায় আসা হইনি আর এই ফাঁকে কবি সাহেব এর এই কি রুপ দেখছি! বাব্বাহ এতো কিছু প্রেরণা কে নিয়ে!!! টম এন্ড জেরির এই প্রেরণা মুলক খেলা টা তো ভাল ই খেলেছেন!
কবি গুরু আপনি তো সব কিছু লেখার ও গুরুজন! যত ই আপনার লেখা পড়ি তত ই যেন শুধু প্রেরণা কে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আরও বেশি করে বেশি বেশি বলুন,
কুইন(?) বললে শুনতে ভালই লাগে।
প্রেরণাকে ছুঁয়ে যাওয়া বা প্রেরণা আপনাকে ছোঁয়া দেয়া চালু রাখুক,
দূরে দাঁড়িয়ে শুধুই দেখতে থাকি,
দেখা শেষ পর্যন্ত লেখা প্রেরণার দেখা পায় কী-না!!
রূপ আর দেখাতে পারলাম কই!!
অ-রূপের ধাঁধাঁতেই আটকে রয়ে গেলাম যে!!
মায়াবতী
:D) হাসি থামাতে সময় লেগেছে কবি গুরুয়া
ছাইরাছ হেলাল
হাসি খুব সংক্রামক! সাবধানে সামলে রাখুন!! ম্যাম-কুইন!!
দাঁত খুলে আগলে রাখুন, আড়ালে-হারালে খুঁজে-পেতে বিড়ম্বনার এক-শেষ হতে পারে!!