
এ ক্ষণিক জীবনের যাপনে সারাক্ষণ হ্যাঁ বা না এর নিদারুণ টানাপড়েন, করবো কী করবো-না, যাবো কী যাবো-না, এটা ন-কী ওটা,
খাব কী খাব-না, খেলবো কী খেলব-না, ঘুমাবো কী ঘুমবো-না, নিরামিষ ব্লগ না-কী মজা-মজা ফেসবুক, মেসেঞ্জার না হটসএ্যাপ,
ভিডিও না অডিও, এফোঁড় না ওফোঁড়, জেণ্ডার না ট্রান্স জেণ্ডার , ফেক না অরিজিনাল , বাবু খাবা না খাওয়াবা, এমুড়া না ওমুড়া,
এসপার না ওসপার;
এই সম্ভব-অসম্ভব সব দু’য়ের মধ্যে হাবুডুবু, কোঁখে রাখা কোঁ কোঁ চেপে!!
আদিখ্যেতা আর গোঁজামিলের এ জীবন;
নিরন্তর এই ভাগ দৌড়ের সমারোহে বিবেকের সন্দিহান থতমত অট্টহাসির মগ্নতা,
ভাষা শূন্য বিশুদ্ধ মনো-দেশের অলিতে গলিতে ঘুরপাক খায়, শুদ্ধতার মোহে ,
শুদ্ধতার খোঁজে;
প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প/ঘূর্ণিঝড়ের শেষেও শব্দ-ভীরুতা নিয়ে অতীন্দ্রিয়তার দিকে
চোখে চোখ রেখে ভাবি, জীবিত না মৃত এই সময়ে।
সহসা যদি দৈব এসে এক ফুৎকারে সব-সব নড়নড় নগ্নকান্তি নাঁচ-কোদনের না-গুলোকে প্রচণ্ড হ্যাঁ করে দেয়,
নিমেষ-পলকের ফুস মন্তরে,সব ফুল-ফল গুলোকে ত্রিগুণ/চতুর্গুণ করে দেয়, হি হি হা হা গুলোকে, নাকিকান্নাগুলোকে-ও!!
তখন এই ধ্রুব সত্যদের লইয়া আমরা কী করিবো!! কোথায়-ই-বা যাইবো!!
এই প্রথম একটু হিমের কুয়াশা-শিশির সকালে?
ছবি নেটের।
২২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
আদিখ্যেতা আর গোঁজামিলের জীবনে
হিম শীতল সকালে
মহারাজের নজর কাড়া
রম্য পড়ি সকলে।
ভালই হলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ছন্দায়িত মন্তব্য পড়ি শিশিরের এই হিম সকালে।
ভাল থাকবেন আপনি এই হেমন্তে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথম হিম- কুয়াশা-শিশিরে মাথা দেখি খালি ঘুরছে এমুড়া না ওমুড়া!! আদিখ্যেতা আর গোঁজামিলের জীবন এভাবেই চলছে, চলবে । মহা নবমীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
বিসর্জনের কাঁদো কাঁদোর মিহি সুরে আপনাকেও মঙ্গল শুভেচ্ছা।
গোঁজামিল আর আদিখ্যেতার মিশালে।
ভাল থাকবেন আপনি।
খাদিজাতুল কুবরা
যাক রম্যতে ও আমাদের মহারাজের সমান দখল।
পড়ে মজা পেলাম। সত্যি তো ব্লগ না ফেসবুক!
কয়েকজনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আনলাম দু’একটা লেখা দিয়ে কি জানি কি হলো ফেসবুক নিয়ে পড়ে আছে।
ব্লগে ধরে রাখতে পারলামনা।
রম্য হলেও কথাগুলো নিদারুণ সত্যি। জীবনটা সত্যি গোঁজামিল ছাড়া কিছু নয়।
ছাইরাছ হেলাল
যখন যা মনে আসে তাই লিখি, তাই-ই লিখি। আদিখ্যেতা ছাড়াই। অবশ্য গোঁজামিল দেই/আছে।
জোর করে আসলে কাউকে ধরে রাখা যায় না। আপনাপন ঠিকানায় ফিরে যায়।
বাঁক বদলের জীবনে সিব কিছুই কেমন যেন এলোমেলো, তবুও জীবন তো এই একটাই।
সুন্দর করে বলার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ, যা আপনি সব সময়ই বলেন।
রেজওয়ানা কবির
শুধু বলতে চাই আমরা সবাই এই হ্যা আর না এর মাঝেই সীমাবদ্ধ। হ্যা/না শব্দ ইজি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বটে। একটা হ্যা জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়, আবার একটা না জীবনকে এক নিমিষেই বিষিয়ে দেয়। হিম কুয়াশার শিশিরেই আপাতত গা ভিজাই। শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের কোনটি যে হ্যাঁ আর কোনটি যে না তা বুঝতে বুঝতেই জীবনের রাত চলে আসে।
তবুও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে, আমরা শধু দেখি আর দেখি।
হেমন্তের শুভেচ্ছা আপনাকে -ও।
সঞ্জয় মালাকার
এ ক্ষণিক জীবনের যাপনে সারাক্ষণ হ্যাঁ বা না এর নিদারুণ টানাপড়েন, করবো কী করবো-না, যাবো কী যাবো-না, এটা ন-কী ওটা,
দাদা, শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো /
ছাইরাছ হেলাল
এই হ্যাঁ আর না এর টানাপোড়ন নিয়েই জীবন।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
শান্ত চৌধুরী
শুভ কামনা সতত
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
উর্বশী
বেশ ভাল লাগলো পড়ে। জীবন তো টানাপোড়েনের বেড়াজাল। তার থেকে নিস্কৃতি পাওয়া তো অনন্য উপহার হবে।
এর মাঝেই পথা চলতে হয়,সবাই হয়তো প্রয়োজন বুঝেই কাজ করে চলে।অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
এই হ্যাঁ আর না থেকে বেরিয়া আসার কোন পথ জানা নেই।
তবুও এটাই আমাদের চলার পথ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শামীম চৌধুরী
রম্য তো নয় যেন মনের দোলা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নিয়মিত পড়ছেন দেখে আনন্দিত, ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
যাবার জায়গা নাই। তাই সকালে হিম হিম কুয়াশায় আবছা আলোয় নিজেকে খুঁজি। সবই তো বদলে যায়।
” পৃথিবী বদলে গেছে, তবুও নতুন লাগে। “
ছাইরাছ হেলাল
বদল ই জীবনের নিয়তি, আমরা বুঝি বা না বুঝি। আর এর মধ্যে হারিয়ে যেতে যেতেই নিজেদের খুঁজি।
এই নতুনত্ব আমাদের সামনে এগুবার পথ দেখায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৌহিদ
হ্যা না এর পার্থক্য বোঝা খুবই মুশকিল। ভোরের প্রথম কুয়াশার মতই গম্ভীর আর রহস্যময়।
শুভকামনা ভাইজান
ছাইরাছ হেলাল
এটি আসলেই আমার কাছে কঠিন একটি ব্যাপার বুঝতে পারা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আপনাকে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দেরী হয়ে গেল হিমকুয়াশাময় কবিতা পড়তে। ভালো লাগলো শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
হঠাৎ কুয়াশায় একটু দেরী হতেই পারে, আপনি নিয়মিত পড়েন ,
অনেক ধন্যবাদ, দিচ্ছি।