
প্রথম দেখাতেই প্রেম! যাকে আমরা বলি Love at first sight এটি আসলে কি? একটি গবেষণা বলেছে এটি সম্ভবত ক্ষণিকের মোহ ছাড়া আর কিছুই নয়। সত্যিই কি প্রথম দেখায় প্রেম বলে কিছু আছে? চলুন জানার চেষ্টা করি।
ধরুন আপনি একটি ঘরে প্রবেশ করেই থমকে গেলেন। দেয়ালে বিপরীত লিঙ্গের কারও ছবি দেখে আপনি উদ্বেলিত হলেন। আতশবাজির মত আপনার মনে ঝলকানি এলো। আক্ষরিক অর্থে এটি ঠিক ভালোবাসা নয়। আপনি ছবিটির যে মানুষটিকে দেখে তৎক্ষণাৎ তাকে ভালোবেসে ফেললেন সেটি আপনার মনে দীর্ঘদিন লালন করা প্রেমিক/প্রেমিকার অথবা মনের চাওয়া/পাওয়ার প্রতিচ্ছবি। প্রথম দর্শনে যে দুর্দান্ত ভালবাসা ( LAFS- love at first sight) আপনি অনুভব করেন মনে রাখবেন, সেটি আসলে আপনার দীর্ঘ অপেক্ষার একটি প্রতিচ্ছবি। যা পুরোপুরি একধরনের রোমান্টিক কমেডি দ্বারা আপনার অবচেতন মন দেখতে চেয়েছে এবং ছবিটি দেখার পরে তা আপনার মনে লালিত দীর্ঘ কামনারই প্রতিফলন হিসেবে এটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এতো গেলো ছবির কথা। এখন আসুন একটু অন্যভাবে চিন্তা করি। আপনি রাস্তায় হাঁটার সময়, রিক্সা যাত্রায়, পার্কে হাটাহাটি করার সময়, পার্টি, আড্ডায় কিংবা কারো মাধ্যমে একজনের সাথে পরিচয় হতেই তাকে হুট করে আপনার ভালো লাগলো। আপনার মনে হলো আরে এইতো সেই যাকে আপনি এতদিন খুঁজেছিলেন! আপনি বিবাহিত বা অবিবাহিত যেই হোন, এমনটা হতেই পারে।
আবার হালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অন্যলাইনে মন্তব্য আদানপ্রদান করতে করতে তা চ্যাটিং এর দিকে ধাবিত হওয়া এবং ধীরে ধীরে তাকে আপনার ভালোলাগা; এটিও কি ভালোবাসা? অথচ এক্ষেত্রেও আপনি বিবাহিত বা অবিবাহিত হতেই পারেন। তাকে দেখামাত্র বা অদেখা থাকা অবস্থাতেও আপনার মনে ভালোবাসার নতুন নতুন সংজ্ঞা উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। আপনি যদি মনে করে থাকেন সেটি ভালোবাসা, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এটি ক্ষণিকের মোহ ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনি যদি বোকা না হন বা মানসিক অবসাদগ্রস্ততায় না ভোগেন তাহলে এটি যে একধরনের মোহ তা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে।
ভালোবাসার কথা ভাবাটা আসলে রোমান্টিকতারই একটি অংশ। যদিও এটি অদ্ভুত শোনায় তবে মনের ভাব আদানপ্রদান করাটা আপনার মনের কামনা, বাসনা বা সাধারণ শারীরিক আকর্ষণের সাথে সবসময় সম্পর্কযুক্ত নাও হতে পারে। সত্যিকারের প্রেমের তুলনায় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সাময়িক মোহ অনেকসময় আপনার মনকে একধরনের রোমান্টিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করে। এটি স্বাভাবিক, দোষের কিছুই নয়। তবে সমস্যা হয় তখনই যখন আপনি এই মোহকে ভালোবাসা মনে করে স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিবোধ লোপ পেয়ে কিছু অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড করেন এবং এটি যে ভুল তা বোঝার মত ক্ষমতাও আপনি হারিয়ে ফেলেন।
প্রথম দেখায় ভালোবাসা বা love at first sight এটির সত্যই কোন উপস্থিতি রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে এখনও তেমন কোন বৈজ্ঞানিক তদন্ত যাকে বলে গবেষকদের পরীক্ষাগার গবেষণা হয়নি। তবে এ বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য তারা একটি অনলাইন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তিনটি ডেটিং ইভেন্ট সহ মোট তিনটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছিলেন যার মধ্যে একটি স্পিড ডেটিং ইভেন্ট ছিল। তারা প্রায় ৪০০ অংশগ্রহণকারীদের সাথে কাজ করেছিল যাদের বেশিরভাগই ডাচ এবং জার্মান শিক্ষার্থী ছিলো। তারা অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে love at first sight এর অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা জানার জন্য শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তারপরে তারা যে বিষয়গুলি খুঁজে পেয়েছিল তা হচ্ছে শারীরিকভাবে আকর্ষণ, প্রতিশ্রুতি এবং আবেগের প্রতিফলন।
পরীক্ষাগুলিতে দেখা গেছে যে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩২ জনই ৪৯ বার love at first sight এর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন (যার অর্থ বেশিরভাগেরই এই অভিজ্ঞতা হয়নি)। তবে প্রতিশ্রুতি এবং ঘনিষ্ঠতার মতো ভালবাসার নির্দিষ্ট অংশগুলির সাথে এর (প্রথম দেখাতে প্রেম) কোন সম্পর্কই নেই।
গবেষকরা গবেষণায় লিখেছেন- ” প্রথম দেখাতে প্রেমের অভিজ্ঞতাগুলি উচ্চ আবেগ, ঘনিষ্ঠতা বা প্রতিশ্রুতি দ্বারা চিহ্নিত করা যায়না। শারীরিক আকর্ষণই এর অন্যতম একটি কারন। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে – প্রথম দেখাতে প্রেম বিষয়টি প্রেমের আলাদা কোন স্বতন্ত্র রূপ নয়, বরং এটি একটি প্রাথমিক আকর্ষণ যা কিছু লোক প্রথম দর্শনের, মুহুর্তের বা পূর্বপরিকল্পিতভাবেই নিজের love at first sight হিসেবে চিহ্নিত করতে ভালোবাসে।”
গবেষকরা এর অর্থ ব্যাখ্যা করলেন এভাবে যে- অনেক লোক তাদের নিজস্ব সফল সম্পর্কের ( প্রতিশ্রুতবদ্ধ সম্পর্ক) সাথে অপর একটি love at first sight লেবেল সংযুক্ত করে। কারন “দম্পতিরা তাদের সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য অবচেতন মনের হাতছানিকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পছন্দ করে।” সম্ভবত তারা সরাসরি তাদের সঙ্গীকে উদ্দীপক বা হটি হিসাবে বিবেচনা করেছিল এবং স্পষ্টতই তাকে তারা আরও ভালভাবে জানতে চাইত। যখন সেখানে সে নিজেকে নিস্ফল মনে করে তখন প্রত্যেকেই এই তাৎক্ষণিক সম্পর্কটিকে যার সাথে স্থাপন করতে চায়। এটি সাধারণত মস্তিষ্কে হরমোন নিঃসরণকৃত লালসা ও শারীরিক আকর্ষণ সম্পর্কিত একটি জৈবিক প্রতিক্রিয়া।” কাজেই প্রথম দেখাতেই ভালোলাগা বা ভালোবাসা এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারনা এবং নৈতিকতা বিবর্জিত একটি কাজ।
“কাউকে সত্যই ভালবাসতে হলে আপনাকে তার সম্পর্কে জানতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসার উদ্দেশ্যগুলি বুঝতে হবে, তাদের মূল্যবোধগুলি সম্পর্কে শিখতে হবে। তারা বিশ্বকে কীভাবে দেখে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলি জেনে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী প্রেমের দিকে নিজের পরিচালিত রসায়ন এবং সংযোগগুলি স্থাপন করতে হবে। এটাই হচ্ছে ভালোবাসা। এর বাইরে যা কিছু আকর্ষণ সেটা সাময়িক বা ক্ষণিকের মোহ ছাড়া আর কিছুই নয়।”
নিজের জীবনসঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, আপনার চাওয়া-পাওয়াগুলিকে তাকে বুঝতে দিন। তবেই আপনি মনের মত একজন জীবনসঙ্গী পেতে পারেন। মনে রাখবেন, ভালোবাসা একটি আদর্শের দ্বারা পরিচালিত হয়। সাময়িক মোহে যে ভালোলাগা সেটি আদর্শগত প্রেম হতে পারেনা। এই মোহের ফাঁদে পা দিলে আপনার জীবনে জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না।
————
* তথ্যসূত্র- লেখায় নীল কালিতে হাইলাইট করা হয়েছে।
** ছবি- নেট থেকে নেয়া।
৩১টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
আসলে প্রেম ভালবাসা এ সংজ্ঞা হয় না তবে আমি মনে করি প্রেম হলো দুই জন মিলে যে ভালবাসার সৃষ্টি হয় তাই প্রেম
আর ভালবাসা মানে নিজস্ব গতি আপনে ভালবাসাও পারেন নাও পারেন——————-
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল তৌহিদ দা
তৌহিদ
কথা হচ্ছে হুট করে কাউকে দেখেই ভালোবাসা হয়না, সেটি নিছক ভালোলাগা হতে পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা। এটা নিয়ে অনেকের মনেই কৌতুহল, প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আপনার লেখাটি পড়ে আশা করি সবার উপকার হবে বিষয়টি সম্পর্কে বিশদ জেনে। ভালো থাকবেন। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
তৌহিদ
আসলে ভালোলাগা আর ভালোবাসাকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। একটি সম্পর্ক থেকে অন্য সম্পর্কে জড়ানোর আগেও চিন্তা করা উচিত।
আপনিও ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
গবেষণা চালু রাখুন, আপনি একটি মতের পক্ষ নিলেন মাত্র!!
তৌহিদ
আমি গবেষক! হাসবো না কাঁদবো ভাইজান? যাই দেখিলাম তাই লিখিলাম আর কি! ☺
শুভকামনা ভাই।
ইঞ্জা
“কাউকে সত্যই ভালবাসতে হলে আপনাকে তার সম্পর্কে জানতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসার উদ্দেশ্যগুলি বুঝতে হবে, তাদের মূল্যবোধগুলি সম্পর্কে শিখতে হবে। তারা বিশ্বকে কীভাবে দেখে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলি জেনে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী প্রেমের দিকে নিজের পরিচালিত রসায়ন এবং সংযোগগুলি স্থাপন করতে হবে। এটাই হচ্ছে ভালোবাসা। এর বাইরে যা কিছু আকর্ষণ সেটা সাময়িক বা ক্ষণিকের মোহ ছাড়া আর কিছুই নয়।”
নিজের জীবনসঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, আপনার চাওয়া-পাওয়াগুলিকে তাকে বুঝতে দিন। তবেই আপনি মনের মত একজন জীবনসঙ্গী পেতে পারেন। মনে রাখবেন, ভালোবাসা একটি আদর্শের দ্বারা পরিচালিত হয়। সাময়িক মোহে যে ভালোলাগা সেটি আদর্শগত প্রেম হতে পারেনা। এই মোহের ফাঁদে পা দিলে আপনার জীবনে জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না।
এটিই মূল বিষয় ভাই, বাকিটার দিকে চোখ না ফেরালেও চলবে। 👉
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
ভালোবাসা অফুরান
ফয়জুল মহী
বাহ চমকপ্রদ প্রকাশ। একরাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।
তৌহিদ
ধন্যবাদ মহী ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
প্রথম দর্শনে প্রেম যতটা আবেগ কাজ করে ততটাই বাস্তবতা বিবর্জিত যেটা যৌবনে আমরা ভুল করে বসি।
তাই আপনার সহমত পোষন করে বলি।
“নিজের জীবনসঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, আপনার চাওয়া-পাওয়াগুলিকে তাকে বুঝতে দিন। তবেই আপনি মনের মত একজন জীবনসঙ্গী পেতে পারেন। “
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখছেন।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
তৌহিদ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা। আসলে জীবনসঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ততা একজন মানুষের অবশ্য কাম্য। হুট করে ভালোবাসা হয়না কিন্তু।
শুভকামনা জানবেন।
রেজওয়ানা কবির
এত সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া।সত্যি চমৎকার লিখেছেন।কেননা বেশিরভাগ মানুষই মোহের পিছনে পড়ে থাকে বলে তাদের এত ঝামেলা হয়।
তৌহিদ
আমরা মোহকে ভুল বুঝে ভালোবাসা ভাবি আর এতেই যত সমস্যা তৈরী হয়।
ভালো থাকুন আপু।
নিতাই বাবু
কার কী অভিমত, তা নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমি আমার নিজের ভাবনা থেকে বলতে পারি প্রথম দেখতে “ভাললাগা” হতে পারে, এর বেশিকিছু আশা করা যায় না। ভাললাগা থেকেই ভালোবাসার সৃষ্টি বলে আমি মনে করি। আর একদিন দুইদিনে হবে না, হবে অস্তেধীরে। তারপরও একজনের ভাললাগা থেকে নয়, দুইজনের ভালো লাগতে হবে।
ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
সহমত পোষণ করছি দাদা। সুন্দর এবং সঠিক বলেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ।
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন সবসময়।
সাদিয়া শারমীন
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।মোহ আর ভালোবাসা এক নয়। মোহ মানুষ কে ভুল দিকে চালিত করে। মোহের
ফাঁদে পা দিলে জীবন জটিলই হবে।
তৌহিদ
একদম ঠিক বলেছেন আপু। শুভকামনা জানবেন।
বন্যা লিপি
ভালোলাগা ভালবাসা প্রেম বিষয়গুলাই জটিল! কেউ এসবের ফাঁদে ইচ্ছা বা অনিচ্ছাতেই পড়ুক বা না পড়ুক, পড়ার পরে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে। আর তারপর মোটিভেশনাল বক্তব্য দিতে উইঠ্যা পইড়্যা লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওই যে! চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী!!
যারা পিছলা খাবার তারা খাবেই।
চমৎকার তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক পোষ্ট। সাধুবাদ।
তৌহিদ
মানুষ ঠেকেই শিখে আর কিছু মানুষ বারবার গর্তে পড়তে ভালোবাসে। ☺
শুভকামনা রইলো আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রথম দেখায় ভালোলাগা হতে পারে ভালোবাসা নয়।
এটা শতভাগ ঠিক বলেই মনে করি।
ভালোবাসা না জেনেশুনে হয়না। এটি সময় সাপেক্ষ বিষয়।
খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
তৌহিদ
রাইট, হুট করে ভালোবাসা হয়না। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যা হয় সেটি মোহ থেকে ভালোলাগা।
ধন্যবাদ আপু।
নাজমুল হুদা
চমৎকার বিশ্লেষণ ভাইয়া।
ভালোবাসা এখন বয়সতান্ত্রিক ইচ্ছা, যার কুফল বেশি।
আমি মনে করি- দেহতান্ত্রিক ইচ্ছার প্রাধান্য কম দিয়ে,
বুদ্ধিদীপ্ত ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা হলো প্রকৃত ভালোবাসা।
তৌহিদ
একদম ঠিক বলেছ ভাই, সহমত জানাচ্ছি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
প্রেমিক প্রেমিকা না শোনে ধর্মের কাহিনী। এক জরিপে দেখা গেছে এটা একটা হরমোনের কারসাজি।
আপনার এই লেকা পড়ে যদি একটু সুমতি হয় আরকি!!
না হলে গানটা আবার ফিরে আসবে, ” এ জীবনে প্রেম বলে কিছু নেই, কিছু নেই!”
না বুঝে প্রেম করলে তো এমন গান তো বের হবেই।
কি বলেন?
তৌহিদ
আর সুমতি! গর্তে বার বার পড়তে আমরা ভালোবাসি। হ্যা হরমোনাল বিষয়টি ঠিক তবে নিজেকে বুঝতে জানতে হবে যে!
ভালো থাকুন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম দর্শনে যেটা ঘটে তা হলো ভালোলাগা। ভালোলাগার তীব্রতা, কারন, ধরন, উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনেক ক্ষেত্রে সেটা ভালোবাসা পর্যন্ত গড়ায়। আবার কখনো কখনো তার উল্টোটাও ঘটে। ভালোলাগা মানেই ভালোবাসা নয়। আর সেটা প্রথম দর্শনে হতে পারে না।
ব্যতিক্রমী লেখাটা ভালো লাগলো।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
আপনার চমৎকার মন্তব্য যে কোন লেখাকেই উপজীব্য করে তোলে সবসময়। আসলেও তাই, ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক নয়। হুট করে কোন সিদ্বান্ত অনেক জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইলো।