
জংশন দাঁড়িয়ে আছে/থাকে, জংশনে-ই;
ট্রেন আসে, ট্রেন যায়, দাঁড়ায়, আমরাও দাঁড়াই, যাই, আসি।
একটি বাতিল পাণ্ডুলিপি বুকে চেপে এক পাণ্ডুর কবি দাঁড়িয়ে থাকে,
ট্রেনের আসা-যাওয়া, যাওয়া-আসা সে দ্যাখে;
অপহরণের ভয় কেটে গেলে, একদিন ঠিক সময়ের ট্রেনে
শেষ-জংশনে যাবে, একাই। অপেক্ষার ভাবনায় সময় কেটে যায়।
উত্তেজিত কিশোর এ শহর থেকে পালিয়ে শহরান্তে ছুটে চলে
ভাগ্য-রেখার শেমিজ আর খুলে দেখা হয় না। কৃপাণের জাদুকর
যদি কবির সানুদেশ থেকে কবিতাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রতীক্ষার প্রত্যাখ্যানে জংশন দাঁড়িয়ে থাকে একাকী।
কবি দাঁড়িয়ে থাকে একাকী, শেষের ট্রেনের অপেক্ষায়।
জংশনটি হঠাৎ চলতে শুরু করে, কবিকে নিয়ে হারিয়ে-ও যায়।
৩১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কবি একা একাই চলে যাবে!
আমরা কি কর্তাম তাইলে?
ছাইরাছ হেলাল
আহহা!! কয় কী!! গলায় গামছা মারেন জলদি!!
প্রহেলিকা
আহা রে কি নির্মম গল্প, এভাবে কবিকে হারিয়ে যেতে দিলেন? লেখক নিষ্ঠুর বড্ডো। বেটে গল্পেও দেখি অনেক কিছুই আছে। অপহরণ হলে চিন্তা নেই তদন্ত করে বের করে ফেলা হবে। তবে অপহরণের চেয়েও বেশি ঝামেলাকর হবে জংশন যখন চলতে শুরু করে। কি আজব আজব কথা শুনি আজকাল সব্যসাচীর মুখে! জংশন না’কি চলতে জানে। অদ্ভুত অদ্ভুত!
ছাইরাছ হেলাল
মাথা কী আউলা অইছে বলে মুনে অয়!!
আবার সব্যসাচী কয়!
সে তো একজন এখানে আছেই!! টের তো পাচ্ছেন ভাল করেই।
বেটে শুধু!! ট্যাবা ও বলতে পারেন।
মজার ঘটনা বলি……………
লিখতে বসেছি এক জিনিস, লিখে ফেলেছি এইটি, আসলটি এর কাছাকাছি ছিল, এখন আর সেটিকে প্রকাশের ভাষা পাচ্ছি না।
লেখার ছবিটি মাথায় আটকে আছে।
প্রহেলিকা
এসব বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। ভাষা পান না বললেই হলো, তাও আবার আপনার মুখে এই কথা! মানায় না কবি মানায় না!
ছবিতে দেখি ফটোগ্রাফার আরও আছেন, আপনি সবার পেছনেই। সামনে আরেকটু গেলেই পারতেন, ফাস্টু হইতেন।
এত রংচটা ট্রেন, রঙের দেখি অভাব নাই! তা স্টেশনে আপনি কি করেন?
ছাইরাছ হেলাল
ঐ লেখাটি মার খেয়ে গেছে!!
না ওরা কেউ ফটোগ্রাফার না।
ঘোরতে আনন্দে সেখানে গিয়েছিলাম। নুতন রঙ করেছিল ট্রেনটিতে।
বন্য
পাণ্ডুলিপি বাতিল হয় কখনো? লোহালক্কড় তো না পাণ্ডুলিপি। ভাগ রেখার শেমিজ৷ কাব্যিক গল্প পড়লাম মনে হলো।
ছাইরাছ হেলাল
এমন করে প্রশ্ন করলে কেমনে উত্তর দেই!!
আসলে এখানে পাণ্ডুলিপি বলে ঠিক তা না।
কাব্য হচ্ছে কীনা জানি না, বা তেমন ভেবেও লিখি না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
কবিকে অপহরণ করবে কার এত সাহস? আর কবি চলে গেলে আমরা কি করবো শুনি?
ভাগ্যরেখার শেমিজ এবং কৃপানের জাদুকর নতুন দুটি শব্দ শিখলাম।
প্রহেলিকা
কবিদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট সকলে, যাক ভাই, নিয়ে যাক অপহরণ করে। আমরা দেখেও না দেখার ভান করবো। ন্যাকাকান্না করা যায় অবশ্য।
তৌহিদ
যে গরু দুধ দেয় তার একটু চাঁটি খেলেও সহ্য করতে হয়, বুঝলেন না? ☺
এসব মিষ্টি যন্ত্রনা আপনার সহ্য করতেই হবে প্রহেলিকা ভাই, কারন আপনিও কিন্তু কম যাননা।☺
প্রহেলিকা
আমার পক্ষে বললেন না বিপক্ষে বললেন, বুঝলাম না আসলে। পক্ষপাতিত্ব বড় গুণ। অর্জন করতে শিখে ফেলুন।
ছাইরাছ হেলাল
আগে নিজেরা পক্ষ বিপক্ষ ঠিক করুন।
তৌহিদ
আমি আমার পক্ষে☺☺
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তো আপনার মত-ই শিখে শিখে লিখি।
আরজু মুক্তা
কবিরা শূন্য থেকে আবার ফিরে আসে,নতুন প্লট নিয়ে!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তারা ফিরে ফিরে আসে স্বমহিমায়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
অপার্থিব
আসবে নুতুন ট্রেন, বাতিল পাণ্ডুলিপির ধ্বংসাবশেষ থেকে হয়তো একদিন জন্ম হবে নুতুন কবিতা…
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য-ই নতুনের জয় গানের জন্য অপেক্ষা করব।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি নিয়ে পরে লিখবো। একটা কথা হলো, কাল সারাদিন ট্রেন নিয়ে প্যারা গেছে। স্টেশনে স্টেশনেই কেটেছে বলা যায়, অপেক্ষায়। পাওয়ার মধ্যে পেলাম রেললাইনের উপর চাঁদ, যদিও সেটা মোবাইল ধারণ এবং দেখানোর মতো নয়, তবুও এই একটা ব্যাপার, আপনার লেখায় লটকে দেয়া যায়।
চাঁদের অপহরণে একদিন নেমে এলো এক সবুজ চোখের মানুষ,
জংশনের নাম চন্দ্রবিষুধ
ঘুটঘুটে অন্ধকারের আলোয় আলুঝালু এক মানুষের কাঁধের ঝোলায় সে যেন কিছু দেখতে পেলো, যেন রুপোর মতো জ্বলে উঠলো। লোকটিকে বেশ কিছু আকারে ইংগিতে অন্যমনস্ক করে ঝোলা নিয়ে দৌড়াবে সবুজ চোখ, এই মতলবে অনড়। ঝোলার জ্বলজ্বলে কবিতাকে সে চাঁদ আর কবিকে ভেবেছিল চাঁদ চোর। কিন্তু যেভাবে প্রানপণে আঁকড়ে রেখেছে সে তার ঝোলা, অবশেষে নানান কসরতে ব্যর্থ হয়ে সবুজ চোখ জংশনটিকে নিয়েই ছুট দিলো, ওপাড়ে, যদিও কবি আর তার ঝোলাকে পরে ফেরত পাঠিয়েছিল কিনা জানা যায়নি। গল্পের ফলোয়াপ গল্প আমরা আর ক’টা পাই!!
ছাইরাছ হেলাল
সময় দিন প্লিজ!!
পোস্ট তো দিতে দেবেন্না!! এখানেই যা বলার বলবো!!
ছাইরাছ হেলাল
‘লেখাটি নিয়ে পরে লিখব’
অপেক্ষায় ছিলাম, আমিও না হয় কিছু লিখে ফেলব!!
‘তবুও এই একটা ব্যাপার, আপনার লেখায় লটকে দেয়া যায়।’
লটকে থেকে আমিও কিছু লটকে দিলাম।
চাঁদের অপহরণে একদিন নেমে এলো এক সবুজ চোখের মানুষ,
জংশনের নাম চন্দ্রবিষুধ,
ঘুটঘুটে অন্ধকারের আলোয় আলুঝালু সে এক আজব মানুষ
রূপোয় জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠা এক অত্যাচার্য পাণ্ডুলিপি, কাঁধে করে,
কেউ ছোঁবে না, কাউকে ছুঁতে দেবেনা, কবিতার পাণ্ডুলিপি নিয়ে
জীবন্ত-জংশনকে নিয়ে পাড়ি দিতে চায় অজানার গুপ্ত পথ ধরে!
আর যেন ফিরি না আসতে হয় বারা বারে;
কবির লেখাটির জন্য অধীর হয়ে আছি!! অপার না কিন্তু!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা গল্প ! গল্পের কোনো মাথামুন্ডু নেই। যা খুশি তা লিখে গল্প বলে দিলেই হয় ? জংশন দাঁড়িয়ে থাকে, কবি দাঁড়িয়ে থাকে, ট্রেন আসে/ যায় সব বুঝলাম। প্রতিক্ষার প্রত্যাখ্যানের এতো ভয় থাকলে জংশনে আসার দরকার কি ছিলো ? আবার অপহরনের ভয়! শেষে কিনা জংশন কবিকে নিয়ে হারিয়ে গেলো ! এরপর ট্রেন এসে কোথায় দাঁড়াবে ? ট্রেনের কথা কিছুই বললেন না।
ভাগ্য-রেখার শেমিজ !! আর কোনো পোষাকের নাম মাথায় না এনে এই শেমিজের নাম মাথায় এলো কেন ? রবী ঠাকুরের গল্প পড়া শুরু করেছেন ? আর কি কি করবেন আপনি !!
মহারাজ, মেলায় গিয়ে দেয়ালের সাথে বাড়ি খেয়ে কপ্পোকে এখন গপ্পো বলা শুরু করেছেন। তাড়াতাড়ি লেখা-পড়া শুরু করেন। আর আমার ডিকশনারি কার কাছে নিয়ে রেখেছেন মনে করুন। আমি যেকনো সময় ফেরত নিতে আসবো। ডাইরেক্ট স্টেশনে না গিয়ে জংশনে দাঁড়িয়ে হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয়া কবিরা নিঁখোজ থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
সময় চাই, প্লিজ!!
ছাইরাছ হেলাল
আরে! আপনার মত সাতাশ অক্ষরে মহাকাব্য সবাই নামাতে পারে না, পারবেও না।
তাই জবরদস্তি কিছু একটি গছিয়ে দেয়ার ভান-ভনিতা মাত্র। দেখুন ভীতু লেখকদের
এর বেশি কী ই বা ভাবার অবকাশ থাকে!! পালিয়ে যাওয়া লেখক নিজেই তো গন্তব্য জানে না, হয়ত আবার কোন জং শন ট্রেন জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে বা আনবেই না।
বেশি কিছু পড়া-করার চেষ্টা নিতে পারছি কৈ!! দেয়ালেই লটকে আছি কাক-তাড়ুয়ার বেশে।
মাফ করে দিন!! ডিকশনারি জংশনেই রেখে এসেছি নিখোঁজের কাছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধুত্তুরি ছাই কী যে লিখি! কবি লিখতে বসেছেন গল্প। আবার ঝোলার ভেতর কবিতা নিয়েও ঘুরছেন। চোখকে সজাগ রেখেছেন যেনো কেউ কবিতা নিয়ে না যায়। ট্রেনের অপেক্ষায়, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, প্ল্যাটফর্ম দৌঁড়ে পালাচ্ছে। আচ্ছা কবিতাসহ কবিকেই যদি অপহরণ করে নেয়া যায়! এও তো সম্ভব, নয় কি!
যাক আর কিছু না বলি। এটুকুই থাক।
ছাইরাছ হেলাল
যা দিন কাল!! কে কোথায় হারিয়ে যায় ঠিক নেই,
তাই সব কিছুই আগলে রাখা ভাল।
আপনার পোটলা ঠিক আছে তো!! সবই গল্প, সবই কবিতা!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার কোনো পোটলা তো নেই, ছিলো না কোনো কালেই।
ছাইরাছ হেলাল
বানিয়ে কথা বলা ঠিক না, বস্তা আছে আপনার কাছে, এখনো।
রিতু জাহান
সকাল সাড়ে সাতটায় ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম পরিত্যক্ত জংশনে কেউ অপহরণ করবে বলে
নাহ! করেনি কেউ। ফিরে এসেছি প্রচন্ড অভিমানে।
যা কিছু ঝোলায় ছিলো অপেক্ষার প্রতিটি প্রহরে তা ফেলেছি নীল ট্রেনের নির্জন কামরায়।
একা আমি একাই এসেছি সমস্ত নীল বেদনা সাথে নিয়ে।’
কি হয় হারিয়ে গিয়ে গুরুজি?
হারাতে চাইয়েন না। থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
সবাই অপহরণের আওতায় আসে না। আপনাকে অপহরণ করে মরবে নাকি কেউ!!
ট্রেন কে আপনার দায় চাপিয়ে ভেগে গেলে তো হবে না।
তিতা তিতা লাগলে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় কী, তবে হারাতে চাইলেই কী হারানো যায়!!